দৃষ্টিশক্তি কমে চোখের ছানিতে

#
news image

ক্যাটারাক্ট বা ছানি এমন একটি অসুখ, সেখানে আমাদের লেন্সার ঘোলা হয়ে ওঠে, ফলে স্বাভাবিক দৃষ্টি বাধাপ্রাপ্ত হয়, যার কারণে ছানি আক্রান্ত ব্যক্তির দৃষ্টিশক্তি কমে আসে। এই দৃষ্টি লোপ পাওয়াকে চোখের ছানি পড়া বলা হয়।
কারণ
ছানি সাধারণত বয়স্কদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, কিন্তু জন্মগত কারণে অনেকের এই সমস্যা হতে পারে। এ ছাড়া ডায়াবেটিস, দীর্ঘদিন ধরে স্টেরয়েড ব্যবহার ইত্যাদি কিছু রোগের প্রভাবের কারণে ছানি পড়তে পারে।
লক্ষণ
-    আবছা এবং ঘোলাটে দৃষ্টি
-    রাতে দেখতে অসুবিধা হওয়া
-    পরিষ্কারভাবে পড়া ও দেখার জন্য বড় হরফের লেখা ও বেশি মাত্রার আলোর প্রয়োজন
-    রঙিন জিনিসে উজ্জ্বলতা প্রত্যক্ষ না করতে পারা
-    সূর্যের আলো ও তার তীব্রতার অসুবিধা হওয়া
-    একই জিনিস একসঙ্গে দুটি দেখা বা ডবল ভিশন
-    চশমা নম্বর ঘন ঘন কাটবে
-    ছানির লক্ষণগুলো অনেক সময় প্রাথমিক অবস্থায় ধরা যায় না।
ছানি প্রতিরোধে
বয়সজনিত যে ছানি হয় তা প্রতিরোধ্য নয়, তবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, জন্মগত প্রতিরোধে নিয়মিত পরীক্ষা, বাচ্চাদের নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করানো, চোখের কোনো দৃষ্টি অসুবিধা হলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা, ধূমপান থেকে বিরত থাকা ও বাচ্চাদের পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানোর বিষয়ে সচেতনতার মাধ্যমে এড়াতে পারি।
ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চশমার ব্যবহার করেও যদি সুরাহা না হয়, তাহলে ছানি থেকে মুক্তি পাওয়া ও দৃষ্টিশক্তি বাড়ানোর জন্য অস্ত্রোপচার করানো প্রয়োজন। ছানি চিকিৎসা এখন যেভাবে উন্নত হয়েছে তাতে অপারেশন তাড়াতাড়ি হয়ে যায়। চোখে ছানি পড়া লেন্স বদলে কৃত্রিম লেন্স বসিয়ে দেওয়া হয় এবং পরবর্তী সময়ে সেটাই চোখে স্বাভাবিক লেন্সের কাজ করে। যে কৃত্রিম লেন্স বসানো হয়, দৃষ্টিশক্তি ঠিক করার জন্য তা চশমার প্রয়োজনও অনেকটা দূর করে। ছানি বা ক্যাটারাক্ট অপারেশনের পর চোখের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

প্রভাতী খবর ডেস্ক

১৩ জুন, ২০২২,  11:05 PM

news image

ক্যাটারাক্ট বা ছানি এমন একটি অসুখ, সেখানে আমাদের লেন্সার ঘোলা হয়ে ওঠে, ফলে স্বাভাবিক দৃষ্টি বাধাপ্রাপ্ত হয়, যার কারণে ছানি আক্রান্ত ব্যক্তির দৃষ্টিশক্তি কমে আসে। এই দৃষ্টি লোপ পাওয়াকে চোখের ছানি পড়া বলা হয়।
কারণ
ছানি সাধারণত বয়স্কদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, কিন্তু জন্মগত কারণে অনেকের এই সমস্যা হতে পারে। এ ছাড়া ডায়াবেটিস, দীর্ঘদিন ধরে স্টেরয়েড ব্যবহার ইত্যাদি কিছু রোগের প্রভাবের কারণে ছানি পড়তে পারে।
লক্ষণ
-    আবছা এবং ঘোলাটে দৃষ্টি
-    রাতে দেখতে অসুবিধা হওয়া
-    পরিষ্কারভাবে পড়া ও দেখার জন্য বড় হরফের লেখা ও বেশি মাত্রার আলোর প্রয়োজন
-    রঙিন জিনিসে উজ্জ্বলতা প্রত্যক্ষ না করতে পারা
-    সূর্যের আলো ও তার তীব্রতার অসুবিধা হওয়া
-    একই জিনিস একসঙ্গে দুটি দেখা বা ডবল ভিশন
-    চশমা নম্বর ঘন ঘন কাটবে
-    ছানির লক্ষণগুলো অনেক সময় প্রাথমিক অবস্থায় ধরা যায় না।
ছানি প্রতিরোধে
বয়সজনিত যে ছানি হয় তা প্রতিরোধ্য নয়, তবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, জন্মগত প্রতিরোধে নিয়মিত পরীক্ষা, বাচ্চাদের নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করানো, চোখের কোনো দৃষ্টি অসুবিধা হলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা, ধূমপান থেকে বিরত থাকা ও বাচ্চাদের পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানোর বিষয়ে সচেতনতার মাধ্যমে এড়াতে পারি।
ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চশমার ব্যবহার করেও যদি সুরাহা না হয়, তাহলে ছানি থেকে মুক্তি পাওয়া ও দৃষ্টিশক্তি বাড়ানোর জন্য অস্ত্রোপচার করানো প্রয়োজন। ছানি চিকিৎসা এখন যেভাবে উন্নত হয়েছে তাতে অপারেশন তাড়াতাড়ি হয়ে যায়। চোখে ছানি পড়া লেন্স বদলে কৃত্রিম লেন্স বসিয়ে দেওয়া হয় এবং পরবর্তী সময়ে সেটাই চোখে স্বাভাবিক লেন্সের কাজ করে। যে কৃত্রিম লেন্স বসানো হয়, দৃষ্টিশক্তি ঠিক করার জন্য তা চশমার প্রয়োজনও অনেকটা দূর করে। ছানি বা ক্যাটারাক্ট অপারেশনের পর চোখের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।