খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ শেষ হওয়া নিয়ে যা বললেন: আইনমন্ত্রী

#
news image

আবেদন পেলে দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

রোববার সরকারি মামলার ডিজিটাল ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত প্রযুক্তি উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি একথা বলেন। আগামী ২৪ মার্চ খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ শেষ হচ্ছে, নতুন করে সে মেয়াদ বাড়ানো হবে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘এখনো কোনো আবেদন পাইনি। আবেদন পাওয়ার পর সিদ্ধান্ত নেব।’

খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদনে গত বছর ১৯ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ ষষ্ঠ দফায় ৬ মাসের জন্য বাড়ানো হয়। বরাবরের মতো এই সময়েও ঢাকার নিজ বাসায় থেকে তিনি চিকিৎসা নিবেন এবং দেশের বাইরে যেতে পারবেন না, এমন দুটি শর্ত ছিল তার দণ্ড স্থগিতের পেছনে।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বিচারিক আদালত সাজা দিলে, সেদিন থেকেই কারাজীবন শুরু হয় খালেদা জিয়ার। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও তার সাজার রায় হয়। ৭৭ বছর বয়সী খালেদা জিয়া আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার পর ২০২১ সালের এপ্রিলে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর কয়েক দফা হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর বাসায় ফেরেন তিনি।

গত বছর নভেম্বরে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার ‘পরিপাকতন্ত্রে’ রক্তক্ষরণ এবং লিভার সিরোসিসের কথা জানান চিকিৎসকরা। গত বছর জুনে ওই হাসপাতালেই খালেদা জিয়ার হৃৎপিণ্ডের ব্লক অপসারণ করে একটি ‘স্টেন্ট’ বসানো হয়।
নানা জটিলতার উন্নত চিকিৎসার দাবি করে তাকে বিদেশে পাঠানোর জন্য কয়েক দফা আবেদন করেছিলেন তার ভাই শামীম এস্কান্দার। কিন্তু প্রতিবারই তা নাকচ করেছে সরকার।

এ নিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ভাষ্য, শর্তসাপেক্ষে দণ্ড স্থগিত থাকা অবস্থায় খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। এ ক্ষেত্রে খালেদা জিয়াকে কারাগারে ফিরে আবেদন করতে হবে। আগামী ২৪ মার্চ শেষ হবে ষষ্ঠ দফায় বাড়ানো খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত অর্থাৎ মুক্তির মেয়াদ।

নাগরিক প্রতিবেদক

০৫ মার্চ, ২০২৩,  8:31 PM

news image

আবেদন পেলে দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

রোববার সরকারি মামলার ডিজিটাল ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত প্রযুক্তি উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি একথা বলেন। আগামী ২৪ মার্চ খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ শেষ হচ্ছে, নতুন করে সে মেয়াদ বাড়ানো হবে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘এখনো কোনো আবেদন পাইনি। আবেদন পাওয়ার পর সিদ্ধান্ত নেব।’

খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদনে গত বছর ১৯ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ ষষ্ঠ দফায় ৬ মাসের জন্য বাড়ানো হয়। বরাবরের মতো এই সময়েও ঢাকার নিজ বাসায় থেকে তিনি চিকিৎসা নিবেন এবং দেশের বাইরে যেতে পারবেন না, এমন দুটি শর্ত ছিল তার দণ্ড স্থগিতের পেছনে।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বিচারিক আদালত সাজা দিলে, সেদিন থেকেই কারাজীবন শুরু হয় খালেদা জিয়ার। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও তার সাজার রায় হয়। ৭৭ বছর বয়সী খালেদা জিয়া আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার পর ২০২১ সালের এপ্রিলে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর কয়েক দফা হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর বাসায় ফেরেন তিনি।

গত বছর নভেম্বরে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার ‘পরিপাকতন্ত্রে’ রক্তক্ষরণ এবং লিভার সিরোসিসের কথা জানান চিকিৎসকরা। গত বছর জুনে ওই হাসপাতালেই খালেদা জিয়ার হৃৎপিণ্ডের ব্লক অপসারণ করে একটি ‘স্টেন্ট’ বসানো হয়।
নানা জটিলতার উন্নত চিকিৎসার দাবি করে তাকে বিদেশে পাঠানোর জন্য কয়েক দফা আবেদন করেছিলেন তার ভাই শামীম এস্কান্দার। কিন্তু প্রতিবারই তা নাকচ করেছে সরকার।

এ নিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ভাষ্য, শর্তসাপেক্ষে দণ্ড স্থগিত থাকা অবস্থায় খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। এ ক্ষেত্রে খালেদা জিয়াকে কারাগারে ফিরে আবেদন করতে হবে। আগামী ২৪ মার্চ শেষ হবে ষষ্ঠ দফায় বাড়ানো খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত অর্থাৎ মুক্তির মেয়াদ।