ঈদ রাঙাতে ক্রেডিট কার্ডে মূল্যছাড়ের সমাহার

#
news image

ঈদের আনন্দকে রাঙিয়ে তুলতে কেনাকাটা এখন সরগরম। তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষের ভিড় এখন বিপণি বিতানে। কেউ ভিড় করছেন শাড়ি-পাঞ্জাবির দোকানে। আবার কেউ ছুটছেন নতুন জুতা কিনতে। 

নতুন জামার সঙ্গে মিলিয়ে গহণা কিংবা প্রসাধনী কিনতে দোকানে ভিড় করছেন নারীরা। সব মিলিয়ে মার্কেটে চলছে জমজমাট বিকিকিনি। উৎসব রাঙাতে মূল্যছাড়ের সমাহার নিয়ে হাজির হয়েছে ক্রেডিট কার্ড। গ্রাহকদের পকেটে থাকা এ ‘প্লাস্টিক মানি’-তে মিলছে হরেক রকম ছাড় আর সুযোগ-সুবিধা।

দেশের বিভিন্ন ব্যাংক তাদের কার্ডধারীদের জন্য নির্দিষ্ট শোরুম থেকে সব ধরনের কেনাকাটায় ১০-৮০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়ের সুবিধা দিচ্ছে। আবার ঈদে বেড়াতে গেলে হোটেল বুকিং, বাস কিংবা বিমানের টিকিট, খাওয়া-দাওয়ায়ও চলছে মূল্যছাড়ের অফার। এ সুবিধা নিতে পারবেন আপনিও। এর আগে দেখে নিন, আপনার ব্যাগে আছে কোন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড। জেনে নিন, আপনার কার্ডে কোন শো-রুমে মিলবে কত শতাংশ ছাড়।

দেশে বর্তমানে ৩৯টি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করছে। চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত ইস্যু হয়েছে মোট ২১ লাখ ৩৬ হাজার ১৭৩টি ক্রেডিট কার্ড। তবে বাজারে সব ব্যাংকের কার্ড জনপ্রিয়তা পায়নি। ক্রেডিট কার্ড বাজারের বড় অংশই চারটি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মোট ক্রেডিট কার্ডের প্রায় এক-তৃতীয়াংশই বেসরকারি খাতের দ্য সিটি ব্যাংকের। কার্ড সংখ্যা বিবেচনায় শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য ব্যাংকগুলো হলো ব্র্যাক ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক ও বিদেশী স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক।

দেশের নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর (এনবিএফআই) মধ্যে ক্রেডিট কার্ড রয়েছে কেবল লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেডের। ক্রেডিট কার্ডের বাজারে এ প্রতিষ্ঠানের অবস্থান পঞ্চম। মিউচুয়াল ট্রাস্ট, ব্যাংক এশিয়া ও ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডও বাজারে ভালো অবস্থানে রয়েছে। তবে অন্য ব্যাংকগুলোও নিজেদের ক্রেডিট কার্ডকে জনপ্রিয় করে তুলতে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি পালন করছে। এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, এক্সিম ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকসহ শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোও।

জনপ্রিয়তার দিক থেকে দেশের ক্রেডিট কার্ড সেবায় সামনের সারিতে রয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান লংকা বাংলা ফাইন্যান্স। পবিত্র মাহে রমজান ও ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে বিপুল ছাড় উপভোগ করছেন প্রতিষ্ঠানটির ক্রেডিট কার্ড গ্রাহকরা।

এর মধ্যে রয়েছে লাইফস্ট্যাইলের শতাধিক ব্যান্ডের  শো-রুমে ছাড় ও ক্যাশব্যাক। যেমন লংকা বাংলার গ্রাহকরা আড়ংয়ে কেনাকাটায় পাচ্ছেন ২৫ শতাংশ ক্যাশব্যাক। আবার ইয়েলোর শো-রুমে ক্যাশব্যাক মিলছে ১৫ শতাংশ। এছাড়া লংকাবাংলার ক্রেডিট কার্ডে জারায় ২০ শতাংশ, জামদানি ওয়ার্ল্ড, সাদাকালো, বেনিআসহকলা, ল্যাভেন্ডার, টুয়েলভ, টাঙ্গাইল তাঁত ঘর, প্রেমস কালেকশন, মেহজাবিন, ম্যান ওয়ানে ১৫ শতাংশ ছাড় পাওয়া যাবে। ১২ শতাংশ ছাড় দিচ্ছে ট্রাস্ট ফ্যামিলি নিডস ও তাহুর স্টুডিও। ১০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছে মেনজ ক্লাব, নাবিলা, কিউরিয়াস, রঙ বাংলাদেশ, রেড অরিজিন, রঙ্গি কালেকশন, এসএ ওয়ার্ল্ড, সারা লাইফস্টাইল, স্বদেশপল্লী, ভার্গো, বাংলার মেলা, ক্যাটস আই, বিভা ক্রিয়েশন, চন্দ্রবিন্দু, ফিট এলিগ্যান্স, মোডা ইটালি, স্পার্ক গিয়ার, বিশ্ব রঙ, অরণ্য ক্রাফটস, কে ক্রাফট, বিগ বস ইন দর্জিবাড়ি দিচ্ছে  ৫ শতাংশ ছাড়। পাশাপাশি ইলেক্ট্রিক ও ইলেক্ট্রনিক্স, জুয়েলারি, ফার্নিচার, বিউটি কেয়ার, ই-কমার্সসহ বিভিন্ন খাতের পণ্য ও সেবায় মিলছে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়।

লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেডের রিটেইল বিজনেস বিভাগের প্রধান খোরশেদ আলম জানান, সারা বছরই লংকা বাংলার ক্রেডিট কার্ড গ্রাহকদের জন্য বিভিন্ন ধরনের ছাড় থাকে। তবে রমজান ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ছাড়ের আওতা বাড়ানো হয়েছে। লংকাবাংলার এক হাজারের বেশি ডিসকাউন্ট পার্টনার রয়েছে। ক্রেডিট কার্ডের গ্রাহকরা এসব পার্টনারের কাছ থেকে মূল্যছাড়ের সুবিধা পাচ্ছেন।

আড়ং থেকে কেনাকাটায় ১০ শতাংশ ছাড় পাচ্ছেন সিটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড গ্রাহকরা। এছাড়া ব্যাংকটির ক্রেডিট কার্ডে প্লাস পয়েন্ট, বিশ্বরং, দেশাল, এপেক্স, বাটা, ইস্টাসি, ইনফিনিটি, লোটো, টপটেনসহ প্রায় ৩০০ শো-রুমে মূল্যছাড় ও পয়েন্ট সুবিধা পাচ্ছেন।


সিটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড গ্রাহকরা দেশের ৩০০ শোরুমে ১০ থেকে ৭৬ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় পাচ্ছেন বলে জানান ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসরুর আরেফিন। তিনি বলেন, ক্রেডিট কার্ড এখন আর লাইফস্টাইল পণ্য নয়। এটি দৈনন্দিন জীবনযাপনের অপরিহার্য একটি অংশ। দেশের বাজারে সিটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। মোট ক্রেডিট কার্ডের এক-তৃতীয়াংশ আমাদের গ্রাহক। এ কারণে আমাদের অফারের আওতাও অনেক বেশি।

শরিয়াহভিত্তিক এক্সিম ব্যাংকের আছে এক্সিম ইসলামিক ইনভেস্টমেন্ট (ক্রেডিট) কার্ড। এটি দেশের প্রথম শরিয়াহভিত্তিক ইসলামিক ইনভেস্টমেন্ট কার্ড। ব্যাংটির কর্মকর্তারা বলছেন, কার্ডটি দেশের ইসলামী ব্যাংকগুলোর অন্যতম ইলেকট্রনিক প্রডাক্ট। এ কার্ডে কোনো হিডেন চার্জ নেই। এক কার্ডে আছে ডুয়েল কারেন্সি সুবিধা। ২৪ ঘণ্টার কাস্টমার সার্ভিসের পাশাপাশি বিনামূল্যে সাপ্লিমেন্টারি কার্ড। বিদেশেও এ কার্ডের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।

ঈদসহ যেকোনো উৎসব উপলক্ষে ব্যাংকগুলো ক্রেডিট কার্ডে কেনাকাটায় আকর্ষণীয় ছাড়সহ বিভিন্ন অফার ঘোষণা করে। মূলত একে জনপ্রিয় করে তুলতেই এসব অফার ঘোষণা করা হচ্ছে। আবার গ্রাহকদের মধ্যে ঘোষিত অফারগুলো বেশ সাড়াও ফেলছে। ফলে উৎসবের সময় ক্রেডিট কার্ডে কেনাকাটাসহ লেনদেন বাড়ছে। তবে এটি এখন শুধু উৎসবের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে না। বরং সারা বছরই বিশেষ এ কার্ডে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে অর্থের লেনদেন হচ্ছে। জানুয়ারি শেষে ক্রেডিট কার্ডে গ্রাহকদের ঋণ স্থিতি ছিল ৮ হাজার ৩৩২ কোটি টাকা।

ব্যাংকের বাইরে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান বিকাশ, নগদ, রকেট ও উপায়ে কেনাকাটায় টাকা পরিশোধের ওপর নগদ ছাড় ও ক্যাশব্যাক সুবিধা আছে অনেক দোকানে। কেনাকাটার পর বিল পরিশোধের আগে এ বিষয়ে জেনে নিতে পারেন দোকানগুলোয়।

