ঘরের মাঠে ইতিহাস গড়ল দক্ষিণ আফ্রিকা
নাগরিক স্পোর্টস ডেস্ক
২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, 8:00 PM
ঘরের মাঠে ইতিহাস গড়ল দক্ষিণ আফ্রিকা
৪ বলে প্রয়োজন ১২ রান। শাবনিম ইসমাইলের লেংথ ডেলিভারি ব্যাটে লাগাতে লাগাতে পারলেন না হিদার নাইট। বল স্টাম্পে আঘাত করতেই সব ফিল্ডার এসে ঘিরে ধরলেন বোলারকে। তখনও জয় নিশ্চিত হয়নি। তবু ‘শেষ কাঁটা’ উপড়ে ফেলার স্বস্তিই কম কিসে! ইসমাইল বাকি ৩ বলে ৫ রান দিয়ে ম্যাচ জেতানোর পর যেন আর থামে না দক্ষিণ আফ্রিকার উদযাপন।
ইতিহাসে প্রথমবার ফাইনালের টিকেট পাওয়া বলে কথা! কেপ টাউনে শুক্রবার উইমেন’স টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শ্বাসরুদ্ধকর সেমি-ফাইনালে ইংল্যান্ডকে ৬ রানে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। স্বাগতিকদের করা ১৬৪ রানের জবাবে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রানের বেশি করতে পারেনি ইংলিশরা। একই মাঠে রোববার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে প্রোটিয়ারা। নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে নারী-পুরুষ মিলিয়েই যে কোনো সংস্করণের বিশ্বকাপে এবারই প্রথম ফাইনালে উঠল দক্ষিণ আফ্রিকা।
ব্যাট হাতে ৫৫ বলে ৬৮ রানের ইনিংসের পর ফিল্ডিংয়ে চারটি দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়ে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন স্বাগতিক ওপেনার তাজমিন ব্রিটস। বল হাতে ২৯ রান খরচায় ৪ উইকেট পেয়েছেন আয়াবঙ্গা খাকা। ইসমাইলের শিকার ৩ উইকেট। উদ্বোধনী জুটিতে লরা উলভার্টের সঙ্গে ৯৬ রানের জুটি গড়েন ব্রিটস। ফিফটি ছুঁয়ে ৪৪ বলে ৫ চার ও ১ ছয়ে ৫৩ রান করে আউট হন উলভার্ট। নিজের ইনিংসে ৬টি চারের পাশাপাশি ২টি ছক্কা হাঁকান ব্রিটস। দুই ওপেনারের ফিফটির পর তিন নম্বরে নামা মারিজান ক্যাপ খেলেন ১৩ বলে ২৭ রানের ইনিংস।
তার ৪ চারে সাজানো ইনিংসের সৌজন্য দেড়শ ছাড়ানো সংগ্রহ পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। রান তাড়ায় উড়ন্ত সূচনা করে ইংল্যান্ড। প্রথম ৫ ওভারে ৫৩ রান করে ফেলেন ড্যানি ওয়াট ও সোফিয়া ডাঙ্কলি। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে জোড়া ব্রেক থ্রু এনে দেন খাকা। দুটি ক্যাচই নেন ব্রিটস। ডাংকলি ১৬ বলে ২৮ ও ওয়াট ৩০ বলে করেন ৩৪ রান। এই দুজন ফেরার পর জয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখেন ন্যাট সিভার ব্রান্ট। ৩১ বলে ৪০ রান করা তারকা ব্যাটারকে ফেরান নাদিন ডি ক্লার্ক। এবারও ক্যাচ নেন ব্রিটস। শেষ ৩ ওভারে প্রয়োজন ছিল ২৮ রান। নিজের কোটার শেষ ওভার করতে এসে স্রফে ৩ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন খাকা।
তখনও ইংলিশদের আশার প্রদীপ হয়ে টিকে ছিলেন অধিনায়ক নাইট। ১৯তম ওভারে এক ছক্কায় ১২ রান নিলে শেষ ৬ বলে বাকি থাকে ১৩ রান। কিন্তু সেই সমীকরণ মেলাতে পারেননি নাইট। ইসমাইলের বলে তার বোল্ডের মাধ্যমেই মূলত নিশ্চিত হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার ফাইনালের টিকেট।
নাগরিক স্পোর্টস ডেস্ক
২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, 8:00 PM
৪ বলে প্রয়োজন ১২ রান। শাবনিম ইসমাইলের লেংথ ডেলিভারি ব্যাটে লাগাতে লাগাতে পারলেন না হিদার নাইট। বল স্টাম্পে আঘাত করতেই সব ফিল্ডার এসে ঘিরে ধরলেন বোলারকে। তখনও জয় নিশ্চিত হয়নি। তবু ‘শেষ কাঁটা’ উপড়ে ফেলার স্বস্তিই কম কিসে! ইসমাইল বাকি ৩ বলে ৫ রান দিয়ে ম্যাচ জেতানোর পর যেন আর থামে না দক্ষিণ আফ্রিকার উদযাপন।
ইতিহাসে প্রথমবার ফাইনালের টিকেট পাওয়া বলে কথা! কেপ টাউনে শুক্রবার উইমেন’স টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শ্বাসরুদ্ধকর সেমি-ফাইনালে ইংল্যান্ডকে ৬ রানে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। স্বাগতিকদের করা ১৬৪ রানের জবাবে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রানের বেশি করতে পারেনি ইংলিশরা। একই মাঠে রোববার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে প্রোটিয়ারা। নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে নারী-পুরুষ মিলিয়েই যে কোনো সংস্করণের বিশ্বকাপে এবারই প্রথম ফাইনালে উঠল দক্ষিণ আফ্রিকা।
ব্যাট হাতে ৫৫ বলে ৬৮ রানের ইনিংসের পর ফিল্ডিংয়ে চারটি দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়ে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন স্বাগতিক ওপেনার তাজমিন ব্রিটস। বল হাতে ২৯ রান খরচায় ৪ উইকেট পেয়েছেন আয়াবঙ্গা খাকা। ইসমাইলের শিকার ৩ উইকেট। উদ্বোধনী জুটিতে লরা উলভার্টের সঙ্গে ৯৬ রানের জুটি গড়েন ব্রিটস। ফিফটি ছুঁয়ে ৪৪ বলে ৫ চার ও ১ ছয়ে ৫৩ রান করে আউট হন উলভার্ট। নিজের ইনিংসে ৬টি চারের পাশাপাশি ২টি ছক্কা হাঁকান ব্রিটস। দুই ওপেনারের ফিফটির পর তিন নম্বরে নামা মারিজান ক্যাপ খেলেন ১৩ বলে ২৭ রানের ইনিংস।
তার ৪ চারে সাজানো ইনিংসের সৌজন্য দেড়শ ছাড়ানো সংগ্রহ পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। রান তাড়ায় উড়ন্ত সূচনা করে ইংল্যান্ড। প্রথম ৫ ওভারে ৫৩ রান করে ফেলেন ড্যানি ওয়াট ও সোফিয়া ডাঙ্কলি। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে জোড়া ব্রেক থ্রু এনে দেন খাকা। দুটি ক্যাচই নেন ব্রিটস। ডাংকলি ১৬ বলে ২৮ ও ওয়াট ৩০ বলে করেন ৩৪ রান। এই দুজন ফেরার পর জয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখেন ন্যাট সিভার ব্রান্ট। ৩১ বলে ৪০ রান করা তারকা ব্যাটারকে ফেরান নাদিন ডি ক্লার্ক। এবারও ক্যাচ নেন ব্রিটস। শেষ ৩ ওভারে প্রয়োজন ছিল ২৮ রান। নিজের কোটার শেষ ওভার করতে এসে স্রফে ৩ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন খাকা।
তখনও ইংলিশদের আশার প্রদীপ হয়ে টিকে ছিলেন অধিনায়ক নাইট। ১৯তম ওভারে এক ছক্কায় ১২ রান নিলে শেষ ৬ বলে বাকি থাকে ১৩ রান। কিন্তু সেই সমীকরণ মেলাতে পারেননি নাইট। ইসমাইলের বলে তার বোল্ডের মাধ্যমেই মূলত নিশ্চিত হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার ফাইনালের টিকেট।