মৌসুমি রোগের প্রকোপ বাড়ছে

#
news image

দেশজুড়েই মৌসুমি রোগের প্রকোপ বাড়ছে। শীত আসার আগেই সর্দি, জ্বরসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। বাতাসের আর্দ্রতা কমতে শুরু করার সঙ্গে ধুলাবালি বাড়ছে। আবহাওয়ার এই পরির্বতনে বায়ুদূষণ ক্রমে বাড়ছে।  ফলে হাসপাতালগুলোতে সাধারণ সর্দি-কাশি, ঠাণ্ডা-জ্বর, হাঁপানি, শ্বাসকষ্টজনিত রোগসহ নিউমোনিয়া, ব্রংকিউলাইটিস, ডায়রিয়া, ফুসফুসের সংক্রমণ এবং চর্মরোগের রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। ব্রংকিউলাইটিস, নিউমোনিয়া, হাঁপানি এবং সাধারণ সর্দি-কাশি নিয়ে হাসপাতালে শিশুরাই বেশি আসছে। আর অ্যাজমা, শ্বাসকষ্টজনিত রোগ (সিওপিডি) ও চর্ম রোগ নিয়ে আসছে বয়স্করা। অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ থেকেই রাজধানীতে হাসপাতালে রোগী বাড়ছে। ফলে বিভিন্ন হাসপাতালে আইসিইউ, এনআইসিইউ, পিআইসিইউ, এইচডি, এসকেবির সঙ্কট দেখা দিয়েছে। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বর্তমানে প্রতিদিন বহির্বিভাগে গড়ে ২শ’রও বেশি রোগী বেশি আসছে। হাসপাতাল ও চিকিৎসা খাত সংশ্লিষ্টদের সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, সরকারি হাসপাতালগুলোতে রোগীদের সারি দিন দিন দীর্ঘ হচ্ছে। বয়স্কদের বেশিরভাগের শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সমস্যা, অ্যাজমা ও চর্মরোগ। আরবেশির ভাগ শিশু সর্দি-কাশি, ঠাণ্ডা-জ্বরের সঙ্গে নিউমোনিয়ার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে এসেছে। পাশাপাশি হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যাও বেড়ে চলেছে। রোটা ভাইরাস এই সময়ে শিশুদের ডায়রিয়া বেশি হওয়ার অন্যতম কারণ। ৫ বছরের কম বয়সী শিশুরা রোটা ভাইরাসে বেশি আক্রান্ত হয়। আর শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিশুদের ওই রোগ বাড়তে থাকে। যদিও ঢাকায় এখনো শীতের প্রকোপ শুরু হয়নি। তারপরও হাসপাতালগুলোতে রোগী বাড়তে শুরু করেছে। মূলত এর মূলে পরিবেশদূষণ। 

সূত্র জানায়, শীতে কুয়াশা, ধুলাবালির মধ্যে ব্যাকটেরিয়া ঘুরে বেড়ায়। এখন মানুষ মাস্ক পরা কমিয়ে দেয়ায় সহজেই  ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস শরীরে ঢুকে পড়ছে। তাতে শিশু ও বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। আর অ্যাজমার অন্যতম প্রধান কারণ অ্যালার্জি। কোনো খাদ্যে কারো অ্যালার্জি হলে যথাসম্ভব তা পরিহার করা উচিত। আর ধুলাবালি, ধোঁয়া, গন্ধ, ঘরের ঝুল ইত্যাদি এড়িয়ে চলা প্রয়োজন।

অনলাইন ডেস্ক

০৮ নভেম্বর, ২০২২,  11:42 PM

news image

দেশজুড়েই মৌসুমি রোগের প্রকোপ বাড়ছে। শীত আসার আগেই সর্দি, জ্বরসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। বাতাসের আর্দ্রতা কমতে শুরু করার সঙ্গে ধুলাবালি বাড়ছে। আবহাওয়ার এই পরির্বতনে বায়ুদূষণ ক্রমে বাড়ছে।  ফলে হাসপাতালগুলোতে সাধারণ সর্দি-কাশি, ঠাণ্ডা-জ্বর, হাঁপানি, শ্বাসকষ্টজনিত রোগসহ নিউমোনিয়া, ব্রংকিউলাইটিস, ডায়রিয়া, ফুসফুসের সংক্রমণ এবং চর্মরোগের রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। ব্রংকিউলাইটিস, নিউমোনিয়া, হাঁপানি এবং সাধারণ সর্দি-কাশি নিয়ে হাসপাতালে শিশুরাই বেশি আসছে। আর অ্যাজমা, শ্বাসকষ্টজনিত রোগ (সিওপিডি) ও চর্ম রোগ নিয়ে আসছে বয়স্করা। অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ থেকেই রাজধানীতে হাসপাতালে রোগী বাড়ছে। ফলে বিভিন্ন হাসপাতালে আইসিইউ, এনআইসিইউ, পিআইসিইউ, এইচডি, এসকেবির সঙ্কট দেখা দিয়েছে। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বর্তমানে প্রতিদিন বহির্বিভাগে গড়ে ২শ’রও বেশি রোগী বেশি আসছে। হাসপাতাল ও চিকিৎসা খাত সংশ্লিষ্টদের সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, সরকারি হাসপাতালগুলোতে রোগীদের সারি দিন দিন দীর্ঘ হচ্ছে। বয়স্কদের বেশিরভাগের শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সমস্যা, অ্যাজমা ও চর্মরোগ। আরবেশির ভাগ শিশু সর্দি-কাশি, ঠাণ্ডা-জ্বরের সঙ্গে নিউমোনিয়ার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে এসেছে। পাশাপাশি হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যাও বেড়ে চলেছে। রোটা ভাইরাস এই সময়ে শিশুদের ডায়রিয়া বেশি হওয়ার অন্যতম কারণ। ৫ বছরের কম বয়সী শিশুরা রোটা ভাইরাসে বেশি আক্রান্ত হয়। আর শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিশুদের ওই রোগ বাড়তে থাকে। যদিও ঢাকায় এখনো শীতের প্রকোপ শুরু হয়নি। তারপরও হাসপাতালগুলোতে রোগী বাড়তে শুরু করেছে। মূলত এর মূলে পরিবেশদূষণ। 

সূত্র জানায়, শীতে কুয়াশা, ধুলাবালির মধ্যে ব্যাকটেরিয়া ঘুরে বেড়ায়। এখন মানুষ মাস্ক পরা কমিয়ে দেয়ায় সহজেই  ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস শরীরে ঢুকে পড়ছে। তাতে শিশু ও বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। আর অ্যাজমার অন্যতম প্রধান কারণ অ্যালার্জি। কোনো খাদ্যে কারো অ্যালার্জি হলে যথাসম্ভব তা পরিহার করা উচিত। আর ধুলাবালি, ধোঁয়া, গন্ধ, ঘরের ঝুল ইত্যাদি এড়িয়ে চলা প্রয়োজন।