অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের বিষয়ে এডিটরস গিল্ডের আলোচনা

#
news image

সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদত হোসেন চৌধুরী বলেছেন, নির্বাচন বর্জনের সংস্কৃতি শুরু হয়েছে ২০১৩-১৪ সালে। তারপরও যখন আমরা কমিশনে ছিলাম তখনও বর্জন ছিল। স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও বর্জন, যেখানে ক্ষমতার পরিবর্তন হবে না। তিনি বলেন, একটা দল বর্জন করলে নির্বাচনের মাঠে অসমতা তৈরি হয়। তখন আরেকটা দলের জেতার সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়।

শনিবার রাজধানীর বনানীর ঢাকা গ্যালারিতে এডিটরস গিল্ড আয়োজিত ‘অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পথে দেশ?’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি। এডিটরস গিল্ডের সভাপতি মোজাম্মেল বাবু গোলটেবিল আলোচনা সঞ্চালনা করেন। সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদত হোসেন চৌধুরী বলেন, যে দল বর্জন করে তাদের সঙ্গে ভোটারদের সংযোগ নষ্ট হয়ে যায়। নির্বাচন একটা ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে ভোটারদের সঙ্গে দলের একটা সংযোগ স্থাপন হয়। সেই জায়গায় টানা ১৫ বছর যখন একই পথে চলবেন, তখন নির্বাচনের প্রতি মানুষের যে অনীহা, সেটা নষ্ট হবে। তিনি বলেন, সরকারের প্রতি যত দোষারোপ সেটি নির্বাচনের সময় হয়।

নির্বাচনের দিনটিই কি সব? ১৯৯১ সালের সংসদ নির্বাচনের পর সংসদ কি পাঁচ বছর পর্যন্ত স্থায়ী ছিল? ছিল না। নির্বাচনের পর তো সংসদ চলমান থাকার একটা বিষয় থাকে। ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারির নির্বাচন সম্পর্কে আমরা জানি, আবার একই বছরের জুনে যেটা হয়েছে, সেটাও আমরা জানি। সেখানেও কিন্তু আমরা দেখেছি- একটা দল অংশগ্রহণই করেনি। ২০০১ সালে একটা নির্বাচন হলো, ক্ষমতা হস্তান্তর হলো, তারপরে কী হলো? সেই সংঘাতময় পরিস্থিতি। ২০০৮ সালের নির্বাচন, আমার দেখা সবচেয়ে ভালো নির্বাচন। সে সময় ছবিসহ একটা ভোটার তালিকা হয়েছে, যেটা নিয়ে কারও আপত্তি ছিল না।

ভোটারদের অংশগ্রহণ ছিল ৮০ শতাংশের বেশি। ভোটের ফলাফলের পর একটা দল বলেছে- প্রত্যেক কেন্দ্রে কারচুপি হয়েছে। সেখানে তারা বলছে, আমরা আর কোনো স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো না। তারপরও কিন্তু আবার করেছে। দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের ইমেরিটাস সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হচ্ছে দুটি প্রধান ধারায়। এটা কিন্তু পরস্পরকে একদম পদচ্যুত করার জন্য। যারা নাকি ভালো নির্বাচনের কথা, সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণের কথা বলছে। তারা আসলে এই কথার অর্থ দিচ্ছেন- শেখ হাসিনা পুনরায় নির্বাচিত হতে পারবেন না।

শেখ হাসিনার পদচ্যুত হতে হবে এবং পুনরায় নির্বাচিত হতে পারবেন না। কারণ কী? যদি গণতন্ত্র লক্ষ্য হয়, সেক্ষেত্রে বিএনপির বারবার নির্বাচনে এসে প্রমাণ করার কথা। তাদের বলার কথা যে, ভোট ঠিক হয়নি, যার কারণে বিরোধী দলে থাকতে হচ্ছে। গণতন্ত্রে তো এটি অবৈধ, লজ্জাজনক কিংবা নিন্দনীয় কিছু না। বরং বিরোধী দলের ভূমিকাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয় ক্ষমতাসীন দলকে জবাবদিহি করার জন্য। বঙ্গবন্ধু বিরোধী রাজনীতি করে সাড়ে ১৩ বছর জেল খাটলেন, আর ক্ষমতায় ছিলেন সাড়ে ৮ মাস।

