শিরোনামঃ
প্লাস্টিক-পলিথিনের ব্যবহার: নিজের ক্ষতির কথা নিজেদেরই ভাবতে হবে সর্বোচ্চ দুর্নীতি পাসপোর্ট, বিআরটিএ এবং আইনশৃঙ্খলায়!  দক্ষিণ ভারতের জনপ্রিয় অভিনেত্রীর লাশ উদ্ধার  প্রথমবার হকির যুব বিশ্বকাপে বাংলাদেশ  বাংলাদেশে সন্ত্রাসী হামলার ঝুঁকি নিয়ে ভ্রমণ সতর্কতা যুক্তরাজ্যের প্রধান উপদেষ্টা কাল সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন হাইকমিশনে হামলা পূর্ব-পরিকল্পিত বলে ধারণা হয়: ফখরুল বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখবে: প্রণয় ভার্মা 'এক বিজয় করেছো, আরেক বিজয় আসবে’, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধান উপদেষ্টা প্রথমবার ট্র্যাভেল পাস নিয়ে সেন্ট মার্টিন গেলেন ৬৫৩ পর্যটক

নিঃসঙ্গতার কারণে অ্যাটাকের সম্ভাবনা বাড়ে

#
news image

নিঃসঙ্গতার কারণে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা বাড়তে পারে ৪০ শতাংশ। পাশাপাশি অকাল মৃত্যুর শঙ্কাও থাকে। এমনটাই জানিয়েছেন ফিনল্যান্ডের ‘ইউনিভার্সিটি অফ হেলসিঙ্কি’র গবেষকরা।

এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান এবং লোগোপেডিক্স’য়ের অধ্যাপক ও গবেষণার প্রধান ক্রিশ্চান হাকুলিনেন বলেন, “সামাজিক বা ব্যক্তিগত ভাবে যারা অন্যের সঙ্গ পায় তাদের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। অন্যদিকে সামাজিক ভাবে বিচ্ছিন্ন বা একাকী থাকা মানুষদের ক্ষেত্রে সেটা সম্ভব হয় না।”

গবেষণার জন্য তারা যুক্তরাজ্যের প্রায় ৪ লাখ ৮০ হাজার প্রাপ্তবয়স্কর সামাজিক জীবন, একাকিত্ব, চিকিৎসা সম্পর্কিত তথ্য, অভ্যাস ও জীবনযাপন পর্যালোচনা করেন। সাত বছরের এই গবেষণা থেকে জানা যায়, যাদের বন্ধুর সংখ্যা কম ও সামাজিক যোগাযোগ কম তাদের একাকিত্ব ও হৃদরোগের সম্ভাবনা ৪০ শতাংশ বেশি। এবং এটা অকাল মৃত্যুর সম্ভাবনা ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয়।

যে কারণে হয়
গবেষকদের মতে, যারা দীর্ঘ সময় একা থেকে অভ্যস্ত তাদের মধ্যে হৃদরোগ ও হতাশাগ্রস্ত হওয়ার তীব্র সম্ভাবনা থাকে।
হাকুলিনেন জোর দিয়ে বলেছেন যে, “যারা প্রাথমিকভাবে হৃদরোগে ভুগছেন তাদের মধ্যে যারা সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন এবং কম সামাজিক যোগাযোগ করেন তাদের মৃত্যু ঝুঁকি বেশি।”
যারা বিচ্ছিন্ন ও নিঃসঙ্গ তাদেরকে হৃদরোগ থেকে বাঁচাতে পরিবার ও বন্ধুদের সমর্থন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

অন্য বিষয় হল
একাকিত্ব বাড়ায় হতাশা। তাই যদি একলা অনুভব করেন এবং একঘেঁয়ে লাগে তাহলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
নিঃসঙ্গতা ভবিষ্যত জীবনে অনেক বেশি উদ্বিগ্ন ও চাপ সৃষ্টি করতে পারে যা দীর্ঘমেয়াদে শরীরের জন্য মোটেও ভালো নয়।
একাকী অনুভব খাদ্যাভ্যাসে প্রভাব ফেলে যেটার ছায়া পড়ে শরীরে। এই কারণে ‘জাঙ্ক ফুড’ ও মিষ্টি খাওয়ার প্রতি ঝোঁক বাড়ে। তাছাড়া শরীরচর্চা বা কাজ করার প্রতি আগ্রহ কমে যায়। 

যা করতে হবে
* পছন্দের মানুষদের সংস্পর্শে থাকুন। সম্পর্ক রক্ষা করতে অনেক কসরতের প্রয়োজন হয়। তবে শেষ পর্যন্ত এরাই আপনজনের ভূমিকা পালন করে।
* নিঃসঙ্গ অনুভব করলে অন্যান্যের সংস্পর্শে থাকার চেষ্টা করুন।
* অনেক বেশি মানুষের সঙ্গ পাওয়ার চেয়ে খুব ভালো কিছু মানুষের সঙ্গ পাওয়ার দিকে মনোযোগ দিন। অর্থাৎ সংখ্যা নয়, গুণের মূল্য দিন।

