সেরা বারোতে বাংলাদেশ, সেরা আটের হাতছানি

#
news image

এশিয়া মহাদেশে বাংলাদেশের পুরুষ দলের স্থান একেবারেই তলানীতে ১৯২ নম্বরে। বিশ্ব নারী ফুটবলের র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশ রয়েছে ১৪০ নম্বরে। আর এশিয়া অঞ্চলে ২৪ নম্বরে। তবে বয়স ভিত্তিক নারী ফুটবলে বাংলাদেশ দল এখন গণ্য করার বা বিবেচনায় রাখার মতো। 

একের পর এক সাফল্য দেখানোর পর সর্বশেষ এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশীপের বাছাইপর্বের প্রথম রাউন্ডে অসাধারণ নৈপুণ্য প্রদর্শন করে নারীরা সেকথাই প্রমাণ করেছেন। বয়স ভিত্তিক নারী ফুটবলে এশিয়ার টপ লেভেলে এখন বাংলাদেশ। এই আসরে আপাতত সেরা বারোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ। সামনে তাদের সেরা আটে যাওয়ার হাতছানি।  

এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ নারী ফুটবলের ২০২৪ সালের আসরের বাছাই পর্বের প্রথম রাউন্ডে বাংলাদেশের কিশোরীরা ‘ডি’ গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছে। বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছে ‘এ’ গ্রুপ থেকে থাইল্যান্ড, ‘এফ’ গ্রুপ থেকে ভারত, ‘বি’ গ্রুপ থেকে অস্ট্রেলিয়া, ‘জি’ গ্রুপ থেকে ফিলিপাইন্স, ‘সি’ গ্রুপ থেকে ভিয়েতনাম, ‘এইচ’ গ্রুপ থেকে ইরান এবং ‘ই’ গ্রুপ থেকে দক্ষিণ কোরিয়া। এই সাতটি এবং সরাসরি মূলপর্বে জায়গা পাওয়া ইন্দোনেশিয়া, জাপান, উত্তর কোরিয়া ও চীন দলের সবাই র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের উপরে অবস্থান করছে।  

বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে অস্ট্রেলিয়া রয়েছে ১০ নম্বরে, জাপান ১১ নম্বরে, চীন ১৩ নম্বরে, দক্ষিণ কোরিয়া ১৭ নম্বরে, ভিয়েতনাম ৩৩ নম্বরে, থাইল্যান্ড ৪৪ নম্বরে, ফিলিপাইন্স ৪৯, ভারত ৬১ নম্বরে, ইন্দোনেশিয়া ৯৯, ইরান ৬৭ নম্বরে। উত্তর কোরিয়ার স্থান নেই র‌্যাংকিংয়ে। এই দেশগুলো বাংলাদেশের চেয়ে র‌্যাংকিংয়ে উপরে। আবার উপরে থেকেও দ্বিতীয় পর্বে উঠার যোগ্যতা অর্জন করেনি এমন দেশ রয়েছে ১৫টি। এরমধ্যে তাইওয়ান ৩৭, মায়ানমার ৪৭, উজবেকিস্তান ৫০, জর্দান ৬৮, হংকং ৭৯, বাহরাইন ৮৫, মালয়েশিয়া ৮৮, নেপাল ১০০, কাজাখস্তান ১০১, আরব আমিরাত ১১৩, কম্বোডিয়া ১১৯, মঙ্গোলিয়া ১২৮, ফিলিস্তিন ১২৯, সিঙ্গাপুর ১৩৪ এবং তুর্কমেনিস্তান ১৩৭ নম্বরে রয়েছে। বাংলাদেশের কৃতিত্ব এটাই যে, অনেক শক্তিশালী দেশকে পেছনে ফেলেছে তারা।  

মোট ৮ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দলগুলোকে নিয়ে চলতি বছরের ১৬ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় রাউন্ডের খেলা। ভেন্যু এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এই রাউন্ড থেকে সেরা ৪টি দল মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে। যেখানে সরাসরি খেলবে মূলপর্বের আয়োজক দেশ ইন্দোনেশিয়া, গতবারের চ্যাম্পিয়ন জাপান, রানার্সআপ উত্তর কোরিয়া এবং তৃতীয় স্থান লাভকারী চীন। ইন্দোনেশিয়ায় ২০২৪ সালের ৭ থেকে ২০ এপ্রিল মূলপর্ব অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশের সামনে এখন সেরা আটে যাওয়া এবং মূলপর্বে খেলার  হাতছানি। দেখা যাক, তাতে কতটা সফল হয় বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল।    

