বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এই যে নির্বাচনব্যবস্থা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেল, সংবিধান শেষ হয়ে গেল, এর জন্য দায়ী কিন্তু বিচার বিভাগের বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক।
তাঁর কারণে জাতি আজ ধ্বংসের দিকে। যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল হয়ে গেল, তখন খালেদা জিয়া সংবাদ সম্মেলন করে বলেছিলেন, এই জাতিকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেওয়া হলো। আজ সমস্ত মানুষ তাঁদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। আজ মানুষ তাঁদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারেন না।’
প্রতিটি উন্নয়নের ধারাবাহিকতা থাকে এবং এই পদ্মা সেতুর প্রথম ফিজিবিলিটি খালেদা জিয়া সরকারের আমলে শুরু হয়েছিল দাবি করে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘২০০৫ সালে জাপান সফরকালে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পদ্মা সেতুর ফান্ডিংয়ের (অর্থায়ন) ব্যাপারে তিনি (খালেদা জিয়া) কথা বলেছিলেন। পদ্মা সেতুর ভূমি অধিগ্রহণও খালেদা জিয়া সরকারের আমলে হয়েছিল। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের তারিখ নির্ধারিত হয়েছিল। তবে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে তিনি আর সেটা করতে পারেননি।’
এখন কেউ কথা বলতে সাহস পায় না মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রত্যেক মানুষ কথা বলতে ভয় পায়। একেই বলে সত্যিকারের ফ্যাসিজম। কিছুদিন আগেও অনেক শ্রদ্ধাভাজন মানুষ টক শোতে কথা বলতেন। পত্রিকায় লেখালেখি করতেন। এখন কিন্তু কেউ কথা বলছেন না। এখন জীবনের নিরাপত্তা নেই।’
পুলিশ কর্মকর্তাকে মারধরের মামলায় আইনজীবীদের রিমান্ডে নেওয়া প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘একজন আইনজীবীকে যদি রিমান্ডে যেতে হয়, তাহলে আমরা কোথায় যাব? কোথায় বিচার পাব? এটা কীভাবে সম্ভব? আওয়ামী লীগ বিচারব্যবস্থাকে এমন একটা পর্যায়ে নিয়ে গেছে যে, কোনো মানুষের বিচার পাওয়ার সুযোগ নেই।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান, বিএনপির আইন সম্পাদক কায়সার কামাল, বিএনপি নেতা মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সহআইন সম্পাদক সৈয়দ জয়নুল আবেদীন, ইকবাল হোসেন, আইনজীবী বোরহান উদ্দিন, আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী প্রমুখ।