নাগরিক প্রতিবেদক

১৩ এপ্রিল, ২০২৩,  5:57 PM

news image

ঈদের আনন্দকে রাঙিয়ে তুলতে কেনাকাটা এখন সরগরম। তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষের ভিড় এখন বিপণি বিতানে। কেউ ভিড় করছেন শাড়ি-পাঞ্জাবির দোকানে। আবার কেউ ছুটছেন নতুন জুতা কিনতে। 

নতুন জামার সঙ্গে মিলিয়ে গহণা কিংবা প্রসাধনী কিনতে দোকানে ভিড় করছেন নারীরা। সব মিলিয়ে মার্কেটে চলছে জমজমাট বিকিকিনি। উৎসব রাঙাতে মূল্যছাড়ের সমাহার নিয়ে হাজির হয়েছে ক্রেডিট কার্ড। গ্রাহকদের পকেটে থাকা এ ‘প্লাস্টিক মানি’-তে মিলছে হরেক রকম ছাড় আর সুযোগ-সুবিধা।

দেশের বিভিন্ন ব্যাংক তাদের কার্ডধারীদের জন্য নির্দিষ্ট শোরুম থেকে সব ধরনের কেনাকাটায় ১০-৮০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়ের সুবিধা দিচ্ছে। আবার ঈদে বেড়াতে গেলে হোটেল বুকিং, বাস কিংবা বিমানের টিকিট, খাওয়া-দাওয়ায়ও চলছে মূল্যছাড়ের অফার। এ সুবিধা নিতে পারবেন আপনিও। এর আগে দেখে নিন, আপনার ব্যাগে আছে কোন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড। জেনে নিন, আপনার কার্ডে কোন শো-রুমে মিলবে কত শতাংশ ছাড়।

দেশে বর্তমানে ৩৯টি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করছে। চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত ইস্যু হয়েছে মোট ২১ লাখ ৩৬ হাজার ১৭৩টি ক্রেডিট কার্ড। তবে বাজারে সব ব্যাংকের কার্ড জনপ্রিয়তা পায়নি। ক্রেডিট কার্ড বাজারের বড় অংশই চারটি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মোট ক্রেডিট কার্ডের প্রায় এক-তৃতীয়াংশই বেসরকারি খাতের দ্য সিটি ব্যাংকের। কার্ড সংখ্যা বিবেচনায় শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য ব্যাংকগুলো হলো ব্র্যাক ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক ও বিদেশী স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক।

দেশের নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর (এনবিএফআই) মধ্যে ক্রেডিট কার্ড রয়েছে কেবল লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেডের। ক্রেডিট কার্ডের বাজারে এ প্রতিষ্ঠানের অবস্থান পঞ্চম। মিউচুয়াল ট্রাস্ট, ব্যাংক এশিয়া ও ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডও বাজারে ভালো অবস্থানে রয়েছে। তবে অন্য ব্যাংকগুলোও নিজেদের ক্রেডিট কার্ডকে জনপ্রিয় করে তুলতে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি পালন করছে। এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, এক্সিম ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকসহ শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোও।

জনপ্রিয়তার দিক থেকে দেশের ক্রেডিট কার্ড সেবায় সামনের সারিতে রয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান লংকা বাংলা ফাইন্যান্স। পবিত্র মাহে রমজান ও ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে বিপুল ছাড় উপভোগ করছেন প্রতিষ্ঠানটির ক্রেডিট কার্ড গ্রাহকরা।

এর মধ্যে রয়েছে লাইফস্ট্যাইলের শতাধিক ব্যান্ডের  শো-রুমে ছাড় ও ক্যাশব্যাক। যেমন লংকা বাংলার গ্রাহকরা আড়ংয়ে কেনাকাটায় পাচ্ছেন ২৫ শতাংশ ক্যাশব্যাক। আবার ইয়েলোর শো-রুমে ক্যাশব্যাক মিলছে ১৫ শতাংশ। এছাড়া লংকাবাংলার ক্রেডিট কার্ডে জারায় ২০ শতাংশ, জামদানি ওয়ার্ল্ড, সাদাকালো, বেনিআসহকলা, ল্যাভেন্ডার, টুয়েলভ, টাঙ্গাইল তাঁত ঘর, প্রেমস কালেকশন, মেহজাবিন, ম্যান ওয়ানে ১৫ শতাংশ ছাড় পাওয়া যাবে। ১২ শতাংশ ছাড় দিচ্ছে ট্রাস্ট ফ্যামিলি নিডস ও তাহুর স্টুডিও। ১০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছে মেনজ ক্লাব, নাবিলা, কিউরিয়াস, রঙ বাংলাদেশ, রেড অরিজিন, রঙ্গি কালেকশন, এসএ ওয়ার্ল্ড, সারা লাইফস্টাইল, স্বদেশপল্লী, ভার্গো, বাংলার মেলা, ক্যাটস আই, বিভা ক্রিয়েশন, চন্দ্রবিন্দু, ফিট এলিগ্যান্স, মোডা ইটালি, স্পার্ক গিয়ার, বিশ্ব রঙ, অরণ্য ক্রাফটস, কে ক্রাফট, বিগ বস ইন দর্জিবাড়ি দিচ্ছে  ৫ শতাংশ ছাড়। পাশাপাশি ইলেক্ট্রিক ও ইলেক্ট্রনিক্স, জুয়েলারি, ফার্নিচার, বিউটি কেয়ার, ই-কমার্সসহ বিভিন্ন খাতের পণ্য ও সেবায় মিলছে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়।

লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেডের রিটেইল বিজনেস বিভাগের প্রধান খোরশেদ আলম জানান, সারা বছরই লংকা বাংলার ক্রেডিট কার্ড গ্রাহকদের জন্য বিভিন্ন ধরনের ছাড় থাকে। তবে রমজান ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ছাড়ের আওতা বাড়ানো হয়েছে। লংকাবাংলার এক হাজারের বেশি ডিসকাউন্ট পার্টনার রয়েছে। ক্রেডিট কার্ডের গ্রাহকরা এসব পার্টনারের কাছ থেকে মূল্যছাড়ের সুবিধা পাচ্ছেন।

আড়ং থেকে কেনাকাটায় ১০ শতাংশ ছাড় পাচ্ছেন সিটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড গ্রাহকরা। এছাড়া ব্যাংকটির ক্রেডিট কার্ডে প্লাস পয়েন্ট, বিশ্বরং, দেশাল, এপেক্স, বাটা, ইস্টাসি, ইনফিনিটি, লোটো, টপটেনসহ প্রায় ৩০০ শো-রুমে মূল্যছাড় ও পয়েন্ট সুবিধা পাচ্ছেন।


সিটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড গ্রাহকরা দেশের ৩০০ শোরুমে ১০ থেকে ৭৬ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় পাচ্ছেন বলে জানান ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসরুর আরেফিন। তিনি বলেন, ক্রেডিট কার্ড এখন আর লাইফস্টাইল পণ্য নয়। এটি দৈনন্দিন জীবনযাপনের অপরিহার্য একটি অংশ। দেশের বাজারে সিটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। মোট ক্রেডিট কার্ডের এক-তৃতীয়াংশ আমাদের গ্রাহক। এ কারণে আমাদের অফারের আওতাও অনেক বেশি।

শরিয়াহভিত্তিক এক্সিম ব্যাংকের আছে এক্সিম ইসলামিক ইনভেস্টমেন্ট (ক্রেডিট) কার্ড। এটি দেশের প্রথম শরিয়াহভিত্তিক ইসলামিক ইনভেস্টমেন্ট কার্ড। ব্যাংটির কর্মকর্তারা বলছেন, কার্ডটি দেশের ইসলামী ব্যাংকগুলোর অন্যতম ইলেকট্রনিক প্রডাক্ট। এ কার্ডে কোনো হিডেন চার্জ নেই। এক কার্ডে আছে ডুয়েল কারেন্সি সুবিধা। ২৪ ঘণ্টার কাস্টমার সার্ভিসের পাশাপাশি বিনামূল্যে সাপ্লিমেন্টারি কার্ড। বিদেশেও এ কার্ডের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।

ঈদসহ যেকোনো উৎসব উপলক্ষে ব্যাংকগুলো ক্রেডিট কার্ডে কেনাকাটায় আকর্ষণীয় ছাড়সহ বিভিন্ন অফার ঘোষণা করে। মূলত একে জনপ্রিয় করে তুলতেই এসব অফার ঘোষণা করা হচ্ছে। আবার গ্রাহকদের মধ্যে ঘোষিত অফারগুলো বেশ সাড়াও ফেলছে। ফলে উৎসবের সময় ক্রেডিট কার্ডে কেনাকাটাসহ লেনদেন বাড়ছে। তবে এটি এখন শুধু উৎসবের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে না। বরং সারা বছরই বিশেষ এ কার্ডে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে অর্থের লেনদেন হচ্ছে। জানুয়ারি শেষে ক্রেডিট কার্ডে গ্রাহকদের ঋণ স্থিতি ছিল ৮ হাজার ৩৩২ কোটি টাকা।

ব্যাংকের বাইরে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান বিকাশ, নগদ, রকেট ও উপায়ে কেনাকাটায় টাকা পরিশোধের ওপর নগদ ছাড় ও ক্যাশব্যাক সুবিধা আছে অনেক দোকানে। কেনাকাটার পর বিল পরিশোধের আগে এ বিষয়ে জেনে নিতে পারেন দোকানগুলোয়।