জীবন পাল্টে দেবে ১০ টি অভ্যাস

#
news image

নতুন বছর শুরু হয়েছে, অনেকেই আগের বছরের হতাশা-ব্যর্থতা ভুলে নতুন করে জীবন শুরুর সংকল্প করেছেন। তাদের জন্য সহায়ক হতে পারে এই ১০ টি অভ্যাস:জীবনের লক্ষ্য স্মরণে রাখুন আমাদের ভেতর মাত্র ১৪ ভাগ মানুষ জীবনের লক্ষ্য নিয়ে আগায়, আর তাদের সফলতার হার অন্যান্যের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। আর মাত্র তিন ভাগ মানুষ জীবনের লক্ষ্য লিখিত আকারে রাখেন। সেটাকে আবার সাপ্তাহিক, মাসিক, দৈনিক-এভাবে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাগে ভাগ করে লিখিত আকারে রাখেন। প্রতিদিনের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র লক্ষ্য পূরণ করে বড় লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যান। এদের সফলতার হার শতকরা ওই ১৪ জনের চেয়েও তিন গুণ বেশি।

ইতিবাচক মানসিকতা
ইতিবাচক মানসিকতা গড়ে তোলা মানসিক সুস্থতার জন্য জরুরি। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার অভ্যাস অনুশীলন করুন। সমাধান সম্ভব এমন মানসিকতা নিয়ে চলুন, চ্যালেঞ্জ মোকবিলা করুন। ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি স্বাস্থ্যকর ও সুখী জীবনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

চিত্ত শান্ত রাখুন, নিজেকে সময় দিন
সময়টা বড় অস্থির, এসময়ে নানারকম চাপণ্ডদুশ্চিন্তা, হতাশা ভর করা স্বাভাবিক। এ পরিস্থিতিতে মনকে শান্ত রাখতে শিখুন, প্রয়োজনে প্রতিদিন একেবারে শান্তভাবে বসে নিজের ভুল-ত্রুটিগুলো নিয়ে ভাবুন। মনকে একেবারে দীঘির জলের মতো প্রশান্তিকর একটি অনুভূতিতে নিয়ে যান। কম্পিউটার ও স্মার্ট ফোনের ব্যবহার কমিয়ে আনুন। যান্ত্রিক ব্যস্ততা এড়িয়ে একান্ত কিছু সময় নিজের জন্য রাখুন। নিজের মতো করে কিছু সময় উপভোগ করুন। এতে আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়বে। আপনি চাইলে এ সময় উপভোগ করতে পারেন বই পড়ে কিংবা সবুজের মাঝে হেঁটে।

ঘুমের জন্য ৮ ঘণ্টা সময় রাখুন
রাতে ঠিকমত ঘুম না হলে মানসিক চাপ বাড়ে। এত করে দিনের বেলায় কাজে মনোযোগ আসে না বরং একধরনের নির্লিপ্ততা কাজ করে। মানসিক সুস্থতা ও কর্মক্ষমতা অটুট রাখতে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যান এবং অন্ততপক্ষে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন। রাতে শোবার দুই ঘণ্টা আগে স্মার্টফোনটাকে বিদায় দিন। বই পড়ুন, স্নায়ুকে শান্তি দিতে পেশী শিথিল করুন।

সক্রিয় থাকুন
নিয়মিত ব্যায়াম করুন। শারীরিক কার্যকলাপ স্বাস্থ্যকর জীবনধারার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। হাঁটা, নাচ বা যোগ অনুশীলন হতে পারে আপনার পছন্দের ব্যায়াম। এটি আপনাকে শারীরিকভাবে সুস্থ রাখার পাশাপাশি মানসিকভাবেও ভালো রাখবে। প্রতিদিন ব্যায়াম করতে না পারলেও সপ্তাহে তিন বা চারদিন নির্দিষ্ট সময় ধরে ব্যায়াম করুন।

