সার কিনতে ৪৬ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেবে সরকার

#
news image

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী কৃষি উৎপাদন বিষয়ে কোনো ঝুঁকিতে যেতে চান না। এজন্য সার কিনতে ৪৬ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেবে সরকার। মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন। 

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‌‘সার কিনতে গত অর্থবছর দিয়েছি ২৮ হাজার কোটি টাকা। এবার আমরা জুন পর্যন্ত এস্টিমেট (প্রাক্কলন) করেছি, আমাদের দিতে হবে ৪৬ হাজার কোটি টাকা। এ টাকা কোথা থেকে আসবে? হয় কোনো গুপ্তধন লাগবে, নয়তো আলাউদ্দিনের আশ্চর্য প্রদীপ লাগবে। বাংলাদেশ এ টাকা কোথা থেকে জোগাড় করবে?’ 

‘তা সত্ত্বেও আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি। উনি বলেছেন- এটা তোমার চিন্তার বিষয় নয়, আমরা কৃষি উৎপাদনের বিষয়ে কোনো ঝুঁকিতে যাব না। কৃষির উৎপাদনটাকে আমাদের সাসটেইন (অব্যাহত) করতে হবে। যদি ৪৬ হাজার কোটি টাকা লাগে আমরা দেবো, তুমি সার কেনো।’

সাংবাদিকদের উদ্দেশে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আপনাদের মাধ্যমে জাতিকে আশ্বস্ত করতে চাই, ইনশাআল্লাহ সারের কোনো সংকট হবে না। প্রকৃতি যদি আমাদের সহায়ক থাকে, বোরোতেও কোনো ঝুঁকি হবে না, এটুকু আমি আপনাদের বলতে পারি।’ এ মুহূর্তে দেশে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি সার আছে বলেও জানান কৃষিমন্ত্রী।

আমনের লক্ষ্যমাত্রা এবং উৎপাদন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমন আমাদের একটা বড় ফসল। আগে এটি ছিল মূল ফসল। এখন অবশ্য বোরো অনেক বেশি হচ্ছে। ২ কোটি টন বা তারচেয়েও বেশি বোরো হয় (উৎপাদন)। আর আমন হয় এক কোটি ৫০ থেকে ৬০ লাখ টন। এ বছর শ্রাবণ মাসে একদিন বৃষ্টি হয়েছে। এর জন্য আমরা খুব উৎকণ্ঠার মধ্যে ছিলাম। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সবাই এটা নিয়ে চিন্তিত ছিলাম যে ধান লাগানো যাচ্ছে না। তারপর একদম শেষের দিকে কৃষকরা সেচসহ নানাভাবে তারা মোটামুটি চাষাবাদ করেছে। আল্লাহর ইচ্ছায় বৃষ্টি হয়েছে এবং সর্বশেষ ঘূর্ণিঝড়ের বৃষ্টিসহ সবমিলিয়ে আমনের অবস্থা বেশ ভালো। এ বছর বৃষ্টি না হওয়ায় বিলের নিচু জায়গাগুলোতেও মানুষ আমন ধান লাগাতে পেরেছে বলে জানান মন্ত্রী। 

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ঘাটতি হবে কি না- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, খুব একটা ক্ষতি হবে না। যে ধানগুলো একটু ম্যাচিউরড হয়েছিল, সেগুলো কিছুটা পড়ে গেছে। আর দক্ষিণাঞ্চলে ধানটা দিনাজপুর ও নওগাঁর চেয়ে একমাস পরে লাগায়। কাজেই আমার মনে হয় না খুব একটা ক্ষতি হয়েছে।

অনলাইন ডেস্ক

০১ নভেম্বর, ২০২২,  10:45 PM

news image

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী কৃষি উৎপাদন বিষয়ে কোনো ঝুঁকিতে যেতে চান না। এজন্য সার কিনতে ৪৬ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেবে সরকার। মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন। 

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‌‘সার কিনতে গত অর্থবছর দিয়েছি ২৮ হাজার কোটি টাকা। এবার আমরা জুন পর্যন্ত এস্টিমেট (প্রাক্কলন) করেছি, আমাদের দিতে হবে ৪৬ হাজার কোটি টাকা। এ টাকা কোথা থেকে আসবে? হয় কোনো গুপ্তধন লাগবে, নয়তো আলাউদ্দিনের আশ্চর্য প্রদীপ লাগবে। বাংলাদেশ এ টাকা কোথা থেকে জোগাড় করবে?’ 

‘তা সত্ত্বেও আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি। উনি বলেছেন- এটা তোমার চিন্তার বিষয় নয়, আমরা কৃষি উৎপাদনের বিষয়ে কোনো ঝুঁকিতে যাব না। কৃষির উৎপাদনটাকে আমাদের সাসটেইন (অব্যাহত) করতে হবে। যদি ৪৬ হাজার কোটি টাকা লাগে আমরা দেবো, তুমি সার কেনো।’

সাংবাদিকদের উদ্দেশে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আপনাদের মাধ্যমে জাতিকে আশ্বস্ত করতে চাই, ইনশাআল্লাহ সারের কোনো সংকট হবে না। প্রকৃতি যদি আমাদের সহায়ক থাকে, বোরোতেও কোনো ঝুঁকি হবে না, এটুকু আমি আপনাদের বলতে পারি।’ এ মুহূর্তে দেশে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি সার আছে বলেও জানান কৃষিমন্ত্রী।

আমনের লক্ষ্যমাত্রা এবং উৎপাদন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমন আমাদের একটা বড় ফসল। আগে এটি ছিল মূল ফসল। এখন অবশ্য বোরো অনেক বেশি হচ্ছে। ২ কোটি টন বা তারচেয়েও বেশি বোরো হয় (উৎপাদন)। আর আমন হয় এক কোটি ৫০ থেকে ৬০ লাখ টন। এ বছর শ্রাবণ মাসে একদিন বৃষ্টি হয়েছে। এর জন্য আমরা খুব উৎকণ্ঠার মধ্যে ছিলাম। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সবাই এটা নিয়ে চিন্তিত ছিলাম যে ধান লাগানো যাচ্ছে না। তারপর একদম শেষের দিকে কৃষকরা সেচসহ নানাভাবে তারা মোটামুটি চাষাবাদ করেছে। আল্লাহর ইচ্ছায় বৃষ্টি হয়েছে এবং সর্বশেষ ঘূর্ণিঝড়ের বৃষ্টিসহ সবমিলিয়ে আমনের অবস্থা বেশ ভালো। এ বছর বৃষ্টি না হওয়ায় বিলের নিচু জায়গাগুলোতেও মানুষ আমন ধান লাগাতে পেরেছে বলে জানান মন্ত্রী। 

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ঘাটতি হবে কি না- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, খুব একটা ক্ষতি হবে না। যে ধানগুলো একটু ম্যাচিউরড হয়েছিল, সেগুলো কিছুটা পড়ে গেছে। আর দক্ষিণাঞ্চলে ধানটা দিনাজপুর ও নওগাঁর চেয়ে একমাস পরে লাগায়। কাজেই আমার মনে হয় না খুব একটা ক্ষতি হয়েছে।