মুক্তিযুদ্ধে ও নারী আন্দোলনে আইভী রহমান ও কনা রেজাসহ ১৫ জনকে আজীবন সম্মাননা
নিজস্ব প্রতিবেদক
১১ মার্চ, ২০২৩, 5:27 PM
মুক্তিযুদ্ধে ও নারী আন্দোলনে আইভী রহমান ও কনা রেজাসহ ১৫ জনকে আজীবন সম্মাননা
মুক্তিযুদ্ধে ও নারী আন্দোলনে অবদান রাখায় আওয়ামী মহিলা লীগ নেত্রী আইভী রহমান (মরনোত্তর) সহ ১৫ জনকে আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। এক আনন্দ আয়োজনে এই সন্মাননা প্রদান করা হলো।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে আয়োজনে ছিলো শেরে বাংলা এ.কে ফজলুল হক গবেষণা পরিষদ এবং ইন্ডিয়া বাংলাদেশ কালচারাল কাউন্সিল। এর যৌথ উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি মিলনায়তন, আইডিইবি ভবনে আন্তর্জাতিক নারী ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে ডিজিটাল বিশ্ব হোক সবার: নারীর অধিকার সুরক্ষায় ও সহিংসতা মোকাবেলায় চাই মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্ন বৈষম্যহীন সৃজনশীল প্রযুক্তি প্রতিপাদ্য নিয়ে ‘‘নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বের রোল মডেল বাংলাদেশ” শীর্ষক আলোচনা সভা, আলোকিত নারী সংবর্ধনা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা সাবেক তথ্য সচিব ও বিটিআরসি’র সাবেক চেয়ারম্যান, শেরে বাংলা’র দৌহিত্র সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ এর সভাপতিত্বে ও সংগঠনের চেয়ারম্যান মো মঞ্জুর হোসেন ঈসার সঞ্চালনায় উদ্বোধক হিসেবে বক্তব্য রাখেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবঃ) এম. হারুন-অর-রশিদ বীর প্রতীক, সাবেক সেনাপ্রধান ও সাবেক রাষ্ট্রদূত। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিচারপতি এস.এম. মুজিবুর রহমান, প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বেগম মেহের আফরোজ চুমকী এম.পি, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আরমা দত্ত এম.পি, ঢাকা মেট্রোপলিটন উপ-পুলিশ কমিশনার সালমা সৈয়দ পলি, নড়াইল জেলা পুলিশ সুপার মোসাঃ সাদিয়া খাতুন, জাগ্রত সেবা কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডেন্ট লায়ন নাজনীন সুলতানা লুনা।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন শেরে-বাংলা এ কে ফজলুল হক গবেষণা পরিষদের মহাসচিব মোঃ আর. কে. রিপন ও ইন্ডিয়া বাংলাদেশ কালচারাল কাউন্সিলের বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সম্পাদক সারল্যের কবি শাহ আলম চন্নু,গোলাম ফারুক মজনু যারা আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন তারা হলেন, মুক্তিযুদ্ধে ও নারী আন্দোলনে- আইভী রহমান (মরনোত্তর),সাবেক সভানেত্রী বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ। কথাসাহিত্য- সেলিনা হোসেন, বিশিষ্ট কথা-সাহিত্যিক, লেখক ও ঔপন্যাসিক, সভাপতি, বাংলা একাডেমি। ফোক সংগীতে-মমতাজ বেগম এম.পি, দেশ বরন্য সঙ্গীত শিল্পী।
সম্পাদক ও নারী অধিকার বাস্তবায়নে- তাসমিমা হোসেন (সাবেক এম.পি), সম্পাদক, দৈনিক ইত্তেফাক ও মাসিক অনন্যা, নারী সাংবাদিকতায়-ফরিদা ইয়াসমিন, সভাপতি, জাতীয় প্রেসক্লাব। নারী উদ্যোক্তা ও সমাজ সেবায়-কণা রেজা, পরিচালক,চ্যানেল আই ও পান সুপারী। কর্মসংস্থান ও অর্থনীতি উন্নয়নে- আফরোজা বেগম, প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক,বসুন্ধরা গ্রুপ, ঢাকা। ব্যবসা বাণিজ্য ও সমাজসেবায়- ড. মনোয়ারা হাকিম আলী, প্রেসিডেন্ট, চট্টগ্রাম ওমেন্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ। উচ্চ শিক্ষা বিস্তারে- প্রফেসর ড. হামিদা খানম, অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। কবি ও লেখক হিসেবে- ফিরোজা পারভীন (পারভীন রেজা), বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক। আইন ও সমাজসেবায়- এ্যাড. নাহিদ সুলতানা যুথী, এ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট।
