পটিয়ার হাবিলাসদ্বীপে ৫০০ বিঘা জমি বোরো মৌসমে অনাবাদি থাকে একটি সেচ প্রকল্প বন্ধের কারনে
মোঃহাসানুর জামান বাবু, চট্টগ্রাম।
১৪ জানুয়ারি, ২০২৪, 5:57 PM
পটিয়ার হাবিলাসদ্বীপে ৫০০ বিঘা জমি বোরো মৌসমে অনাবাদি থাকে একটি সেচ প্রকল্প বন্ধের কারনে
একটি দেশের চালিকাশক্তি হিসেবে কৃষি অগ্রণী ভূমিকা রাখলেও ক্রমে বৃদ্ধি পাওয়া নগরায়ণের ফলে কৃষিজমির পরিমাণ কমছে। এটা সত্য যে সভ্যতার বিকাশে অবকাঠামো নির্মাণ গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু এর পাশাপাশি কৃষি উৎপাদনে যেন ঘাটতি না হয় সেটিও লক্ষ রাখতে হবে। সে সঙ্গে আবাদযোগ্য জমি যেন পুরোপুরি চাষাবাদের জন্য ব্যবহৃত হয়, সেদিকেও মনোযোগ দেয়া প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আসন্ন খাদ্য সংকট মোকাবেলায় অপচয় হওয়া জমির বড় অংশে চাষাবাদ করা গেলে তা ভবিষ্যৎ খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতে ভূমিকা রাখবে। সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বব্যাপী সৃষ্ট জ্বালানি ও খাদ্য সংকটের কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের এক ইঞ্চি জমিও উৎপাদনের বাইরে না রাখার বিষয়ে জোর দিচ্ছেন, এমন পরিস্থিতিতে পটিয়ার হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়ন ৩নং ওয়ার্ড পূর্বহুলাইনে এ রকম চিত্র সত্যিকার অর্থেই দুঃখজনক। চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ৬শ’ ২ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করেন না কৃষক। দীর্ঘদিন ধরে জমিগুলো আবাদহীন অবস্থায় ফেলে রাখার কারণে জমিগুলোতে বিভিন্ন প্রজাতির ঘাস ও চাটাই বন সৃষ্টি হয়ে বর্তমানে চাষাবাদ অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
উপজেলার শোভনদন্ডী, আশিয়া, কাশিয়াইশ, বড়লিয়া, ছনহরা ও পটিয়া পৌর সদরের ইন্দ্রপোল বাকখালী এলাকায় চাষাবাদ অযোগ্য হয়ে পতিত রয়েছে এসব জমি। গত ১০/১৫ বছর পূর্বেও এসব পতিত জমিগুলোতে চাষাবাদ হয়েছে এবং কয়েক লাখ মন ধান পাওয়া গেছে। দৈনন্দিন কৃষকদের উদাসীনতা ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের তদারকির অভাবে চাষাবাদযোগ্য জমিগুলোতে চাষাবাদ বন্ধ হয়ে গেছে। এর মধ্যে কিছু কিছু জমির পাশে খাল ভরাট ও ড্রেন ভরাটের কারণে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় জমিতে চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে। পটিয়ার ১৭ ইউনিয়নে মোট আবাদি জমির পরিমাণ ২৬ হাজার ১৭২ হেক্টর।
এরমধ্যে ৬৮৩ হেক্টর জমিতে আউশ, ১০ হাজার ৮শ’ হেক্টর জমিতে আমন ও ১৭৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়। এসব জমির মধ্যে পতিত জমির পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৫২ হেক্টর।এতো অনাবাদী জমির মধ্যেও হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নে পূর্বহুলাইন সামরবাড়ী সংলগ্ন খালে "হুলাইন চরের বিল সেচপ্রকল্প,ও মুছা খাঁ মসজিদ সেচপ্রকল্প দুটি প্রায় চল্লিশ বছর ধরে চালু ছিলো এবং এপ্রকল্পের আওতায় হুলাইন মৌজা, লড়িহারা মৌজা, মুকুটনাইট মৌজার প্রায় ৫০০/৫০০ বিঘা জমি বোরো মৌসুমে চাষ হতো এবং হুলাইন হাবিলাসদ্বীপ লড়িহারা পশ্চিম গৈড়লা মুকুটনাইটসহ আশেপাশের কৃষকদের খাদ্য চাহিদা পূরনকরে জাতীয় অর্থনীতি ও খাদ্যঘাটতি পূরণে সহয়ক ভুমিকা পালন করতেন।কিন্তু গত তিনবছর আগে হঠাৎ করেই ঐপ্রকল্প ম্যানেজারের সাথে বাড়ীর একটি পরিবারের পারিবারিক বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে চল্লিশ বছরের পুরানো প্রকল্প দুটি বন্ধ হয়ে যায় এবং সরকারী টাকায় নির্মিত সেচের ট্রেইন গুলো কেটে ভেঙে দেওয়া হয়
।এই ব্যাপারে স্হানীয় কৃষকদের গণ স্বাক্ষরসহ তৎকালীন পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করলে ইউএনও মহোদয় তৎকালীন চেয়ারম্যানকে বিষয়টি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।কিন্তু চেয়ারম্যান এই প্রতিবেদন দিতে গড়িমসি করতে করতে আস্তে আস্তে বিষয়টি ধাপাচাপ পড়ে যায় এবং ঐপ্রকল্প দুটি বন্ধ হয়ে যায়।ফলে আর কোন সরকারি বেসরকারি কৃষিকর্মকর্তাও এদিকে আর নজর দেননি এবং ইউনিয়নের কোন কৃষিকর্মকর্তাও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে বিষয়টি না জানানোর ফলে ৫০০/৬০০ বিঘা জমি বোরো মৌসুমে অনাবাদী হয়ে পড়ে। এই বিষয়টি নিয়ে গতকাল পটিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কল্পনা রহমানের সাথে কথা হলে উনি বলেন আসলে বিষয়টি আমাকে কেউ জানাইনি।এইমাত্র শুনলেন এবং কালকেই তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের চেষ্টা করবেন।যদি সম্ভব হয় তাহলে ইউএনও মহোদয়ের সাথে আলোচনা করে স্হানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যম প্রকল্প দুটি শীঘ্রই চালুকরা সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। কৃষি কর্মকর্তা কল্পনা রহমান জানান, তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বিগত ৩ বছরে পতিত ৪শ’ ৫০ হেক্টর জমি চাষের আওতায় আনা হয়েছে।
তিনি আর জানান- হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নে বর্তমানে সরকারি দইজন কৃষিকর্মকর্তা কর্মরত রয়েছেন উনারা তো আমাকে হুলাইন ৩নং ওয়ার্ডের বোরো সেচপ্রকল্পের কথা কখনোই জানাননি।তবে বাস্তবতা হচ্ছে অনেক কৃষকের অভিযোগ উপ-সহকারী কৃষিকর্মকর্তারা এলাকার কৃষকদের সাথে তেমন সমন্বয় করেন না। কৃষকদের প্রয়োজনে ফোন করে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে হয়। অনেকে ঘরে বসেই মাসে বেতন গুণে। সরকারি সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটি নির্দিষ্ট স্থানে দৈনিক উপস্থিতির স্বাক্ষর করার ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু উপ-সহকারী কৃষিকর্মকর্তাদের দৈনিক কোনো হাজিরা দিতে হয় না, তাদের তেমন কোনো জবাব দিহিতাও নেই। যার ফলে এ চাকরি ব্যতিত অন্য স্থানেও তাদের চাকরি করার সুযোগ রয়েছে। পটিয়ায় ৫২টি বণ্টকের জন্য ৩৮ জন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রয়েছে। যাদের বেতন ২২ হাজার থেকে ৫৫ হাজার পর্যন্ত। কৃষি কর্মকর্তা কল্পনা রহমান উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সর্ম্পকে বলেন, এরা একেবারে কোনো কাজ না করে বিষয়টি সঠিক নয়। তারা এলাকায় কৃষকদের সাথে ফসলের বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এ বিষয়ে আজকে পটিয়ার ইউএনও সাহেবকে কয়েকবার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
বন্ধের দিন তাই হয়তো পায়নি আগামীকাল আবারও উপ- সহকারী কৃষিকর্মকর্তার(৩নং ওয়ার্ডের দায়িত্বে)বিষয়টি জানানো হবে। কেন এক ইউনিয়নের একাধিক কৃষি কর্মকর্তা থাকার পরও এই সেচপ্রকল্পের ব্যাপারে কারো জানা নেই কেন!?খবর নিয়ে জানাগেছে উপ-সহকারী কর্মকর্তারা নিয়মিত কর্মস্থলে আসেনা হাজিরা দেওয়ার কোন নিয়ম নাই বিধায় উনারা সেই সুযোগ কাজে লাগান। অথচ দেশে সরকারি বেসরকারি সকল চাকুরী জীবির ক্ষেত্রে কর্মস্হলে উপস্থিতির স্বাক্ষর বা হাজিরা বাধ্যতামূলক শুধু মাত্র উপ-সহকারী কৃষিকর্মকর্তাগণ ব্যতিক্রম।উনাদের কর্মস্হলে আসছেন কিনা কোন প্রমানের বাধ্যবাধকতা নেই।
