মির্জাগঞ্জে নৌকার প্রার্থীর সমর্থকদের উপর হামলা, আহত ১১
নিজস্ব প্রতিবেদক
২০ মে, ২০২৩, 11:15 PM
মির্জাগঞ্জে নৌকার প্রার্থীর সমর্থকদের উপর হামলা, আহত ১১
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার ৫নং কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের উপ-নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর সমার্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১১ জন আহত হয়েছে।
গত মঙ্গলবার (১৬ মে) দুপুর ১২-৪৫ টার দিকে গাবুয়া বাজার এলাকার জোড়া কালভার্ড নামক স্থানের কেরানী বড়ির সামনে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম ও বিদ্রোহী প্রার্থী সেলিম মিয়ার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ৯-১১ জন আহত হন। আহতদের মির্জাগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সএ ভর্তী করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো: স্বপন মিয়া গত ২১-০২-২০২৩ তারিখ মূত্যুবরন করলে এই ইউনিয়নে উপনির্বাচনের জন্য তফসিল দেয়া হয়। এতে ইউনিয়নের সাবেক(২০১৬-২০২১) চেয়ারম্যান মো: জাহাঙ্গীর আলম নৌকা প্রতিক নিয়ে আবারো নির্বাচনের প্রচারনা করেন। এই উপনির্বাচনে মোট ৭জন প্রর্থী মো: জাহাঙ্গীর আলম (নৌকা), মোঃ সেলিম মিয়া (ঘোড়া), মো: নুর মোহাম্মদ (হাত পাখা), মো: বাদশা খান (টেলিফোন), নুরুজ্জামান নিরু (মটর সাইকেল), কামাল হোসেন (আনারস), এবং মো: সেহেল (চশমা) প্রতিক নিয়ে প্রতিদন্দিতা করছেন।
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ভোট চাইতে একটি মোটরসাইকেল নিয়ে কেরানীবাড়ির সামনে গেলে বিদ্রোহী প্রার্থী সেলিম পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে প্রথমে আমার গাড়ি অবরোধ করে। আমার ড্রাইভারকে মারধর করে পরে আমাকেও মারধর করে। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন সেখানে আসে। তখন প্যানেল চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মাশকুর, কৃষকলীগের যুগ্ম আহবায়ক জিল্লুর এবং সেলিমের ভাইরা লাঠিসোটা, রামদা নিয়ে এসে আমার লোকজনের উপর হামলা চালায়। এ সময় আমার অন্তত ৮-১০জন কর্মী আহত হয়। তাদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে উজ্জ্বল মেম্বার এর মাথার চারা ভেঙ্গে যায় এবং আমার ছেলেরও মাথা ফেটে যায়। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করা হয়েছে এবং উজ্জ্বল মেম্বারের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, হামলাকারীদের মধ্যে ২-৩ জন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তারা জাতির বিবেক হয়ে কিভাবে সন্ত্রসী কার্ক্রম পরিচালনা করে? এটা আমার কাছে খুবই লজ্জা জনক।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বহিষ্কৃত সাবেক সাধারণ সম্পাদক সেলিম মিয়া মুঠোফোনে জানান, নৌকার প্রার্থীর সমার্থকরা প্রথমে আমার কর্মী আব্দুল খালেক, শাওন,বাসারকে পিটিয়ে আহত করে। পরে মারামারি হলে উভয় পক্ষেরই লোকজন আহত হয়। আমি ফোনের মাধ্যমে মির্জাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জকে জানিয়েছি।
মির্জাগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ুন কবির বলেন, ঐদিন ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এবিষয়ে ২০ জনের নাম সহ আরো ১০-১২ জন অঙ্গাত নামা করে থানায় মামলা হয়েছে এবং আমরা মামলার ৪নং আসামী সালাম মাস্টার কে গ্রেফতার করি। মামলার অন্য আসামিদের ধরতে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি।
নিজস্ব প্রতিবেদক
২০ মে, ২০২৩, 11:15 PM
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার ৫নং কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের উপ-নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর সমার্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১১ জন আহত হয়েছে।
গত মঙ্গলবার (১৬ মে) দুপুর ১২-৪৫ টার দিকে গাবুয়া বাজার এলাকার জোড়া কালভার্ড নামক স্থানের কেরানী বড়ির সামনে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম ও বিদ্রোহী প্রার্থী সেলিম মিয়ার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ৯-১১ জন আহত হন। আহতদের মির্জাগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সএ ভর্তী করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো: স্বপন মিয়া গত ২১-০২-২০২৩ তারিখ মূত্যুবরন করলে এই ইউনিয়নে উপনির্বাচনের জন্য তফসিল দেয়া হয়। এতে ইউনিয়নের সাবেক(২০১৬-২০২১) চেয়ারম্যান মো: জাহাঙ্গীর আলম নৌকা প্রতিক নিয়ে আবারো নির্বাচনের প্রচারনা করেন। এই উপনির্বাচনে মোট ৭জন প্রর্থী মো: জাহাঙ্গীর আলম (নৌকা), মোঃ সেলিম মিয়া (ঘোড়া), মো: নুর মোহাম্মদ (হাত পাখা), মো: বাদশা খান (টেলিফোন), নুরুজ্জামান নিরু (মটর সাইকেল), কামাল হোসেন (আনারস), এবং মো: সেহেল (চশমা) প্রতিক নিয়ে প্রতিদন্দিতা করছেন।
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ভোট চাইতে একটি মোটরসাইকেল নিয়ে কেরানীবাড়ির সামনে গেলে বিদ্রোহী প্রার্থী সেলিম পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে প্রথমে আমার গাড়ি অবরোধ করে। আমার ড্রাইভারকে মারধর করে পরে আমাকেও মারধর করে। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন সেখানে আসে। তখন প্যানেল চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মাশকুর, কৃষকলীগের যুগ্ম আহবায়ক জিল্লুর এবং সেলিমের ভাইরা লাঠিসোটা, রামদা নিয়ে এসে আমার লোকজনের উপর হামলা চালায়। এ সময় আমার অন্তত ৮-১০জন কর্মী আহত হয়। তাদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে উজ্জ্বল মেম্বার এর মাথার চারা ভেঙ্গে যায় এবং আমার ছেলেরও মাথা ফেটে যায়। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করা হয়েছে এবং উজ্জ্বল মেম্বারের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, হামলাকারীদের মধ্যে ২-৩ জন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তারা জাতির বিবেক হয়ে কিভাবে সন্ত্রসী কার্ক্রম পরিচালনা করে? এটা আমার কাছে খুবই লজ্জা জনক।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বহিষ্কৃত সাবেক সাধারণ সম্পাদক সেলিম মিয়া মুঠোফোনে জানান, নৌকার প্রার্থীর সমার্থকরা প্রথমে আমার কর্মী আব্দুল খালেক, শাওন,বাসারকে পিটিয়ে আহত করে। পরে মারামারি হলে উভয় পক্ষেরই লোকজন আহত হয়। আমি ফোনের মাধ্যমে মির্জাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জকে জানিয়েছি।
মির্জাগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ুন কবির বলেন, ঐদিন ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এবিষয়ে ২০ জনের নাম সহ আরো ১০-১২ জন অঙ্গাত নামা করে থানায় মামলা হয়েছে এবং আমরা মামলার ৪নং আসামী সালাম মাস্টার কে গ্রেফতার করি। মামলার অন্য আসামিদের ধরতে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি।