সুন্দরগঞ্জে রাস্তায় বাঁশের বেড়া ২৩ দিন ধরে অবরুদ্ধ ৪ পরিবার

#
news image

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় রাস্তায় বাঁশের বেড়া দিয়ে ৪ পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। ওই ৪ পরিবার গত ২৩ দিন ধরে মানবেতর জীবনযাপন করছে। রাস্তা বন্ধ করার কারণে ৪ পরিবার দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। ফলে পরিবার চলাচলে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বাঁশের বেড়া। এনিয়ে থানা লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার। বিষয়টি সমাধানে থানা অফিসার ইনচার্জ হস্তক্ষেপ কামনা করেছে অবরুদ্ধ পরিবারসহ ভুক্তভোগীরা।

অভিযোগ সূত্রে ও ভুক্তভোগীরা জানা যায়, ছাপড়হাটি ইউনিয়নের দক্ষিণ মরুয়াদহ গ্রামে আব্দুল হামিদের ছেলে আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমাদের বসত বাড়ির উত্তর পার্শ্বের পৈত্রিক সম্পত্তির উপর রাস্তা দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আমরা বাড়িতে চলাচল করি । আমাদের বসত বাড়িতে চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি অহেতুক পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি আমার বসত বাড়ির উত্তর পার্শ্বে বাড়িতে চলাচলের রাস্তায় বেড়া দেয়। এসময় আমরা তাদের বাধা নিষেধ করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করতে থাকে এবং মারধর করিতে উদ্যত হয়। তারা এও বলে যে, রাস্তা দিয়া চলাচল করলে আমাদেরকে খুন করে ফেলবে। এমতাবস্থায় অনেক দুর্ভোগ ও আতঙ্কে রয়েছি। আমাদের ছেলে মেয়েরা এখন পড়াশোনা করতেও বের হতে পারছে না।'

এঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন, একই গ্রামের মৃত মনির উদ্দীনের ছেলে নওয়াব আলী ও নয়া মিয়া, মৃত কফিল উদ্দীনের ছেলে আনছার আলী এবং নওয়াব আলীর ছেলে মেহেদী হাসান। ভুক্তভোগী আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমরাও এই রাস্তা দিয়ে দীর্ঘ ২০ বছর থেকে চলাচল করি। রাস্তায় বাঁশের বেড়া দিয়ে আটকানোর কারণে আমরা এখন ধান ক্ষেত দিয়ে আসা-যাওয়া করি। এছাড়াও আমি ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নিবাহ করি। ২৩ দিন থেকে অটো ভ্যান গাড়ি বাড়িতে এনে চার্জ দিতে পারি না। তাই আমার পরিবারসহ  অনেক কষ্টে দিনাতিপাত করছি।

এ বিষয়ে অভিযুক্তদের মধ্যে নওয়াব আলী বলেন, 'তাঁরা আগে আমাদের জায়গা দিয়ে চলাচল করিতো। কিন্তু আমরা আর আমাদের জায়গা দিয়ে চলাচল করিতে দেবো না।  ছাপড়হাটী ইউপি চেয়ারম্যান কনক কুমার গোস্বামী বলেন, 'পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখার বিষয়টি আমি শুনেছি। এটি আসলে তাদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ। উভয়পক্ষকে নিয়ে বেশ কয়েকবার আমি মীমাংসা করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু কোন পক্ষই সমঝোতায় আসেনি।' থানা অফিসার ইনচার্জ মাহবুব আলম বলেন, 'এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। যাতায়াতের পথ বন্ধ করে রাখা যাবে না। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

 

মোঃ হযরত বেল্লাল, সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা

২০ মার্চ, ২০২৪,  4:15 PM

news image

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় রাস্তায় বাঁশের বেড়া দিয়ে ৪ পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। ওই ৪ পরিবার গত ২৩ দিন ধরে মানবেতর জীবনযাপন করছে। রাস্তা বন্ধ করার কারণে ৪ পরিবার দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। ফলে পরিবার চলাচলে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বাঁশের বেড়া। এনিয়ে থানা লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার। বিষয়টি সমাধানে থানা অফিসার ইনচার্জ হস্তক্ষেপ কামনা করেছে অবরুদ্ধ পরিবারসহ ভুক্তভোগীরা।

অভিযোগ সূত্রে ও ভুক্তভোগীরা জানা যায়, ছাপড়হাটি ইউনিয়নের দক্ষিণ মরুয়াদহ গ্রামে আব্দুল হামিদের ছেলে আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমাদের বসত বাড়ির উত্তর পার্শ্বের পৈত্রিক সম্পত্তির উপর রাস্তা দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আমরা বাড়িতে চলাচল করি । আমাদের বসত বাড়িতে চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি অহেতুক পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি আমার বসত বাড়ির উত্তর পার্শ্বে বাড়িতে চলাচলের রাস্তায় বেড়া দেয়। এসময় আমরা তাদের বাধা নিষেধ করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করতে থাকে এবং মারধর করিতে উদ্যত হয়। তারা এও বলে যে, রাস্তা দিয়া চলাচল করলে আমাদেরকে খুন করে ফেলবে। এমতাবস্থায় অনেক দুর্ভোগ ও আতঙ্কে রয়েছি। আমাদের ছেলে মেয়েরা এখন পড়াশোনা করতেও বের হতে পারছে না।'

এঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন, একই গ্রামের মৃত মনির উদ্দীনের ছেলে নওয়াব আলী ও নয়া মিয়া, মৃত কফিল উদ্দীনের ছেলে আনছার আলী এবং নওয়াব আলীর ছেলে মেহেদী হাসান। ভুক্তভোগী আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমরাও এই রাস্তা দিয়ে দীর্ঘ ২০ বছর থেকে চলাচল করি। রাস্তায় বাঁশের বেড়া দিয়ে আটকানোর কারণে আমরা এখন ধান ক্ষেত দিয়ে আসা-যাওয়া করি। এছাড়াও আমি ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নিবাহ করি। ২৩ দিন থেকে অটো ভ্যান গাড়ি বাড়িতে এনে চার্জ দিতে পারি না। তাই আমার পরিবারসহ  অনেক কষ্টে দিনাতিপাত করছি।

এ বিষয়ে অভিযুক্তদের মধ্যে নওয়াব আলী বলেন, 'তাঁরা আগে আমাদের জায়গা দিয়ে চলাচল করিতো। কিন্তু আমরা আর আমাদের জায়গা দিয়ে চলাচল করিতে দেবো না।  ছাপড়হাটী ইউপি চেয়ারম্যান কনক কুমার গোস্বামী বলেন, 'পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখার বিষয়টি আমি শুনেছি। এটি আসলে তাদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ। উভয়পক্ষকে নিয়ে বেশ কয়েকবার আমি মীমাংসা করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু কোন পক্ষই সমঝোতায় আসেনি।' থানা অফিসার ইনচার্জ মাহবুব আলম বলেন, 'এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। যাতায়াতের পথ বন্ধ করে রাখা যাবে না। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'