সুতরাং, বুঝতে হবে যে, রাজনীতি গণতন্ত্রের প্রতি তাদের যে অবচিল আস্থার কথা বলে বিরোধী দল, সেটি হচ্ছে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য, তাদেরকে ক্ষমতায় নিতে হবে। বিএনপি নির্বাচনে আসলে খারাপ কী হতে পারে? বড়জোর ক্ষমতায় যেতে পারবে না, এর চেয়ে খারাপ কিছু তো হওয়ার নাই। বিরোধী দল হিসেবে সংসদে থাকবে। তারা এই কথাতেই আলোচনায় আসে না। আমি হয় ক্ষমতায় যাবো, অথবা বিরোধী দলে থাকবো, এই পছন্দের মধ্যেই বিরোধী দল নেই। সিনিয়র সাংবাদিক মাসুদ কামাল বলেন, আমাদের এখানে যে নির্বাচন পদ্ধতি চালু আছে, নির্বাচনগুলোর নিয়মকানুন খুব ভালো।

কিন্তু প্রায়োগিক ক্ষেত্রে আমরা কী দেখেছি? আমাদের এই ভূখণ্ডে প্রায়োগিক ক্ষেত্রে সেরা চারটি নির্বাচন হয়েছে দলীয় সরকার ছাড়া। আমার কাছে ১৯৯১ সাল থেকে ২০০৭ পর্যন্ত চারটি নির্বাচন সেরা মনে হয়েছে। আমি এই ধরনের নির্বাচন চাই। আমি আরও মানুষের সঙ্গে আলাপ করেছি, তারাও এমন নির্বাচন চায়। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, আমরা যদি বিভিন্ন পেশার দিকে তাকাই, সেখানে ভাগ হয়ে গেছে। এমনকি চলচ্চিত্র শিল্পে দুটো ভাগ আছে, যেটা হওয়ার কথা না। মিডিয়া, অ্যাকাডেমিক ক্ষেত্রেও দুটো সাইড আছে।

এই যে সুশীল সমাজ আছে- সেখানেও দুই ভাগ আছে। আস্থার জায়গা তো শূন্য পুরাই। তিনি আরও বলেন, হেনরি কিসিঞ্জারের মৃত্যুর পর এবার হয়তো যুক্তরাষ্ট্র ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যার স্বীকৃতি দেবে। এতদিন না করার পেছনে কিসিঞ্জার জড়িত ছিল। এটা নিয়ে এখন যারা কাজ করছে, তারা যেন আর বড় আকারে কাজ শুরু করে। আস্থা বাড়ানোর যে জায়গা, সেখানে কিন্তু কেউ কাজ করছে না। গোলটেবিল বৈঠকের আলোচনায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, ২৮ অক্টোবর ৩২ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন বিএনপি’র মহাসমাবেশ কাভার করতে গিয়ে।

এর মধ্যে ২৮ জনকে হাসপাতালে নিতে হয়েছিল। এই তালিকা আমাদের কাছে আছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় সাংবাদিকদের আন্তর্জাতিক সংগঠন সিপিজে, আর্টিকেল ১৯ এ নিয়ে কোনো বিবৃতি দেয়নি। ৭ অক্টোবর থেকে শনিবার পর্যন্ত ফিলিস্তিনের গাজায় নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা ৫৮ জন, নিখোঁজ আছেন ৭ জন। আলজাজিরার প্রতিনিধি যিনি- তার পরিবারের ১৯ জন সদস্য মারা গেছেন, একটা বিবৃতি নেই। এনটিভি’র বার্তা প্রধান জহিরুল আলম বলেন, গণতন্ত্রে সবসময় জোর যার মুল্লুক তার, এমনটা হওয়া উচিত না। সেখানে কিছু মূল্যবোধ থাকবে, কিছু চর্চা থাকবে, কিছু নিয়ম ও সংস্কৃতি থাকবে।

এখানে বিএনপি কিংবা আওয়ামী লীগ না, এখানে বলা হয়- যদি পারেন জিতেন! এখানে কি সবকিছু জোর করে নিয়ে যাওয়া যায়? বিএনপি যদি চায়ও ইতিবাচকভাবে এগিয়ে আসার, তাহলে কি সেটা হতে দেওয়া হচ্ছে? এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আসলেই আমরা অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনে আনতে চাচ্ছি কিনা। আলোচনায় আরও অংশ নেন বিজিএমইএ’র পরিচালক ফয়সাল সামাদ এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক ফারুখ ফয়সাল।

