নাশতার টেবিলে বসে দলকে একসঙ্গে চালিয়ে নিতে একমত দেবর-ভাবি

#
news image

জাতীয় পার্টিতে (জাপা) এখন আলোচনার কেন্দ্রে ‘দেবর-ভাবির দ্বন্দ্ব’। এই ‘দ্বন্দ্ব’ এমন পর্যায়ে যায় যে, একে অপরে পাল্টাপাল্টি নির্দেশনা জারি করতে থাকেন। ফলে জাপা নিয়ে দেখা দেয় শঙ্কা। এ অবস্থায় থাইল্যান্ড থেকে চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরেন রওশন এরশাদ। এরপর নিজেদের মধ্যে বিভেদ দূর করতে বৈঠক করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের ও দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ।

মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে তাদের দুজনের সাক্ষাৎ হয়। এ সময় তারা এক টেবিলে নাশতাও করেন। প্রায় ৫৫ মিনিটের ওই বৈঠকের পর তারা দলকে একসঙ্গে চালিয়ে নেওয়ার বিষয়ে একমত হন। বৈঠকে থাকা দলের একাধিক নেতা বিষয়টি জানিয়েছেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রওশন এরশাদের ছেলে সাদ এরশাদ, জাতীয় পার্টির কো চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এবং পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য শফিকুল ইসলাম সেন্টু।

বাবলা বলেন, এটা দেবর-ভাবির বৈঠক। রওশন এরশাদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়েছেন জিএম কাদের। এসময় রওশন এরশাদ জিএম কাদেরকে বলেছেন, ‘ভালোভাবে দল চালাও। তোমার প্রতি আমার দোয়া ও বিশ্বাস আছে। আমি পাশে আছি। সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।’ রওশন এরশাদের ডাকা কাউন্সিলও আর হবে না বলে জানিয়ে বাবলা বলেন, বরফ গলে গেছে। মিটে গেছে দেবর-ভাবির বিভেদ। বহিষ্কৃতদের আমরা দলে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবো।

জানা গেছে, বৈঠকে রওশনকে উদ্দেশ্য করে জিএম কাদের বলেন, আমরা একসঙ্গে কাজ করি। আপনার নামে বিভিন্ন জেলা কমিটি হচ্ছে। এতে করে জনগণের মাঝে ভুল মেসেজ যাচ্ছে। এর চেয়ে আমরা সমন্বয় করে দলটিকে এগিয়ে নিয়ে যাই। এর আগে গত রোববার দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরেন রওশন এরশাদ। বর্তমানে তিনি হোটেল ওয়েস্টিনে অবস্থান করছেন।

জাপায় ‘দেবর-ভাবির দ্বন্দ্বে’র সূত্রপাত হয় থাইল্যান্ডে থাকা অবস্থায় রওশনের এক চিঠিকে কেন্দ্র করে। গত ৩১ অক্টোবর হঠাৎ করেই ২৬ নভেম্বর দলের সম্মেলনের ডাক দেন তিনি। পরে অবশ্য তা স্থগিত করা হয়। জিএম কাদের ও তার অনুসারীরা রওশনের এই ঘোষণার প্রতিবাদ জানান। তারা বলেন, দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী রওশন এমনটা করতে পারেন না। এরপর রওশনকে বিরোধীদলীয় নেতার পদ থেকে সরিয়ে জিএম কাদেরকে সেই পদে বসাতে জাতীয় সংসদের স্পিকারকে চিঠি দেয় পার্টির সংসদীয় দল। পরে অবশ্য সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।

এরপর দলটির সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধার করা একটি মামলায় জাতীয় পার্টির কার্যক্রমে জিএম কাদেরের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন আদালত।৩১ অক্টোবর নিষেধাজ্ঞার ওই অস্থায়ী আদেশ দেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত। তবে সবশেষ আজ মঙ্গলবার জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে বিচারিক আদালতের আদেশ স্থগিত করেন হাইকোর্ট।

