শিরোনামঃ
প্লাস্টিক-পলিথিনের ব্যবহার: নিজের ক্ষতির কথা নিজেদেরই ভাবতে হবে সর্বোচ্চ দুর্নীতি পাসপোর্ট, বিআরটিএ এবং আইনশৃঙ্খলায়!  দক্ষিণ ভারতের জনপ্রিয় অভিনেত্রীর লাশ উদ্ধার  প্রথমবার হকির যুব বিশ্বকাপে বাংলাদেশ  বাংলাদেশে সন্ত্রাসী হামলার ঝুঁকি নিয়ে ভ্রমণ সতর্কতা যুক্তরাজ্যের প্রধান উপদেষ্টা কাল সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন হাইকমিশনে হামলা পূর্ব-পরিকল্পিত বলে ধারণা হয়: ফখরুল বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখবে: প্রণয় ভার্মা 'এক বিজয় করেছো, আরেক বিজয় আসবে’, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধান উপদেষ্টা প্রথমবার ট্র্যাভেল পাস নিয়ে সেন্ট মার্টিন গেলেন ৬৫৩ পর্যটক

নেত্রকোনার ১টি আসন ছাড়া বাকি ৪ আসনেই নৌকা-স্বতন্ত্রের লড়াই 

#
news image

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে নেত্রকোনা জেলায় মোট ৫টি সংসদীয় আসন রয়েছে। আসনগুলোর মধ্যে ৪টি আসনে নির্বচনী লড়াই হাড্ডাহাড্ডি হওয়ার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। শুধুমাত্র একটি আসন (নেত্রকোনা-৪) এ আওয়ামী লীগ মনোনীত (নৌকা) প্রতীকের প্রার্থীকে নির্ভরশীল মনে করছেন ভোটাররা। এ আসনে আওয়ামীলীগের স্বতন্ত্র কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় এবার এ আসনটিতে নির্বাচন হতে পারে অনেকটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন বলে মনে করছেন ভোটাররা।

এ আসনটিতে গত (৩১ জুলাই) উপনির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রথমবারের মতো নৌকা প্রতীক নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাজ্জাদুল হাসান বিজয়ী হয়েছিলেন। স্থানীয় ভোটারদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে, এবারও তিনি আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী নৌকার কান্ডারী হিসাবে মনোনয়ন পেয়ে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী করবেন।

জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, নেত্রকোনা-১ (দুর্গাপুর-কলমাকান্দা) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোশতাক আহমেদ রুহী (নৌকা) প্রতীকের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস আরা ঝুমা (ট্রাক) প্রতীকের মধ্যে দ্বিমুখী লড়াই হবে বলে মনে করছেন ভোটাররা।

অন্যান্য প্রার্থীদরর মধ্যে রয়েছেন, জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী গোলাম রব্বানী (লাঙ্গল), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের প্রার্থী আহমদ শফী (ছড়ি)ও আফতাব উদ্দিন (ঈগল) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। (আসনটিতে ভোটার সংখ্যা ৪ লক্ষ ১৮ হাজার ১৮৯ জন)

নেত্রকোনা-২ (সদর-বারহাট্টা) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আশরাফ আলী খান খসরু (নৌকা) প্রতীকের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় (ঈগল) প্রতীকের মধ্যে দ্বিমুখী লড়াই হবে বলে মনে করছেন ভোটাররা।

অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন, জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী মোছা. রহিমা আক্তার আসমা সুলতানা (লাঙ্গল), ইসলামী ঐক্যজোট প্রার্থী মো. ইলিয়াস (মিনার), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) প্রার্থী এ বি এম রফিকুল হক তালুকদার (নোঙ্গর), বাংলাদেশ কংগ্রেস প্রার্থী আজহারুল ইসলাম খান (ডাব) ও সুব্রত চন্দ্র সরকার (ট্রাক) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। (আসনটিতে ভোট ভোটার সংখ্যা ৪ লক্ষ ৬৭ হাজার ৬ জন)

