সর্বত্রই চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য, বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিন

#
news image

বাংলাদেশে চাঁদাবাজি একটি সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সড়ক-মহাসড়কে চাঁদাবাজি নতুন নয়। সড়কে আটকে টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনার খবর প্রায়ই শোনা যায়।

ছিনতাইকারীর ছুরিতে কারও কারও প্রাণ যায়। এছাড়াও পরিবহন খাত থেকে শুরু করে ফুটপাতের ব্যবসা-সর্বত্রই চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর বিরুদ্ধেও পাওয়া যায় চাঁদাবাজির অভিযোগ, বিশেষ করে সড়ক-মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে পরিবহনে চাঁদাবাজির ঘটনা তো ওপেন সিক্রেট। দেশের স্থলবন্দরগুলোতেও বিভিন্ন নামে চাঁদা আদায় করা হয়। সারা দেশে চলাচলকারী পণ্যবাহী ট্রাক থেকে চাঁদা আদায় করা হয়।

চাঁদাবাজির কারণে একদিকে যেমন পরিবহনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের পকেট থেকে বাড়তি পয়সা গুনতে হচ্ছে, অন্যদিকে এই চাঁদাবাজির শেষ পর্যন্ত মাসুল গুনতে হচ্ছে সাধারণ জনগণকেই। ট্রাকের ভাড়ায় চাঁদাবাজির টাকা যুক্ত হওয়ায় পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে। শীর্ষ ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে বিভিন্ন মার্কেটের ব্যবসায়ী, ফুটপাতের হকার, মুদি দোকানদার, শিল্প কারখানার মালিক, সব ধরনের পরিবহন ব্যবস্থা এমনকি স্থানীয় বাসিন্দারাও চাঁদাবাজদের হাত থেকে রেহাই পাঁচ্ছেন না।

নতুন বাড়িঘর নির্মাণ, বিয়ে-সাদি এবং অন্যান্য অনুষ্ঠানেও চাঁদা দিতে হচ্ছে। চাঁদা না দিলে কিংবা দিতে অস্বীকার করলে হামলা-মামলার শিকার হতে হচ্ছে সাধারণ জনগণকে। দিবালোকে প্রশাসনের নাকের ডগায় এই চাঁদা তোলা হচ্ছে। সেই সাথে বৃদ্ধি পাঁচ্ছে চাঁদার টাকার পরিমাণ। সড়ক পথের চাঁদাবাজির কারণে চাঁদা আদায় স্পটগুলোতে নিয়মিত সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। অনেক সময় গাড়িচালক চাঁদা ফাঁকি দেয়ার জন্য চাঁদা আদায় এলাকায় দ্রুত গাড়ি চালায়।

দ্রুতগতির গাড়িতে চাঁদা আদায়কারীরা হাতে থাকা ছোট লাঠি নিক্ষেপ করে। আর এতেই ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। প্রকাশ্য চাঁদা আদায় দেখে সাধারণ মানুষের মধ্যে অন্যায় করার প্রবণতা বৃদ্ধি পাঁচ্ছে। তারা উপলব্ধি করছে প্রকাশ্য দিবালোকে চাঁদা তুললেও তার বিচার হয় না। আর আড়ালে করলে তার বিচার হবে কি করে। তাই আধুনিক বাংলাদেশ গড়তে অবশ্যই বেপরোয়া চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে।

সরকারের আন্তরিক হস্তক্ষেপ ছাড়া কোনভাবেই এই চাঁদাবাজি বন্ধ হবে না।চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি বিভিন্ন মহল থেকে করা হলেও সরিষার মধ্যে ভূতের কারণে তা বন্ধ হচ্ছে না। দ্রব্যমূল্য সহনশীল রাখতে এবং মানুষের জানমাল নির্বিঘ্ন করতে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যে কোনো মূল্যে চাঁদাবাজি বন্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে। চাঁদাবাজি বন্ধে স্বস্তি পাবেন জনসাধারণ।

নাগরিক ডেস্ক

০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪,  10:12 PM

news image

বাংলাদেশে চাঁদাবাজি একটি সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সড়ক-মহাসড়কে চাঁদাবাজি নতুন নয়। সড়কে আটকে টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনার খবর প্রায়ই শোনা যায়।

ছিনতাইকারীর ছুরিতে কারও কারও প্রাণ যায়। এছাড়াও পরিবহন খাত থেকে শুরু করে ফুটপাতের ব্যবসা-সর্বত্রই চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর বিরুদ্ধেও পাওয়া যায় চাঁদাবাজির অভিযোগ, বিশেষ করে সড়ক-মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে পরিবহনে চাঁদাবাজির ঘটনা তো ওপেন সিক্রেট। দেশের স্থলবন্দরগুলোতেও বিভিন্ন নামে চাঁদা আদায় করা হয়। সারা দেশে চলাচলকারী পণ্যবাহী ট্রাক থেকে চাঁদা আদায় করা হয়।

চাঁদাবাজির কারণে একদিকে যেমন পরিবহনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের পকেট থেকে বাড়তি পয়সা গুনতে হচ্ছে, অন্যদিকে এই চাঁদাবাজির শেষ পর্যন্ত মাসুল গুনতে হচ্ছে সাধারণ জনগণকেই। ট্রাকের ভাড়ায় চাঁদাবাজির টাকা যুক্ত হওয়ায় পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে। শীর্ষ ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে বিভিন্ন মার্কেটের ব্যবসায়ী, ফুটপাতের হকার, মুদি দোকানদার, শিল্প কারখানার মালিক, সব ধরনের পরিবহন ব্যবস্থা এমনকি স্থানীয় বাসিন্দারাও চাঁদাবাজদের হাত থেকে রেহাই পাঁচ্ছেন না।

নতুন বাড়িঘর নির্মাণ, বিয়ে-সাদি এবং অন্যান্য অনুষ্ঠানেও চাঁদা দিতে হচ্ছে। চাঁদা না দিলে কিংবা দিতে অস্বীকার করলে হামলা-মামলার শিকার হতে হচ্ছে সাধারণ জনগণকে। দিবালোকে প্রশাসনের নাকের ডগায় এই চাঁদা তোলা হচ্ছে। সেই সাথে বৃদ্ধি পাঁচ্ছে চাঁদার টাকার পরিমাণ। সড়ক পথের চাঁদাবাজির কারণে চাঁদা আদায় স্পটগুলোতে নিয়মিত সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। অনেক সময় গাড়িচালক চাঁদা ফাঁকি দেয়ার জন্য চাঁদা আদায় এলাকায় দ্রুত গাড়ি চালায়।

দ্রুতগতির গাড়িতে চাঁদা আদায়কারীরা হাতে থাকা ছোট লাঠি নিক্ষেপ করে। আর এতেই ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। প্রকাশ্য চাঁদা আদায় দেখে সাধারণ মানুষের মধ্যে অন্যায় করার প্রবণতা বৃদ্ধি পাঁচ্ছে। তারা উপলব্ধি করছে প্রকাশ্য দিবালোকে চাঁদা তুললেও তার বিচার হয় না। আর আড়ালে করলে তার বিচার হবে কি করে। তাই আধুনিক বাংলাদেশ গড়তে অবশ্যই বেপরোয়া চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে।

সরকারের আন্তরিক হস্তক্ষেপ ছাড়া কোনভাবেই এই চাঁদাবাজি বন্ধ হবে না।চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি বিভিন্ন মহল থেকে করা হলেও সরিষার মধ্যে ভূতের কারণে তা বন্ধ হচ্ছে না। দ্রব্যমূল্য সহনশীল রাখতে এবং মানুষের জানমাল নির্বিঘ্ন করতে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যে কোনো মূল্যে চাঁদাবাজি বন্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে। চাঁদাবাজি বন্ধে স্বস্তি পাবেন জনসাধারণ।