সুন্দরগঞ্জে জমি নিয়ে সংঘর্ষে নিহত এক, গ্রেফতার দুই

#
news image

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় জমি নিয়ে সংঘর্ষে আজিজল হক (৫০) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে, সোমবার উপজেলার ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের বজড়া হলুদিয়া গ্রামে। এ ঘটনায় আরও তিনজন আহত হয়েছে। নিহত আজিজল হক ওই গ্রামের কাচু মিয়ার ছেলে। আহতরা হলেন- রাজু মিয়া, হাসান মিয়া ও সোহেল মিয়া। এনিয়ে নিহতের ছোট ভাই রাজু মিয়া বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেছে। পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে আলেমা বেগম ও মঞ্জুরানী বেগমকে গ্রেফতার করেছে।

পরিবার ও স্থানীয়দের নিকট থেকে জানা গেছে, দীর্ঘদিন থেকে জহুরুল ইসলাম ও শহিদুর রহমানের সাথে প্রতিবেশি আজিজল হক এবং আব্দুল আজিজ মিয়ার জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। ঘটনার দিন সোমবার বিরোধী জমি নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় সংঘর্ষ বাধে। এতে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে আজিজল হকসহ একই পরিবারের অপর তিনজন গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে ককর্তব্যরত চিকিৎসক আজিজল হককে মৃত্যু ঘোষণা করে। অন্যরা চিকিৎসাধীন রয়েছে।

খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি রিবাজ করছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। মামলার বাদী রাজু মিয়ার বলেন, বিরোধী জমি নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম্য আদালতে বিচার চলমান রয়েছে। এরই মধ্যে প্রতিপক্ষের সাথে বিরোধী জমি নিয়ে বাকবিতন্ডা এক পর্যায় সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে তার বড় ভাই নিহত হয়। ভাই হত্যার সূষ্ঠু বিচারের দাবি জানান তিনি।

ধোপাডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোখলেছুর রহমান মন্ডলের বলেন, গ্রাম্য আদালতে জমি-জমার মামলাটির বিচার চলমান রয়েছে। উকিলী পরামর্শ নেয়া হয়েছে, আগামি এক সপ্তাহের মধ্যে অথাৎ পরবর্তী ধার্য্য দিনে বিষয়টি মিমাংসা করা হবে। এরই মধ্যে বহিরাগত লোকজনের উসকানিতে সংঘর্ষে বাধে। থানা অফিসার ওসি মো. মাহবুব আলম বলেন, এনিয়ে থানায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছে। দুইজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।    



মোঃ হযরত বেল্লাল, সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা

২৬ মার্চ, ২০২৪,  9:29 AM

news image

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় জমি নিয়ে সংঘর্ষে আজিজল হক (৫০) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে, সোমবার উপজেলার ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের বজড়া হলুদিয়া গ্রামে। এ ঘটনায় আরও তিনজন আহত হয়েছে। নিহত আজিজল হক ওই গ্রামের কাচু মিয়ার ছেলে। আহতরা হলেন- রাজু মিয়া, হাসান মিয়া ও সোহেল মিয়া। এনিয়ে নিহতের ছোট ভাই রাজু মিয়া বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেছে। পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে আলেমা বেগম ও মঞ্জুরানী বেগমকে গ্রেফতার করেছে।

পরিবার ও স্থানীয়দের নিকট থেকে জানা গেছে, দীর্ঘদিন থেকে জহুরুল ইসলাম ও শহিদুর রহমানের সাথে প্রতিবেশি আজিজল হক এবং আব্দুল আজিজ মিয়ার জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। ঘটনার দিন সোমবার বিরোধী জমি নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় সংঘর্ষ বাধে। এতে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে আজিজল হকসহ একই পরিবারের অপর তিনজন গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে ককর্তব্যরত চিকিৎসক আজিজল হককে মৃত্যু ঘোষণা করে। অন্যরা চিকিৎসাধীন রয়েছে।

খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি রিবাজ করছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। মামলার বাদী রাজু মিয়ার বলেন, বিরোধী জমি নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম্য আদালতে বিচার চলমান রয়েছে। এরই মধ্যে প্রতিপক্ষের সাথে বিরোধী জমি নিয়ে বাকবিতন্ডা এক পর্যায় সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে তার বড় ভাই নিহত হয়। ভাই হত্যার সূষ্ঠু বিচারের দাবি জানান তিনি।

ধোপাডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোখলেছুর রহমান মন্ডলের বলেন, গ্রাম্য আদালতে জমি-জমার মামলাটির বিচার চলমান রয়েছে। উকিলী পরামর্শ নেয়া হয়েছে, আগামি এক সপ্তাহের মধ্যে অথাৎ পরবর্তী ধার্য্য দিনে বিষয়টি মিমাংসা করা হবে। এরই মধ্যে বহিরাগত লোকজনের উসকানিতে সংঘর্ষে বাধে। থানা অফিসার ওসি মো. মাহবুব আলম বলেন, এনিয়ে থানায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছে। দুইজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।