ভারি বৃষ্টির আশঙ্কায় ধান কাটার ধুম
নাগরিক প্রতিবেদন
০৭ মে, ২০২৪, 11:21 AM
ভারি বৃষ্টির আশঙ্কায় ধান কাটার ধুম
দেশজুড়ে বৃষ্টি হতে পারে এমন বার্তায় চলমান তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করে বৃষ্টির আগেই পাকা ধান ঘরে তোলার ধুম পড়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর দেশজুড়ে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি জানিয়েছে, আগামী দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাত শুরু হতে পারে। মে মাসে তা বিস্তরলাভ করে দেশজুড়ে হতে পারে বলে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন। চলমান তাপপ্রবাহ শেষে বৃষ্টির পূর্বাভাসে ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন বোরোর মৌসুমের কৃষকরা। বৃষ্টির আগে পাকা ধান ঘরে তোলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
নরসিংদী
জেলার মাঠে মাঠে এখন ধান কাটার দৃর্শ চোখের পড়ার মতো। এলেকার কৃষাণ কৃষাণী ছাড়াও বাহিরের দিনমুজুরাও ধান কাটতে যোগ দিয়েছে। বর্তমান তাপদাহ মাথায় ধান কাটা মুজুরদের রোজের দাম দিতে হচ্ছে ৮০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত। এলাকার নিম্নাঞ্চলের বিলগুলোর জমি থেকে ধান সংগ্রহে জোড় দিচ্ছেন কৃষকরা। কৃষি অফিসার আয়েশা আক্তার জানান, চলতি বছর আমন চাষে বড় কোনো প্রতিকূল আবহাওয়া মোকাবিলা করতে হয়নি কৃষকদের। পাশাপাশি আমরা কৃষকদের যাবতীয় উপকরন, সার, বীজ ও কীটনাশক সহায়তা দেয়া হয়েছে। তাতে বাম্পার ফলন হয়েছে। বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় নির্বিঘ্নে ধান কাটা, মাড়াই ও শুকানোর কাজ করতে পারছেন কৃষাণ-কৃষাণীরা। তবে বর্তমানে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা দেয়ায় যতদ্রুত সম্ভব ধান কেটে ঘরে তোলাই শ্রেয়।
যশোর
টানা ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনায় মাঠের ধান কেটে ঘরে তুলতে সতর্কতামূলক মাইকিং করছে যশোর কৃষি অফিস। এতে ধান কাটার চাপ বেড়েছে আতঙ্কিত কৃষকদের। যশোরে চলতি মৌসুমে ১ লাখ ৬০ হাজার ৭৮৫ হেক্টর জমিতে বোরো ফসলের আবাদ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭৯ হাজার ২০০ মেট্রিক টন। কৃষকরা ইতোমধ্যে মাঠের অধিকাংশ ধান কেটে ঘরে তুলতে সক্ষম হয়েছেন। তারা বলছেন, আগামী দুয়েক দিনের মধ্যে মাঠের সব ধান ঘরে তুলতে সক্ষম হবেন। এবার জাত ও এলাকাভেদে প্রতি বিঘায় ২০-২৫ মণ ধান হয়েছে বলে জানান তারা।
ঝিকরগাছা উপজেলার থাটবাড়িয়া গ্রামের বাবলুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'চার বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি। দ্রুত দুই বিঘা জমির ধান কেটেছি। বাকি ধান এখনো ঘরে তুলতে পারিনি। বৃষ্টি হলে ধান ঘরে তোলা বিপদজনক, অনেক নষ্ট হবে। ভেজা বিচালি গরুকে খাওয়াতে পারব না। ফলে বাজার থেকে বিচালি কিনে গরুকে খাওয়াতে হবে।'
শার্শা উপজেলার কায়বা গ্রামের বোরো চাষি মামুনুর রহমান বলেন, 'ধান কাটার মেশিন এসেছে গ্রামে। আমি শ্রমিক দিয়েই মাঠের ধান কেটে ঘরে তুলছি। মেশিনে বিচালি হবে না। তাই আমার গরুর জন্য এই ব্যবস্থা।' মনিরামপুর উপজেলার হাবিবুর রহমান বলেন, 'তাপদাহে শ্রমিকরা কেউ দিনের বেলায় কাজ করতে চাইছেন না। বিঘা প্রতি ধান কাটা, বাঁধা ও ঝাড়াসহ বাড়িতে পৌঁছে দিতে শ্রমিকদের মজুরি দিতে হচ্ছে ৬ হাজার টাকা।' জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. সুশান্ত কুমার তরফদার বলেন, 'যশোরাঞ্চলে এবার ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে যশোরের কৃষকরা মাঠের ৭০ ভাগ ধান কেটে ঘড়ে তুলেছেন। আগামী ২-৩ দিন বৃষ্টি না হলে মাঠের সব ধান কেটে ঘরে তুলতে পারবেন।'
চট্টগ্রাম
বৈশাখের প্রচণ্ড খরতাপের মধ্যে দক্ষিণ চট্টগ্রামসহ সমগ্র জেলাজুড়ে চলছে পাকা ধান কাটার উৎসব। ইতোমধ্যে জেলায় প্রায় ১৫ ভাগ পাকা ধান সংগ্রহ করেছেন চাষিরা। চলতি মৌসুমে চট্টগ্রামের মতো সারা দেশে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে (২০২৩-২৪) চট্টগ্রাম অঞ্চলের দুই লাখ ৮৬ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিসহ সারা দেশে এবার আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৫০ লাখ ৪০ হাজার ৪০০ হেক্টর। আর চালে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল দুই কোটি ২২ লাখ ৬৬ হাজার ৩৯৬ টন। দেশে এবার ৫০ লাখ ৫৮ হাজার হেক্টর জমিতে আবাদ ছাড়িয়েছে। এ কারণে চালের উৎপাদন এবার ২২৩ লাখ টন ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা করছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সরেজমিন উইংয়ের পরিচালক কৃষিবিদ তাজুল ইসলাম পাটওয়ারী। তিনি জানান, এবার মৌসুমের শুরুতে প্রাকৃতিক বৈরিতা দেখা গেলেও সরকারিভাবে দেশব্যাপী ২৯ লাখ ৪০ হাজার জন কৃষক ১৯৭ কোটি ৫৫ লাখ ৩০ হাজার টাকার সর্বোচ্চ কৃষি প্রণোদনা পেয়েছেন, এ ছাড়া উপজেলা পর্যায়ে আবাদ নিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সরাসরি মনিটরিং করার কারণেই এবার ধানের আবাদি লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। চলতি মৌসুমে (২০২৩-২৪) দেশজুড়ে ১৪টি কৃষি অঞ্চলের মধ্যে চট্টগ্রাম অঞ্চলের চট্টগ্রাম লক্ষ্মীপুর ফেনী কক্সবাজার ও নোয়াখালীসহ ৫ জেলায় দুই লাখ ৮৬ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ লাখ ৩৩ হাজার ৬১ টন।
নওগাঁ
ধানের জেলা হিসেবে খ্যাত নওগাঁতে শুরু হয়েছে চলতি মৌসুমের বোরো ধান কাটা ও মাড়াইয়ের উৎসব। তীব্র গরম উপেক্ষা করে কৃষকেরা মাঠে নেমে পড়েছেন। ভোর থেকে রাত অবধি ধান কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
মৌলভীবাজার
হাওরাঞ্চলে বৈশাখের প্রথম থেকেই চলছে আধপাকা ধান কাটার উৎসব। সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে কৃষকরা পরিবার-পরিজন নিয়ে মাঠে ছুটছেন। তাপদাহ উপেক্ষা করে ধান কাটা, মাড়াই ও ঘরে তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন চাষিরা। জেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি বোরো মৌসুমে ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে জেলায় ৬১ হাজার ৬৫ হেক্টর জমিতে বোরো চাষাবাদ করেছেন কৃষক, যেখান থেকে ২ লাখ ৩২ হাজার টন চাল উৎপাদিত হবে।
হবিগঞ্জ
বৃষ্টির ভয়ে বোরো ধান কাটার ধুম পড়ে গেছে হবিগঞ্জের হাওরগুলোতে। দাবদাহ উপেক্ষা করে কৃষকরা গোলায় ধান তুলতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। কৃষকরা জানিয়েছেন, সময় কম পাওয়ায় শ্রমিকের বদলে হার্ভেস্টর মেশিনে ঝুকছেন কৃষকরা। এতে দ্রুত সময়ে মাঠের ধান ঘরে তুলতে পারছেন তারা। আগামী ১০-১৫ দিন আবহাওয়া কৃষকদের পক্ষে গেলে বোরো ধানের বাম্পার ফলন পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী হাওরের কৃষকরা।
