ধূলাবালির মাঝেই জীবিকার সন্ধান করছে অভয়নগরের আনজুয়ারা বেগম

#
news image

যশোরের অভয়নগরে নওয়াপাড়া ভৈরব সেতুর উপরে চোখে পড়ে  উপজেলার মসরহাটি গ্রামের আনজুয়ারা বেগমের বালি কুড়ানোর দৃশ্য। 

নওয়াপাড়া ভৈরব সেতুর উপর দিয়ে বিরামহীন ভাবে ছুটে চলেছে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন আর বিভিন্ন প্রকারের মানুষজন। যার যার প্রয়োজনে অবিরাম ছুটে চলা।কেউবা আবার ভালো পোষাক পরে ঘুরতে আসেন সেতুতে। দৃষ্টি পড়েনা জির্ণ পোষাকের অসহায় গরিবের দিকে।

কথা হয় তার সঙ্গে। অক্লান্ত পরিশ্রমী এই অসহায় নারী বলেন ব্রীজের উপর দিয়ে কয়লার গড়ি যখন যায় তখন গাড়ি থেকে গুড়ো কয়লা ঝরে পড়ে। পাঁচ সাত দিন পর পর  বালিসহ কয়লা জমা হয়। সেগুলো কুড়িয়ে নেট দিয়ে টুকে বহু কষ্টে কয়লা সংগ্রহ করতে হয়। পাঁচ প্যাকেট বালি বোঝাই করলে  ঝাড়ার পরে ২ পেকেট কয়লা পাওয়া যায়। অবশিষ্ট যে বালি পাওয়া যায় তা বিশ টাকাই এক প্যাকেট বিক্রয় হয়। আমার স্বামী অসুস্থ তাই আমি এই কাজ করি।  স্বামীর প্রসংসায়  তিনি বলেন আমার স্বামী ভাল থাকতে এমন কষ্ট আমার কোন দিন করতে হয়নি, দোয়া করেন সে যেন ভালো হয়ে যায়। এক বছর যাবৎ এই ভাবে কাজ করছি ৬ হাজার টাকা লাগবে চিন্তাই দিশেহারা হয়ে যাচ্ছি। একটা ছেলে আছে  ৭ বছর বয়স।তিনি আরো জানান শুধু  এ জায়গাই নয় বিভিন্ন যায়গায় দূর দূরান্তে  চলে যায় কয়লা সংগ্রহে।

এখানে একসপ্তাহ বালি কুড়াবো আবার এক সপ্তাহ পরে আবার আসবো।মাঝে মধ্যে মিলে আবার বাসা বাড়িও  কাজ করে সংসার চালাতে হয় তার।কে রাখে কার খবর এভাবেই চলে আঞ্জুয়ারার জীবন জীবিকার সন্ধানে পথ চলা । দৃষ্টান্ত রাখছে জীবন যুদ্ধে হার না মানা এক পরিশ্রমী এই নারী।

 মোঃ ইবাদৎ হোসেন, অভয়নগর, যশোর

০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩,  9:45 PM

news image

যশোরের অভয়নগরে নওয়াপাড়া ভৈরব সেতুর উপরে চোখে পড়ে  উপজেলার মসরহাটি গ্রামের আনজুয়ারা বেগমের বালি কুড়ানোর দৃশ্য। 

নওয়াপাড়া ভৈরব সেতুর উপর দিয়ে বিরামহীন ভাবে ছুটে চলেছে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন আর বিভিন্ন প্রকারের মানুষজন। যার যার প্রয়োজনে অবিরাম ছুটে চলা।কেউবা আবার ভালো পোষাক পরে ঘুরতে আসেন সেতুতে। দৃষ্টি পড়েনা জির্ণ পোষাকের অসহায় গরিবের দিকে।

কথা হয় তার সঙ্গে। অক্লান্ত পরিশ্রমী এই অসহায় নারী বলেন ব্রীজের উপর দিয়ে কয়লার গড়ি যখন যায় তখন গাড়ি থেকে গুড়ো কয়লা ঝরে পড়ে। পাঁচ সাত দিন পর পর  বালিসহ কয়লা জমা হয়। সেগুলো কুড়িয়ে নেট দিয়ে টুকে বহু কষ্টে কয়লা সংগ্রহ করতে হয়। পাঁচ প্যাকেট বালি বোঝাই করলে  ঝাড়ার পরে ২ পেকেট কয়লা পাওয়া যায়। অবশিষ্ট যে বালি পাওয়া যায় তা বিশ টাকাই এক প্যাকেট বিক্রয় হয়। আমার স্বামী অসুস্থ তাই আমি এই কাজ করি।  স্বামীর প্রসংসায়  তিনি বলেন আমার স্বামী ভাল থাকতে এমন কষ্ট আমার কোন দিন করতে হয়নি, দোয়া করেন সে যেন ভালো হয়ে যায়। এক বছর যাবৎ এই ভাবে কাজ করছি ৬ হাজার টাকা লাগবে চিন্তাই দিশেহারা হয়ে যাচ্ছি। একটা ছেলে আছে  ৭ বছর বয়স।তিনি আরো জানান শুধু  এ জায়গাই নয় বিভিন্ন যায়গায় দূর দূরান্তে  চলে যায় কয়লা সংগ্রহে।

এখানে একসপ্তাহ বালি কুড়াবো আবার এক সপ্তাহ পরে আবার আসবো।মাঝে মধ্যে মিলে আবার বাসা বাড়িও  কাজ করে সংসার চালাতে হয় তার।কে রাখে কার খবর এভাবেই চলে আঞ্জুয়ারার জীবন জীবিকার সন্ধানে পথ চলা । দৃষ্টান্ত রাখছে জীবন যুদ্ধে হার না মানা এক পরিশ্রমী এই নারী।