রাজনৈতিক সহিংসতায় বিআরটিসির ক্ষতি ১.৫ কোটি টাকা

#
news image

দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পরিবহন খাত। গত বছরের ২৮ অক্টোবর থেকে সারাদেশে হরতাল-অবরোধের মতো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে দুর্বৃত্তদের দ্বারা বাস, ডিপো ও অন্যান্য স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিসি) এর ১ কোটি ৩৮ লাখ ৬০ হাজার ৭৬০ টাকা ক্ষতি হয়েছে।  এ পর্যন্ত ১৭টি নাশকতার ঘটনা ঘটেছে- ১০টি বাসে অগ্নিসংযোগ, পাঁচটি বাস ভাংচুর, মতিঝিল ও মিরপুরে দুটি বাস ডিপোতে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

বিআরটিসি জানায়, এসব ঘটনায়  বিআরটিসি ১৫টি মামলা করেছে। মতিঝিল, জোয়ারসাহারা, রংপুর, নরসিংদী, মিরপুর, খুলনা, কল্যাণপুর, মোহাম্মদপুর ও গাবতলীর ডিপোর অধীনে চলাচলকারী বিআরটিসি বাসে হামলা চালানো হয়। বিআরটিসি চেয়ারম্যান মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, “সারাদেশে বিটিআরসি বাস ভাংচুর ও আগুন দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো অবরোধ ও হরতাল দিলে অনেক প্রাইভেট বাস কোম্পানি সেই দিনগুলোতে বাস চালায় না কিন্তু সারাদেশে বিআরটিসি বাস চলাচল করে, যদিও স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বাস কম থাকে।“রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে কম সংখ্যক বাস রাস্তায় চলাচল করায় আমাদের আয় কমে গেছে। হরতাল-অবরোধের দিনে গড়ে ৭০৭টি যানবাহন চলাচল করেছে। আর সাধারণ দিনে ১,১৪২টি বাস রাস্তায় চলাচল করে। আয় কিছুটা কম হলেও ট্রাক ও প্রশিক্ষণ থেকে আয় কমেনি এবং সবাই সময়মতো বেতন পেয়েছেন বলেও জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, খুব শিগগিরই ক্ষতিগ্রস্ত বাসগুলো মেরামতের জন্য পাঠানো হবে। বিআরটিসি হিসাব বিভাগের সূত্র জানায়, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পরিবহন সংস্থাটি গত বছরের সেপ্টেম্বরে ৪৯ থেকে ৫০ কোটি টাকা আয় করেছে, যা ২৮ অক্টোবর থেকে কমতে শুরু করেছে। নভেম্বরে কোম্পানিটির আয় ছিল প্রায় ৩৬ কোটি টাকা। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, “নাশকতাকার কারণে দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতিও হচ্ছে। তাই সহিংস আন্দোলন এড়াতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য প্রয়োজন।”বর্তমান সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্দলীয় নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনসহ বিভিন্ন দাবিতে দেশব্যাপী হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেছে বিরোধী দলগুলো। ২৮ অক্টোবর বিএনপি মহা সমাবেশ’ করে যা পুলিশের সঙ্গে দলের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। ১৫ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর বিএনপি, জামায়াতে ইসলামি বাংলাদেশ ও জোটের শরিকরা নির্বাচনের তফসিল প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। বিরোধী দল ২৩ দিনের জন্য ১২ দফা অবরোধ এবং পাঁচ দিনে চার দফা হরতাল কার্যকর করে।

অনলাইন ডেক্স

০৬ জানুয়ারি, ২০২৪,  4:40 PM

news image

দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পরিবহন খাত। গত বছরের ২৮ অক্টোবর থেকে সারাদেশে হরতাল-অবরোধের মতো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে দুর্বৃত্তদের দ্বারা বাস, ডিপো ও অন্যান্য স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিসি) এর ১ কোটি ৩৮ লাখ ৬০ হাজার ৭৬০ টাকা ক্ষতি হয়েছে।  এ পর্যন্ত ১৭টি নাশকতার ঘটনা ঘটেছে- ১০টি বাসে অগ্নিসংযোগ, পাঁচটি বাস ভাংচুর, মতিঝিল ও মিরপুরে দুটি বাস ডিপোতে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

বিআরটিসি জানায়, এসব ঘটনায়  বিআরটিসি ১৫টি মামলা করেছে। মতিঝিল, জোয়ারসাহারা, রংপুর, নরসিংদী, মিরপুর, খুলনা, কল্যাণপুর, মোহাম্মদপুর ও গাবতলীর ডিপোর অধীনে চলাচলকারী বিআরটিসি বাসে হামলা চালানো হয়। বিআরটিসি চেয়ারম্যান মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, “সারাদেশে বিটিআরসি বাস ভাংচুর ও আগুন দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো অবরোধ ও হরতাল দিলে অনেক প্রাইভেট বাস কোম্পানি সেই দিনগুলোতে বাস চালায় না কিন্তু সারাদেশে বিআরটিসি বাস চলাচল করে, যদিও স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বাস কম থাকে।“রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে কম সংখ্যক বাস রাস্তায় চলাচল করায় আমাদের আয় কমে গেছে। হরতাল-অবরোধের দিনে গড়ে ৭০৭টি যানবাহন চলাচল করেছে। আর সাধারণ দিনে ১,১৪২টি বাস রাস্তায় চলাচল করে। আয় কিছুটা কম হলেও ট্রাক ও প্রশিক্ষণ থেকে আয় কমেনি এবং সবাই সময়মতো বেতন পেয়েছেন বলেও জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, খুব শিগগিরই ক্ষতিগ্রস্ত বাসগুলো মেরামতের জন্য পাঠানো হবে। বিআরটিসি হিসাব বিভাগের সূত্র জানায়, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পরিবহন সংস্থাটি গত বছরের সেপ্টেম্বরে ৪৯ থেকে ৫০ কোটি টাকা আয় করেছে, যা ২৮ অক্টোবর থেকে কমতে শুরু করেছে। নভেম্বরে কোম্পানিটির আয় ছিল প্রায় ৩৬ কোটি টাকা। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, “নাশকতাকার কারণে দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতিও হচ্ছে। তাই সহিংস আন্দোলন এড়াতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য প্রয়োজন।”বর্তমান সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্দলীয় নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনসহ বিভিন্ন দাবিতে দেশব্যাপী হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেছে বিরোধী দলগুলো। ২৮ অক্টোবর বিএনপি মহা সমাবেশ’ করে যা পুলিশের সঙ্গে দলের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। ১৫ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর বিএনপি, জামায়াতে ইসলামি বাংলাদেশ ও জোটের শরিকরা নির্বাচনের তফসিল প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। বিরোধী দল ২৩ দিনের জন্য ১২ দফা অবরোধ এবং পাঁচ দিনে চার দফা হরতাল কার্যকর করে।