চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জিতলো রিয়াল মাদ্রিদ
প্রভাতী খবর ডেস্ক
২৯ মে, ২০২২, 8:30 PM
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জিতলো রিয়াল মাদ্রিদ
ভিনিসিয়াস জুুনিয়রের একমাত্র গোলে লিভারপুলকে ১-০ ব্যবধানে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জয় করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। এর মাধ্যমে নিজেদের শিরোপা জয়ের রেকর্ড ১৪’তে উন্নীত করেছে গ্যালাকটিকোরা।
প্যারিসের স্তাদে ডি ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত ফাইনালে ফেডে ভালভার্দের ক্রসে ৫৯ মিনিটে লস ব্ল্যাঙ্কোসদের এগিয়ে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। পুরো ম্যাচেই গোল বারের নীচে শক্তিশালী ভূমিকা রেখেছে রিয়ালের বেলজিয়ান গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া। তার অসাধারণ নৈপুন্যে জার্গেন ক্লপের দল কোনভাবেই গোলের দেখা পায়নি।
এর মাধ্যমে দারুন একটি মৌসুমের হতাশাজনক পরিসমাপ্তি হলো লিভারপুলের। লিগ কাপ ও এফএ কাপের শিরোপা জয়ী রেডরা প্রিমিয়ার লিগে ম্যানচেস্টার সিটির থেকে এক পয়েন্ট পিছিয়ে শিরোপার দেখা পায়নি।
২০টিরও বেশী শ্যুট লিভারপুল কালকের ম্যাচে করেছে, এর মধ্যে ৯টি ছিল গোলবারে। কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদ গোলরক্ষকের অসাধারন দক্ষতায় একটিও সফল হয়নি।
এদিকে লা লিগা শিরোপা জেতা রিয়াল মাদ্রিদ আরো একটি ইউরোপীয়ান শিরোপা নিজেদের করে নিল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নক আউট পর্বের ম্যাচেই রিয়াল মাদ্রিদকে কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে ফাইনালে আসতে হয়েছে। শেষ ১৬’তে পিএসজির বিপক্ষে পিছিয়ে থেকে নক আউট পর্ব শুরু, এরপর শেষ মুহূর্তের গোলে দ্বিতীয় লেগে জয়। চেলসির বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালেও একই ঘটনা ঘটে। সেমিফাইনালে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে শেষ মুহূর্তের গোলে রিয়ালের ভাগ্যে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত হয়।
অথচ কালকের ম্যাচের শুরু থেকেই লিভাপুল চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। ম্যাচের তিন মিনিটেই কোর্তোয়াকে পরীক্ষায় পড়তে হয়েছিল। অপরদিকে করিম বেনজেমা ও ভিনিসিয়াস জুনিয়র নিজেদের যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকে। জর্ডান হেন্ডারসন, থিয়াগো ও ফ্যাবিনহোর সহায়তায় লিভারপুল ক্রমেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রন নিজেদের করে নেয়। প্রথম ১৫ মিনিটে বেশ কয়েকবার মাদ্রিদের বক্সে বল নিয়ে প্রবেশ করেও সফল হতে পারেনি ক্লপের দল। এর পিছনে অবশ্য কোর্তোয়ার নৈপুণ্য দায়ী। আর লিভারপুলকে সামলাতে গিয়ে মাদ্রিদ অনেকটাই রক্ষনাত্মক হয়ে পড়ে। যদিও কাউন্টার এ্যাটাক থেকে বেশ কয়েকটি সুযোগ তারাও তৈরী করেছিল। ১৬ মিনিটে আলেক্সান্দার আর্নল্ড মাদ্রিদের ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে বল পাঠিয়ে দিয়েছিলেন মোহাম্মদ সালাহর কাছে। কিন্তু সালাহর দূর্বল শট সহজেই রুখে দেন কোর্তোয়া। এরপর থিয়াগো ও সালাহর পরপর দুটি শটও ব্যর্থ হয়ে যায়। ২১ মিনিটে লিভারপুল প্রায় লিড নিয়েই ফেলেছিল। সাদিও মানের ডান পায়ের জোড়ালো শটটি কোর্তোয়া সেভ না করলে তখনই এগিয়ে যেতে পারতো রেডসরা। ৩০ মিনিটে টনি ক্রসের ক্রস থেকে ভিনিসিয়ান গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। প্রথমার্ধের সবচেয়ে সহজ সুযোগটি পেয়েছিলেন সালাহ। আলেক্সান্দার আর্নল্ডের নিখুঁত ক্রস থেকে মিশরীয় তারকার হেডটি সরাসরি কোর্তোয়ার হাতে ধরা পড়ে। ৩৬ মিনিটে ভিনি বেশ কয়েকজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সের মধ্যে ঢুকে পরে শট নিলে হেন্ডারসন তা কর্ণারের মাধ্যমে ক্লিয়ার করেন। প্রথমার্ধের শেষ ভাগে বেনজেমার একটি শট জালে প্রবেশ করলে ভিএআর তা বাতিল করে দেয়।
