সাত দাবিতে বিক্ষোভ ৭ কলেজ শিক্ষার্থীদের

#
news image

বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা কলেজের সামনে তারা মানববন্ধন করেন। পরে মিছিল নিয়ে সাত কলেজের সমন্বয়ক ইডেন কলেজের অধ্যক্ষ সুপ্রিয়া ভট্টাচার্যের কার্যালয়ে যান শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদল।

তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের হয়রানির কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে। যেসব শিক্ষার্থী পরবর্তী বর্ষের ক্লাস, ইনকোর্স ও টেস্ট পরীক্ষা পর্যন্ত অংশগ্রহণ করার পর জানতে পেরেছে নন-প্রমোটেড, তাদের মানোন্নয়ন পরীক্ষার মাধ্যমে পরবর্তী বর্ষের পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দিতে হবে। বিলম্বে ফলাফল প্রকাশের কারণ ও এই সমস্যা সমাধানে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তার ব্যাখ্যা দিতে হবে। সর্বোচ্চ তিন মাস (৯০ দিনের মধ্যে) ফলাফল প্রকাশ করতে হবে।

সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অভিভাবক কে বা কারা, কোথায় তাদের সমস্যাসমূহ উপস্থাপন করবে তা ঠিক করে দিতে হবে। অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রণয়ন ও তার যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে, শিক্ষক সংকট, ক্লাসরুম সংকট নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সব বিষয়ে পাস করার পরও শিক্ষার্থীরা সিজিপিএ শর্তের জন্য নন-প্রমোটেড হচ্ছে। সিজিপিএ শর্ত শিথিল করতে হবে।

সাত কলেজের ছাত্র প্রতিনিধি শাহরিয়ার মাহমুদ বলেন, আমরা বার বার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়রানির শিকার হয়েছি, এজন্য দাবি জানাতে রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছি। ইডেন কলেজে আমাদের সমম্বয়ক সুপ্রিয়া ম্যামের সঙ্গে আমাদের প্রতিনিধি প্যানেলের দীর্ঘ সময় মিটিং হয়। তিনি আমাদের আশ্বস্ত। আমাদের সাত দফা দাবি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জানাবেন এবং আজই এই বিষয় নিয়ে আমাদের সাত কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে জরুরি মিটিং করবেন।

আগামী রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গৃহীত সিদ্ধান্ত আমাদের জানাবেন। আমাদের ছাত্রদের যৌক্তিক দাবি মেনে না নিলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে বড় ধরনের কর্মসূচির ডাক দেওয়া হবে।

২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হয় ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ। এই কলেজগুলোতে প্রায় দুই লাখ শিক্ষার্থী রয়েছেন।

নাগরিক প্রতিবেদক

২৫ মে, ২০২৩,  10:26 PM

news image

বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা কলেজের সামনে তারা মানববন্ধন করেন। পরে মিছিল নিয়ে সাত কলেজের সমন্বয়ক ইডেন কলেজের অধ্যক্ষ সুপ্রিয়া ভট্টাচার্যের কার্যালয়ে যান শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদল।

তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের হয়রানির কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে। যেসব শিক্ষার্থী পরবর্তী বর্ষের ক্লাস, ইনকোর্স ও টেস্ট পরীক্ষা পর্যন্ত অংশগ্রহণ করার পর জানতে পেরেছে নন-প্রমোটেড, তাদের মানোন্নয়ন পরীক্ষার মাধ্যমে পরবর্তী বর্ষের পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দিতে হবে। বিলম্বে ফলাফল প্রকাশের কারণ ও এই সমস্যা সমাধানে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তার ব্যাখ্যা দিতে হবে। সর্বোচ্চ তিন মাস (৯০ দিনের মধ্যে) ফলাফল প্রকাশ করতে হবে।

সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অভিভাবক কে বা কারা, কোথায় তাদের সমস্যাসমূহ উপস্থাপন করবে তা ঠিক করে দিতে হবে। অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রণয়ন ও তার যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে, শিক্ষক সংকট, ক্লাসরুম সংকট নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সব বিষয়ে পাস করার পরও শিক্ষার্থীরা সিজিপিএ শর্তের জন্য নন-প্রমোটেড হচ্ছে। সিজিপিএ শর্ত শিথিল করতে হবে।

সাত কলেজের ছাত্র প্রতিনিধি শাহরিয়ার মাহমুদ বলেন, আমরা বার বার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়রানির শিকার হয়েছি, এজন্য দাবি জানাতে রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছি। ইডেন কলেজে আমাদের সমম্বয়ক সুপ্রিয়া ম্যামের সঙ্গে আমাদের প্রতিনিধি প্যানেলের দীর্ঘ সময় মিটিং হয়। তিনি আমাদের আশ্বস্ত। আমাদের সাত দফা দাবি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জানাবেন এবং আজই এই বিষয় নিয়ে আমাদের সাত কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে জরুরি মিটিং করবেন।

আগামী রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গৃহীত সিদ্ধান্ত আমাদের জানাবেন। আমাদের ছাত্রদের যৌক্তিক দাবি মেনে না নিলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে বড় ধরনের কর্মসূচির ডাক দেওয়া হবে।

২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হয় ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ। এই কলেজগুলোতে প্রায় দুই লাখ শিক্ষার্থী রয়েছেন।