টেস্টে সর্বোচ্চটুকু নিংড়ে দেওয়ার প্রত্যাশা এনামুলের

#
news image

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে নাজমুল হোসেন শান্তর জায়গায় খেলতে নামছেন এনামুল হক বিজয়। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা এ ক্রিকেটারকে বাজিয়ে দেখতে চায় টিম ম্যানেজমেন্ট। প্রস্তুত এনামুলও। ডানহাতি ব্যাটসম্যান জানালেন, ভালোবাসার টেস্ট ক্রিকেটে নিজের সর্বোচ্চটুকু নিংড়ে দিয়ে দলকে সাফল্য এনে দিতে চান। 
৮ বছর পর এনামুল ফিরেছেন টেস্ট ক্রিকেটে। তাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে সীমিত পরিসরে ফেরান নির্বাচকরা। কিন্তু ইয়াসির আলী রাব্বির চোটে এনামুলকে আগেভাগেই উড়িয়ে নেয় টিম ম্যানেজমেন্ট। সাদা বলে ডানহাতি ওপেনার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে গিয়ে তাকে আচমকাই লাল বলে অনুশীলন করতে হয়। টেস্ট দলেও সুযোগ পাওয়ায় দারুণ খুশি এ ক্রিকেটার। 
বিসিবির পাঠানো ভিডিও বার্তায় এনামুল বলেছেন, ‘এটা সত্যি যে আমি সাদা বলের ক্রিকেটে ডাক পেয়েছিলাম এবং সাদা বলে অনুশীলন করছিলাম। তবে মাথার ভেতর সবসময়ৃ আগেও অনেকবার বলেছি এবং নিজে বিশ্বাস করি, টেস্ট ক্রিকেট অনেক বেশি ভালোবাসি। এটা আমার মধ্যে অনেক বেশি তীব্রভাবে কাজ করে। যখন সুযোগ পাবো, অবশ্যই লুফে নেওয়ার চেষ্টা করব।’ 
শুক্রবার সেন্ট লুসিয়ায় দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে। ৮ বছর আগে এখানেই নিজের শেষ আন্তর্জাতিক টেস্ট খেলেছিলেন এ ব্যাটসম্যান। ২০১৩ সালে গলেতে তার অভিষেক। ২০১৪ সালে সেন্ট লুসিয়ায় খেলা পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন মাত্র ২২টি। চার টেস্টে ভালো করতে না পারায় অবধারিতভাবে তাকে বাদ দেওয়া হয়। তবে এবার অভাবিত পারফরম্যান্সেই তাকে দলে ফিরিয়েছেন নির্বাচকরা। 
ঢাকা লিগে ১২শর বেশি রান করার পর তাকে নেওয়া হয়েছে। সীমিত পরিসরের পাশাপাশি হঠাৎ টেস্ট দলে সুযোগ পেয়ে ভিন্ন কিছু করার পরিকল্পনা এনামুলের। ‘৮ বছর পর টেস্টে ডাক পেয়েছি, আমার জন্য এটা বড় সুযোগ। আমি যে আসলেই টেস্ট পছন্দ করি, তা দেখানোর বড় সুযোগ এটি। আমি অবশ্যই রোমাঞ্চিত। প্রক্রিয়াটা অনুসরণ করবো, যেভাবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট এতদিন ধরে অনুসরণ করে আসছি। নতুন করে কিছু বদলাতে চাই না। যেভাবে এতদিন খেলেছি মন দিয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে, সেটাই চেষ্টা করবো দেশের জন্য করার।’- বলছিলেন এনামুল।
টেস্টের প্রতি ভালোবাসাই এনামুলের আসল শক্তি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা তার কাছে প্রেরণার উৎস। বুকভরা আত্মবিশ্বাস নিয়ে ডানহাতি ব্যাটসম্যান বলেছেন, ‘এটাই আমার সাহস, এটাই শক্তি। আমি মনে করি যে এটা আমাকে বাড়তি সাহস জোগায়, মনের কোণে থাকে, নিজেকে একটা জায়গায় নিয়ে গেছি যে এই জিনিসগুলো দেখলে আমার বাড়তি প্রেরণা বলুন বা আত্মবিশ্বাস, আসে এটা। অবশ্যই এটা আমাকে সাহায্য করবে। আমার জন্য এটা বড় অভিজ্ঞতা যে এতদিন ধরে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলেছি। প্রতিটি ক্রিকেটারের স্বপ্ন থাকে যে সে অভিজ্ঞ হবে এবং অভিজ্ঞতা কাজে লাগাবে। আমিও আশাবাদী যে অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে এবং দেশের হয়ে অবদান রাখতে পারবো।’ 
প্রথম টেস্টে ব্যাটিং ব্যর্থতায় বাজেভাবে হেরেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টেস্টে এনামুলকে দিতে হবে বড় পরীক্ষা। সেজন্য শারীরিক ও মানসিকভাবে নিজেকে প্রস্তুত রেখেছেন এ ব্যাটসম্যান, ‘আমি যদি সুযোগ পাই, নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করবো, যেন বাংলাদেশ দলকে ভালো একটা সংগ্রহ এনে দিতে পারি স্কোরবোর্ডে। দ্রুত উইকেট পড়ে যাওয়াটা থামানো থেকে শুরু করে রানটাকে এগিয়ে নেওয়া, ওই জায়গাটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য। হয়তো ফলাফল আমাদের পক্ষে আসেনি, আসছে না কিছুদিন হলো। তবে আমি মনে করি, এই দলের বাংলাদেশকে অনেক দূর নিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে এবং আশাও করি তা। আমি চাইবো সবসময় এই দলের অংশ হয়ে থাকতে।’

