জামালপুরে মিথ্যা হত্যা মামলা প্রত্যাহার ও জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন 

#
news image

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার ২নং বগারচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোহাম্মদ মোসাদ্দেকুর রহমান প্রামানিক মাসুমের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে জামালপুরের স্থানীয় একটি অফিসে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বগারচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোহাম্মদ মোসাদ্দেকুর রহমান প্রামানিক মাসুম। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান উল্লেখ করেন, স্থানীয় ভূমিদস্যু ও মামলাবাজ গাজী আমানুজ্জামান নিজ এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জন্য দুলাল হত্যা মামলায় মিথ্যা ভাবে ফাঁসিয়ে বগারচার ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রমকে বাঁধাগ্রস্থ করছে। সেই সাথে বগারচর ইউনিয়নের নিরীহ মানুষদের নামে মিথ্যা হত্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করার প্রতিবাদও জানান তিনি। এ সময় তিনি অহেতুক সাধারন মানুষের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী না করে দুলাল হত্যার সাথে জড়িত প্রকৃত আসামীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবী জানান। তাছাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাসুমসহ তার পরিবারের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবর বিশেষ আবেদন করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে একই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম লিচুর ছেলে জুবায়ের ইসলাম জুয়েসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ২৬ এপ্রিল বুধবার বগারচর ইউনিয়নের আলীরপাড়া মফিজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আমিনুল ইসলাম বিদ্যালয় থেকে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় আবু মিয়ার একটি ছাগলকে চাপা দিলে ছাগটি মারা যায়। এনিয়ে আবু মিয়া, আব্দুর রউফের ছেলে বাংগা মিয়া, মদ্দি মিয়ার ছেলে আকরাম হোসেন ও রাশেদুল ইসলামের সাথে বাকবিতন্ডা হয় ও শিক্ষক আমিনুল ইসলামকে অপমান করে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে আবুল কাশেম দুলাল ও তার লোকজন প্রতিবাদ করে।

পরের দিন বৃহস্পতিবার দুপুরে আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে আবুল কাশেম দুলাল তার কাজের জন্য নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়ার পথে আগের দিনের ঘটনার জেরে আব্দুর রউফের ছেলে বাংগা মিয়া, আকরাম হোসেন, মেহেদী হাসানসহ কয়েকজন তাকে বাঁধা প্রদান করে। বাঁধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে আলীরপাড়া গ্রামে উত্তেজনা তৈরি হয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষের সময় দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে আবুল কাশেম দুলালের মৃত্যু হয়।

এই ঘটনায় নিহতের ভাই রেজাউল করিম গত ২৮ এপ্রিল বাদী হয়ে বকশীগঞ্জ থানায় বগারচর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোসাদ্দেকুর রহমান প্রামানিক মাসুম, সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম লিচু, বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদ উল্লাহসহ ৪০ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ১২ জনসহ মোট ৫২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।   

 

 

আসমাউল আসিফ

০২ মে, ২০২৩,  3:55 PM

news image

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার ২নং বগারচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোহাম্মদ মোসাদ্দেকুর রহমান প্রামানিক মাসুমের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে জামালপুরের স্থানীয় একটি অফিসে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বগারচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোহাম্মদ মোসাদ্দেকুর রহমান প্রামানিক মাসুম। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান উল্লেখ করেন, স্থানীয় ভূমিদস্যু ও মামলাবাজ গাজী আমানুজ্জামান নিজ এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জন্য দুলাল হত্যা মামলায় মিথ্যা ভাবে ফাঁসিয়ে বগারচার ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রমকে বাঁধাগ্রস্থ করছে। সেই সাথে বগারচর ইউনিয়নের নিরীহ মানুষদের নামে মিথ্যা হত্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করার প্রতিবাদও জানান তিনি। এ সময় তিনি অহেতুক সাধারন মানুষের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী না করে দুলাল হত্যার সাথে জড়িত প্রকৃত আসামীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবী জানান। তাছাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাসুমসহ তার পরিবারের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবর বিশেষ আবেদন করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে একই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম লিচুর ছেলে জুবায়ের ইসলাম জুয়েসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ২৬ এপ্রিল বুধবার বগারচর ইউনিয়নের আলীরপাড়া মফিজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আমিনুল ইসলাম বিদ্যালয় থেকে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় আবু মিয়ার একটি ছাগলকে চাপা দিলে ছাগটি মারা যায়। এনিয়ে আবু মিয়া, আব্দুর রউফের ছেলে বাংগা মিয়া, মদ্দি মিয়ার ছেলে আকরাম হোসেন ও রাশেদুল ইসলামের সাথে বাকবিতন্ডা হয় ও শিক্ষক আমিনুল ইসলামকে অপমান করে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে আবুল কাশেম দুলাল ও তার লোকজন প্রতিবাদ করে।

পরের দিন বৃহস্পতিবার দুপুরে আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে আবুল কাশেম দুলাল তার কাজের জন্য নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়ার পথে আগের দিনের ঘটনার জেরে আব্দুর রউফের ছেলে বাংগা মিয়া, আকরাম হোসেন, মেহেদী হাসানসহ কয়েকজন তাকে বাঁধা প্রদান করে। বাঁধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে আলীরপাড়া গ্রামে উত্তেজনা তৈরি হয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষের সময় দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে আবুল কাশেম দুলালের মৃত্যু হয়।

এই ঘটনায় নিহতের ভাই রেজাউল করিম গত ২৮ এপ্রিল বাদী হয়ে বকশীগঞ্জ থানায় বগারচর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোসাদ্দেকুর রহমান প্রামানিক মাসুম, সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম লিচু, বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদ উল্লাহসহ ৪০ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ১২ জনসহ মোট ৫২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।