মাদক ছাড়ুন
সিগারেট, গাঁজাসহ যাবতীয় মাদক পরিহার করুন। মাদক সাময়িকভাবে আপনার মস্তিষ্কে ঘোর আনলেও এই অভ্যাস সময় ও স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি করে। তাই নতুন বছরে মাদক গ্রহণ বাদ দেওয়ার চেষ্টা করুন। নেশা করা কোনো ভালো অভ্যাস নয়। এটি আপনার জীবন ধ্বংস করছে নানা ভাবে। তাই নিজেকে নিজে কথা দিন, মাদক গ্রহণ করবেন না।

পরিবারকে সময় দিন
সবাই আপনার কাছ থেকে দূরে সরে গেলেও পরিবার সরবে না। পরিবার মানুষের শেষ আশ্রয়। আধুনিক জীবনের কর্মব্যস্ততার কারণে অনেকেই হয়ত পরিবারকে ঠিকমত সময় দিতে পারেন না। জীবন হয়ে উঠে একঘেঁয়ে ও যান্ত্রিক। এসব থেকে মুক্তি পেতে বছরের শুরুতেই পরিবার-পরিজন নিয়ে দূরে কোথাও বেড়িয়ে আসতে পারেন। সারা বছরের কর্মচাঞ্চল্য সঞ্চয় হবার পাশাপাশি পারিবারিক বন্ধনও দৃঢ় হবে এতে। এ ছাড়া বছরব্যাপী পরিবারের সাথে অন্তত একবেলা খাবার খাওয়ার সময় বের করুন। বাবা-মা দূরে থাকলে তাদের সঙ্গে মাসে একবার দেখা করার চেষ্টা করুন অথবা তাদের সাথে দিনের অবসর সময়ে সময় নিয়ে কথা বলুন।

স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
স্বাস্থ্যকর খ্যাদ্যাভ্যাস ও সঠিক পুষ্টি গ্রহণের ওপর নির্ভর করে আমাদের সার্বিক সুস্থতা। তাই নতুন বছরের শুরুতেই আমাদের স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা প্রয়োজন। এতে আপনি সারাবছর সুস্থ থাকবেন, আর বাকি কাজ আপনাআপনি ভালোভাবে করতে পারবেন। তাই নতুন বছরে সংকল্প করুন সারা বছরই স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার।

নতুন কিছু শিখুন, দক্ষতা বৃদ্ধি করুন
নিজের সমৃদ্ধির জন্য নতুন দক্ষতা অর্জন জরুরি। গ্রাফিক্স, লেখালেখি, ছবি আঁকা, এক্সেল, গুগল ডকস সহ আজকাল কাজে লাগে এমন কিছু দক্ষতা অর্জনের চেষ্টা করুন। কিংবা সাইকেল, মোটর সাইকেল, গাড়ি চালানোও শিখতে পারেন। জানা না থাকলে, সাঁতারটাও শিখে নিতে পারেন। নতুন কিছু শেখার আনন্দ মনকে প্রফুল্ল রাখে, জীবনে চলার পথে কাজেও লাগে।

মিতব্যয়ী হোন, সঞ্চয়ে মনোযোগ দিন
আপনার খরচের হাত সামলান। অযথা অপ্রয়োজনীয় জিনিসে টাকা খরচ করা বাদ দিন। সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তুলুন। এটি সবার জন্যই জরুরি। কেননা সঞ্চয়ের বিষয়টি পুরোটাই অভ্যাস। আপনার সামর্থ্য কম থাকলে অল্প অল্প করে জমাতে শুরু করুন। একসময় এটি অভ্যাসে পরিণত হবে। সেইসঙ্গে বাড়বে আপনার সম্পদের পরিমাণও। তাই যেকোনো প্রয়োজনে অন্যের কাছে সাহায্য চাওয়ার বদলে নিজেই স্বাবলম্বী হোন। সফলতার কোনো শর্টকাট পথ নেই। জীবনে কখন কোথায় কেন এসব বুঝে চলুন, সুঅভ্যাস গড়ে তুলুন, আস্তে আস্তে জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবেই। 

