৮০ শতাংশ কর্মসংস্থান দখলে নেবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
নাগরিক অনলাইন ডেস্ক
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৩, 10:02 PM
৮০ শতাংশ কর্মসংস্থান দখলে নেবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
চ্যাটজিপিটির মাধ্যমে প্রযুক্তি বাজারে নতুন করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। গত সপ্তাহে একটি নথি প্রকাশ করেছে মালিকানা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই। সেখানে বলা হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যুক্তরাষ্ট্রের ৮০ শতাংশ কর্মসংস্থান দখল করে নেবে। নথি প্রকাশের পাঁচদিন পর গোল্ডম্যান স্যাকস একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। মার্কিন এ বিনিয়োগ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ৩০ কোটি চাকরির জায়গা নিয়ে নিতে পারে।
বিভিন্ন প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, জেনারেটিভ এআই শ্রমবাজারে বড় ধরনের প্রভাব বিস্তার করবে। তবে এ ব্যবস্থার মাধ্যমে নতুন চাকরি ও উৎপাদনশীলতা বাড়তে পারে বলেও অনুমান করা হচ্ছে। এ ব্যবস্থার কারণে ধীরে ধীরে বৈশ্বিকভাবে উৎপাদিত পণ্য ও পরিষেবার সামগ্রিক বার্ষিক মূল্য ৭ শতাংশ বেড়ে যেতে পারে বলেও জানানো হয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্য সরকার। দেশটির ধারণা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শেষ পর্যন্ত গোটা অর্থনীতিকে উৎপাদনশীল করে তুলবে। এর প্রভাব নিয়ে জনগণকে আশ্বস্ত করার চেষ্টাও চালানো হচ্ছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, এআইয়ের প্রভাবে বিভিন্ন সেক্টরে পরিবর্তন আসবে, যেখানে প্রশাসনিক খাতের ৪৬ শতাংশ ও আইনি প্রেসার ৪৪ শতাংশ কার্যক্রম স্বয়ংক্রিয় উপায়ে প্রচলিত হতে পারে। তবে নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণভিত্তিক খাতে যথাক্রমে ৬ ও ৪ শতাংশ ভূমিকা রাখবে এআই। এর আগে এআই ইমেজ জেনারেটর নিয়ে কয়েকজন চিত্রশিল্পীর উদ্বেগ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি নিউজ। তাদের শঙ্কা, এ টুল তাদের কর্মসংস্থানের সম্ভাবনায় আঘাত হিসেবে আসতে পারে।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি মার্টিন স্কুলের ফিউচার অব ওয়ার্ক পরিচালক কার্ল বেনেডিক্ট বলেন, ‘আমি যে বিষয়টি সম্কর্কে নিশ্চিত সেটা হলো, জেনারেটিভ এআই কতগুলো চাকরি প্রতিস্থাপন করবে, তা জানার কোনো উপায় নেই।’ ‘উদাহরণ হিসেবে, চ্যাটজিপিটি তুলনামূলক গড়পড়তা লেখনির দক্ষতা থাকা লোকজনকে প্রবন্ধ ও আর্টিকেল তৈরির সুবিধা দেয়। এতে তুলনামূলক বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়বেন সংবাদকর্মীরা।
আর আমরা যদি এ ধরনের কার্যক্রমে ব্যাপক চাহিদা দেখতে না পাই, তবে এর ফলে তাদের বেতনও কমে যেতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘জিপিএস প্রযুক্তি ও উবারের মতো প্লাটফর্ম চালুর বিষয়টি বিবেচনা করলেই প্রমাণ সামনে আসে। হঠাৎ করে লন্ডনের সব রাস্তা চেনার গুরুত্ব কমে গেল। আর এর ফলে নতুন যারা এ পেশায় এসেছেন, তাদের বেতনও কমে গেছে।’ আগামী কয়েক বছরে জেনারেটিভ এআই তুলনামূলক বিস্তৃত সৃজনশীল শ্রেণির কার্যক্রমে সম্ভবত একই ধরনের প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন তিনি।