আসল কথা হল
মনে রাখবেন, মানুষ শারীরিক ও মানসিকভাবে দলবদ্ধ হয়ে থাকতে সৃষ্টি হয়েছে। একা থাকা মানে প্রকৃতির নিয়মের বাইরে গিয়ে চলা।

নাগরিক ডেস্ক

১২ ডিসেম্বর, ২০২৩,  10:36 PM

news image

নিঃসঙ্গতার কারণে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা বাড়তে পারে ৪০ শতাংশ। পাশাপাশি অকাল মৃত্যুর শঙ্কাও থাকে। এমনটাই জানিয়েছেন ফিনল্যান্ডের ‘ইউনিভার্সিটি অফ হেলসিঙ্কি’র গবেষকরা।

এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান এবং লোগোপেডিক্স’য়ের অধ্যাপক ও গবেষণার প্রধান ক্রিশ্চান হাকুলিনেন বলেন, “সামাজিক বা ব্যক্তিগত ভাবে যারা অন্যের সঙ্গ পায় তাদের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। অন্যদিকে সামাজিক ভাবে বিচ্ছিন্ন বা একাকী থাকা মানুষদের ক্ষেত্রে সেটা সম্ভব হয় না।”

গবেষণার জন্য তারা যুক্তরাজ্যের প্রায় ৪ লাখ ৮০ হাজার প্রাপ্তবয়স্কর সামাজিক জীবন, একাকিত্ব, চিকিৎসা সম্পর্কিত তথ্য, অভ্যাস ও জীবনযাপন পর্যালোচনা করেন। সাত বছরের এই গবেষণা থেকে জানা যায়, যাদের বন্ধুর সংখ্যা কম ও সামাজিক যোগাযোগ কম তাদের একাকিত্ব ও হৃদরোগের সম্ভাবনা ৪০ শতাংশ বেশি। এবং এটা অকাল মৃত্যুর সম্ভাবনা ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয়।

যে কারণে হয়
গবেষকদের মতে, যারা দীর্ঘ সময় একা থেকে অভ্যস্ত তাদের মধ্যে হৃদরোগ ও হতাশাগ্রস্ত হওয়ার তীব্র সম্ভাবনা থাকে।
হাকুলিনেন জোর দিয়ে বলেছেন যে, “যারা প্রাথমিকভাবে হৃদরোগে ভুগছেন তাদের মধ্যে যারা সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন এবং কম সামাজিক যোগাযোগ করেন তাদের মৃত্যু ঝুঁকি বেশি।”
যারা বিচ্ছিন্ন ও নিঃসঙ্গ তাদেরকে হৃদরোগ থেকে বাঁচাতে পরিবার ও বন্ধুদের সমর্থন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

অন্য বিষয় হল
একাকিত্ব বাড়ায় হতাশা। তাই যদি একলা অনুভব করেন এবং একঘেঁয়ে লাগে তাহলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
নিঃসঙ্গতা ভবিষ্যত জীবনে অনেক বেশি উদ্বিগ্ন ও চাপ সৃষ্টি করতে পারে যা দীর্ঘমেয়াদে শরীরের জন্য মোটেও ভালো নয়।
একাকী অনুভব খাদ্যাভ্যাসে প্রভাব ফেলে যেটার ছায়া পড়ে শরীরে। এই কারণে ‘জাঙ্ক ফুড’ ও মিষ্টি খাওয়ার প্রতি ঝোঁক বাড়ে। তাছাড়া শরীরচর্চা বা কাজ করার প্রতি আগ্রহ কমে যায়। 

যা করতে হবে
* পছন্দের মানুষদের সংস্পর্শে থাকুন। সম্পর্ক রক্ষা করতে অনেক কসরতের প্রয়োজন হয়। তবে শেষ পর্যন্ত এরাই আপনজনের ভূমিকা পালন করে।
* নিঃসঙ্গ অনুভব করলে অন্যান্যের সংস্পর্শে থাকার চেষ্টা করুন।
* অনেক বেশি মানুষের সঙ্গ পাওয়ার চেয়ে খুব ভালো কিছু মানুষের সঙ্গ পাওয়ার দিকে মনোযোগ দিন। অর্থাৎ সংখ্যা নয়, গুণের মূল্য দিন।

আসল কথা হল
মনে রাখবেন, মানুষ শারীরিক ও মানসিকভাবে দলবদ্ধ হয়ে থাকতে সৃষ্টি হয়েছে। একা থাকা মানে প্রকৃতির নিয়মের বাইরে গিয়ে চলা।