প্রভাতী খবর ডেস্ক

২৪ জুন, ২০২২,  12:27 AM

news image

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে নাজমুল হোসেন শান্তর জায়গায় খেলতে নামছেন এনামুল হক বিজয়। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা এ ক্রিকেটারকে বাজিয়ে দেখতে চায় টিম ম্যানেজমেন্ট। প্রস্তুত এনামুলও। ডানহাতি ব্যাটসম্যান জানালেন, ভালোবাসার টেস্ট ক্রিকেটে নিজের সর্বোচ্চটুকু নিংড়ে দিয়ে দলকে সাফল্য এনে দিতে চান। 
৮ বছর পর এনামুল ফিরেছেন টেস্ট ক্রিকেটে। তাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে সীমিত পরিসরে ফেরান নির্বাচকরা। কিন্তু ইয়াসির আলী রাব্বির চোটে এনামুলকে আগেভাগেই উড়িয়ে নেয় টিম ম্যানেজমেন্ট। সাদা বলে ডানহাতি ওপেনার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে গিয়ে তাকে আচমকাই লাল বলে অনুশীলন করতে হয়। টেস্ট দলেও সুযোগ পাওয়ায় দারুণ খুশি এ ক্রিকেটার। 
বিসিবির পাঠানো ভিডিও বার্তায় এনামুল বলেছেন, ‘এটা সত্যি যে আমি সাদা বলের ক্রিকেটে ডাক পেয়েছিলাম এবং সাদা বলে অনুশীলন করছিলাম। তবে মাথার ভেতর সবসময়ৃ আগেও অনেকবার বলেছি এবং নিজে বিশ্বাস করি, টেস্ট ক্রিকেট অনেক বেশি ভালোবাসি। এটা আমার মধ্যে অনেক বেশি তীব্রভাবে কাজ করে। যখন সুযোগ পাবো, অবশ্যই লুফে নেওয়ার চেষ্টা করব।’ 
শুক্রবার সেন্ট লুসিয়ায় দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে। ৮ বছর আগে এখানেই নিজের শেষ আন্তর্জাতিক টেস্ট খেলেছিলেন এ ব্যাটসম্যান। ২০১৩ সালে গলেতে তার অভিষেক। ২০১৪ সালে সেন্ট লুসিয়ায় খেলা পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন মাত্র ২২টি। চার টেস্টে ভালো করতে না পারায় অবধারিতভাবে তাকে বাদ দেওয়া হয়। তবে এবার অভাবিত পারফরম্যান্সেই তাকে দলে ফিরিয়েছেন নির্বাচকরা। 
ঢাকা লিগে ১২শর বেশি রান করার পর তাকে নেওয়া হয়েছে। সীমিত পরিসরের পাশাপাশি হঠাৎ টেস্ট দলে সুযোগ পেয়ে ভিন্ন কিছু করার পরিকল্পনা এনামুলের। ‘৮ বছর পর টেস্টে ডাক পেয়েছি, আমার জন্য এটা বড় সুযোগ। আমি যে আসলেই টেস্ট পছন্দ করি, তা দেখানোর বড় সুযোগ এটি। আমি অবশ্যই রোমাঞ্চিত। প্রক্রিয়াটা অনুসরণ করবো, যেভাবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট এতদিন ধরে অনুসরণ করে আসছি। নতুন করে কিছু বদলাতে চাই না। যেভাবে এতদিন খেলেছি মন দিয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে, সেটাই চেষ্টা করবো দেশের জন্য করার।’- বলছিলেন এনামুল।
টেস্টের প্রতি ভালোবাসাই এনামুলের আসল শক্তি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা তার কাছে প্রেরণার উৎস। বুকভরা আত্মবিশ্বাস নিয়ে ডানহাতি ব্যাটসম্যান বলেছেন, ‘এটাই আমার সাহস, এটাই শক্তি। আমি মনে করি যে এটা আমাকে বাড়তি সাহস জোগায়, মনের কোণে থাকে, নিজেকে একটা জায়গায় নিয়ে গেছি যে এই জিনিসগুলো দেখলে আমার বাড়তি প্রেরণা বলুন বা আত্মবিশ্বাস, আসে এটা। অবশ্যই এটা আমাকে সাহায্য করবে। আমার জন্য এটা বড় অভিজ্ঞতা যে এতদিন ধরে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলেছি। প্রতিটি ক্রিকেটারের স্বপ্ন থাকে যে সে অভিজ্ঞ হবে এবং অভিজ্ঞতা কাজে লাগাবে। আমিও আশাবাদী যে অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে এবং দেশের হয়ে অবদান রাখতে পারবো।’ 
প্রথম টেস্টে ব্যাটিং ব্যর্থতায় বাজেভাবে হেরেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টেস্টে এনামুলকে দিতে হবে বড় পরীক্ষা। সেজন্য শারীরিক ও মানসিকভাবে নিজেকে প্রস্তুত রেখেছেন এ ব্যাটসম্যান, ‘আমি যদি সুযোগ পাই, নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করবো, যেন বাংলাদেশ দলকে ভালো একটা সংগ্রহ এনে দিতে পারি স্কোরবোর্ডে। দ্রুত উইকেট পড়ে যাওয়াটা থামানো থেকে শুরু করে রানটাকে এগিয়ে নেওয়া, ওই জায়গাটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য। হয়তো ফলাফল আমাদের পক্ষে আসেনি, আসছে না কিছুদিন হলো। তবে আমি মনে করি, এই দলের বাংলাদেশকে অনেক দূর নিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে এবং আশাও করি তা। আমি চাইবো সবসময় এই দলের অংশ হয়ে থাকতে।’