নাগরিক ডেস্ক

২৫ জানুয়ারি, ২০২৪,  11:13 PM

news image

নতুন বছর শুরু হয়েছে, অনেকেই আগের বছরের হতাশা-ব্যর্থতা ভুলে নতুন করে জীবন শুরুর সংকল্প করেছেন। তাদের জন্য সহায়ক হতে পারে এই ১০ টি অভ্যাস:জীবনের লক্ষ্য স্মরণে রাখুন আমাদের ভেতর মাত্র ১৪ ভাগ মানুষ জীবনের লক্ষ্য নিয়ে আগায়, আর তাদের সফলতার হার অন্যান্যের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। আর মাত্র তিন ভাগ মানুষ জীবনের লক্ষ্য লিখিত আকারে রাখেন। সেটাকে আবার সাপ্তাহিক, মাসিক, দৈনিক-এভাবে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাগে ভাগ করে লিখিত আকারে রাখেন। প্রতিদিনের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র লক্ষ্য পূরণ করে বড় লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যান। এদের সফলতার হার শতকরা ওই ১৪ জনের চেয়েও তিন গুণ বেশি।

ইতিবাচক মানসিকতা
ইতিবাচক মানসিকতা গড়ে তোলা মানসিক সুস্থতার জন্য জরুরি। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার অভ্যাস অনুশীলন করুন। সমাধান সম্ভব এমন মানসিকতা নিয়ে চলুন, চ্যালেঞ্জ মোকবিলা করুন। ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি স্বাস্থ্যকর ও সুখী জীবনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

চিত্ত শান্ত রাখুন, নিজেকে সময় দিন
সময়টা বড় অস্থির, এসময়ে নানারকম চাপণ্ডদুশ্চিন্তা, হতাশা ভর করা স্বাভাবিক। এ পরিস্থিতিতে মনকে শান্ত রাখতে শিখুন, প্রয়োজনে প্রতিদিন একেবারে শান্তভাবে বসে নিজের ভুল-ত্রুটিগুলো নিয়ে ভাবুন। মনকে একেবারে দীঘির জলের মতো প্রশান্তিকর একটি অনুভূতিতে নিয়ে যান। কম্পিউটার ও স্মার্ট ফোনের ব্যবহার কমিয়ে আনুন। যান্ত্রিক ব্যস্ততা এড়িয়ে একান্ত কিছু সময় নিজের জন্য রাখুন। নিজের মতো করে কিছু সময় উপভোগ করুন। এতে আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়বে। আপনি চাইলে এ সময় উপভোগ করতে পারেন বই পড়ে কিংবা সবুজের মাঝে হেঁটে।

ঘুমের জন্য ৮ ঘণ্টা সময় রাখুন
রাতে ঠিকমত ঘুম না হলে মানসিক চাপ বাড়ে। এত করে দিনের বেলায় কাজে মনোযোগ আসে না বরং একধরনের নির্লিপ্ততা কাজ করে। মানসিক সুস্থতা ও কর্মক্ষমতা অটুট রাখতে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যান এবং অন্ততপক্ষে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন। রাতে শোবার দুই ঘণ্টা আগে স্মার্টফোনটাকে বিদায় দিন। বই পড়ুন, স্নায়ুকে শান্তি দিতে পেশী শিথিল করুন।

সক্রিয় থাকুন
নিয়মিত ব্যায়াম করুন। শারীরিক কার্যকলাপ স্বাস্থ্যকর জীবনধারার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। হাঁটা, নাচ বা যোগ অনুশীলন হতে পারে আপনার পছন্দের ব্যায়াম। এটি আপনাকে শারীরিকভাবে সুস্থ রাখার পাশাপাশি মানসিকভাবেও ভালো রাখবে। প্রতিদিন ব্যায়াম করতে না পারলেও সপ্তাহে তিন বা চারদিন নির্দিষ্ট সময় ধরে ব্যায়াম করুন।