নাগরিক ডেস্ক

০৩ ডিসেম্বর, ২০২৩,  12:25 AM

news image

সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদত হোসেন চৌধুরী বলেছেন, নির্বাচন বর্জনের সংস্কৃতি শুরু হয়েছে ২০১৩-১৪ সালে। তারপরও যখন আমরা কমিশনে ছিলাম তখনও বর্জন ছিল। স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও বর্জন, যেখানে ক্ষমতার পরিবর্তন হবে না। তিনি বলেন, একটা দল বর্জন করলে নির্বাচনের মাঠে অসমতা তৈরি হয়। তখন আরেকটা দলের জেতার সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়।

শনিবার রাজধানীর বনানীর ঢাকা গ্যালারিতে এডিটরস গিল্ড আয়োজিত ‘অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পথে দেশ?’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি। এডিটরস গিল্ডের সভাপতি মোজাম্মেল বাবু গোলটেবিল আলোচনা সঞ্চালনা করেন। সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদত হোসেন চৌধুরী বলেন, যে দল বর্জন করে তাদের সঙ্গে ভোটারদের সংযোগ নষ্ট হয়ে যায়। নির্বাচন একটা ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে ভোটারদের সঙ্গে দলের একটা সংযোগ স্থাপন হয়। সেই জায়গায় টানা ১৫ বছর যখন একই পথে চলবেন, তখন নির্বাচনের প্রতি মানুষের যে অনীহা, সেটা নষ্ট হবে। তিনি বলেন, সরকারের প্রতি যত দোষারোপ সেটি নির্বাচনের সময় হয়।

নির্বাচনের দিনটিই কি সব? ১৯৯১ সালের সংসদ নির্বাচনের পর সংসদ কি পাঁচ বছর পর্যন্ত স্থায়ী ছিল? ছিল না। নির্বাচনের পর তো সংসদ চলমান থাকার একটা বিষয় থাকে। ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারির নির্বাচন সম্পর্কে আমরা জানি, আবার একই বছরের জুনে যেটা হয়েছে, সেটাও আমরা জানি। সেখানেও কিন্তু আমরা দেখেছি- একটা দল অংশগ্রহণই করেনি। ২০০১ সালে একটা নির্বাচন হলো, ক্ষমতা হস্তান্তর হলো, তারপরে কী হলো? সেই সংঘাতময় পরিস্থিতি। ২০০৮ সালের নির্বাচন, আমার দেখা সবচেয়ে ভালো নির্বাচন। সে সময় ছবিসহ একটা ভোটার তালিকা হয়েছে, যেটা নিয়ে কারও আপত্তি ছিল না।

ভোটারদের অংশগ্রহণ ছিল ৮০ শতাংশের বেশি। ভোটের ফলাফলের পর একটা দল বলেছে- প্রত্যেক কেন্দ্রে কারচুপি হয়েছে। সেখানে তারা বলছে, আমরা আর কোনো স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো না। তারপরও কিন্তু আবার করেছে। দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের ইমেরিটাস সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হচ্ছে দুটি প্রধান ধারায়। এটা কিন্তু পরস্পরকে একদম পদচ্যুত করার জন্য। যারা নাকি ভালো নির্বাচনের কথা, সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণের কথা বলছে। তারা আসলে এই কথার অর্থ দিচ্ছেন- শেখ হাসিনা পুনরায় নির্বাচিত হতে পারবেন না।

শেখ হাসিনার পদচ্যুত হতে হবে এবং পুনরায় নির্বাচিত হতে পারবেন না। কারণ কী? যদি গণতন্ত্র লক্ষ্য হয়, সেক্ষেত্রে বিএনপির বারবার নির্বাচনে এসে প্রমাণ করার কথা। তাদের বলার কথা যে, ভোট ঠিক হয়নি, যার কারণে বিরোধী দলে থাকতে হচ্ছে। গণতন্ত্রে তো এটি অবৈধ, লজ্জাজনক কিংবা নিন্দনীয় কিছু না। বরং বিরোধী দলের ভূমিকাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয় ক্ষমতাসীন দলকে জবাবদিহি করার জন্য। বঙ্গবন্ধু বিরোধী রাজনীতি করে সাড়ে ১৩ বছর জেল খাটলেন, আর ক্ষমতায় ছিলেন সাড়ে ৮ মাস।

