ব্যাটিং ব্যর্থতায় ধূসর হয়ে গেল সাকিবের রাঙানো মঞ্চ

#
news image

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। ২৩ রান তুলতেই চার উইকেট হারিয়েছে স্বাগতিকরা। সেখান থেকে দলের হাল ধরেন প্রথম ইনিংসে ইতিহাস রচনা করা মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস।
আগের দিনের টার্ন মনে আশা জাগিয়েছিল, সকালেই কয়েকটা উইকেট তুলে নেওয়া গেলে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আসবে ম্যাচটা। টাইগার সমর্থকদের জন্যও শুরুটা হতো সুন্দর।
অথচ বাংলাদেশের শুরুটা হলো রঙহীন। দুই সেশনে নিতে পারল না একটি উইকেটও, উল্টো লিড পেল শ্রীলঙ্কা। এরপর এবাদত ভাঙলেন জমে যাওয়া জুটি, রাঙালেন সাকিব আল হাসান। তার ক্যারিয়ারের ১৯তম পাঁচ উইকেট পাওয়ার পথে অলআউট হলো শ্রীলঙ্কা।
কিন্তু শেষ বিকেলে খেলতে নেমে সাকিবের রাঙিয়ে দেওয়া মঞ্চ ধূসর করে দিলেন ব্যাটাররা। বাংলাদেশ হারাল ৪ উইকেট। ১০৭ রানে লঙ্কানদের চেয়ে পিছিয়ে আছেন মুমিনুল হকরা। লিটন দাস ১০ বলে ১ ও মুশফিকুর রহিম ১৬ বলে ১৪ রান নিয়ে শেষ দিন শুরু করবেন।
শুরুটা হয় তামিম ইকবালকে দিয়ে। আভিস্কা ফার্নান্দোর বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ১১ বলে ০ রান করে সাজঘরে ফেরত যান তিনি। আগের ইনিংসেও ডাক মেরে ফিরেছিলেন এই ওপেনার।
এরপর রান আউটে কাটা পড়েন নাজমুল হোসেন শান্ত। চারে খেলতে নেমে ফের ব্যর্থ হন অধিনায়ক মুমিনুল হকও। রাজিথার বলে উইকেটের পেছনে দাঁড়ানো ডিকভেলার হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে আউট হন তিনি। খানিক বাদে ফেরেন মাহমুদুল হাসান জয়ও।
আভিস্কা ফার্নান্দোর বলে স্লিপে কুশল মেন্ডিসের হাতে ক্যাচ দেন এই ওপেনার। পিছিয়ে থেকেই তাই শেষদিনে মাঠে নামবে স্বাগতিকরা।
দিনের শুরুতে একেবারেই নির্বিষ বোলিং করে বাংলাদেশ। প্রথম দুই সেশনেই থাকতে হয় উইকেটশূন্য। ৫ উইকেট হারিয়ে ২৮২ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শুরু করে শ্রীলঙ্কা। আড়াই ঘণ্টার প্রথম সেশনে একমাত্র সুযোগ তৈরি করেছিলেন মুমিনুল হক।  
বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ের আধঘণ্টা আগেই শুরু হয় চতুর্থ দিনের খেলা। দিনের শুরুটা করেন এবাদত হোসেন ও তাইজুল ইসলাম। এরপর একে একে সাকিব আল হাসান, খালেদ আহমেদ, মোসাদ্দেক হোসেন ও মুমিনুল হক আসেন বোলিংয়ে।
কিন্তু কাজের কাজটি করতে পারছিলেন না কেউই। একমাত্র মুমিনুলই একবার উইকেট নেওয়ার কাছাকাছি গিয়েছিলেন। তার অফ স্টাম্পের বাইরে পড়া বল চান্ডিমাল ডিফেন্ড করতে গেলে স্টাম্পের পেছনে দাঁড়ানো লিটন দাসের হাতে যায়, আউট দিয়ে দেন আম্পায়ার। কিন্তু রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান লঙ্কান ব্যাটার।
এর বাইরে পুরো সেশনজুড়েই ঠিকঠাক লাইন-লেন্থ খুঁজে পাননি বোলাররা। আগের দিন বিকেলে উইকেটে টার্ন দেখা গেলেও চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনে দেখা যায়নি তেমন কিছুই।  
লাঞ্চের পর সেঞ্চুরির আগেই ম্যাথিউসকে ফেরানোর সম্ভাবনা জেগেছিল। মোসাদ্দেকের বলে তাকে এলবিডব্লিউ আউট দেন আম্পায়ার। কিন্তু রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান ম্যাথিউস। এরপরই সেঞ্চুরি করেন তিনি। খানিক বাদে সেঞ্চুরি তুলে নেন চান্ডিমালও।
শেষ সেশনে এসে জমে যাওয়া ম্যাথিউস-চান্ডিমাল জুটি ভাঙেন এবাদত হোসেন। তার স্লোয়ার কাভার ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন চান্ডিমাল। কিন্তু দারুণ এক ক্যাচ ধরে ২১৯ বলে ১২৪ রান করা চান্ডিমালকে সাজঘরে ফেরত পাঠান তিনি। ভেঙে যায় ম্যাথিউসের সঙ্গে চান্ডিমালের ১৯৯ রানের জুটি।  
এরপর নিরোশান ডিকভেলাকে ফেরান সাকিব। তার বল স্টাম্পের পেছনে গেলে স্টাম্পিং করেন উইকেটরক্ষক লিটন দাস। তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে সিদ্ধান্তের কাছে গেলে দেখা যায় ডিকভেলার ব্যাটে লেগেছিল বল। ১০ বলে ৯ রান করে আউট হন ডিকভেলা।
এরপর প্রাভিন জয়াবিক্রমাকে আউট করে ফাইফার পূর্ণ করেন তিন উইকেট নিয়ে চতুর্থ দিন মাঠে নামা সাকিব। ৩ বলে ০ রান করা নিরোশান ডিকভেলাকে লিটনের হাতে ক্যাচ তুলে দিতে বাধ্য করে। ক্যারিয়ারে ১৯তম বারের মতো পাঁচ উইকেট নেন সাকিব।
৫০৬ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। ১৪১ রানের লিড পায় তারা। তবে ইনিংসের শেষ অবধি অপরাজিত থাকেন ১২ চার ও ২ ছক্কায় ৩৪২ বলে ১৪৫ রান করা ম্যাথিউস।