নাগরিক অনলাইন ডেস্ক
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৩, 10:02 PM
চ্যাটজিপিটির মাধ্যমে প্রযুক্তি বাজারে নতুন করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। গত সপ্তাহে একটি নথি প্রকাশ করেছে মালিকানা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই। সেখানে বলা হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যুক্তরাষ্ট্রের ৮০ শতাংশ কর্মসংস্থান দখল করে নেবে। নথি প্রকাশের পাঁচদিন পর গোল্ডম্যান স্যাকস একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। মার্কিন এ বিনিয়োগ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ৩০ কোটি চাকরির জায়গা নিয়ে নিতে পারে।
বিভিন্ন প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, জেনারেটিভ এআই শ্রমবাজারে বড় ধরনের প্রভাব বিস্তার করবে। তবে এ ব্যবস্থার মাধ্যমে নতুন চাকরি ও উৎপাদনশীলতা বাড়তে পারে বলেও অনুমান করা হচ্ছে। এ ব্যবস্থার কারণে ধীরে ধীরে বৈশ্বিকভাবে উৎপাদিত পণ্য ও পরিষেবার সামগ্রিক বার্ষিক মূল্য ৭ শতাংশ বেড়ে যেতে পারে বলেও জানানো হয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্য সরকার। দেশটির ধারণা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শেষ পর্যন্ত গোটা অর্থনীতিকে উৎপাদনশীল করে তুলবে। এর প্রভাব নিয়ে জনগণকে আশ্বস্ত করার চেষ্টাও চালানো হচ্ছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, এআইয়ের প্রভাবে বিভিন্ন সেক্টরে পরিবর্তন আসবে, যেখানে প্রশাসনিক খাতের ৪৬ শতাংশ ও আইনি প্রেসার ৪৪ শতাংশ কার্যক্রম স্বয়ংক্রিয় উপায়ে প্রচলিত হতে পারে। তবে নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণভিত্তিক খাতে যথাক্রমে ৬ ও ৪ শতাংশ ভূমিকা রাখবে এআই। এর আগে এআই ইমেজ জেনারেটর নিয়ে কয়েকজন চিত্রশিল্পীর উদ্বেগ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি নিউজ। তাদের শঙ্কা, এ টুল তাদের কর্মসংস্থানের সম্ভাবনায় আঘাত হিসেবে আসতে পারে।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি মার্টিন স্কুলের ফিউচার অব ওয়ার্ক পরিচালক কার্ল বেনেডিক্ট বলেন, ‘আমি যে বিষয়টি সম্কর্কে নিশ্চিত সেটা হলো, জেনারেটিভ এআই কতগুলো চাকরি প্রতিস্থাপন করবে, তা জানার কোনো উপায় নেই।’ ‘উদাহরণ হিসেবে, চ্যাটজিপিটি তুলনামূলক গড়পড়তা লেখনির দক্ষতা থাকা লোকজনকে প্রবন্ধ ও আর্টিকেল তৈরির সুবিধা দেয়। এতে তুলনামূলক বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়বেন সংবাদকর্মীরা।
আর আমরা যদি এ ধরনের কার্যক্রমে ব্যাপক চাহিদা দেখতে না পাই, তবে এর ফলে তাদের বেতনও কমে যেতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘জিপিএস প্রযুক্তি ও উবারের মতো প্লাটফর্ম চালুর বিষয়টি বিবেচনা করলেই প্রমাণ সামনে আসে। হঠাৎ করে লন্ডনের সব রাস্তা চেনার গুরুত্ব কমে গেল। আর এর ফলে নতুন যারা এ পেশায় এসেছেন, তাদের বেতনও কমে গেছে।’ আগামী কয়েক বছরে জেনারেটিভ এআই তুলনামূলক বিস্তৃত সৃজনশীল শ্রেণির কার্যক্রমে সম্ভবত একই ধরনের প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন তিনি।