নিজস্ব প্রতিবেদক

৩০ নভেম্বর, ২০২২,  1:19 AM

news image

জাতীয় পার্টিতে (জাপা) এখন আলোচনার কেন্দ্রে ‘দেবর-ভাবির দ্বন্দ্ব’। এই ‘দ্বন্দ্ব’ এমন পর্যায়ে যায় যে, একে অপরে পাল্টাপাল্টি নির্দেশনা জারি করতে থাকেন। ফলে জাপা নিয়ে দেখা দেয় শঙ্কা। এ অবস্থায় থাইল্যান্ড থেকে চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরেন রওশন এরশাদ। এরপর নিজেদের মধ্যে বিভেদ দূর করতে বৈঠক করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের ও দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ।

মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে তাদের দুজনের সাক্ষাৎ হয়। এ সময় তারা এক টেবিলে নাশতাও করেন। প্রায় ৫৫ মিনিটের ওই বৈঠকের পর তারা দলকে একসঙ্গে চালিয়ে নেওয়ার বিষয়ে একমত হন। বৈঠকে থাকা দলের একাধিক নেতা বিষয়টি জানিয়েছেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রওশন এরশাদের ছেলে সাদ এরশাদ, জাতীয় পার্টির কো চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এবং পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য শফিকুল ইসলাম সেন্টু।

বাবলা বলেন, এটা দেবর-ভাবির বৈঠক। রওশন এরশাদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়েছেন জিএম কাদের। এসময় রওশন এরশাদ জিএম কাদেরকে বলেছেন, ‘ভালোভাবে দল চালাও। তোমার প্রতি আমার দোয়া ও বিশ্বাস আছে। আমি পাশে আছি। সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।’ রওশন এরশাদের ডাকা কাউন্সিলও আর হবে না বলে জানিয়ে বাবলা বলেন, বরফ গলে গেছে। মিটে গেছে দেবর-ভাবির বিভেদ। বহিষ্কৃতদের আমরা দলে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবো।

জানা গেছে, বৈঠকে রওশনকে উদ্দেশ্য করে জিএম কাদের বলেন, আমরা একসঙ্গে কাজ করি। আপনার নামে বিভিন্ন জেলা কমিটি হচ্ছে। এতে করে জনগণের মাঝে ভুল মেসেজ যাচ্ছে। এর চেয়ে আমরা সমন্বয় করে দলটিকে এগিয়ে নিয়ে যাই। এর আগে গত রোববার দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরেন রওশন এরশাদ। বর্তমানে তিনি হোটেল ওয়েস্টিনে অবস্থান করছেন।

জাপায় ‘দেবর-ভাবির দ্বন্দ্বে’র সূত্রপাত হয় থাইল্যান্ডে থাকা অবস্থায় রওশনের এক চিঠিকে কেন্দ্র করে। গত ৩১ অক্টোবর হঠাৎ করেই ২৬ নভেম্বর দলের সম্মেলনের ডাক দেন তিনি। পরে অবশ্য তা স্থগিত করা হয়। জিএম কাদের ও তার অনুসারীরা রওশনের এই ঘোষণার প্রতিবাদ জানান। তারা বলেন, দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী রওশন এমনটা করতে পারেন না। এরপর রওশনকে বিরোধীদলীয় নেতার পদ থেকে সরিয়ে জিএম কাদেরকে সেই পদে বসাতে জাতীয় সংসদের স্পিকারকে চিঠি দেয় পার্টির সংসদীয় দল। পরে অবশ্য সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।

এরপর দলটির সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধার করা একটি মামলায় জাতীয় পার্টির কার্যক্রমে জিএম কাদেরের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন আদালত।৩১ অক্টোবর নিষেধাজ্ঞার ওই অস্থায়ী আদেশ দেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত। তবে সবশেষ আজ মঙ্গলবার জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে বিচারিক আদালতের আদেশ স্থগিত করেন হাইকোর্ট।