সেরা চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে- চয়নিকা চৌধুরী, বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা ও পরিচালক। চলচ্চিত্র অভিনয়ে- চিত্রনায়িকা অঞ্জনা সুলতানা, বিশিষ্ট চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ও নৃত্য শিল্পী। শিক্ষা বিস্তারে ও সমাজ সেবায়- লুৎফুন নেসা ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান, আলিফ গ্রুপ অব কোম্পানীজ। সংগ্রামী নারী হিসেবে যারা পুরস্কৃত হলেন, জাগ্রত সেবা কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডেন্ট লায়ন নাজনীন সুলতানা লুনা, ঢাকা মেট্রোপলিটন উপ-পুলিশ কমিশনার সালমা সৈয়দ পলি, নড়াইল জেলা পুলিশ সুপার মোসাঃ সাদিয়া খাতুন, এনডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য নাজমুন নাহার মিনতী,কবি ও লেখক সেহেলি মল্লিক, চিত্রনায়িকা পরিমনি, সহ ২০জন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমান বলেন, নারীদের অধিকার আদায়ের জন্য এখনও লড়াই করতে হয় যা অত্যান্ত দুঃখ জনক। বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে নারীর সমঅধিকারের কোন বিকল্প নাই। সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীদের উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা পালন করলেও বাস্তব ক্ষেত্রে তা এখনও দৃশ্যমান নয়।
তিনি বলেন, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক গবেষণা পরিষদের উদ্যোগে আজকে যে ১৫জন নারীকে আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হলো তাতে আগামীতে নারী জাগরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সভাপতি সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ বলেন, নারীর পাশাপাশি পুরুষদেরকে আরো সহনশীল হতে হবে। যেভাবে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা প্রতি বছর বাড়ছে তা কমিয়ে না আনলে নারী উন্নয়নের সুফল আমরা ভোগ করতে পারবো না।
নিজস্ব প্রতিবেদক
১১ মার্চ, ২০২৩, 5:27 PM
মুক্তিযুদ্ধে ও নারী আন্দোলনে অবদান রাখায় আওয়ামী মহিলা লীগ নেত্রী আইভী রহমান (মরনোত্তর) সহ ১৫ জনকে আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। এক আনন্দ আয়োজনে এই সন্মাননা প্রদান করা হলো।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে আয়োজনে ছিলো শেরে বাংলা এ.কে ফজলুল হক গবেষণা পরিষদ এবং ইন্ডিয়া বাংলাদেশ কালচারাল কাউন্সিল। এর যৌথ উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি মিলনায়তন, আইডিইবি ভবনে আন্তর্জাতিক নারী ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে ডিজিটাল বিশ্ব হোক সবার: নারীর অধিকার সুরক্ষায় ও সহিংসতা মোকাবেলায় চাই মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্ন বৈষম্যহীন সৃজনশীল প্রযুক্তি প্রতিপাদ্য নিয়ে ‘‘নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বের রোল মডেল বাংলাদেশ” শীর্ষক আলোচনা সভা, আলোকিত নারী সংবর্ধনা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা সাবেক তথ্য সচিব ও বিটিআরসি’র সাবেক চেয়ারম্যান, শেরে বাংলা’র দৌহিত্র সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ এর সভাপতিত্বে ও সংগঠনের চেয়ারম্যান মো মঞ্জুর হোসেন ঈসার সঞ্চালনায় উদ্বোধক হিসেবে বক্তব্য রাখেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবঃ) এম. হারুন-অর-রশিদ বীর প্রতীক, সাবেক সেনাপ্রধান ও সাবেক রাষ্ট্রদূত। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিচারপতি এস.এম. মুজিবুর রহমান, প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বেগম মেহের আফরোজ চুমকী এম.পি, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আরমা দত্ত এম.