সুতরাং, বুঝতে হবে যে, রাজনীতি গণতন্ত্রের প্রতি তাদের যে অবচিল আস্থার কথা বলে বিরোধী দল, সেটি হচ্ছে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য, তাদেরকে ক্ষমতায় নিতে হবে। বিএনপি নির্বাচনে আসলে খারাপ কী হতে পারে? বড়জোর ক্ষমতায় যেতে পারবে না, এর চেয়ে খারাপ কিছু তো হওয়ার নাই। বিরোধী দল হিসেবে সংসদে থাকবে। তারা এই কথাতেই আলোচনায় আসে না। আমি হয় ক্ষমতায় যাবো, অথবা বিরোধী দলে থাকবো, এই পছন্দের মধ্যেই বিরোধী দল নেই। সিনিয়র সাংবাদিক মাসুদ কামাল বলেন, আমাদের এখানে যে নির্বাচন পদ্ধতি চালু আছে, নির্বাচনগুলোর নিয়মকানুন খুব ভালো।

কিন্তু প্রায়োগিক ক্ষেত্রে আমরা কী দেখেছি? আমাদের এই ভূখণ্ডে প্রায়োগিক ক্ষেত্রে সেরা চারটি নির্বাচন হয়েছে দলীয় সরকার ছাড়া। আমার কাছে ১৯৯১ সাল থেকে ২০০৭ পর্যন্ত চারটি নির্বাচন সেরা মনে হয়েছে। আমি এই ধরনের নির্বাচন চাই। আমি আরও মানুষের সঙ্গে আলাপ করেছি, তারাও এমন নির্বাচন চায়। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, আমরা যদি বিভিন্ন পেশার দিকে তাকাই, সেখানে ভাগ হয়ে গেছে। এমনকি চলচ্চিত্র শিল্পে দুটো ভাগ আছে, যেটা হওয়ার কথা না। মিডিয়া, অ্যাকাডেমিক ক্ষেত্রেও দুটো সাইড আছে।

এই যে সুশীল সমাজ আছে- সেখানেও দুই ভাগ আছে। আস্থার জায়গা তো শূন্য পুরাই। তিনি আরও বলেন, হেনরি কিসিঞ্জারের মৃত্যুর পর এবার হয়তো যুক্তরাষ্ট্র ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যার স্বীকৃতি দেবে। এতদিন না করার পেছনে কিসিঞ্জার জড়িত ছিল। এটা নিয়ে এখন যারা কাজ করছে, তারা যেন আর বড় আকারে কাজ শুরু করে। আস্থা বাড়ানোর যে জায়গা, সেখানে কিন্তু কেউ কাজ করছে না। গোলটেবিল বৈঠকের আলোচনায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, ২৮ অক্টোবর ৩২ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন বিএনপি’র মহাসমাবেশ কাভার করতে গিয়ে।

এর মধ্যে ২৮ জনকে হাসপাতালে নিতে হয়েছিল। এই তালিকা আমাদের কাছে আছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় সাংবাদিকদের আন্তর্জাতিক সংগঠন সিপিজে, আর্টিকেল ১৯ এ নিয়ে কোনো বিবৃতি দেয়নি। ৭ অক্টোবর থেকে শনিবার পর্যন্ত ফিলিস্তিনের গাজায় নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা ৫৮ জন, নিখোঁজ আছেন ৭ জন। আলজাজিরার প্রতিনিধি যিনি- তার পরিবারের ১৯ জন সদস্য মারা গেছেন, একটা বিবৃতি নেই। এনটিভি’র বার্তা প্রধান জহিরুল আলম বলেন, গণতন্ত্রে সবসময় জোর যার মুল্লুক তার, এমনটা হওয়া উচিত না। সেখানে কিছু মূল্যবোধ থাকবে, কিছু চর্চা থাকবে, কিছু নিয়ম ও সংস্কৃতি থাকবে।

এখানে বিএনপি কিংবা আওয়ামী লীগ না, এখানে বলা হয়- যদি পারেন জিতেন! এখানে কি সবকিছু জোর করে নিয়ে যাওয়া যায়? বিএনপি যদি চায়ও ইতিবাচকভাবে এগিয়ে আসার, তাহলে কি সেটা হতে দেওয়া হচ্ছে? এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আসলেই আমরা অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনে আনতে চাচ্ছি কিনা। আলোচনায় আরও অংশ নেন বিজিএমইএ’র পরিচালক ফয়সাল সামাদ এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক ফারুখ ফয়সাল।