প্রকল্পের অর্থ ছাড়, দুর্নীতি বন্ধে ব্যবস্থা নিন

#
news image

দেশে দুর্নীতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে যা ধারণে পাওয়া যায়, বাস্তবে হয়তো তা অনেক বেশি। বিভিন্ন প্রকল্পে নানা মাত্রার দুর্নীতির বিষয়টিও বহুল আলোচিত।

সম্প্রতি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অধীন ‘গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে (২য় পর্যায়)’ বিভিন্ন কাজের বিপরীতে টাকা ছাড় নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে এক কর্মকর্তা প্রতিবাদ করায় তাকে হত্যার হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়। এ তথ্য থেকেই স্পষ্ট দুর্নীতিবাজরা কতটা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এলজিইডির এ দুর্নীতির ঘটনায় অবৈধ লেনদেনের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

এ প্রকল্প নিয়ে যেসব অভিযোগ উঠেছে, দ্রুত সেগুলোর তদন্ত শেষ না হলে দেশে এ ধরনের দুর্নীতির মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। জানা যায়, ২৮১টি পৌরসভা নিয়ে ২০১৮ সালের এপ্রিলে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। এটি আগামী বছরের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। শুরুতে প্রকল্পটিতে বরাদ্দ ছিল ৩ হাজার ৪৬৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা। পরে আরও ৯৫২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রকল্পের শুরুতে প্রথম শ্রেণির পৌরসভার জন্য ১৪ কোটি টাকা, দ্বিতীয় শ্রেণির পৌরসভার জন্য ১০ কোটি এবং তৃতীয় শ্রেণির পৌরসভার জন্য বরাদ্দ ছিল ৮ কোটি টাকা।

এ প্রকল্প ঘিরে গত এক বছরে অবৈধ অর্থ লেনদেনের বেশকিছু প্রমাণও পাওয়া গেছে। দেশে দুর্নীতি রোধে বহু আইন রয়েছে। সেগুলোর যথাযথ প্রয়োগ হলে দুর্নীতির মাত্রা কমে আসবে, আশা করা যায়। দুর্নীতি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করে। তাই সমাজ ও রাষ্ট্রের স্বার্থেই এর লাগাম কঠোর হাতে টেনে ধরা বাঞ্ছনীয়। দুর্নীতি রোধে রাজনৈতিক সদিচ্ছার বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বস্তুত দুর্নীতি প্রতিরোধে সর্বক্ষেত্রে আইনের প্রয়োগ বাড়াতে হবে। দেশবাসীর জীবনমানের উন্নয়নের সঙ্গেও এর একটা বড় সম্পর্ক রয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে নিরপেক্ষ অনুসন্ধান এবং অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

এ বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়ানোর পদক্ষেপও নিতে হবে। দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে হলে বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। দুর্নীতি প্রতিরোধে দুদককে আরও স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনায় নেওয়া দরকার। বস্তুত দুর্নীতি প্রতিরোধে সরকারের যা যা করণীয়, সবই করতে হবে। তবে কোনো ভুল পদক্ষেপে নিরপরাধ ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হয়, কর্তৃপক্ষকে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

নাগরিক ডেস্ক

১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪,  1:38 PM

news image

দেশে দুর্নীতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে যা ধারণে পাওয়া যায়, বাস্তবে হয়তো তা অনেক বেশি। বিভিন্ন প্রকল্পে নানা মাত্রার দুর্নীতির বিষয়টিও বহুল আলোচিত।

সম্প্রতি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অধীন ‘গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে (২য় পর্যায়)’ বিভিন্ন কাজের বিপরীতে টাকা ছাড় নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে এক কর্মকর্তা প্রতিবাদ করায় তাকে হত্যার হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়। এ তথ্য থেকেই স্পষ্ট দুর্নীতিবাজরা কতটা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এলজিইডির এ দুর্নীতির ঘটনায় অবৈধ লেনদেনের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

এ প্রকল্প নিয়ে যেসব অভিযোগ উঠেছে, দ্রুত সেগুলোর তদন্ত শেষ না হলে দেশে এ ধরনের দুর্নীতির মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। জানা যায়, ২৮১টি পৌরসভা নিয়ে ২০১৮ সালের এপ্রিলে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। এটি আগামী বছরের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। শুরুতে প্রকল্পটিতে বরাদ্দ ছিল ৩ হাজার ৪৬৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা। পরে আরও ৯৫২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রকল্পের শুরুতে প্রথম শ্রেণির পৌরসভার জন্য ১৪ কোটি টাকা, দ্বিতীয় শ্রেণির পৌরসভার জন্য ১০ কোটি এবং তৃতীয় শ্রেণির পৌরসভার জন্য বরাদ্দ ছিল ৮ কোটি টাকা।

এ প্রকল্প ঘিরে গত এক বছরে অবৈধ অর্থ লেনদেনের বেশকিছু প্রমাণও পাওয়া গেছে। দেশে দুর্নীতি রোধে বহু আইন রয়েছে। সেগুলোর যথাযথ প্রয়োগ হলে দুর্নীতির মাত্রা কমে আসবে, আশা করা যায়। দুর্নীতি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করে। তাই সমাজ ও রাষ্ট্রের স্বার্থেই এর লাগাম কঠোর হাতে টেনে ধরা বাঞ্ছনীয়। দুর্নীতি রোধে রাজনৈতিক সদিচ্ছার বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বস্তুত দুর্নীতি প্রতিরোধে সর্বক্ষেত্রে আইনের প্রয়োগ বাড়াতে হবে। দেশবাসীর জীবনমানের উন্নয়নের সঙ্গেও এর একটা বড় সম্পর্ক রয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে নিরপেক্ষ অনুসন্ধান এবং অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

এ বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়ানোর পদক্ষেপও নিতে হবে। দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে হলে বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। দুর্নীতি প্রতিরোধে দুদককে আরও স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনায় নেওয়া দরকার। বস্তুত দুর্নীতি প্রতিরোধে সরকারের যা যা করণীয়, সবই করতে হবে। তবে কোনো ভুল পদক্ষেপে নিরপরাধ ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হয়, কর্তৃপক্ষকে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।