জনমত স্তব্ধ করতেই ডিজিটাল আইনের অপব্যবহার হচ্ছে: ফখরুল

#
news image

জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে জনমতকে স্তব্ধ করতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার করে দেশের মানুষকে সরকার প্রতিহত করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, অবৈধ সরকার আরও দখলদারত্বের দিকে চলে গেছে।

সরকারের মূল অপরাধ, রাষ্ট্রের যে আত্মা তারা সেটি নষ্ট করে ফেলেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো অসংখ্য আইন তারা প্রতিষ্ঠা করে জনগণের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করেছে। সাংবাদিকদের ওপর অত্যাচার করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর হোটেল লেকশোরে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, গণতন্ত্র এবং সাংবিধানিক কাঠামো’ শীর্ষক বিএনপি আয়োজিত এ সেমিনারে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে সরকারের নানা কর্মকাণ্ড তুলে ধরা হয়। মির্জা ফখরুল বলেন, বিদেশি সংবাদ সংস্থার (ডয়চে ভেলে) রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে এক যুবককে (নাফিজ মোহাম্মদ আলম) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এটি প্রমাণ করে সরকার কতটা বেপরোয়া। প্রতিনিয়ত এ ধরনের আইন দিয়ে সরকার জনগণের কথা বলা বন্ধ করতে চায়। বিচার বিভাগে বিচার পাওয়া এখন ভাগ্যের বিষয়।

দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্যব্যবস্থা কোথাও সফলতা নেই সরকারের। সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো আইন দিয়ে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে চায়। তিনি বলেন, বিএনপিকে ক্ষমতায় আনার জন্য নয়, বরং জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য এই সরকারকে হটাতে আন্দোলন করতে হবে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে। ক্ষমতায় টিকে থাকতে যা করার দরকার তা-ই করছে। তার মধ্যে অন্যতম ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। এটা সংবিধান পরিপন্থি। জাতিসংঘে যারা মানবাধিকার নিয়ে কাজ করেন তারাও এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন। স্বাধীন-সার্বভৌম দেশে এটা কেউ ভাবে না।

তিনি বলেন, সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বিচার বিভাগ ধ্বংস করেছে। সরকারের ব্যর্থতা না থাকলে অর্থনীতির এ অবস্থা কেন? মানবাধিকার নেই দেশে। সরকার অব্যাহতভাবে চেষ্টা করছে এসব কালা কানুন প্রয়োগ করে বিরোধী মতকে দমিয়ে রাখার। অত্যাবশ্যক পরিষেবা বিল সংসদে তুলে সরকার প্রমাণ করেছে তারা ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে কতটা মরিয়া। তাই এই সরকারের বিরুদ্ধে ইস্পাত কঠিন আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ঈদের পর সব বিরোধীদলের ওপর চাপ আসবে। সেই চাপ উপেক্ষা করে আন্দোলন সফল করার আহ্বান জানান তিনি। বিএনপির দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সরকারের বিরোধী মত দমনের হাতিয়ার।

আন্দোলন-সংগ্রাম করে এই কালা কানুন বাতিল করতে সরকারকে বাধ্য করতে হবে। সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও সেলিমা রহমান এবং দলটির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নাগরিক প্রতিবেদক

১১ এপ্রিল, ২০২৩,  7:20 PM

news image

জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে জনমতকে স্তব্ধ করতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার করে দেশের মানুষকে সরকার প্রতিহত করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, অবৈধ সরকার আরও দখলদারত্বের দিকে চলে গেছে।

সরকারের মূল অপরাধ, রাষ্ট্রের যে আত্মা তারা সেটি নষ্ট করে ফেলেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো অসংখ্য আইন তারা প্রতিষ্ঠা করে জনগণের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করেছে। সাংবাদিকদের ওপর অত্যাচার করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর হোটেল লেকশোরে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, গণতন্ত্র এবং সাংবিধানিক কাঠামো’ শীর্ষক বিএনপি আয়োজিত এ সেমিনারে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে সরকারের নানা কর্মকাণ্ড তুলে ধরা হয়। মির্জা ফখরুল বলেন, বিদেশি সংবাদ সংস্থার (ডয়চে ভেলে) রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে এক যুবককে (নাফিজ মোহাম্মদ আলম) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এটি প্রমাণ করে সরকার কতটা বেপরোয়া। প্রতিনিয়ত এ ধরনের আইন দিয়ে সরকার জনগণের কথা বলা বন্ধ করতে চায়। বিচার বিভাগে বিচার পাওয়া এখন ভাগ্যের বিষয়।

দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্যব্যবস্থা কোথাও সফলতা নেই সরকারের। সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো আইন দিয়ে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে চায়। তিনি বলেন, বিএনপিকে ক্ষমতায় আনার জন্য নয়, বরং জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য এই সরকারকে হটাতে আন্দোলন করতে হবে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে। ক্ষমতায় টিকে থাকতে যা করার দরকার তা-ই করছে। তার মধ্যে অন্যতম ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। এটা সংবিধান পরিপন্থি। জাতিসংঘে যারা মানবাধিকার নিয়ে কাজ করেন তারাও এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন। স্বাধীন-সার্বভৌম দেশে এটা কেউ ভাবে না।

তিনি বলেন, সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বিচার বিভাগ ধ্বংস করেছে। সরকারের ব্যর্থতা না থাকলে অর্থনীতির এ অবস্থা কেন? মানবাধিকার নেই দেশে। সরকার অব্যাহতভাবে চেষ্টা করছে এসব কালা কানুন প্রয়োগ করে বিরোধী মতকে দমিয়ে রাখার। অত্যাবশ্যক পরিষেবা বিল সংসদে তুলে সরকার প্রমাণ করেছে তারা ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে কতটা মরিয়া। তাই এই সরকারের বিরুদ্ধে ইস্পাত কঠিন আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ঈদের পর সব বিরোধীদলের ওপর চাপ আসবে। সেই চাপ উপেক্ষা করে আন্দোলন সফল করার আহ্বান জানান তিনি। বিএনপির দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সরকারের বিরোধী মত দমনের হাতিয়ার।

আন্দোলন-সংগ্রাম করে এই কালা কানুন বাতিল করতে সরকারকে বাধ্য করতে হবে। সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও সেলিমা রহমান এবং দলটির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।