নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপ ট্রফির আরও কাছে ভারত

#
news image

মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়েতে ২০১১ সালে বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। সেই মাঠেই নকআউটের গেরো কাটিয়ে তৃতীয় ট্রফির আরও কাছে পৌঁছে গেলো তারা। বিরাট কোহলির রেকর্ড গড়া ম্যাচটা বল হাতে রাঙালেন মোহাম্মদ শামি। চলতি বিশ্বকাপে তৃতীয়বার পাঁচ উইকেট নিয়ে নিউজিল্যান্ডকে গুটিয়ে দিলেন ৩২৭ রানে। সেমিফাইনালে ৭০ রানে জিতে এক যুগ পর ফাইনালে ভারত।

হার্দিক পান্ডিয়ার চোটে এই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে লিগ পর্বে প্রথম বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলেন শামি। অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তন হয় তার, নেন ৫ উইকেট। সেমিফাইনালেও আগুন ঝরালেন, তাতে পুড়ে ভস্ম কিউইরা। যদিও ড্যারিল মিচেল ও কেন উইলিয়ামসন প্রায় দুইশ রানের জুটিতে স্বাগতিকদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত ভারতের রান পাহাড়ে উঠতে গিয়ে ডেথ ওভারে কুপোকাত নিউজিল্যান্ড। এনিয়ে বিশ্বকাপে রেকর্ড চতুর্থবার ফাইফারের কীর্তি গড়লেন মিচেল স্টার্ককে পেছনে ফেলে। এক বিশ্বকাপে তিনবার পাঁচ উইকেট নেওয়া প্রথম বোলার তিনি।

পাঁচ উইকেট নিয়েই ক্ষান্ত হননি শামি। ৪৯তম ওভারে শেষ দুই ব্যাটারকেও প্যাভিলিয়নের পথ দেখান। ৯.৫ ওভারে ৫৭ রান দিয়ে ৭ উইকেট নেন শামি। টানা ওভারে নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার ডেভন কনওয়ে ও রাচিন রবীন্দ্রকে ফিরিয়ে বড় আঘাত করেন ভারতীয় পেসার। দুজনেই ১৩ রান করে পেছনে লোকেশ রাহুলের ক্যাচ হন।

৩৯ রানে ২ উইকেট হারানো নিউজিল্যান্ড কিন্তু ভারতকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে দেয়নি। মিচেল ও উইলিয়ামসন তৃতীয় উইকেটে শক্ত হাতে হাল ধরেন। 

কিন্তু মাঝের ওভারে শামি ফিরে ভেঙে দেন তাদের প্রতিরোধ। ১৮১ রানের জুটি ভেঙে যায় উইলিয়ামসন ৬৯ রানে কুলদীপ যাদবকে ক্যাচ দিলে। ৭৩ বলের ইনিংসে ছিল ৮ চার ও ১ ছয়। টম ল্যাথামও একই ওভারে এলবিডব্লিউ হন, রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি।

এরপর গ্লেন ফিলিপসকে নিয়ে মিচেল লড়াই চালিয়ে যান। দুই প্রান্ত থেকে বল বুঝে বাউন্ডারি মেরে লক্ষ্য সামঞ্জস্য রাখেন তারা। ৪৩তম ওভারে তৃতীয় ছক্কা মারতে গিয়ে বাউন্ডারির সামনে রবীন্দ্র জাদেজার ক্যাচ হন ফিলিপস। ৩৩ বলে ৪১ রানে থামেন তিনি।

তারপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়েছে, আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি কিউইরা। ৪৬তম ওভারে শামি পঞ্চম শিকার বানান মিচেলকে। ১১৯ বলে ৯ চার ও ৭ ছয়ে ১৩৪ রান করে জাদেজার ক্যাচ হন তিনি।

৪৯তম ওভারে টিম সাউদি ও লকি ফার্গুসনকে রাহুলের ক্যাচ বানিয়ে নিউজিল্যান্ডের ইনিংসের ইতি টানেন শামি।

এর আগে কোহলি ৫০তম রেকর্ড সেঞ্চুরি করেন। তার ১১৭ রানের ঝলমলে ব্যাটিংয়ের পর শ্রেয়াস আইয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন ১০৫ রান করে। এছাড়া শুবমান গিলের ব্যাটে ৮০ রান আসে। 

আগামী রবিবার আহমেদবাদের ফাইনালে ভারত কার মুখোমুখি হবে তা নির্ধারণ হবে বৃহস্পতিবার। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা।