নাগরিক স্পোর্টস ডেস্ক

০১ মে, ২০২৩,  3:49 PM

news image

এশিয়া মহাদেশে বাংলাদেশের পুরুষ দলের স্থান একেবারেই তলানীতে ১৯২ নম্বরে। বিশ্ব নারী ফুটবলের র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশ রয়েছে ১৪০ নম্বরে। আর এশিয়া অঞ্চলে ২৪ নম্বরে। তবে বয়স ভিত্তিক নারী ফুটবলে বাংলাদেশ দল এখন গণ্য করার বা বিবেচনায় রাখার মতো। 

একের পর এক সাফল্য দেখানোর পর সর্বশেষ এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশীপের বাছাইপর্বের প্রথম রাউন্ডে অসাধারণ নৈপুণ্য প্রদর্শন করে নারীরা সেকথাই প্রমাণ করেছেন। বয়স ভিত্তিক নারী ফুটবলে এশিয়ার টপ লেভেলে এখন বাংলাদেশ। এই আসরে আপাতত সেরা বারোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ। সামনে তাদের সেরা আটে যাওয়ার হাতছানি।  

এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ নারী ফুটবলের ২০২৪ সালের আসরের বাছাই পর্বের প্রথম রাউন্ডে বাংলাদেশের কিশোরীরা ‘ডি’ গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছে। বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছে ‘এ’ গ্রুপ থেকে থাইল্যান্ড, ‘এফ’ গ্রুপ থেকে ভারত, ‘বি’ গ্রুপ থেকে অস্ট্রেলিয়া, ‘জি’ গ্রুপ থেকে ফিলিপাইন্স, ‘সি’ গ্রুপ থেকে ভিয়েতনাম, ‘এইচ’ গ্রুপ থেকে ইরান এবং ‘ই’ গ্রুপ থেকে দক্ষিণ কোরিয়া। এই সাতটি এবং সরাসরি মূলপর্বে জায়গা পাওয়া ইন্দোনেশিয়া, জাপান, উত্তর কোরিয়া ও চীন দলের সবাই র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের উপরে অবস্থান করছে।  

বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে অস্ট্রেলিয়া রয়েছে ১০ নম্বরে, জাপান ১১ নম্বরে, চীন ১৩ নম্বরে, দক্ষিণ কোরিয়া ১৭ নম্বরে, ভিয়েতনাম ৩৩ নম্বরে, থাইল্যান্ড ৪৪ নম্বরে, ফিলিপাইন্স ৪৯, ভারত ৬১ নম্বরে, ইন্দোনেশিয়া ৯৯, ইরান ৬৭ নম্বরে। উত্তর কোরিয়ার স্থান নেই র‌্যাংকিংয়ে। এই দেশগুলো বাংলাদেশের চেয়ে র‌্যাংকিংয়ে উপরে। আবার উপরে থেকেও দ্বিতীয় পর্বে উঠার যোগ্যতা অর্জন করেনি এমন দেশ রয়েছে ১৫টি। এরমধ্যে তাইওয়ান ৩৭, মায়ানমার ৪৭, উজবেকিস্তান ৫০, জর্দান ৬৮, হংকং ৭৯, বাহরাইন ৮৫, মালয়েশিয়া ৮৮, নেপাল ১০০, কাজাখস্তান ১০১, আরব আমিরাত ১১৩, কম্বোডিয়া ১১৯, মঙ্গোলিয়া ১২৮, ফিলিস্তিন ১২৯, সিঙ্গাপুর ১৩৪ এবং তুর্কমেনিস্তান ১৩৭ নম্বরে রয়েছে। বাংলাদেশের কৃতিত্ব এটাই যে, অনেক শক্তিশালী দেশকে পেছনে ফেলেছে তারা।  

মোট ৮ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দলগুলোকে নিয়ে চলতি বছরের ১৬ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় রাউন্ডের খেলা। ভেন্যু এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এই রাউন্ড থেকে সেরা ৪টি দল মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে। যেখানে সরাসরি খেলবে মূলপর্বের আয়োজক দেশ ইন্দোনেশিয়া, গতবারের চ্যাম্পিয়ন জাপান, রানার্সআপ উত্তর কোরিয়া এবং তৃতীয় স্থান লাভকারী চীন। ইন্দোনেশিয়ায় ২০২৪ সালের ৭ থেকে ২০ এপ্রিল মূলপর্ব অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশের সামনে এখন সেরা আটে যাওয়া এবং মূলপর্বে খেলার  হাতছানি। দেখা যাক, তাতে কতটা সফল হয় বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল।