ভূগর্ভের পানির স্তর নেমে যাওয়ায় গ্রামাঞ্চলেও চরম ভোগান্তি

#
news image

দেশব্যাপী চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ভূগর্ভের পানির স্তর মারাত্মকভাবে নেমে গেছে। এতে বড় সঙ্কটে পড়েছেন কৃষির ওপর নির্ভরশীল গ্রামের মানুষ। গভীর ও অগভীর নলকূপগুলোতে প্রয়োজনীয় পানি উঠছে না। খাবার পানির জন্য বাড়িতে বসানো টিউবওয়েলগুলো অকেজো হয়ে পড়ছে। ফসলের খেতে সেচ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এমনিতে পুকুর, খাল-বিল শুকিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ব্যাপকভাবে ভরাট করার কারণে পানির সহজলভ্যতা হারিয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে অনেক স্থানে সাধারণ নলকূপের পানিতে আর্সেনিকের মাত্রা বেড়ে গেছে। বাধ্য হয়ে গ্রামবাসীরা তা পান করছেন।

চুয়াডাঙ্গায় টানা তাপদাহের পাশাপাশি পানির সঙ্কটে ভুগছেন গরমে নাভিশ্বাস হওয়া মানুষ। মানিকগঞ্জের ঘিওরে ভূগর্ভের পানির স্তর নেমে গেছে ২৮ ফুট। এতে জনজীবন ও কৃষিতে মারাত্মক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ভূগর্ভের পানির স্তর নিচে যাওয়ায় কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বেশির ভাগ নলকূপ অকেজো, বেড়েছে আর্সেনিকও। ময়মনসিংহের ভালুকায় খাবার পানির চরম ভোগান্তিতে রয়েছে মানুষ।

এ দিকে পরিবেশবিদরা বলছেন, গত কয়েক বছর স্থানীয় পর্যায়ে নির্বিচারে সরকারী সংরক্ষিত বনাঞ্চল ধ্বংসসহ ছোট-বড় বৃক্ষ নিধনের ফলে বাধাহীন সূর্যের তাপ বাড়ছে। এ ছাড়া ভরাট হওয়া পুকুর, নদী, খাল-বিল পানিশূন্য হয়ে যেন খাঁ খাঁ করছে। অন্য দিকে একশ্রেণীর ভূমিদস্যু শিল্পপতিদের মদদপুষ্ট হয়ে স্বল্পমূল্যে জলাভূমি ক্রয়ের মাধ্যমে সরকারি আইনের তোয়াক্কা না করে জমির শ্রেণী পরিবর্তন করে তাতে দেদারসে অপরিকল্পিত কারখানা স্থাপন করে পরিবেশ ধ্বংস করছে। এসব কারণেও গ্রামপর্যায়ে এখন তাপমাত্রা বাড়ার সাথে সাথে ভূগর্ভের পানির স্তর নেমে যাচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা যেন মরুভূমি
দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) থেকে সংবাদদাতা জানান, যেন মরুভূমির দেশে বাস করছে চুয়াডাঙ্গার মানুষ। টানা সাত দিনের তীব্র তাপদাহে জেলার বেশির ভাগ গ্রামগুলোতে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় সঙ্কট দেখা দিয়েছে। প্রচণ্ড গরমে নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে মানুষ। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় সরকারি পাঁচ হাজারের বেশি ও ব্যক্তিমালিকানা প্রায় ৪০ হাজার সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ হাজারের উপরে নলকূপ রয়েছে। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি নলকূপে পানি উঠছে না, বাকিগুলোতে যে পরিমাণে পানি উঠছে প্রয়োজনের চেয়ে খুবই কম।

ঘিওরে পানির স্তর নেমেছে ২৮ ফুট ঘিওর (মানিকগঞ্জ) থেকে সংবাদদাতা জানান, ঘিওরে ভূগর্ভের পানির স্তর নেমে গেছে ২৮ ফুটের বেশি। গত কয়েক দিনের খরতাপে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। খাল-বিল, নালা-ডোবা, পুকুর শুকিয়ে চৌচির। দীর্ঘ এক মাস বৃষ্টিপাত না হওয়ায় ভয়াবহ সেচ সঙ্কটে পড়েছেন কৃষকরা। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়া, লোডশেডিং ও পর্যাপ্ত ভোল্টেজ না থাকায় সেচ পাম্প দিয়ে পানি উঠছে না। মাঠের পর মাঠ পানি শুকিয়ে খাঁ খাঁ করছে। ফলন্ত ধান খেতে পর্যাপ্ত সেচ না দেয়া গেলে খরায় পুড়ে ধানে চিটা হওয়ায় আশঙ্কায় কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কৃষকদের। ঝরে পড়ছে মাঝারি আকারের আম ও লিচুর গুটি। খরা, বৃষ্টিহীনতায় সেচ যন্ত্রের পাশাপাশি টিউবওয়েলেও পর্যাপ্ত পানি উঠছে না।

উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে উপজেলায় ভূগর্ভের পানির স্তর ২৮ ফুট পর্যন্ত নেমে গেছে। পারিবারিকভাবে বসানো হাজার হাজার নলকূপে পর্যাপ্ত পানি নেই। কিছু এলাকায় মানুষ ৫৫০-৬০০ ফুটেরও বেশি গভীর নলকূপ বসিয়ে পরিবারের পানির চাহিদা মেটাচ্ছেন। এ অবস্থায় উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ এবং কৃষিক্ষেত্রে তীব্র পানির সঙ্কটের মুখে পড়েছে। 

দৌলতপুরে বেশির ভাগ নলকূপ অকেজো
দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) থেকে সংবাদদাতা জানান, দৌলতপুর উপজেলার ৩০-৩৫ ভাগ অগভীর নলকূপ অকেজো হয়ে পড়েছে। কিছু দিন আগেও এসব নলকূপে পানি উত্তোলন করা হলেও এখন আর পানি ওঠানো যাচ্ছে না। শুষ্ক মৌসুমে তীব্র তাপদাহের কারণে পানির স্তরনেমে যাওয়ায় এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। পানির স্তর নেমে যাওয়ায় বেড়েছে আর্সেনিকের মাত্রাও।

উপজেলা জনস্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, এখানকার শতভাগ মানুষই ভূগর্ভের পানির ওপর নির্ভরশীল। উপজেলায় প্রায় ৫৫ হাজার টিউবওয়েল বা অগভীর এবং প্রায় সাত হাজার গভীর নলকূপ রয়েছে। ফসলে সেচের জন্যও ভূগর্ভের পানিই কৃষকদের একমাত্র ভরসা।
 

যশোরের ফসলের স্বাভাবিক উৎপাদন নিয়ে আশঙ্কা
এ দিকে তীব্র তাপদাহে যশোরের বিভিন্ন উপজেলায় ফসলের স্বাভাবিক উৎপাদন নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন আমাদের প্রতিনিধি। ধান, কলা, মরিচসহ জমিতে যেসব ফসল রয়েছে, তা তীব্র রোগে পুড়ে নষ্ট হওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে। স্যালো পাম্পের মাধ্যমে ভূগর্ভের পানি স্বাভাবিকের থেকে অনেক কম উত্তোলন করা যাচ্ছে। ফলে সারাদিন স্যালো চালিয়েও এক-দুই বিঘা জমির ফসলে পানি দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এতে এক দিকে উৎপাদনে প্রভাব পড়েছে অন্য দিকে খরচও স্বাভাবিকের থেকে বেড়ে গেছে।

ভালুকায় খাবার পানির সঙ্কট
ভালুকা (ময়মনসিংহ) থেকে প্রতিনিধি জানান, ভালুকা পৌর এলাকাসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ভূগর্ভের পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় পুকুর জলাশয় শুকিয়ে গেছে। বেশির ভাগ সাবমার্সিবল নলকূপ বন্ধ হয়ে খাবার পানির সঙ্কট দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন এলাকার মানুষ পানির সমস্যায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। ভালুকায় কতগুলো সরকারি টিউবওয়েল ও তারা পাম্প অকেজো আছে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসে তার কোনো তথ্য নেই।