পি, ঢাকা মেট্রোপলিটন উপ-পুলিশ কমিশনার সালমা সৈয়দ পলি, নড়াইল জেলা পুলিশ সুপার মোসাঃ সাদিয়া খাতুন, জাগ্রত সেবা কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডেন্ট লায়ন নাজনীন সুলতানা লুনা।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন শেরে-বাংলা এ কে ফজলুল হক গবেষণা পরিষদের মহাসচিব মোঃ আর. কে. রিপন ও ইন্ডিয়া বাংলাদেশ কালচারাল কাউন্সিলের বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সম্পাদক সারল্যের কবি শাহ আলম চন্নু,গোলাম ফারুক মজনু যারা আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন তারা হলেন, মুক্তিযুদ্ধে ও নারী আন্দোলনে- আইভী রহমান (মরনোত্তর),সাবেক সভানেত্রী বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ। কথাসাহিত্য- সেলিনা হোসেন, বিশিষ্ট কথা-সাহিত্যিক, লেখক ও ঔপন্যাসিক, সভাপতি, বাংলা একাডেমি। ফোক সংগীতে-মমতাজ বেগম এম.পি, দেশ বরন্য সঙ্গীত শিল্পী।
সম্পাদক ও নারী অধিকার বাস্তবায়নে- তাসমিমা হোসেন (সাবেক এম.পি), সম্পাদক, দৈনিক ইত্তেফাক ও মাসিক অনন্যা, নারী সাংবাদিকতায়-ফরিদা ইয়াসমিন, সভাপতি, জাতীয় প্রেসক্লাব। নারী উদ্যোক্তা ও সমাজ সেবায়-কণা রেজা, পরিচালক,চ্যানেল আই ও পান সুপারী। কর্মসংস্থান ও অর্থনীতি উন্নয়নে- আফরোজা বেগম, প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক,বসুন্ধরা গ্রুপ, ঢাকা। ব্যবসা বাণিজ্য ও সমাজসেবায়- ড. মনোয়ারা হাকিম আলী, প্রেসিডেন্ট, চট্টগ্রাম ওমেন্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ। উচ্চ শিক্ষা বিস্তারে- প্রফেসর ড. হামিদা খানম, অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। কবি ও লেখক হিসেবে- ফিরোজা পারভীন (পারভীন রেজা), বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক। আইন ও সমাজসেবায়- এ্যাড. নাহিদ সুলতানা যুথী, এ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট।
সেরা চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে- চয়নিকা চৌধুরী, বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা ও পরিচালক। চলচ্চিত্র অভিনয়ে- চিত্রনায়িকা অঞ্জনা সুলতানা, বিশিষ্ট চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ও নৃত্য শিল্পী। শিক্ষা বিস্তারে ও সমাজ সেবায়- লুৎফুন নেসা ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান, আলিফ গ্রুপ অব কোম্পানীজ। সংগ্রামী নারী হিসেবে যারা পুরস্কৃত হলেন, জাগ্রত সেবা কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডেন্ট লায়ন নাজনীন সুলতানা লুনা, ঢাকা মেট্রোপলিটন উপ-পুলিশ কমিশনার সালমা সৈয়দ পলি, নড়াইল জেলা পুলিশ সুপার মোসাঃ সাদিয়া খাতুন, এনডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য নাজমুন নাহার মিনতী,কবি ও লেখক সেহেলি মল্লিক, চিত্রনায়িকা পরিমনি, সহ ২০জন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমান বলেন, নারীদের অধিকার আদায়ের জন্য এখনও লড়াই করতে হয় যা অত্যান্ত দুঃখ জনক। বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে নারীর সমঅধিকারের কোন বিকল্প নাই। সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীদের উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা পালন করলেও বাস্তব ক্ষেত্রে তা এখনও দৃশ্যমান নয়।
তিনি বলেন, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক গবেষণা পরিষদের উদ্যোগে আজকে যে ১৫জন নারীকে আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হলো তাতে আগামীতে নারী জাগরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সভাপতি সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ বলেন, নারীর পাশাপাশি পুরুষদেরকে আরো সহনশীল হতে হবে। যেভাবে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা প্রতি বছর বাড়ছে তা কমিয়ে না আনলে নারী উন্নয়নের সুফল আমরা ভোগ করতে পারবো না।