নাগরিক প্রতিবেদন
০৭ মে, ২০২৪, 11:21 AM
দেশজুড়ে বৃষ্টি হতে পারে এমন বার্তায় চলমান তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করে বৃষ্টির আগেই পাকা ধান ঘরে তোলার ধুম পড়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর দেশজুড়ে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি জানিয়েছে, আগামী দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাত শুরু হতে পারে। মে মাসে তা বিস্তরলাভ করে দেশজুড়ে হতে পারে বলে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন। চলমান তাপপ্রবাহ শেষে বৃষ্টির পূর্বাভাসে ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন বোরোর মৌসুমের কৃষকরা। বৃষ্টির আগে পাকা ধান ঘরে তোলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
নরসিংদী
জেলার মাঠে মাঠে এখন ধান কাটার দৃর্শ চোখের পড়ার মতো। এলেকার কৃষাণ কৃষাণী ছাড়াও বাহিরের দিনমুজুরাও ধান কাটতে যোগ দিয়েছে। বর্তমান তাপদাহ মাথায় ধান কাটা মুজুরদের রোজের দাম দিতে হচ্ছে ৮০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত। এলাকার নিম্নাঞ্চলের বিলগুলোর জমি থেকে ধান সংগ্রহে জোড় দিচ্ছেন কৃষকরা। কৃষি অফিসার আয়েশা আক্তার জানান, চলতি বছর আমন চাষে বড় কোনো প্রতিকূল আবহাওয়া মোকাবিলা করতে হয়নি কৃষকদের। পাশাপাশি আমরা কৃষকদের যাবতীয় উপকরন, সার, বীজ ও কীটনাশক সহায়তা দেয়া হয়েছে। তাতে বাম্পার ফলন হয়েছে। বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় নির্বিঘ্নে ধান কাটা, মাড়াই ও শুকানোর কাজ করতে পারছেন কৃষাণ-কৃষাণীরা। তবে বর্তমানে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা দেয়ায় যতদ্রুত সম্ভব ধান কেটে ঘরে তোলাই শ্রেয়।
যশোর
টানা ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনায় মাঠের ধান কেটে ঘরে তুলতে সতর্কতামূলক মাইকিং করছে যশোর কৃষি অফিস। এতে ধান কাটার চাপ বেড়েছে আতঙ্কিত কৃষকদের। যশোরে চলতি মৌসুমে ১ লাখ ৬০ হাজার ৭৮৫ হেক্টর জমিতে বোরো ফসলের আবাদ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭৯ হাজার ২০০ মেট্রিক টন। কৃষকরা ইতোমধ্যে মাঠের অধিকাংশ ধান কেটে ঘরে তুলতে সক্ষম হয়েছেন। তারা বলছেন, আগামী দুয়েক দিনের মধ্যে মাঠের সব ধান ঘরে তুলতে সক্ষম হবেন। এবার জাত ও এলাকাভেদে প্রতি বিঘায় ২০-২৫ মণ ধান হয়েছে বলে জানান তারা।
ঝিকরগাছা উপজেলার থাটবাড়িয়া গ্রামের বাবলুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'চার বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি। দ্রুত দুই বিঘা জমির ধান কেটেছি। বাকি ধান এখনো ঘরে তুলতে পারিনি। বৃষ্টি হলে ধান ঘরে তোলা বিপদজনক, অনেক নষ্ট হবে। ভেজা বিচালি গরুকে খাওয়াতে পারব না। ফলে বাজার থেকে বিচালি কিনে গরুকে খাওয়াতে হবে।'
শার্শা উপজেলার কায়বা গ্রামের বোরো চাষি মামুনুর রহমান বলেন, 'ধান কাটার মেশিন এসেছে গ্রামে। আমি শ্রমিক দিয়েই মাঠের ধান কেটে ঘরে তুলছি। মেশিনে বিচালি হবে না। তাই আমার গরুর জন্য এই ব্যবস্থা।' মনিরামপুর উপজেলার হাবিবুর রহমান বলেন, 'তাপদাহে শ্রমিকরা কেউ দিনের বেলায় কাজ করতে চাইছেন না। বিঘা প্রতি ধান কাটা, বাঁধা ও ঝাড়াসহ বাড়িতে পৌঁছে দিতে শ্রমিকদের মজুরি দিতে হচ্ছে ৬ হাজার টাকা।' জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. সুশান্ত কুমার তরফদার বলেন, 'যশোরাঞ্চলে এবার ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে যশোরের কৃষকরা মাঠের ৭০ ভাগ ধান কেটে ঘড়ে তুলেছেন। আগামী ২-৩ দিন বৃষ্টি না হলে মাঠের সব ধান কেটে ঘরে তুলতে পারবেন।'
চট্টগ্রাম
বৈশাখের প্রচণ্ড খরতাপের মধ্যে দক্ষিণ চট্টগ্রামসহ সমগ্র জেলাজুড়ে চলছে পাকা ধান কাটার উৎসব। ইতোমধ্যে জেলায় প্রায় ১৫ ভাগ পাকা ধান সংগ্রহ করেছেন চাষিরা। চলতি মৌসুমে চট্টগ্রামের মতো সারা দেশে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে (২০২৩-২৪) চট্টগ্রাম অঞ্চলের দুই লাখ ৮৬ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিসহ সারা দেশে এবার আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৫০ লাখ ৪০ হাজার ৪০০ হেক্টর। আর চালে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল দুই কোটি ২২ লাখ ৬৬ হাজার ৩৯৬ টন। দেশে এবার ৫০ লাখ ৫৮ হাজার হেক্টর জমিতে আবাদ ছাড়িয়েছে। এ কারণে চালের উৎপাদন এবার ২২৩ লাখ টন ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা করছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সরেজমিন উইংয়ের পরিচালক কৃষিবিদ তাজুল ইসলাম পাটওয়ারী। তিনি জানান, এবার মৌসুমের শুরুতে প্রাকৃতিক বৈরিতা দেখা গেলেও সরকারিভাবে দেশব্যাপী ২৯ লাখ ৪০ হাজার জন কৃষক ১৯৭ কোটি ৫৫ লাখ ৩০ হাজার টাকার সর্বোচ্চ কৃষি প্রণোদনা পেয়েছেন, এ ছাড়া উপজেলা পর্যায়ে আবাদ নিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সরাসরি মনিটরিং করার কারণেই এবার ধানের আবাদি লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। চলতি মৌসুমে (২০২৩-২৪) দেশজুড়ে ১৪টি কৃষি অঞ্চলের মধ্যে চট্টগ্রাম অঞ্চলের চট্টগ্রাম লক্ষ্মীপুর ফেনী কক্সবাজার ও নোয়াখালীসহ ৫ জেলায় দুই লাখ ৮৬ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ লাখ ৩৩ হাজার ৬১ টন।
নওগাঁ
ধানের জেলা হিসেবে খ্যাত নওগাঁতে শুরু হয়েছে চলতি মৌসুমের বোরো ধান কাটা ও মাড়াইয়ের উৎসব। তীব্র গরম উপেক্ষা করে কৃষকেরা মাঠে নেমে পড়েছেন। ভোর থেকে রাত অবধি ধান কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
মৌলভীবাজার
হাওরাঞ্চলে বৈশাখের প্রথম থেকেই চলছে আধপাকা ধান কাটার উৎসব। সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে কৃষকরা পরিবার-পরিজন নিয়ে মাঠে ছুটছেন। তাপদাহ উপেক্ষা করে ধান কাটা, মাড়াই ও ঘরে তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন চাষিরা। জেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি বোরো মৌসুমে ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে জেলায় ৬১ হাজার ৬৫ হেক্টর জমিতে বোরো চাষাবাদ করেছেন কৃষক, যেখান থেকে ২ লাখ ৩২ হাজার টন চাল উৎপাদিত হবে।
হবিগঞ্জ
বৃষ্টির ভয়ে বোরো ধান কাটার ধুম পড়ে গেছে হবিগঞ্জের হাওরগুলোতে। দাবদাহ উপেক্ষা করে কৃষকরা গোলায় ধান তুলতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। কৃষকরা জানিয়েছেন, সময় কম পাওয়ায় শ্রমিকের বদলে হার্ভেস্টর মেশিনে ঝুকছেন কৃষকরা। এতে দ্রুত সময়ে মাঠের ধান ঘরে তুলতে পারছেন তারা। আগামী ১০-১৫ দিন আবহাওয়া কৃষকদের পক্ষে গেলে বোরো ধানের বাম্পার ফলন পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী হাওরের কৃষকরা।