মোঃহাসানুর জামান বাবু, চট্টগ্রাম।
১৪ জানুয়ারি, ২০২৪, 5:57 PM
একটি দেশের চালিকাশক্তি হিসেবে কৃষি অগ্রণী ভূমিকা রাখলেও ক্রমে বৃদ্ধি পাওয়া নগরায়ণের ফলে কৃষিজমির পরিমাণ কমছে। এটা সত্য যে সভ্যতার বিকাশে অবকাঠামো নির্মাণ গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু এর পাশাপাশি কৃষি উৎপাদনে যেন ঘাটতি না হয় সেটিও লক্ষ রাখতে হবে। সে সঙ্গে আবাদযোগ্য জমি যেন পুরোপুরি চাষাবাদের জন্য ব্যবহৃত হয়, সেদিকেও মনোযোগ দেয়া প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আসন্ন খাদ্য সংকট মোকাবেলায় অপচয় হওয়া জমির বড় অংশে চাষাবাদ করা গেলে তা ভবিষ্যৎ খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতে ভূমিকা রাখবে। সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বব্যাপী সৃষ্ট জ্বালানি ও খাদ্য সংকটের কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের এক ইঞ্চি জমিও উৎপাদনের বাইরে না রাখার বিষয়ে জোর দিচ্ছেন, এমন পরিস্থিতিতে পটিয়ার হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়ন ৩নং ওয়ার্ড পূর্বহুলাইনে এ রকম চিত্র সত্যিকার অর্থেই দুঃখজনক। চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ৬শ’ ২ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করেন না কৃষক। দীর্ঘদিন ধরে জমিগুলো আবাদহীন অবস্থায় ফেলে রাখার কারণে জমিগুলোতে বিভিন্ন প্রজাতির ঘাস ও চাটাই বন সৃষ্টি হয়ে বর্তমানে চাষাবাদ অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
উপজেলার শোভনদন্ডী, আশিয়া, কাশিয়াইশ, বড়লিয়া, ছনহরা ও পটিয়া পৌর সদরের ইন্দ্রপোল বাকখালী এলাকায় চাষাবাদ অযোগ্য হয়ে পতিত রয়েছে এসব জমি। গত ১০/১৫ বছর পূর্বেও এসব পতিত জমিগুলোতে চাষাবাদ হয়েছে এবং কয়েক লাখ মন ধান পাওয়া গেছে। দৈনন্দিন কৃষকদের উদাসীনতা ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের তদারকির অভাবে চাষাবাদযোগ্য জমিগুলোতে চাষাবাদ বন্ধ হয়ে গেছে। এর মধ্যে কিছু কিছু জমির পাশে খাল ভরাট ও ড্রেন ভরাটের কারণে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় জমিতে চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে। পটিয়ার ১৭ ইউনিয়নে মোট আবাদি জমির পরিমাণ ২৬ হাজার ১৭২ হেক্টর।
এরমধ্যে ৬৮৩ হেক্টর জমিতে আউশ, ১০ হাজার ৮শ’ হেক্টর জমিতে আমন ও ১৭৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়। এসব জমির মধ্যে পতিত জমির পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৫২ হেক্টর।এতো অনাবাদী জমির মধ্যেও হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নে পূর্বহুলাইন সামরবাড়ী সংলগ্ন খালে "হুলাইন চরের বিল সেচপ্রকল্প,ও মুছা খাঁ মসজিদ সেচপ্রকল্প দুটি প্রায় চল্লিশ বছর ধরে চালু ছিলো এবং এপ্রকল্পের আওতায় হুলাইন মৌজা, লড়িহারা মৌজা, মুকুটনাইট মৌজার প্রায় ৫০০/৫০০ বিঘা জমি বোরো মৌসুমে চাষ হতো এবং হুলাইন হাবিলাসদ্বীপ লড়িহারা পশ্চিম গৈড়লা মুকুটনাইটসহ আশেপাশের কৃষকদের খাদ্য চাহিদা পূরনকরে জাতীয় অর্থনীতি ও খাদ্যঘাটতি পূরণে সহয়ক ভুমিকা পালন করতেন।কিন্তু গত তিনবছর আগে হঠাৎ করেই ঐপ্রকল্প ম্যানেজারের সাথে বাড়ীর একটি পরিবারের পারিবারিক বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে চল্লিশ বছরের পুরানো প্রকল্প দুটি বন্ধ হয়ে যায় এবং সরকারী টাকায় নির্মিত সেচের ট্রেইন গুলো কেটে ভেঙে দেওয়া হয়