নেত্রকোনা-৩ (আটপাড়া-কেন্দুয়া) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী অসীম কুমার উকিল (নৌকা) প্রতীকের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য ইফতিখার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু (ট্রাক) এবং অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য মঞ্জুর কাদের কোরাইশী (ঈগল) প্রতীকের মধ্যে ত্রিমুখী লড়াই হবে বলে মনে করছেন ভোটাররা।

অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে জাতীয় পার্টির প্রার্থী জসীম উদ্দিন ভূঁঞা (লাঙ্গল), ইসলামী ঐক্যজোট প্রার্থী মো. এহ্তেশাম সারওয়ার (মিনার), তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী মিজানুর রহমান খান (সোনালী আশ) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। (আসনটিতে ভোটার সংখ্যা ৩ লক্ষ ৯৫ হাজার ২৯২ জন)

নেত্রকোনা-৪ (মোহনগঞ্জ-মদন-খালিয়াজুরী) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাজ্জাদুল হাসান (নৌকা), জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. লিয়াকত আলী খান (লাঙ্গল), তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী মো. আল মামুন (সোনালী আশ), জাসদের প্রার্থী মো. মুশফিকুর রহমান (মশাল) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ আসনটিতে কোন স্বতন্ত্র প্রার্থী না থাকায় নির্বাচন হতে পারে অনেকটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন বলে মনে করছেন ভোটাররা। (আসনটিতে ভোট ভোটার ৪ লক্ষ ৫১ হাজার ৫৮৬ জন ভোটার)

নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আহমদ হোসেন (নৌকা) প্রতীকের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আনোয়ার হোসেন (ঈগল) প্রতীকের মধ্যে দ্বিমুখী লড়াই হবে বলে মনে করছেন ভোটাররা।

অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন, জাতীয় পার্টির প্রার্থী ওয়াহিদুজ্জামান আজাদ (লাঙ্গল), তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী আব্দুল ওয়াহ্হাব হামিদি (সোনালী আশ) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। (আসনটিতে ভোট ভোটার ২ লক্ষ ৭২ হাজার ৩৩৩ জন ভোটার)

ভোটারদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী: নেত্রকোনা-১ (দুর্গাপুর-কলমাকান্দা) আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে মোশতাক আহমেদ রুহীর ব্যাপক জনপ্রিয়তা থাকলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীক নিয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস আরা ঝুমা শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস দিচ্ছেন।

নেত্রকোনা-২ (সদর-বারহাট্টা) আসনে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন বর্তমান এমপি ও সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু। জেলা সদরের এই আসনটি বরাবরই আওয়মী লীগের দখলে থাকে। কিন্তু এবার এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার লক্ষ্যে (ঈগল) প্রতীকে লড়ছেন সাবেক এমপি, যুব ও ক্রিড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়।

এছাড়া এবার বর্তমান সংসদ সদস্যের অনুসারী নন এমন কয়েকজন নেতাও জয়ের পক্ষে কাজ করছেন বলে জানা গেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে এই আসনে খসরু ও জয়ের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে মনে করছেন ভোটাররা।

নেত্রকোনা-৩ (আটপাড়া-কেন্দুয়া) আসনে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন বর্তমান এমপি ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল। তার সঙ্গে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার লক্ষ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ট্রাক প্রতীকে লড়ছেন সাবেক এমপি ইফতিকার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু ও ঈগল প্রতীকে লড়ছেন সাবেক এমপি মঞ্জুর কাদের কোরাইশী।

এই আসনে ত্রিমুখী লড়াই হবে বলে মনে করছেন ভোটাররা। ইতিমধ্যেই পিন্টু ও অসীমের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। নেত্রকোনা-৪ (মদন-মোহনগঞ্জ-খালিয়াজুরী) আসনে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন বর্তমান এমপি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব সাজ্জাদুল হাসান। এই আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র কোনো প্রার্থী নেই। তবে জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট লিয়াকত আলী খান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কিন্তু জেলাব্যাপী নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকায় আলোচনায় বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন সাজ্জাদুল হাসান। 

নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসনে নৌকার পেয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটি পাঁচবারের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন। তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে (ঈগল) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল (বীর প্রতীক) এর বড় ভাই জাসদ নেতা জাহাঙ্গীনরগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আনোয়ার হোসেন।

এছাড়াও অন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম সোহেল ফকির উচ্চ আদালত থেকে মনোনয়ন ফিরে পাওয়ায় বেশ চাঙ্গা হয়েছেন। এ আসনটিতেও নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর জয় খুব সহজ হবে না বলে মনে করছেন স্থানীয় ভোটাররা।

 

রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা

২৫ ডিসেম্বর, ২০২৩,  6:22 PM

news image

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে নেত্রকোনা জেলায় মোট ৫টি সংসদীয় আসন রয়েছে। আসনগুলোর মধ্যে ৪টি আসনে নির্বচনী লড়াই হাড্ডাহাড্ডি হওয়ার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। শুধুমাত্র একটি আসন (নেত্রকোনা-৪) এ আওয়ামী লীগ মনোনীত (নৌকা) প্রতীকের প্রার্থীকে নির্ভরশীল মনে করছেন ভোটাররা। এ আসনে আওয়ামীলীগের স্বতন্ত্র কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় এবার এ আসনটিতে নির্বাচন হতে পারে অনেকটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন বলে মনে করছেন ভোটাররা।

এ আসনটিতে গত (৩১ জুলাই) উপনির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রথমবারের মতো নৌকা প্রতীক নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাজ্জাদুল হাসান বিজয়ী হয়েছিলেন। স্থানীয় ভোটারদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে, এবারও তিনি আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী নৌকার কান্ডারী হিসাবে মনোনয়ন পেয়ে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী করবেন।

জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, নেত্রকোনা-১ (দুর্গাপুর-কলমাকান্দা) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোশতাক আহমেদ রুহী (নৌকা) প্রতীকের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস আরা ঝুমা (ট্রাক) প্রতীকের মধ্যে দ্বিমুখী লড়াই হবে বলে মনে করছেন ভোটাররা।

অন্যান্য প্রার্থীদরর মধ্যে রয়েছেন, জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী গোলাম রব্বানী (লাঙ্গল), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের প্রার্থী আহমদ শফী (ছড়ি)ও আফতাব উদ্দিন (ঈগল) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। (আসনটিতে ভোটার সংখ্যা ৪ লক্ষ ১৮ হাজার ১৮৯ জন)

নেত্রকোনা-২ (সদর-বারহাট্টা) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আশরাফ আলী খান খসরু (নৌকা) প্রতীকের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় (ঈগল) প্রতীকের মধ্যে দ্বিমুখী লড়াই হবে বলে মনে করছেন ভোটাররা।

অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন, জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী মোছা. রহিমা আক্তার আসমা সুলতানা (লাঙ্গল), ইসলামী ঐক্যজোট প্রার্থী মো. ইলিয়াস (মিনার), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) প্রার্থী এ বি এম রফিকুল হক তালুকদার (নোঙ্গর), বাংলাদেশ কংগ্রেস প্রার্থী আজহারুল ইসলাম খান (ডাব) ও সুব্রত চন্দ্র সরকার (ট্রাক) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। (আসনটিতে ভোট ভোটার সংখ্যা ৪ লক্ষ ৬৭ হাজার ৬ জন)

নেত্রকোনা-৩ (আটপাড়া-কেন্দুয়া) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী অসীম কুমার উকিল (নৌকা) প্রতীকের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য ইফতিখার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু (ট্রাক) এবং অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য মঞ্জুর কাদের কোরাইশী (ঈগল) প্রতীকের মধ্যে ত্রিমুখী লড়াই হবে বলে মনে করছেন ভোটাররা।

অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে জাতীয় পার্টির প্রার্থী জসীম উদ্দিন ভূঁঞা (লাঙ্গল), ইসলামী ঐক্যজোট প্রার্থী মো. এহ্তেশাম সারওয়ার (মিনার), তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী মিজানুর রহমান খান (সোনালী আশ) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। (আসনটিতে ভোটার সংখ্যা ৩ লক্ষ ৯৫ হাজার ২৯২ জন)

নেত্রকোনা-৪ (মোহনগঞ্জ-মদন-খালিয়াজুরী) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাজ্জাদুল হাসান (নৌকা), জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. লিয়াকত আলী খান (লাঙ্গল), তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী মো. আল মামুন (সোনালী আশ), জাসদের প্রার্থী মো. মুশফিকুর রহমান (মশাল) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ আসনটিতে কোন স্বতন্ত্র প্রার্থী না থাকায় নির্বাচন হতে পারে অনেকটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন বলে মনে করছেন ভোটাররা। (আসনটিতে ভোট ভোটার ৪ লক্ষ ৫১ হাজার ৫৮৬ জন ভোটার)

নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আহমদ হোসেন (নৌকা) প্রতীকের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আনোয়ার হোসেন (ঈগল) প্রতীকের মধ্যে দ্বিমুখী লড়াই হবে বলে মনে করছেন ভোটাররা।

অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন, জাতীয় পার্টির প্রার্থী ওয়াহিদুজ্জামান আজাদ (লাঙ্গল), তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী আব্দুল ওয়াহ্হাব হামিদি (সোনালী আশ) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। (আসনটিতে ভোট ভোটার ২ লক্ষ ৭২ হাজার ৩৩৩ জন ভোটার)

ভোটারদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী: নেত্রকোনা-১ (দুর্গাপুর-কলমাকান্দা) আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে মোশতাক আহমেদ রুহীর ব্যাপক জনপ্রিয়তা থাকলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীক নিয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস আরা ঝুমা শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস দিচ্ছেন।

নেত্রকোনা-২ (সদর-বারহাট্টা) আসনে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন বর্তমান এমপি ও সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু। জেলা সদরের এই আসনটি বরাবরই আওয়মী লীগের দখলে থাকে। কিন্তু এবার এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার লক্ষ্যে (ঈগল) প্রতীকে লড়ছেন সাবেক এমপি, যুব ও ক্রিড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়।

এছাড়া এবার বর্তমান সংসদ সদস্যের অনুসারী নন এমন কয়েকজন নেতাও জয়ের পক্ষে কাজ করছেন বলে জানা গেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে এই আসনে খসরু ও জয়ের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে মনে করছেন ভোটাররা।

নেত্রকোনা-৩ (আটপাড়া-কেন্দুয়া) আসনে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন বর্তমান এমপি ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল। তার সঙ্গে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার লক্ষ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ট্রাক প্রতীকে লড়ছেন সাবেক এমপি ইফতিকার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু ও ঈগল প্রতীকে লড়ছেন সাবেক এমপি মঞ্জুর কাদের কোরাইশী।

এই আসনে ত্রিমুখী লড়াই হবে বলে মনে করছেন ভোটাররা। ইতিমধ্যেই পিন্টু ও অসীমের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। নেত্রকোনা-৪ (মদন-মোহনগঞ্জ-খালিয়াজুরী) আসনে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন বর্তমান এমপি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব সাজ্জাদুল হাসান। এই আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র কোনো প্রার্থী নেই। তবে জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট লিয়াকত আলী খান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কিন্তু জেলাব্যাপী নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকায় আলোচনায় বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন সাজ্জাদুল হাসান। 

নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসনে নৌকার পেয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটি পাঁচবারের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন। তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে (ঈগল) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল (বীর প্রতীক) এর বড় ভাই জাসদ নেতা জাহাঙ্গীনরগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আনোয়ার হোসেন।

এছাড়াও অন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম সোহেল ফকির উচ্চ আদালত থেকে মনোনয়ন ফিরে পাওয়ায় বেশ চাঙ্গা হয়েছেন। এ আসনটিতেও নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর জয় খুব সহজ হবে না বলে মনে করছেন স্থানীয় ভোটাররা।