নাগরিক প্রতিবেদন

২৪ এপ্রিল, ২০২৪,  5:00 PM

news image

দেশব্যাপী চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ভূগর্ভের পানির স্তর মারাত্মকভাবে নেমে গেছে। এতে বড় সঙ্কটে পড়েছেন কৃষির ওপর নির্ভরশীল গ্রামের মানুষ। গভীর ও অগভীর নলকূপগুলোতে প্রয়োজনীয় পানি উঠছে না। খাবার পানির জন্য বাড়িতে বসানো টিউবওয়েলগুলো অকেজো হয়ে পড়ছে। ফসলের খেতে সেচ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এমনিতে পুকুর, খাল-বিল শুকিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ব্যাপকভাবে ভরাট করার কারণে পানির সহজলভ্যতা হারিয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে অনেক স্থানে সাধারণ নলকূপের পানিতে আর্সেনিকের মাত্রা বেড়ে গেছে। বাধ্য হয়ে গ্রামবাসীরা তা পান করছেন।

চুয়াডাঙ্গায় টানা তাপদাহের পাশাপাশি পানির সঙ্কটে ভুগছেন গরমে নাভিশ্বাস হওয়া মানুষ। মানিকগঞ্জের ঘিওরে ভূগর্ভের পানির স্তর নেমে গেছে ২৮ ফুট। এতে জনজীবন ও কৃষিতে মারাত্মক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ভূগর্ভের পানির স্তর নিচে যাওয়ায় কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বেশির ভাগ নলকূপ অকেজো, বেড়েছে আর্সেনিকও। ময়মনসিংহের ভালুকায় খাবার পানির চরম ভোগান্তিতে রয়েছে মানুষ।

এ দিকে পরিবেশবিদরা বলছেন, গত কয়েক বছর স্থানীয় পর্যায়ে নির্বিচারে সরকারী সংরক্ষিত বনাঞ্চল ধ্বংসসহ ছোট-বড় বৃক্ষ নিধনের ফলে বাধাহীন সূর্যের তাপ বাড়ছে। এ ছাড়া ভরাট হওয়া পুকুর, নদী, খাল-বিল পানিশূন্য হয়ে যেন খাঁ খাঁ করছে। অন্য দিকে একশ্রেণীর ভূমিদস্যু শিল্পপতিদের মদদপুষ্ট হয়ে স্বল্পমূল্যে জলাভূমি ক্রয়ের মাধ্যমে সরকারি আইনের তোয়াক্কা না করে জমির শ্রেণী পরিবর্তন করে তাতে দেদারসে অপরিকল্পিত কারখানা স্থাপন করে পরিবেশ ধ্বংস করছে। এসব কারণেও গ্রামপর্যায়ে এখন তাপমাত্রা বাড়ার সাথে সাথে ভূগর্ভের পানির স্তর নেমে যাচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা যেন মরুভূমি
দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) থেকে সংবাদদাতা জানান, যেন মরুভূমির দেশে বাস করছে চুয়াডাঙ্গার মানুষ। টানা সাত দিনের তীব্র তাপদাহে জেলার বেশির ভাগ গ্রামগুলোতে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় সঙ্কট দেখা দিয়েছে। প্রচণ্ড গরমে নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে মানুষ। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় সরকারি পাঁচ হাজারের বেশি ও ব্যক্তিমালিকানা প্রায় ৪০ হাজার সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ হাজারের উপরে নলকূপ রয়েছে। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি নলকূপে পানি উঠছে না, বাকিগুলোতে যে পরিমাণে পানি উঠছে প্রয়োজনের চেয়ে খুবই কম।

ঘিওরে পানির স্তর নেমেছে ২৮ ফুট ঘিওর (মানিকগঞ্জ) থেকে সংবাদদাতা জানান, ঘিওরে ভূগর্ভের পানির স্তর নেমে গেছে ২৮ ফুটের বেশি। গত কয়েক দিনের খরতাপে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। খাল-বিল, নালা-ডোবা, পুকুর শুকিয়ে চৌচির। দীর্ঘ এক মাস বৃষ্টিপাত না হওয়ায় ভয়াবহ সেচ সঙ্কটে পড়েছেন কৃষকরা। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়া, লোডশেডিং ও পর্যাপ্ত ভোল্টেজ না থাকায় সেচ পাম্প দিয়ে পানি উঠছে না। মাঠের পর মাঠ পানি শুকিয়ে খাঁ খাঁ করছে। ফলন্ত ধান খেতে পর্যাপ্ত সেচ না দেয়া গেলে খরায় পুড়ে ধানে চিটা হওয়ায় আশঙ্কায় কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কৃষকদের। ঝরে পড়ছে মাঝারি আকারের আম ও লিচুর গুটি। খরা, বৃষ্টিহীনতায় সেচ যন্ত্রের পাশাপাশি টিউবওয়েলেও পর্যাপ্ত পানি উঠছে না।

উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে উপজেলায় ভূগর্ভের পানির স্তর ২৮ ফুট পর্যন্ত নেমে গেছে। পারিবারিকভাবে বসানো হাজার হাজার নলকূপে পর্যাপ্ত পানি নেই। কিছু এলাকায় মানুষ ৫৫০-৬০০ ফুটেরও বেশি গভীর নলকূপ বসিয়ে পরিবারের পানির চাহিদা মেটাচ্ছেন। এ অবস্থায় উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ এবং কৃষিক্ষেত্রে তীব্র পানির সঙ্কটের মুখে পড়েছে। 

দৌলতপুরে বেশির ভাগ নলকূপ অকেজো
দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) থেকে সংবাদদাতা জানান, দৌলতপুর উপজেলার ৩০-৩৫ ভাগ অগভীর নলকূপ অকেজো হয়ে পড়েছে। কিছু দিন আগেও এসব নলকূপে পানি উত্তোলন করা হলেও এখন আর পানি ওঠানো যাচ্ছে না। শুষ্ক মৌসুমে তীব্র তাপদাহের কারণে পানির স্তরনেমে যাওয়ায় এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। পানির স্তর নেমে যাওয়ায় বেড়েছে আর্সেনিকের মাত্রাও।

উপজেলা জনস্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, এখানকার শতভাগ মানুষই ভূগর্ভের পানির ওপর নির্ভরশীল। উপজেলায় প্রায় ৫৫ হাজার টিউবওয়েল বা অগভীর এবং প্রায় সাত হাজার গভীর নলকূপ রয়েছে। ফসলে সেচের জন্যও ভূগর্ভের পানিই কৃষকদের একমাত্র ভরসা।
 

যশোরের ফসলের স্বাভাবিক উৎপাদন নিয়ে আশঙ্কা
এ দিকে তীব্র তাপদাহে যশোরের বিভিন্ন উপজেলায় ফসলের স্বাভাবিক উৎপাদন নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন আমাদের প্রতিনিধি। ধান, কলা, মরিচসহ জমিতে যেসব ফসল রয়েছে, তা তীব্র রোগে পুড়ে নষ্ট হওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে। স্যালো পাম্পের মাধ্যমে ভূগর্ভের পানি স্বাভাবিকের থেকে অনেক কম উত্তোলন করা যাচ্ছে। ফলে সারাদিন স্যালো চালিয়েও এক-দুই বিঘা জমির ফসলে পানি দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এতে এক দিকে উৎপাদনে প্রভাব পড়েছে অন্য দিকে খরচও স্বাভাবিকের থেকে বেড়ে গেছে।

ভালুকায় খাবার পানির সঙ্কট
ভালুকা (ময়মনসিংহ) থেকে প্রতিনিধি জানান, ভালুকা পৌর এলাকাসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ভূগর্ভের পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় পুকুর জলাশয় শুকিয়ে গেছে। বেশির ভাগ সাবমার্সিবল নলকূপ বন্ধ হয়ে খাবার পানির সঙ্কট দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন এলাকার মানুষ পানির সমস্যায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। ভালুকায় কতগুলো সরকারি টিউবওয়েল ও তারা পাম্প অকেজো আছে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসে তার কোনো তথ্য নেই।