।এই ব্যাপারে স্হানীয় কৃষকদের গণ স্বাক্ষরসহ তৎকালীন পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করলে ইউএনও মহোদয় তৎকালীন চেয়ারম্যানকে বিষয়টি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।কিন্তু চেয়ারম্যান এই প্রতিবেদন দিতে গড়িমসি করতে করতে আস্তে আস্তে বিষয়টি ধাপাচাপ পড়ে যায় এবং ঐপ্রকল্প দুটি বন্ধ হয়ে যায়।ফলে আর কোন সরকারি বেসরকারি কৃষিকর্মকর্তাও এদিকে আর নজর দেননি এবং ইউনিয়নের কোন কৃষিকর্মকর্তাও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে বিষয়টি না জানানোর ফলে ৫০০/৬০০ বিঘা জমি বোরো মৌসুমে অনাবাদী হয়ে পড়ে। এই বিষয়টি নিয়ে গতকাল পটিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কল্পনা রহমানের সাথে কথা হলে উনি বলেন আসলে বিষয়টি আমাকে কেউ জানাইনি।এইমাত্র শুনলেন এবং কালকেই তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের চেষ্টা করবেন।যদি সম্ভব হয় তাহলে ইউএনও মহোদয়ের সাথে আলোচনা করে স্হানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যম প্রকল্প দুটি শীঘ্রই চালুকরা সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। কৃষি কর্মকর্তা কল্পনা রহমান জানান, তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বিগত ৩ বছরে পতিত ৪শ’ ৫০ হেক্টর জমি চাষের আওতায় আনা হয়েছে।
তিনি আর জানান- হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নে বর্তমানে সরকারি দইজন কৃষিকর্মকর্তা কর্মরত রয়েছেন উনারা তো আমাকে হুলাইন ৩নং ওয়ার্ডের বোরো সেচপ্রকল্পের কথা কখনোই জানাননি।তবে বাস্তবতা হচ্ছে অনেক কৃষকের অভিযোগ উপ-সহকারী কৃষিকর্মকর্তারা এলাকার কৃষকদের সাথে তেমন সমন্বয় করেন না। কৃষকদের প্রয়োজনে ফোন করে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে হয়। অনেকে ঘরে বসেই মাসে বেতন গুণে। সরকারি সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটি নির্দিষ্ট স্থানে দৈনিক উপস্থিতির স্বাক্ষর করার ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু উপ-সহকারী কৃষিকর্মকর্তাদের দৈনিক কোনো হাজিরা দিতে হয় না, তাদের তেমন কোনো জবাব দিহিতাও নেই। যার ফলে এ চাকরি ব্যতিত অন্য স্থানেও তাদের চাকরি করার সুযোগ রয়েছে। পটিয়ায় ৫২টি বণ্টকের জন্য ৩৮ জন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রয়েছে। যাদের বেতন ২২ হাজার থেকে ৫৫ হাজার পর্যন্ত। কৃষি কর্মকর্তা কল্পনা রহমান উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সর্ম্পকে বলেন, এরা একেবারে কোনো কাজ না করে বিষয়টি সঠিক নয়। তারা এলাকায় কৃষকদের সাথে ফসলের বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এ বিষয়ে আজকে পটিয়ার ইউএনও সাহেবকে কয়েকবার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
বন্ধের দিন তাই হয়তো পায়নি আগামীকাল আবারও উপ- সহকারী কৃষিকর্মকর্তার(৩নং ওয়ার্ডের দায়িত্বে)বিষয়টি জানানো হবে। কেন এক ইউনিয়নের একাধিক কৃষি কর্মকর্তা থাকার পরও এই সেচপ্রকল্পের ব্যাপারে কারো জানা নেই কেন!?খবর নিয়ে জানাগেছে উপ-সহকারী কর্মকর্তারা নিয়মিত কর্মস্থলে আসেনা হাজিরা দেওয়ার কোন নিয়ম নাই বিধায় উনারা সেই সুযোগ কাজে লাগান। অথচ দেশে সরকারি বেসরকারি সকল চাকুরী জীবির ক্ষেত্রে কর্মস্হলে উপস্থিতির স্বাক্ষর বা হাজিরা বাধ্যতামূলক শুধু মাত্র উপ-সহকারী কৃষিকর্মকর্তাগণ ব্যতিক্রম।উনাদের কর্মস্হলে আসছেন কিনা কোন প্রমানের বাধ্যবাধকতা নেই।