দ্বিতীয়ার্ধে মধ্য মাঠে অনেকটাই নিয়ন্ত্রন নিয়ে নেয় রিয়াল। কিন্তু তারপরেও দ্রুত তা কাটিয়ে উঠে লিভারপুল একের পর এক আক্রমন চালাতে থাকে। আবারো আলেক্সান্দার আর্নল্ডের ক্রস কোর্তোয়ার কারনে সফল হয়নি। কিন্তু ৫৯ মিনিটে শেষ পর্যন্ত ডেডলক ভাঙ্গে রিয়াল মাদ্রিদ। ডানদিক থেকে ভালভার্দের পাসে ভিনিসিয়াস জুনিয়র রিয়ালকে এগিয়ে দিতে কোন ভুল করেননি। ৬৪ মিনিটে সালাহর একক প্রচেষ্টার বাম পায়ের জোড়ালো শটটিও গোলরক্ষক রুখে দেন। এক গোলে পিছিয়ে থেকে লিভারপুল ম্যাচে ফিরে আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে। কিছুটা আক্রমনাত্মক মেজাজে তারা খেলতে থাকে। এই সুযোগে কাউন্টার এ্যাটাক থেকে ভিনিসিয়াস বেশ কয়েকবার গোলের সুযোগ তৈরী করেছিল। লিভারপুলের বেশীরভাগ আক্রমনের মূল যোগানদাতা ছিলেন আলেক্সান্দার আর্নল্ড। কিন্তু ম্যাচের গতি নষ্ট করে দিতে রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড়রা দারুনভাবে সফল হয়েছিলেন। মাদ্রিদের ব্যবধান বাড়াতে কাসেমিরো দারুন একটি সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা সফল হয়নি। ৮০ মিনিটে বদলী খেলোয়াড় দিয়োগো জোতার শট ডিফ্লেকটেড হয়ে কোর্তোয়ার কাছে গেলে কর্নারের মাধ্যমে তা রক্ষা করেন বেলজিয়ান এই গোলরক্ষক। দুই মিনিট পর পোস্টের খুব কাছে থেকে শট নিয়ে গোল আদায় করতে পারেননি সালাহ। এখানেও রিয়ালকে দারুন এক সেভের মাধ্যমে রক্ষা করেছেন কোর্তোয়া। ম্যাচের বাকিটা সময় মাদ্রিদ শুধু নিজেদের গোলটিকেই রক্ষা করার কাজে ব্যস্ত ছিল। শেষ পর্যন্ত তাতে সফলও হয়েছে কার্লোস আনচেলত্তির দল।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে প্রথম কোন গোলরক্ষক হিসেবে ৯টি সেভ করার অসাধারন এক রেকর্ড গড়েছেন কোর্তোয়া।
প্রভাতী খবর ডেস্ক
২৯ মে, ২০২২, 8:30 PM
ভিনিসিয়াস জুুনিয়রের একমাত্র গোলে লিভারপুলকে ১-০ ব্যবধানে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জয় করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। এর মাধ্যমে নিজেদের শিরোপা জয়ের রেকর্ড ১৪’তে উন্নীত করেছে গ্যালাকটিকোরা।
প্যারিসের স্তাদে ডি ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত ফাইনালে ফেডে ভালভার্দের ক্রসে ৫৯ মিনিটে লস ব্ল্যাঙ্কোসদের এগিয়ে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। পুরো ম্যাচেই গোল বারের নীচে শক্তিশালী ভূমিকা রেখেছে রিয়ালের বেলজিয়ান গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া। তার অসাধারণ নৈপুন্যে জার্গেন ক্লপের দল কোনভাবেই গোলের দেখা পায়নি।
এর মাধ্যমে দারুন একটি মৌসুমের হতাশাজনক পরিসমাপ্তি হলো লিভারপুলের। লিগ কাপ ও এফএ কাপের শিরোপা জয়ী রেডরা প্রিমিয়ার লিগে ম্যানচেস্টার সিটির থেকে এক পয়েন্ট পিছিয়ে শিরোপার দেখা পায়নি।
২০টিরও বেশী শ্যুট লিভারপুল কালকের ম্যাচে করেছে, এর মধ্যে ৯টি ছিল গোলবারে। কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদ গোলরক্ষকের অসাধারন দক্ষতায় একটিও সফল হয়নি।
এদিকে লা লিগা শিরোপা জেতা রিয়াল মাদ্রিদ আরো একটি ইউরোপীয়ান শিরোপা নিজেদের করে নিল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নক আউট পর্বের ম্যাচেই রিয়াল মাদ্রিদকে কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে ফাইনালে আসতে হয়েছে। শেষ ১৬’তে পিএসজির বিপক্ষে পিছিয়ে থেকে নক আউট পর্ব শুরু, এরপর শেষ মুহূর্তের গোলে দ্বিতীয় লেগে জয়। চেলসির বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালেও একই ঘটনা ঘটে। সেমিফাইনালে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে শেষ মুহূর্তের গোলে রিয়ালের ভাগ্যে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত হয়।
অথচ কালকের ম্যাচের শুরু থেকেই লিভাপুল চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। ম্যাচের তিন মিনিটেই কোর্তোয়াকে পরীক্ষায় পড়তে হয়েছিল। অপরদিকে করিম বেনজেমা ও ভিনিসিয়াস জুনিয়র নিজেদের যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকে। জর্ডান হেন্ডারসন, থিয়াগো ও ফ্যাবিনহোর সহায়তায় লিভারপুল ক্রমেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রন নিজেদের করে নেয়। প্রথম ১৫ মিনিটে বেশ কয়েকবার মাদ্রিদের বক্সে বল নিয়ে প্রবেশ করেও সফল হতে পারেনি ক্লপের দল। এর পিছনে অবশ্য কোর্তোয়ার নৈপুণ্য দায়ী। আর লিভারপুলকে সামলাতে গিয়ে মাদ্রিদ অনেকটাই রক্ষনাত্মক হয়ে পড়ে। যদিও কাউন্টার এ্যাটাক থেকে বেশ কয়েকটি সুযোগ তারাও তৈরী করেছিল। ১৬ মিনিটে আলেক্সান্দার আর্নল্ড মাদ্রিদের ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে বল পাঠিয়ে দিয়েছিলেন মোহাম্মদ সালাহর কাছে। কিন্তু সালাহর দূর্বল শট সহজেই রুখে দেন কোর্তোয়া। এরপর থিয়াগো ও সালাহর পরপর দুটি শটও ব্যর্থ হয়ে যায়। ২১ মিনিটে লিভারপুল প্রায় লিড নিয়েই ফেলেছিল। সাদিও মানের ডান পায়ের জোড়ালো শটটি কোর্তোয়া সেভ না করলে তখনই এগিয়ে যেতে পারতো রেডসরা। ৩০ মিনিটে টনি ক্রসের ক্রস থেকে ভিনিসিয়ান গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। প্রথমার্ধের সবচেয়ে সহজ সুযোগটি পেয়েছিলেন সালাহ। আলেক্সান্দার আর্নল্ডের নিখুঁত ক্রস থেকে মিশরীয় তারকার হেডটি সরাসরি কোর্তোয়ার হাতে ধরা পড়ে। ৩৬ মিনিটে ভিনি বেশ কয়েকজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সের মধ্যে ঢুকে পরে শট নিলে হেন্ডারসন তা কর্ণারের মাধ্যমে ক্লিয়ার করেন। প্রথমার্ধের শেষ ভাগে বেনজেমার একটি শট জালে প্রবেশ করলে ভিএআর তা বাতিল করে দেয়।
দ্বিতীয়ার্ধে মধ্য মাঠে অনেকটাই নিয়ন্ত্রন নিয়ে নেয় রিয়াল। কিন্তু তারপরেও দ্রুত তা কাটিয়ে উঠে লিভারপুল একের পর এক আক্রমন চালাতে থাকে। আবারো আলেক্সান্দার আর্নল্ডের ক্রস কোর্তোয়ার কারনে সফল হয়নি। কিন্তু ৫৯ মিনিটে শেষ পর্যন্ত ডেডলক ভাঙ্গে রিয়াল মাদ্রিদ। ডানদিক থেকে ভালভার্দের পাসে ভিনিসিয়াস জুনিয়র রিয়ালকে এগিয়ে দিতে কোন ভুল করেননি। ৬৪ মিনিটে সালাহর একক প্রচেষ্টার বাম পায়ের জোড়ালো শটটিও গোলরক্ষক রুখে দেন। এক গোলে পিছিয়ে থেকে লিভারপুল ম্যাচে ফিরে আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে। কিছুটা আক্রমনাত্মক মেজাজে তারা খেলতে থাকে। এই সুযোগে কাউন্টার এ্যাটাক থেকে ভিনিসিয়াস বেশ কয়েকবার গোলের সুযোগ তৈরী করেছিল। লিভারপুলের বেশীরভাগ আক্রমনের মূল যোগানদাতা ছিলেন আলেক্সান্দার আর্নল্ড। কিন্তু ম্যাচের গতি নষ্ট করে দিতে রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড়রা দারুনভাবে সফল হয়েছিলেন। মাদ্রিদের ব্যবধান বাড়াতে কাসেমিরো দারুন একটি সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা সফল হয়নি। ৮০ মিনিটে বদলী খেলোয়াড় দিয়োগো জোতার শট ডিফ্লেকটেড হয়ে কোর্তোয়ার কাছে গেলে কর্নারের মাধ্যমে তা রক্ষা করেন বেলজিয়ান এই গোলরক্ষক। দুই মিনিট পর পোস্টের খুব কাছে থেকে শট নিয়ে গোল আদায় করতে পারেননি সালাহ। এখানেও রিয়ালকে দারুন এক সেভের মাধ্যমে রক্ষা করেছেন কোর্তোয়া। ম্যাচের বাকিটা সময় মাদ্রিদ শুধু নিজেদের গোলটিকেই রক্ষা করার কাজে ব্যস্ত ছিল। শেষ পর্যন্ত তাতে সফলও হয়েছে কার্লোস আনচেলত্তির দল।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে প্রথম কোন গোলরক্ষক হিসেবে ৯টি সেভ করার অসাধারন এক রেকর্ড গড়েছেন কোর্তোয়া।