অধিদপ্তরের মাধ্যমে পাঠ্যবই ছাপাতে চায় গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়

#
news image

আগামী বছর থেকে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবই এনসিটিবির বদলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে ছাপাতে চায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে পাঠ্যবই ছাপানো হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ। এ সময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

সচিব বলেন, এ বছর নির্বাচনী বছর। গত বছরের চেয়ে এবার আগাম সতর্কতা অবলম্বন করেছি আমরা। এরইমধ্যে এনসিটিবি, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে শুরু করে সবাইকে নিয়ে সভা করে কর্মপরিকল্পনা করে জারি করে দিয়েছি।

এ বছর আমরা নভেম্বরের মধ্যে যে কোনো মূল্যে সব পাঠ্যপুস্তক উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছানো নিশ্চিত করবো। এজন্য যা যা করা দরকার কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী তা করা হবে।

তিনি বলেন, এনসিটিবির (জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড) আইনে বলা হয়েছে, পাঠ্যবইয়ের পা-ুলিপি প্রণয়ন ও মুদ্রণের কাজ এনসিটিবি করবে। আমরা একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করেছিলাম। সেখানে আমরা বিষয়টি (প্রাথমিকের পাঠ্যবই ছাপানো) নিয়ে আমরা দীর্ঘ পর্যালোচনা করেছি। সুবিধা-অসুবিধা, কোনটা হলে জনগণের বা নাগরিকদের ভালো হয়, কোনটা হলে শিক্ষার্থীদের ভালো হয়। সেভাবে আমরা পর্যালোচনা করেছি।

পর্যালোচনা করে আমরা কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ বছরের বই যেভাবে আছে সেভাবে কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী এগোবো। এনসিটিবি আসলে ওভারবার্ডেন (কাজের চাপে ভারাক্রান্ত)। তাদের কার্যপরিধি অনুযায়ী জনবল সংকটের কারণে তারা ওভারবার্ডেন।

সচিব আরও বলেন, বইয়ের ছাপানোর বরাদ্দ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অনুকূলে আসে। আইন অনুযায়ী বই ছাপানোর জন্য এনসিটিবিকে অতিরিক্ত ২ শতাংশ টাকা সার্ভিস চার্জ হিসেবে দিতে হয়। কাজটা করার সক্ষমতা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের রয়েছে। আমাদের বরাদ্দও আছে। কাজটা যদি আমরা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে করতে পারি সরকারের অন্তত ২০ থেকে ৩০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। আমরা আরও দ্রুততার সঙ্গে কাজটি করতে পারবো। এনসিটিবির ওপরও বার্ডেনটা কমে আসবে।

তথ্য-উপাত্ত উল্লেখ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে পাঠ্যবই ছাপানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে জানিয়ে ফরিদ আহাম্মদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেভাবে সিদ্ধান্ত নেবেন, সেই অনুযায়ী আমরা আগামী বছর কাজ করব। এ বছর কোনো জটিলতা নেই। যার যা দায়িত্ব তা আমরা পালন করবো। সরকার যেভাবে সিদ্ধান্ত দেবে সেভাবে কাজ করবো।

নাগরিক প্রতিবেদক

২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩,  6:47 PM

news image

আগামী বছর থেকে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবই এনসিটিবির বদলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে ছাপাতে চায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে পাঠ্যবই ছাপানো হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ। এ সময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

সচিব বলেন, এ বছর নির্বাচনী বছর। গত বছরের চেয়ে এবার আগাম সতর্কতা অবলম্বন করেছি আমরা। এরইমধ্যে এনসিটিবি, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে শুরু করে সবাইকে নিয়ে সভা করে কর্মপরিকল্পনা করে জারি করে দিয়েছি।

এ বছর আমরা নভেম্বরের মধ্যে যে কোনো মূল্যে সব পাঠ্যপুস্তক উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছানো নিশ্চিত করবো। এজন্য যা যা করা দরকার কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী তা করা হবে।

তিনি বলেন, এনসিটিবির (জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড) আইনে বলা হয়েছে, পাঠ্যবইয়ের পা-ুলিপি প্রণয়ন ও মুদ্রণের কাজ এনসিটিবি করবে। আমরা একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করেছিলাম। সেখানে আমরা বিষয়টি (প্রাথমিকের পাঠ্যবই ছাপানো) নিয়ে আমরা দীর্ঘ পর্যালোচনা করেছি। সুবিধা-অসুবিধা, কোনটা হলে জনগণের বা নাগরিকদের ভালো হয়, কোনটা হলে শিক্ষার্থীদের ভালো হয়। সেভাবে আমরা পর্যালোচনা করেছি।

পর্যালোচনা করে আমরা কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ বছরের বই যেভাবে আছে সেভাবে কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী এগোবো। এনসিটিবি আসলে ওভারবার্ডেন (কাজের চাপে ভারাক্রান্ত)। তাদের কার্যপরিধি অনুযায়ী জনবল সংকটের কারণে তারা ওভারবার্ডেন।

সচিব আরও বলেন, বইয়ের ছাপানোর বরাদ্দ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অনুকূলে আসে। আইন অনুযায়ী বই ছাপানোর জন্য এনসিটিবিকে অতিরিক্ত ২ শতাংশ টাকা সার্ভিস চার্জ হিসেবে দিতে হয়। কাজটা করার সক্ষমতা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের রয়েছে। আমাদের বরাদ্দও আছে। কাজটা যদি আমরা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে করতে পারি সরকারের অন্তত ২০ থেকে ৩০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। আমরা আরও দ্রুততার সঙ্গে কাজটি করতে পারবো। এনসিটিবির ওপরও বার্ডেনটা কমে আসবে।

তথ্য-উপাত্ত উল্লেখ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে পাঠ্যবই ছাপানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে জানিয়ে ফরিদ আহাম্মদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেভাবে সিদ্ধান্ত নেবেন, সেই অনুযায়ী আমরা আগামী বছর কাজ করব। এ বছর কোনো জটিলতা নেই। যার যা দায়িত্ব তা আমরা পালন করবো। সরকার যেভাবে সিদ্ধান্ত দেবে সেভাবে কাজ করবো।