কম ঘুমিয়েও প্রাণবন্ত থাকার উপায়

#
news image

সুস্থ থাকার মূলমন্ত্র সুষম খাদ্যাভ্যাস এবং সাত-আট ঘণ্টা ঘুমানো। কাজের চাপে কয়জনেরই বা সুযোগ হয় এতটা সময় ঘুমানোর। অনেক ক্ষেত্রে তো অনেক কম ঘুমিয়েও কাজ সারতে হয়। তুলনামূলক কম ঘুমালে সারা দিন ঝিমঝিম ভাব, শরীর ছেড়ে দেওয়া, কাজে অমনোযোগ, চোখ ব্যথা, মাথা ব্যথা, মেজাজ খিটখিটে হওয়াসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়।

দীর্ঘদিন ঘুমের ঘাটতি থাকলে স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাই কম ঘুমানোকে নিয়ম বানিয়ে না ফেলাই ভালো। জেনে নিন মাঝেমধ্যে ঘুমের হেরফের হলে কিংবা কম ঘুমিয়ে কিভাবে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে থাকতে পারেন-  
রাতে ঘুম কম হলে কোনো কাজই সেদিন আর নিয়মমতো হয় না। তবে সকালে যদি ব্যায়াম বা হাঁটার অভ্যাস থাকে, তাহলে সেটি কোনোভাবেই বাদ দেবেন না।

যদি সে রকম অভ্যাস না থাকে, তাহলেও চেষ্টা করুন হালকা ব্যায়াম করতে। কেননা ব্যায়াম শরীরের তাপমাত্রা বাড়ায় এবং প্রয়োজনীয় হরমোন ও এন্ডরফিন রিলিজ করতে সাহায্য করে, যা আপনার শরীরের এনার্জি বৃদ্ধিতে সহায়ক। 
শীতের সময় না হলে ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করুন। আর শীতের সময়ে তুলনামূলক কম গরম পানি ব্যবহার করুন।
ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করলে মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ বেড়ে যায় এবং এর কর্মক্ষমতাও বাড়ে। 
ঘুম না হলে খেতেও ভালো লাগে না। কিন্তু এ অবস্থায় সকালের নাশতা সারুন ঠিকঠাক। চেষ্টা করুন পুষ্টিকর খাবার খেতে। মিষ্টিজাতীয় খাবার খাবেন না।

যতটা সম্ভব কম শর্করা খান। দুপুরের খাবারে রাখুন প্রোটিনসমৃদ্ধ ও লো ফ্যাট খাবার। প্রোটিন ব্রেনে এমিনো অ্যাসিড সরবরাহ করে, যা কাজের প্রতি মনোযোগ বাড়ায়।
ঘুম কাটাতে বারবার চা/কফি খাবেন না। এতে ঘুম কাঁটার পরিবর্তে আরো ক্লান্তি চেপে বসতে পারে। পরিবর্তে খেতে পারেন এক টুকরা ডার্ক চকোলেট। তবে যা-ই খান তা যেন অতিরিক্ত মিষ্টি না হয়। 
আগের রাতে ঘুম কম হলে অফিসে বা ক্লাসে যাওয়ার পথে ফাস্ট বিটের গান শুনুন। গানের গতি নার্ভ ওয়েভ বাড়ায়, যা নার্ভ সিস্টেমকে উদ্দীপিত করে।

একটানা চেয়ারে বসে না থেকে হাঁটাচলা করুন। কাজের ফাঁকে বন্ধু বা কলিগের সঙ্গে নিজেই গিয়ে দেখা করে আসুন। লিফট ব্যবহার না করে সিঁড়ি দিয়ে উঠুন।

দিনের শেষ ভাগে ক্লান্তি ভালোভাবে জেঁকে বসতে পারে। যদি খুব ক্লান্তি লাগে, তাহলে সাধারণ কিছু নিঃশ্বাসের ব্যায়াম করতে পারেন। লম্বা শ্বাস নিয়ে তিন সেকেন্ড ধরে রাখুন, তারপর আস্তে আস্তে ছেড়ে দিন। এতে মস্তিষ্কে অতিরিক্ত শক্তি তৈরি হবে।
চেষ্টা করুন উজ্জ্বল আলোতে কাজ করতে। দিনের শেষে অল্প হাঁটুন। এতে রাতে ঘুম ভালো হবে। সূত্র : ওয়েবএমডি

নাগরিক ডেস্ক

১৮ ডিসেম্বর, ২০২৩,  2:35 PM

news image

সুস্থ থাকার মূলমন্ত্র সুষম খাদ্যাভ্যাস এবং সাত-আট ঘণ্টা ঘুমানো। কাজের চাপে কয়জনেরই বা সুযোগ হয় এতটা সময় ঘুমানোর। অনেক ক্ষেত্রে তো অনেক কম ঘুমিয়েও কাজ সারতে হয়। তুলনামূলক কম ঘুমালে সারা দিন ঝিমঝিম ভাব, শরীর ছেড়ে দেওয়া, কাজে অমনোযোগ, চোখ ব্যথা, মাথা ব্যথা, মেজাজ খিটখিটে হওয়াসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়।

দীর্ঘদিন ঘুমের ঘাটতি থাকলে স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাই কম ঘুমানোকে নিয়ম বানিয়ে না ফেলাই ভালো। জেনে নিন মাঝেমধ্যে ঘুমের হেরফের হলে কিংবা কম ঘুমিয়ে কিভাবে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে থাকতে পারেন-  
রাতে ঘুম কম হলে কোনো কাজই সেদিন আর নিয়মমতো হয় না। তবে সকালে যদি ব্যায়াম বা হাঁটার অভ্যাস থাকে, তাহলে সেটি কোনোভাবেই বাদ দেবেন না।

যদি সে রকম অভ্যাস না থাকে, তাহলেও চেষ্টা করুন হালকা ব্যায়াম করতে। কেননা ব্যায়াম শরীরের তাপমাত্রা বাড়ায় এবং প্রয়োজনীয় হরমোন ও এন্ডরফিন রিলিজ করতে সাহায্য করে, যা আপনার শরীরের এনার্জি বৃদ্ধিতে সহায়ক। 
শীতের সময় না হলে ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করুন। আর শীতের সময়ে তুলনামূলক কম গরম পানি ব্যবহার করুন।
ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করলে মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ বেড়ে যায় এবং এর কর্মক্ষমতাও বাড়ে। 
ঘুম না হলে খেতেও ভালো লাগে না। কিন্তু এ অবস্থায় সকালের নাশতা সারুন ঠিকঠাক। চেষ্টা করুন পুষ্টিকর খাবার খেতে। মিষ্টিজাতীয় খাবার খাবেন না।

যতটা সম্ভব কম শর্করা খান। দুপুরের খাবারে রাখুন প্রোটিনসমৃদ্ধ ও লো ফ্যাট খাবার। প্রোটিন ব্রেনে এমিনো অ্যাসিড সরবরাহ করে, যা কাজের প্রতি মনোযোগ বাড়ায়।
ঘুম কাটাতে বারবার চা/কফি খাবেন না। এতে ঘুম কাঁটার পরিবর্তে আরো ক্লান্তি চেপে বসতে পারে। পরিবর্তে খেতে পারেন এক টুকরা ডার্ক চকোলেট। তবে যা-ই খান তা যেন অতিরিক্ত মিষ্টি না হয়। 
আগের রাতে ঘুম কম হলে অফিসে বা ক্লাসে যাওয়ার পথে ফাস্ট বিটের গান শুনুন। গানের গতি নার্ভ ওয়েভ বাড়ায়, যা নার্ভ সিস্টেমকে উদ্দীপিত করে।

একটানা চেয়ারে বসে না থেকে হাঁটাচলা করুন। কাজের ফাঁকে বন্ধু বা কলিগের সঙ্গে নিজেই গিয়ে দেখা করে আসুন। লিফট ব্যবহার না করে সিঁড়ি দিয়ে উঠুন।

দিনের শেষ ভাগে ক্লান্তি ভালোভাবে জেঁকে বসতে পারে। যদি খুব ক্লান্তি লাগে, তাহলে সাধারণ কিছু নিঃশ্বাসের ব্যায়াম করতে পারেন। লম্বা শ্বাস নিয়ে তিন সেকেন্ড ধরে রাখুন, তারপর আস্তে আস্তে ছেড়ে দিন। এতে মস্তিষ্কে অতিরিক্ত শক্তি তৈরি হবে।
চেষ্টা করুন উজ্জ্বল আলোতে কাজ করতে। দিনের শেষে অল্প হাঁটুন। এতে রাতে ঘুম ভালো হবে। সূত্র : ওয়েবএমডি