নাগরিক স্পোর্টস ডেস্ক

১৬ নভেম্বর, ২০২৩,  2:03 AM

news image

মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়েতে ২০১১ সালে বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। সেই মাঠেই নকআউটের গেরো কাটিয়ে তৃতীয় ট্রফির আরও কাছে পৌঁছে গেলো তারা। বিরাট কোহলির রেকর্ড গড়া ম্যাচটা বল হাতে রাঙালেন মোহাম্মদ শামি। চলতি বিশ্বকাপে তৃতীয়বার পাঁচ উইকেট নিয়ে নিউজিল্যান্ডকে গুটিয়ে দিলেন ৩২৭ রানে। সেমিফাইনালে ৭০ রানে জিতে এক যুগ পর ফাইনালে ভারত।

হার্দিক পান্ডিয়ার চোটে এই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে লিগ পর্বে প্রথম বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলেন শামি। অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তন হয় তার, নেন ৫ উইকেট। সেমিফাইনালেও আগুন ঝরালেন, তাতে পুড়ে ভস্ম কিউইরা। যদিও ড্যারিল মিচেল ও কেন উইলিয়ামসন প্রায় দুইশ রানের জুটিতে স্বাগতিকদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত ভারতের রান পাহাড়ে উঠতে গিয়ে ডেথ ওভারে কুপোকাত নিউজিল্যান্ড। এনিয়ে বিশ্বকাপে রেকর্ড চতুর্থবার ফাইফারের কীর্তি গড়লেন মিচেল স্টার্ককে পেছনে ফেলে। এক বিশ্বকাপে তিনবার পাঁচ উইকেট নেওয়া প্রথম বোলার তিনি।

পাঁচ উইকেট নিয়েই ক্ষান্ত হননি শামি। ৪৯তম ওভারে শেষ দুই ব্যাটারকেও প্যাভিলিয়নের পথ দেখান। ৯.৫ ওভারে ৫৭ রান দিয়ে ৭ উইকেট নেন শামি। টানা ওভারে নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার ডেভন কনওয়ে ও রাচিন রবীন্দ্রকে ফিরিয়ে বড় আঘাত করেন ভারতীয় পেসার। দুজনেই ১৩ রান করে পেছনে লোকেশ রাহুলের ক্যাচ হন।

৩৯ রানে ২ উইকেট হারানো নিউজিল্যান্ড কিন্তু ভারতকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে দেয়নি। মিচেল ও উইলিয়ামসন তৃতীয় উইকেটে শক্ত হাতে হাল ধরেন। 

কিন্তু মাঝের ওভারে শামি ফিরে ভেঙে দেন তাদের প্রতিরোধ। ১৮১ রানের জুটি ভেঙে যায় উইলিয়ামসন ৬৯ রানে কুলদীপ যাদবকে ক্যাচ দিলে। ৭৩ বলের ইনিংসে ছিল ৮ চার ও ১ ছয়। টম ল্যাথামও একই ওভারে এলবিডব্লিউ হন, রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি।

এরপর গ্লেন ফিলিপসকে নিয়ে মিচেল লড়াই চালিয়ে যান। দুই প্রান্ত থেকে বল বুঝে বাউন্ডারি মেরে লক্ষ্য সামঞ্জস্য রাখেন তারা। ৪৩তম ওভারে তৃতীয় ছক্কা মারতে গিয়ে বাউন্ডারির সামনে রবীন্দ্র জাদেজার ক্যাচ হন ফিলিপস। ৩৩ বলে ৪১ রানে থামেন তিনি।

তারপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়েছে, আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি কিউইরা। ৪৬তম ওভারে শামি পঞ্চম শিকার বানান মিচেলকে। ১১৯ বলে ৯ চার ও ৭ ছয়ে ১৩৪ রান করে জাদেজার ক্যাচ হন তিনি।

৪৯তম ওভারে টিম সাউদি ও লকি ফার্গুসনকে রাহুলের ক্যাচ বানিয়ে নিউজিল্যান্ডের ইনিংসের ইতি টানেন শামি।

এর আগে কোহলি ৫০তম রেকর্ড সেঞ্চুরি করেন। তার ১১৭ রানের ঝলমলে ব্যাটিংয়ের পর শ্রেয়াস আইয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন ১০৫ রান করে। এছাড়া শুবমান গিলের ব্যাটে ৮০ রান আসে। 

আগামী রবিবার আহমেদবাদের ফাইনালে ভারত কার মুখোমুখি হবে তা নির্ধারণ হবে বৃহস্পতিবার। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা।