মোরেলগঞ্জে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্দে সংবাদ সম্মেলন

#
news image

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে বহরবুনিয়া এস বি আদর্শ বহুমুখি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. শহিদুল ইসলাম গাজীর বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা,  জালিয়াতিপূর্ণ রেজুলেশনের মাধ্যমে বিদ্যালয়ে মূল ফটকে ৪টি দোকানঘর নির্মানে বরাদ্ধ দেয়ার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এলাকার অভিভাবকবৃন্দ। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে বাগেরহাট-৪, আসনের সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক বরাবর পৃথক লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন । 

 শনিবার বেলা ১২টায় মোরেলগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে অভিভাবকদের পক্ষে লিখিত বক্তাব্য পাঠ করেন ওই বিদ্যালয়ের সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সদস্য সাবেক ইউপি সদস্য মো. আবুল বাশার খান।  

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, এস বি আদর্শ বহুমুখি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে মূল ফটকে একটি কুচক্রি মহল পাকা ইমারত করে ৪টি দোকান ঘর নির্মাণ করায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. শহিদুল ইসলাম গাজী নিজে বাদী হয়ে তৎকালিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে অফিসার নির্বাহী অফিসার কাজটি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে নির্বাহী অফিসার বদলী হওয়ার সুযোগে ওই মহলটি প্রধান শিক্ষককে ম্যানেজ করে রাতারাতি বিদ্যালয়ের সামনে দোকান ঘর নির্মাণ করে। এতে বিদ্যালয়ের ৯ম ও ১০ দু’টি শ্রেনী কক্ষের জানালা বন্ধ হয়ে অন্ধকারে ক্লাস করতে হচ্ছে। ফলে পাঠদানের পরিবেশও বিনষ্ট হচ্ছে ।

এদিকে সুচতুর প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম গত ২৬ ডিসেম্বর বিদ্যালয়ে ১০ জন শিক্ষকের স্বাক্ষরে একটি রেজুলেশন দেখিয়ে বিদ্যালয়ের সামনে নির্মাণাধীন দোকান ভাড়া ডিট, ২০২২ সালের প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যায়ের হিসাব, সহকারি শিক্ষকের পদ শূন্য ও একজন চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারীর চাকুরি স্থায়ী করন নিয়ে ৪টি বিষয়ে রেজুলেশনে উল্লেখ করে জেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে রেজুলেশনটি অনুমোদন করান। অথচ স্বাক্ষরিত রেজুলেশনের ৪টি এজেন্ডার মধ্যে ৩নং এজেন্ডা দোকান বরাদ্দ ও ৪নং ২০২২ সালের প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যায় চুড়ান্ত হিসাব সংক্রান্ত বিষয় ওই শিক্ষকরা কিছুই জানে না। কারন ওই রেজুলেশনে দোকান বরাদ্ধের বিষয় কোন সিন্ধান্ত ছিলনা। রেজুলেশনের খাতায় ৮জন শিক্ষকের স্বাক্ষরকৃত তারিখেও গড়মিল রয়েছে। রেজুলেশনের ৩ ও ৪ নং এজেন্ডাকে জালিয়াতী দাবি করে সহকারী শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর হোসেনসহ ৮ শিক্ষক বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। 

    সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত স্থানীয় অভিভাবক মজিবর রহমান, জাহিদুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, মো. রাকিব রায়হান, ফাতিউল ইসলাম রুম্মান, মো. আসাদ হাওলাদার, মো. নূরুল ইসলাম, মনির হাওলাদারসহ একাধিক অভিভাবক জানান, ২০১৮ সাল থেকে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে মামলা ও দ্ব›ন্দ্ব থাকায় বিদ্যালয়টি আজ ধংসের পথে। প্রধান শিক্ষকের খাময়েখালীপনা, স্বেচ্ছাচারিতা, নানাবিধ অনিয়ম ও তার জালিয়াতিপূর্ণ রেজুলেশন বাতিল করে বিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবশ ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।   
 
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. শহিদুল ইসলাম গাজী বলেন, এজেন্ডার ৪টি বিষয়েই রেজুলেশনে এসেছে। শিক্ষকরা দেখে বুঝেই স্বাক্ষর করেছেন। তার বিরুদ্ধে একটি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে। 

এ সর্ম্পকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিদ্যালয়ের সভাপতি এস.এম তারেক সুলতান বলেন, কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে দোকান ঘর নির্মাণ করে শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট করা যাবে না। অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

 

বিএম. মাহবুব, মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট)

২০ মে, ২০২৩,  7:40 PM

news image

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে বহরবুনিয়া এস বি আদর্শ বহুমুখি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. শহিদুল ইসলাম গাজীর বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা,  জালিয়াতিপূর্ণ রেজুলেশনের মাধ্যমে বিদ্যালয়ে মূল ফটকে ৪টি দোকানঘর নির্মানে বরাদ্ধ দেয়ার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এলাকার অভিভাবকবৃন্দ। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে বাগেরহাট-৪, আসনের সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক বরাবর পৃথক লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন । 

 শনিবার বেলা ১২টায় মোরেলগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে অভিভাবকদের পক্ষে লিখিত বক্তাব্য পাঠ করেন ওই বিদ্যালয়ের সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সদস্য সাবেক ইউপি সদস্য মো. আবুল বাশার খান।  

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, এস বি আদর্শ বহুমুখি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে মূল ফটকে একটি কুচক্রি মহল পাকা ইমারত করে ৪টি দোকান ঘর নির্মাণ করায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. শহিদুল ইসলাম গাজী নিজে বাদী হয়ে তৎকালিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে অফিসার নির্বাহী অফিসার কাজটি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে নির্বাহী অফিসার বদলী হওয়ার সুযোগে ওই মহলটি প্রধান শিক্ষককে ম্যানেজ করে রাতারাতি বিদ্যালয়ের সামনে দোকান ঘর নির্মাণ করে। এতে বিদ্যালয়ের ৯ম ও ১০ দু’টি শ্রেনী কক্ষের জানালা বন্ধ হয়ে অন্ধকারে ক্লাস করতে হচ্ছে। ফলে পাঠদানের পরিবেশও বিনষ্ট হচ্ছে ।

এদিকে সুচতুর প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম গত ২৬ ডিসেম্বর বিদ্যালয়ে ১০ জন শিক্ষকের স্বাক্ষরে একটি রেজুলেশন দেখিয়ে বিদ্যালয়ের সামনে নির্মাণাধীন দোকান ভাড়া ডিট, ২০২২ সালের প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যায়ের হিসাব, সহকারি শিক্ষকের পদ শূন্য ও একজন চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারীর চাকুরি স্থায়ী করন নিয়ে ৪টি বিষয়ে রেজুলেশনে উল্লেখ করে জেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে রেজুলেশনটি অনুমোদন করান। অথচ স্বাক্ষরিত রেজুলেশনের ৪টি এজেন্ডার মধ্যে ৩নং এজেন্ডা দোকান বরাদ্দ ও ৪নং ২০২২ সালের প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যায় চুড়ান্ত হিসাব সংক্রান্ত বিষয় ওই শিক্ষকরা কিছুই জানে না। কারন ওই রেজুলেশনে দোকান বরাদ্ধের বিষয় কোন সিন্ধান্ত ছিলনা। রেজুলেশনের খাতায় ৮জন শিক্ষকের স্বাক্ষরকৃত তারিখেও গড়মিল রয়েছে। রেজুলেশনের ৩ ও ৪ নং এজেন্ডাকে জালিয়াতী দাবি করে সহকারী শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর হোসেনসহ ৮ শিক্ষক বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। 

    সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত স্থানীয় অভিভাবক মজিবর রহমান, জাহিদুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, মো. রাকিব রায়হান, ফাতিউল ইসলাম রুম্মান, মো. আসাদ হাওলাদার, মো. নূরুল ইসলাম, মনির হাওলাদারসহ একাধিক অভিভাবক জানান, ২০১৮ সাল থেকে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে মামলা ও দ্ব›ন্দ্ব থাকায় বিদ্যালয়টি আজ ধংসের পথে। প্রধান শিক্ষকের খাময়েখালীপনা, স্বেচ্ছাচারিতা, নানাবিধ অনিয়ম ও তার জালিয়াতিপূর্ণ রেজুলেশন বাতিল করে বিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবশ ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।   
 
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. শহিদুল ইসলাম গাজী বলেন, এজেন্ডার ৪টি বিষয়েই রেজুলেশনে এসেছে। শিক্ষকরা দেখে বুঝেই স্বাক্ষর করেছেন। তার বিরুদ্ধে একটি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে। 

এ সর্ম্পকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিদ্যালয়ের সভাপতি এস.এম তারেক সুলতান বলেন, কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে দোকান ঘর নির্মাণ করে শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট করা যাবে না। অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।