মাদক ছাড়ুন
সিগারেট, গাঁজাসহ যাবতীয় মাদক পরিহার করুন। মাদক সাময়িকভাবে আপনার মস্তিষ্কে ঘোর আনলেও এই অভ্যাস সময় ও স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি করে। তাই নতুন বছরে মাদক গ্রহণ বাদ দেওয়ার চেষ্টা করুন। নেশা করা কোনো ভালো অভ্যাস নয়। এটি আপনার জীবন ধ্বংস করছে নানা ভাবে। তাই নিজেকে নিজে কথা দিন, মাদক গ্রহণ করবেন না।

পরিবারকে সময় দিন
সবাই আপনার কাছ থেকে দূরে সরে গেলেও পরিবার সরবে না। পরিবার মানুষের শেষ আশ্রয়। আধুনিক জীবনের কর্মব্যস্ততার কারণে অনেকেই হয়ত পরিবারকে ঠিকমত সময় দিতে পারেন না। জীবন হয়ে উঠে একঘেঁয়ে ও যান্ত্রিক। এসব থেকে মুক্তি পেতে বছরের শুরুতেই পরিবার-পরিজন নিয়ে দূরে কোথাও বেড়িয়ে আসতে পারেন। সারা বছরের কর্মচাঞ্চল্য সঞ্চয় হবার পাশাপাশি পারিবারিক বন্ধনও দৃঢ় হবে এতে। এ ছাড়া বছরব্যাপী পরিবারের সাথে অন্তত একবেলা খাবার খাওয়ার সময় বের করুন। বাবা-মা দূরে থাকলে তাদের সঙ্গে মাসে একবার দেখা করার চেষ্টা করুন অথবা তাদের সাথে দিনের অবসর সময়ে সময় নিয়ে কথা বলুন।

স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
স্বাস্থ্যকর খ্যাদ্যাভ্যাস ও সঠিক পুষ্টি গ্রহণের ওপর নির্ভর করে আমাদের সার্বিক সুস্থতা। তাই নতুন বছরের শুরুতেই আমাদের স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা প্রয়োজন। এতে আপনি সারাবছর সুস্থ থাকবেন, আর বাকি কাজ আপনাআপনি ভালোভাবে করতে পারবেন। তাই নতুন বছরে সংকল্প করুন সারা বছরই স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার।

নতুন কিছু শিখুন, দক্ষতা বৃদ্ধি করুন
নিজের সমৃদ্ধির জন্য নতুন দক্ষতা অর্জন জরুরি। গ্রাফিক্স, লেখালেখি, ছবি আঁকা, এক্সেল, গুগল ডকস সহ আজকাল কাজে লাগে এমন কিছু দক্ষতা অর্জনের চেষ্টা করুন। কিংবা সাইকেল, মোটর সাইকেল, গাড়ি চালানোও শিখতে পারেন। জানা না থাকলে, সাঁতারটাও শিখে নিতে পারেন। নতুন কিছু শেখার আনন্দ মনকে প্রফুল্ল রাখে, জীবনে চলার পথে কাজেও লাগে।

মিতব্যয়ী হোন, সঞ্চয়ে মনোযোগ দিন
আপনার খরচের হাত সামলান। অযথা অপ্রয়োজনীয় জিনিসে টাকা খরচ করা বাদ দিন। সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তুলুন। এটি সবার জন্যই জরুরি। কেননা সঞ্চয়ের বিষয়টি পুরোটাই অভ্যাস। আপনার সামর্থ্য কম থাকলে অল্প অল্প করে জমাতে শুরু করুন। একসময় এটি অভ্যাসে পরিণত হবে। সেইসঙ্গে বাড়বে আপনার সম্পদের পরিমাণও। তাই যেকোনো প্রয়োজনে অন্যের কাছে সাহায্য চাওয়ার বদলে নিজেই স্বাবলম্বী হোন। সফলতার কোনো শর্টকাট পথ নেই। জীবনে কখন কোথায় কেন এসব বুঝে চলুন, সুঅভ্যাস গড়ে তুলুন, আস্তে আস্তে জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবেই।