দেশের মৎস্য অভয়াশ্রমে প্রথমবারের মতো উদ্ভাবনী উদ্যোগ

#
news image

বড়পুকু‌রিয়ায় বিলের মাছ চুরি ঠেকাতে স্মার্ট আইপি ক্যামেরা স্থাপন দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির বিলের অভয়াশ্রমকে রক্ষা করতে পার্বতীপুর উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে মাছ চুরি ঠেকাতে স্বয়ংক্রিয় অ্যালার্মযুক্ত সোলার সিস্টেম আইপি স্মার্ট সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। এটি দেশের মৎস্য অভয়াশ্রমে প্রথম ‘উদ্ভাবনী উদ্যোগথ বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। জানাগেছে, দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি এলাকায় কয়লা উ‌ত্তোল‌নের ফ‌লে প্রায় ৪০০ একর জমি দেবে গিয়ে জলাশয়ের সৃষ্টি হয়। পরে সরকার ভূমি মালিকদের কাছ থেকে ওই দে‌বে যাওয়া জমি অধিগ্রহন করে। পরবর্তী সময়ে মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ, মাছের নিরাপদ প্রজনন ও বিলুপ্ত প্রায় মাছের পুনরাবির্ভাবের জন্য বিলটিকে উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর মৎস্য অভয়াশ্রম ‌হি‌সে‌বে ঘোষণা করে। দীর্ঘদিন ধরে বিলের মাছ চুরি হচ্ছিল। অভয়াশ্রমে পাহারাদার না থাকার কারণে মৎস্য নিধন ও বিভিন্ন উপকরণ চুরির ঘটনা ঘটছিল।

পার্বতীপুর উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে ওই বিলে মাছ চুরি ঠেকাতে স্বয়ংক্রিয় অ্যালার্মযুক্ত সোলার সিস্টেম আইপি স্মার্ট সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে ৪০০ একর বিলের মধ্যে ১২০ শতক জায়গাকে ‘স্মার্ট মৎস্য অভয়াশ্রমেথ রূপান্তর করা হয়। শ‌নিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির দক্ষিণ পূর্ব কোনে বিলের এক পাশে কিছু জায়গায় লাল পতাকাযুক্ত বাঁশের খুঁটি দিয়ে ঘেরা। এর মাঝখানে একটি সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড, তাতে লেখা আছে ‘স্মার্ট মৎস্য অভয়াশ্রম, “মাছ ধরা নিষেধ”। পাশেই একটি খুঁ‌টি‌তে স্থাপন করা আছে আইপি স্মার্ট ক্যামেরা। উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর জানায়, এই প্রযুক্তির মাধ্যমে মৎস্যসম্পদ ও প্রাকৃতিক জলাশয় সংরক্ষণের জন্য মৎস্য অভয়াশ্রমের মাছের নিরাপদ প্রাকৃতিক প্রজননসহ দেশীয় প্রজাতির মাছের প্রাচুর্য বাড়াতে সহায়ক হবে।

অভয়াশ্রমটিকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে যে কোনো স্থান থেকে ২৪ ঘণ্টা মনিটরিং করা যাবে। অভয়াশ্রমের ৩০ফিটের মধ্যে কোনো মানুষ ঢুকলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্মার্ট মোবাইল ফোনে মেসেজ চলে আসবে। সেই সঙ্গে ক্যামেরায় স্বয়ং‌ক্রিয়ভাবে ওই ব্যক্তির ছবিসহ ভিডিও করে পাঠিয়ে দেবে। আইপি স্মার্ট ক্যামেরাটি স্থাপন করতে খরচ হয়েছে ১০ হাজার টাকা। এটি মাসিক ৪০০-৫০০ টাকা ইন্টারনেট বিলের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টা পাহারাদারের কাজ করছে। এব্যাপারে পার্বতীপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবু জাফর মোহাম্মদ শাহীন জানান, দেশের মৎস্য অভয়াশ্রমে প্রথম ‘উদ্ভাবনী উদ্যোগথ এ‌টি। মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ, মাছের নিরাপদ প্রজনন ও বিলুপ্ত প্রায় মাছের পুনরাবির্ভাবে এ প্রযুক্তি সহায়ক হবে। বিলে রাতের আঁধারে দুর্বৃত্তরা বিভিন্ন জাতের মাছ চুরি করে নিয়ে যেত। চুরি ঠেকাতে এবং চোর ধরতে এ নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে। এই প্রযুক্তি ব্যবহারে পর থেকে আর চুরির ঘটনা ঘটেনি। তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি রংপুর বিভাগের সকল সরকারি দপ্তর নিয়ে আয়োজিত 'বিভাগীয় উদ্ভাবনী উদ্যোক্তা' মেলায় আমাদের এই প্রযুক্তি প্রথম স্থান লাভ করে।

 

মোকাররম হোসেন, ফুলবাড়ী, দিনাজপুর

১১ মে, ২০২৪,  4:36 PM

news image

বড়পুকু‌রিয়ায় বিলের মাছ চুরি ঠেকাতে স্মার্ট আইপি ক্যামেরা স্থাপন দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির বিলের অভয়াশ্রমকে রক্ষা করতে পার্বতীপুর উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে মাছ চুরি ঠেকাতে স্বয়ংক্রিয় অ্যালার্মযুক্ত সোলার সিস্টেম আইপি স্মার্ট সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। এটি দেশের মৎস্য অভয়াশ্রমে প্রথম ‘উদ্ভাবনী উদ্যোগথ বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। জানাগেছে, দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি এলাকায় কয়লা উ‌ত্তোল‌নের ফ‌লে প্রায় ৪০০ একর জমি দেবে গিয়ে জলাশয়ের সৃষ্টি হয়। পরে সরকার ভূমি মালিকদের কাছ থেকে ওই দে‌বে যাওয়া জমি অধিগ্রহন করে। পরবর্তী সময়ে মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ, মাছের নিরাপদ প্রজনন ও বিলুপ্ত প্রায় মাছের পুনরাবির্ভাবের জন্য বিলটিকে উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর মৎস্য অভয়াশ্রম ‌হি‌সে‌বে ঘোষণা করে। দীর্ঘদিন ধরে বিলের মাছ চুরি হচ্ছিল। অভয়াশ্রমে পাহারাদার না থাকার কারণে মৎস্য নিধন ও বিভিন্ন উপকরণ চুরির ঘটনা ঘটছিল।

পার্বতীপুর উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে ওই বিলে মাছ চুরি ঠেকাতে স্বয়ংক্রিয় অ্যালার্মযুক্ত সোলার সিস্টেম আইপি স্মার্ট সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে ৪০০ একর বিলের মধ্যে ১২০ শতক জায়গাকে ‘স্মার্ট মৎস্য অভয়াশ্রমেথ রূপান্তর করা হয়। শ‌নিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির দক্ষিণ পূর্ব কোনে বিলের এক পাশে কিছু জায়গায় লাল পতাকাযুক্ত বাঁশের খুঁটি দিয়ে ঘেরা। এর মাঝখানে একটি সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড, তাতে লেখা আছে ‘স্মার্ট মৎস্য অভয়াশ্রম, “মাছ ধরা নিষেধ”। পাশেই একটি খুঁ‌টি‌তে স্থাপন করা আছে আইপি স্মার্ট ক্যামেরা। উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর জানায়, এই প্রযুক্তির মাধ্যমে মৎস্যসম্পদ ও প্রাকৃতিক জলাশয় সংরক্ষণের জন্য মৎস্য অভয়াশ্রমের মাছের নিরাপদ প্রাকৃতিক প্রজননসহ দেশীয় প্রজাতির মাছের প্রাচুর্য বাড়াতে সহায়ক হবে।

অভয়াশ্রমটিকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে যে কোনো স্থান থেকে ২৪ ঘণ্টা মনিটরিং করা যাবে। অভয়াশ্রমের ৩০ফিটের মধ্যে কোনো মানুষ ঢুকলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্মার্ট মোবাইল ফোনে মেসেজ চলে আসবে। সেই সঙ্গে ক্যামেরায় স্বয়ং‌ক্রিয়ভাবে ওই ব্যক্তির ছবিসহ ভিডিও করে পাঠিয়ে দেবে। আইপি স্মার্ট ক্যামেরাটি স্থাপন করতে খরচ হয়েছে ১০ হাজার টাকা। এটি মাসিক ৪০০-৫০০ টাকা ইন্টারনেট বিলের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টা পাহারাদারের কাজ করছে। এব্যাপারে পার্বতীপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবু জাফর মোহাম্মদ শাহীন জানান, দেশের মৎস্য অভয়াশ্রমে প্রথম ‘উদ্ভাবনী উদ্যোগথ এ‌টি। মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ, মাছের নিরাপদ প্রজনন ও বিলুপ্ত প্রায় মাছের পুনরাবির্ভাবে এ প্রযুক্তি সহায়ক হবে। বিলে রাতের আঁধারে দুর্বৃত্তরা বিভিন্ন জাতের মাছ চুরি করে নিয়ে যেত। চুরি ঠেকাতে এবং চোর ধরতে এ নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে। এই প্রযুক্তি ব্যবহারে পর থেকে আর চুরির ঘটনা ঘটেনি। তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি রংপুর বিভাগের সকল সরকারি দপ্তর নিয়ে আয়োজিত 'বিভাগীয় উদ্ভাবনী উদ্যোক্তা' মেলায় আমাদের এই প্রযুক্তি প্রথম স্থান লাভ করে।