আমরা যেভাবে চলাচল করছি, হাসপাতালে রোগী বাড়তে সময় লাগবে না

#
news image

দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ আবারও বাড়তে শুরু করেছে। গত মাসেও যেখানে করোনা সংক্রমণের হার এক শতাংশের নিচে ছিল, সেটা বর্তমানে দুই শতাংশে উঠে এসেছে। এ অবস্থায় শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। 

মন্ত্রী বলেছেন, আমরা যেভাবে অসতর্ক হয়ে চলাচল করছি, হাসপাতালে রোগী বাড়তে সময় লাগবে না।

মন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ আমরা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছিলাম, কিন্তু দেশে এখন আবার করোনা বাড়ছে। গত একমাস দেশে সংক্রমণের হার ছিল দশমিক ৬ শতাংশ, এখন সেটা ২ শতাংশে উঠে গেছে। প্রতিদিন যেখানে দৈনিক ৩০ থেকে ৩৫ জন রোগীর করোনা শনাক্ত হতো, এখন সেটা বেড়ে হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ জন। আমরা আশঙ্কা করছি, আমাদের যদি এই মুহূর্তে পরীক্ষা বাড়ে, তাহলে সংক্রমণের সংখ্যাও আরও বেড়ে যাবে।  

জাহিদ মালেক বলেন, আমাদের জন্য একটা ভালো বিষয় হলো আমাদের সমস্ত হাসপাতালে এখন ২০ জনের বেশি রোগী নেই। কিন্তু আমরা যেভাবে অসতর্ক হয়ে চলাচল করছি, হাসপাতালে রোগী বাড়তেও সময় লাগবে না। তাই আমাদের স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে আরও সতর্ক হতে হবে। আপনারা সকলে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সকল কাজ করবেন, এটি আমরা আশা করবো। 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া সোমবারের তথ্য অনুযায়ী, দেশে আরও ১২৮ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকাতেই শনাক্ত হয়েছে ১১৪ জনের। এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫৪ হাজার ২৪৩ জনে। শনাক্তের হার ১ দশমিক ৯১ শতাংশ।  

মন্ত্রী বলেন, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে আমরা বুস্টার ডোজের ক্যাম্পেইন করেছি। আমরা এখন পর্যন্ত আড়াই কোটি মানুষকে বুস্টার ডোজ দিয়েছি। যারা বাকি আছেন, তারা দ্রুতই বুস্টার ডোজ নিয়ে নেবেন, সুরক্ষিত থাকবেন।

অনুষ্ঠানে মুজিব শতবর্ষে গবেষণার জন্য ১০ জন নারীকে গবেষণা অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে। তাদের প্রত্যেককেই সরকার ৩৫ লাখ টাকা করে দেবেন। অ্যাওয়ার্ড প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে। মেডিকেল কলেজগুলোতে শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই নারী। অ্যাওয়ার্ডের জন্য যারা আবেদন করেছেন তাদের ৭০ শতাংশই নারী।

তিনি আরও বলেন, মেয়েরা এখন কোনো ক্ষেত্রেই পিছিয়ে নেই। রাজনীতি, স্বাস্থ্য, খেলাধুলাতেও তারা ভালো করেছে। আশা করবো তারা আরও এগিয়ে আসবে।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, আইসিডিডিআর,বির নির্বাহী পরিচালক ডা. তাহমিদ আহমেদ, বিজ্ঞানী ড. ফেরদৌসী কাদরী প্রমুখ। 

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৪ জুন, ২০২২,  9:12 PM

news image

দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ আবারও বাড়তে শুরু করেছে। গত মাসেও যেখানে করোনা সংক্রমণের হার এক শতাংশের নিচে ছিল, সেটা বর্তমানে দুই শতাংশে উঠে এসেছে। এ অবস্থায় শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। 

মন্ত্রী বলেছেন, আমরা যেভাবে অসতর্ক হয়ে চলাচল করছি, হাসপাতালে রোগী বাড়তে সময় লাগবে না।

মন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ আমরা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছিলাম, কিন্তু দেশে এখন আবার করোনা বাড়ছে। গত একমাস দেশে সংক্রমণের হার ছিল দশমিক ৬ শতাংশ, এখন সেটা ২ শতাংশে উঠে গেছে। প্রতিদিন যেখানে দৈনিক ৩০ থেকে ৩৫ জন রোগীর করোনা শনাক্ত হতো, এখন সেটা বেড়ে হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ জন। আমরা আশঙ্কা করছি, আমাদের যদি এই মুহূর্তে পরীক্ষা বাড়ে, তাহলে সংক্রমণের সংখ্যাও আরও বেড়ে যাবে।  

জাহিদ মালেক বলেন, আমাদের জন্য একটা ভালো বিষয় হলো আমাদের সমস্ত হাসপাতালে এখন ২০ জনের বেশি রোগী নেই। কিন্তু আমরা যেভাবে অসতর্ক হয়ে চলাচল করছি, হাসপাতালে রোগী বাড়তেও সময় লাগবে না। তাই আমাদের স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে আরও সতর্ক হতে হবে। আপনারা সকলে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সকল কাজ করবেন, এটি আমরা আশা করবো। 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া সোমবারের তথ্য অনুযায়ী, দেশে আরও ১২৮ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকাতেই শনাক্ত হয়েছে ১১৪ জনের। এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫৪ হাজার ২৪৩ জনে। শনাক্তের হার ১ দশমিক ৯১ শতাংশ।  

মন্ত্রী বলেন, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে আমরা বুস্টার ডোজের ক্যাম্পেইন করেছি। আমরা এখন পর্যন্ত আড়াই কোটি মানুষকে বুস্টার ডোজ দিয়েছি। যারা বাকি আছেন, তারা দ্রুতই বুস্টার ডোজ নিয়ে নেবেন, সুরক্ষিত থাকবেন।

অনুষ্ঠানে মুজিব শতবর্ষে গবেষণার জন্য ১০ জন নারীকে গবেষণা অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে। তাদের প্রত্যেককেই সরকার ৩৫ লাখ টাকা করে দেবেন। অ্যাওয়ার্ড প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে। মেডিকেল কলেজগুলোতে শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই নারী। অ্যাওয়ার্ডের জন্য যারা আবেদন করেছেন তাদের ৭০ শতাংশই নারী।

তিনি আরও বলেন, মেয়েরা এখন কোনো ক্ষেত্রেই পিছিয়ে নেই। রাজনীতি, স্বাস্থ্য, খেলাধুলাতেও তারা ভালো করেছে। আশা করবো তারা আরও এগিয়ে আসবে।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, আইসিডিডিআর,বির নির্বাহী পরিচালক ডা. তাহমিদ আহমেদ, বিজ্ঞানী ড. ফেরদৌসী কাদরী প্রমুখ।