কুমিল্লায় পাখির জন্য কৃষকের ভালোবাসা

#
news image

কুমিল্লা জেলায় পাখির জন্য কৃষকের ভালোবাসা। একজন কৃষকের চারশ' বাবুই পাখির জন্য ভালোবাসা মুগ্ধ করেছে সবাইকে। কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার রামপুর গ্রামের কৃষক মো. রিপন মিয়ার পাখিদের প্রতি এ ভালোবাসা দেখা যায়।
জানা যায়, উপজেলার রামপুর গ্রামের মূল সড়কের পাশে একটি দীর্ঘ তালগাছ। গাছের পাতায় পাতায় বাবুই পাখির দুই শতাধিক বাসা। সম্প্রতি গাছের মালিক গাছটি বিক্রি করে দেন। গাছের পাশেই রিপন মিয়ার ধানের জমি। রিপন খেয়াল করেন গাছটি বেপারি কেটে নিয়ে যাবে। কিন্তু এতে নষ্ট হবে প্রায় চারশ' পাখির আবাস। পরে তাল গাছটি তিনি কিনে নেন। এছাড়াও যত দিন গাছে পাখি থাকবে তিনি ততদিন সেটি বিক্রি বা কাটবেন না বলে সিদ্ধান্ত নেন।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, গ্রামের সড়কের পাশে তাল গাছটি। গাছ আর পাখি দেখতে এখানে ভরাসারে অবস্থিত সোনার বাংলা কলেজের শিক্ষার্থীসহ  স্থানীয় তরুণরা ভিড় করে। কৃষক মো. রিপন মিয়া বাসসকে বলেন, জমিতে ফসল ফলানো আর বাড়িতে গরু পালন তার মূল পেশা। জমির পাশের তাল গাছটিতে অনেক বাবুই পাখি কিচির মিচির শব্দ তুলে ডাকে। গাছের কাছে এসে পাখির শৈল্পিক বাসা বুনন আর ডাক শুনলে তার মন ভালো হয়ে যায়। তাদের গ্রামে এ রকম বাবুই পাখির বাসা বাঁধা তাল গাছ আর নেই। তাই তিনি গাছটি কিনে নেন।  
স্থানীয় সোনার বাংলা কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম রেজা সৌরভ বাসসকে বলেন, পাখির প্রতি আমরা অনেক উদাসীন। সেখানে একজন কৃষক পাখির প্রতি যে ভালোবাসা দেখিয়েছেন সেটি বিরল। তার নিকট আমাদের অনেক শেখার আছে। তার মতো অন্যদেরও জীব বৈচিত্র্য রক্ষায় এগিয়ে আসা উচিত।
সামাজিক বন বিভাগের কুমিল্লার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম বাসসকে বলেন, দিন দিন পরিবেশ থেকে বৃক্ষ, পাখি ও বিভিন্ন  প্রাণি হারিয়ে যাচ্ছে। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় এগুলো সংরক্ষণের বিকল্প নেই। কৃষক রিপন মিয়ার এ উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।

অনলাইন ডেস্ক

০৭ নভেম্বর, ২০২২,  2:07 AM

news image

কুমিল্লা জেলায় পাখির জন্য কৃষকের ভালোবাসা। একজন কৃষকের চারশ' বাবুই পাখির জন্য ভালোবাসা মুগ্ধ করেছে সবাইকে। কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার রামপুর গ্রামের কৃষক মো. রিপন মিয়ার পাখিদের প্রতি এ ভালোবাসা দেখা যায়।
জানা যায়, উপজেলার রামপুর গ্রামের মূল সড়কের পাশে একটি দীর্ঘ তালগাছ। গাছের পাতায় পাতায় বাবুই পাখির দুই শতাধিক বাসা। সম্প্রতি গাছের মালিক গাছটি বিক্রি করে দেন। গাছের পাশেই রিপন মিয়ার ধানের জমি। রিপন খেয়াল করেন গাছটি বেপারি কেটে নিয়ে যাবে। কিন্তু এতে নষ্ট হবে প্রায় চারশ' পাখির আবাস। পরে তাল গাছটি তিনি কিনে নেন। এছাড়াও যত দিন গাছে পাখি থাকবে তিনি ততদিন সেটি বিক্রি বা কাটবেন না বলে সিদ্ধান্ত নেন।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, গ্রামের সড়কের পাশে তাল গাছটি। গাছ আর পাখি দেখতে এখানে ভরাসারে অবস্থিত সোনার বাংলা কলেজের শিক্ষার্থীসহ  স্থানীয় তরুণরা ভিড় করে। কৃষক মো. রিপন মিয়া বাসসকে বলেন, জমিতে ফসল ফলানো আর বাড়িতে গরু পালন তার মূল পেশা। জমির পাশের তাল গাছটিতে অনেক বাবুই পাখি কিচির মিচির শব্দ তুলে ডাকে। গাছের কাছে এসে পাখির শৈল্পিক বাসা বুনন আর ডাক শুনলে তার মন ভালো হয়ে যায়। তাদের গ্রামে এ রকম বাবুই পাখির বাসা বাঁধা তাল গাছ আর নেই। তাই তিনি গাছটি কিনে নেন।  
স্থানীয় সোনার বাংলা কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম রেজা সৌরভ বাসসকে বলেন, পাখির প্রতি আমরা অনেক উদাসীন। সেখানে একজন কৃষক পাখির প্রতি যে ভালোবাসা দেখিয়েছেন সেটি বিরল। তার নিকট আমাদের অনেক শেখার আছে। তার মতো অন্যদেরও জীব বৈচিত্র্য রক্ষায় এগিয়ে আসা উচিত।
সামাজিক বন বিভাগের কুমিল্লার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম বাসসকে বলেন, দিন দিন পরিবেশ থেকে বৃক্ষ, পাখি ও বিভিন্ন  প্রাণি হারিয়ে যাচ্ছে। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় এগুলো সংরক্ষণের বিকল্প নেই। কৃষক রিপন মিয়ার এ উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।