প্রভাতী খবর ডেস্ক

২৬ মে, ২০২২,  9:08 PM

news image

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। ২৩ রান তুলতেই চার উইকেট হারিয়েছে স্বাগতিকরা। সেখান থেকে দলের হাল ধরেন প্রথম ইনিংসে ইতিহাস রচনা করা মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস।
আগের দিনের টার্ন মনে আশা জাগিয়েছিল, সকালেই কয়েকটা উইকেট তুলে নেওয়া গেলে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আসবে ম্যাচটা। টাইগার সমর্থকদের জন্যও শুরুটা হতো সুন্দর।
অথচ বাংলাদেশের শুরুটা হলো রঙহীন। দুই সেশনে নিতে পারল না একটি উইকেটও, উল্টো লিড পেল শ্রীলঙ্কা। এরপর এবাদত ভাঙলেন জমে যাওয়া জুটি, রাঙালেন সাকিব আল হাসান। তার ক্যারিয়ারের ১৯তম পাঁচ উইকেট পাওয়ার পথে অলআউট হলো শ্রীলঙ্কা।
কিন্তু শেষ বিকেলে খেলতে নেমে সাকিবের রাঙিয়ে দেওয়া মঞ্চ ধূসর করে দিলেন ব্যাটাররা। বাংলাদেশ হারাল ৪ উইকেট। ১০৭ রানে লঙ্কানদের চেয়ে পিছিয়ে আছেন মুমিনুল হকরা। লিটন দাস ১০ বলে ১ ও মুশফিকুর রহিম ১৬ বলে ১৪ রান নিয়ে শেষ দিন শুরু করবেন।
শুরুটা হয় তামিম ইকবালকে দিয়ে। আভিস্কা ফার্নান্দোর বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ১১ বলে ০ রান করে সাজঘরে ফেরত যান তিনি। আগের ইনিংসেও ডাক মেরে ফিরেছিলেন এই ওপেনার।
এরপর রান আউটে কাটা পড়েন নাজমুল হোসেন শান্ত। চারে খেলতে নেমে ফের ব্যর্থ হন অধিনায়ক মুমিনুল হকও। রাজিথার বলে উইকেটের পেছনে দাঁড়ানো ডিকভেলার হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে আউট হন তিনি। খানিক বাদে ফেরেন মাহমুদুল হাসান জয়ও।
আভিস্কা ফার্নান্দোর বলে স্লিপে কুশল মেন্ডিসের হাতে ক্যাচ দেন এই ওপেনার। পিছিয়ে থেকেই তাই শেষদিনে মাঠে নামবে স্বাগতিকরা।
দিনের শুরুতে একেবারেই নির্বিষ বোলিং করে বাংলাদেশ। প্রথম দুই সেশনেই থাকতে হয় উইকেটশূন্য। ৫ উইকেট হারিয়ে ২৮২ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শুরু করে শ্রীলঙ্কা। আড়াই ঘণ্টার প্রথম সেশনে একমাত্র সুযোগ তৈরি করেছিলেন মুমিনুল হক।  
বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ের আধঘণ্টা আগেই শুরু হয় চতুর্থ দিনের খেলা। দিনের শুরুটা করেন এবাদত হোসেন ও তাইজুল ইসলাম। এরপর একে একে সাকিব আল হাসান, খালেদ আহমেদ, মোসাদ্দেক হোসেন ও মুমিনুল হক আসেন বোলিংয়ে।
কিন্তু কাজের কাজটি করতে পারছিলেন না কেউই। একমাত্র মুমিনুলই একবার উইকেট নেওয়ার কাছাকাছি গিয়েছিলেন। তার অফ স্টাম্পের বাইরে পড়া বল চান্ডিমাল ডিফেন্ড করতে গেলে স্টাম্পের পেছনে দাঁড়ানো লিটন দাসের হাতে যায়, আউট দিয়ে দেন আম্পায়ার। কিন্তু রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান লঙ্কান ব্যাটার।
এর বাইরে পুরো সেশনজুড়েই ঠিকঠাক লাইন-লেন্থ খুঁজে পাননি বোলাররা। আগের দিন বিকেলে উইকেটে টার্ন দেখা গেলেও চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনে দেখা যায়নি তেমন কিছুই।  
লাঞ্চের পর সেঞ্চুরির আগেই ম্যাথিউসকে ফেরানোর সম্ভাবনা জেগেছিল। মোসাদ্দেকের বলে তাকে এলবিডব্লিউ আউট দেন আম্পায়ার। কিন্তু রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান ম্যাথিউস। এরপরই সেঞ্চুরি করেন তিনি। খানিক বাদে সেঞ্চুরি তুলে নেন চান্ডিমালও।
শেষ সেশনে এসে জমে যাওয়া ম্যাথিউস-চান্ডিমাল জুটি ভাঙেন এবাদত হোসেন। তার স্লোয়ার কাভার ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন চান্ডিমাল। কিন্তু দারুণ এক ক্যাচ ধরে ২১৯ বলে ১২৪ রান করা চান্ডিমালকে সাজঘরে ফেরত পাঠান তিনি। ভেঙে যায় ম্যাথিউসের সঙ্গে চান্ডিমালের ১৯৯ রানের জুটি।  
এরপর নিরোশান ডিকভেলাকে ফেরান সাকিব। তার বল স্টাম্পের পেছনে গেলে স্টাম্পিং করেন উইকেটরক্ষক লিটন দাস। তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে সিদ্ধান্তের কাছে গেলে দেখা যায় ডিকভেলার ব্যাটে লেগেছিল বল। ১০ বলে ৯ রান করে আউট হন ডিকভেলা।
এরপর প্রাভিন জয়াবিক্রমাকে আউট করে ফাইফার পূর্ণ করেন তিন উইকেট নিয়ে চতুর্থ দিন মাঠে নামা সাকিব। ৩ বলে ০ রান করা নিরোশান ডিকভেলাকে লিটনের হাতে ক্যাচ তুলে দিতে বাধ্য করে। ক্যারিয়ারে ১৯তম বারের মতো পাঁচ উইকেট নেন সাকিব।
৫০৬ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। ১৪১ রানের লিড পায় তারা। তবে ইনিংসের শেষ অবধি অপরাজিত থাকেন ১২ চার ও ২ ছক্কায় ৩৪২ বলে ১৪৫ রান করা ম্যাথিউস।