শিরোনামঃ
২০২৪ বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস  আনিসুল হক ও সালমানকে রক্ষার চেষ্টা: অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সানজিদাকে সাময়িক বরখাস্ত দেশের সর্ববৃহৎ রেলসেতুটি চালুর অপেক্ষায় উত্তরবঙ্গবাসী সচিবালয়ে প্রবেশে ‘অস্থায়ী পাস’ সংক্রান্ত বিশেষ সেল গঠন বরগুনায় ঘর পোড়ানো মামলার আসামিকে গ্রেপ্তারের দাবি উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগবিধি সংস্কার খুবই গুরুত্বপূর্ণ : আইন উপদেষ্টা পুলিশ ক্রান্তিকাল অতিবাহিত করছে: আইজিপি আগামী ৩০ বছরে মানুষের বিলুপ্তি ঘটাতে পারে এআই : এআই গডফাদার হিন্টন সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষ, পাকিস্তানের ১৯ সেনা নিহত ১ বছরের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে প্রধান অভিযুক্তদের বিচার হবে

মানুষের ভোগান্তি কমাতে ১৪ দিন সড়কের কাজ বন্ধ রাখার আহ্বানঃ এফবিসিসিআই

#
news image

আসন্ন ঈদুল ফিতরে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি কমাতে বিভিন্ন সড়কে চলমান সংস্কার ও নির্মাণ কাজ ঈদের আগে-পরে মোট ১৪ দিন বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।

রোববার (১৭ এপ্রিল) পরিবহন ও যোগাযোগ (রেল, সড়ক ও মহাসড়ক) বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম বৈঠকে এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু এ আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, বিভিন্ন সড়কে সংস্কার ও নির্মাণ কাজ চলায় যানবাহনের গতি ধীর হয়ে যায়। যা দীর্ঘ যানজট তৈরি করে। ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি কমাতে তাই ২৭ এপ্রিল থেকে ১০ মে পর্যন্ত সব ধরনের সংস্কার ও নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার অনুরোধ জানান এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ওই কয়েক দিন যেসব পয়েন্টে বেশি যানজট হয় সেসব স্থানে সার্বক্ষণিক হাইওয়ে পুলিশ মোতায়েনেরও আহ্বান জানান। এছাড়াও সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধে সরকারি সংস্থাগুলোর কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

এসময় সড়ক-মহাসড়কে চাঁদাবাজি বন্ধের অনুরোধ জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে শিগগিরই চিঠি পাঠাবে এফবিসিসিআই। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষদের ঈদযাত্রায় ভোগান্তি কমাতে মাওয়া ও আরিচায় বাড়তি ফেরি ও ফেরির ট্রিপের সংখ্যা বাড়ানোরও আহ্বান জানান সিনিয়র সহ-সভাপতি।

তিনি পদ্মাসেতুর টোল নির্ধারণে এফবিসিসিআই, সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ও বাস ট্রাক মালিক সমিতিকে সম্পৃক্ত করার দাবি জানান।

এর আগে এফবিসিসিআইর সহ-সভাপতি ও কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ মো. আমিনুল হক শামীম যানজটে আর্থিক ক্ষতির প্রসঙ্গ তুলে জানান, শুধুমাত্র টঙ্গীর যানজটে যানবাহনের জ্বালানি খরচসহ দৈনিক ১০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। করোনায় ১৮ মাস গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও সরকারের কাছ থেকে কোনো সহায়তা পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, খেলাপি হওয়া এড়াতে, আয় না থাকলেও ব্যাংক ঋণের কিস্তি নিয়মিত পরিশোধ করতে হচ্ছে তাদের। এমন পরিস্থিতিতে আগামী বাজেটে টায়ার, টিউব ও অন্যান্য যন্ত্রাংশের ওপর বাড়তি শুল্ক-কর আরোপ না করার আহ্বান জানান।

কমিটির চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ বাস ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান রমেশ চন্দ্র ঘোষ জানান, রাজধানীর জয়কালী মন্দির ও ইত্তেফাক মোড়ে প্রতি রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বেআইনিভাবে চাঁদা তোলেন। চাঁদাবাজি বন্ধে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সহায়তা চান তিনি।

করোনাকালে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত খাত হিসেবে গণপরিবহন খাত চিহ্নিত করে রমেশ চন্দ্র ঘোষ আগামী তিন বছর এখাতে নীতি সুরক্ষা দেওয়ার আবেদন জানান। আগামী বাজেটে বাড়তি কোনো করভার আরোপ না করার আহ্বান জানান তিনি।

কমিটির অন্যান্য সদস্যরা তাদের বক্তব্যে বলেন, ভাঙাচোরা সড়কের কারণে যানবাহনের স্থায়ীত্ব কমে যাচ্ছে। যানজট কমাতে ও সড়কে শৃঙ্খলা আনতে সমন্বিত পরিবহন ব্যবস্থাপনা, সেবার বিকেন্দ্রীকরণ, বিআরটিএকে কার্যকর করা, ফিটনেস সনদের নামে ঘুষ ও চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি জানান তারা।

অন্যান্যদের মধ্যে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর পরিচালক বিজয় কুমার কেজরিওয়াল, সাবেক পরিচালক আব্দুল হক, মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক, স্ট্যান্ডিং কমিটির কো-চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম, এম হুমায়ুন কবীর, ফারুক তালুকদার সোহেল, প্রকৌশলী গোলাম কবীর, জি রহমান শহীদ, বজলুর রহমান রতনসহ অন্যান্য সদস্যরা।

প্রখ/ সাদ্দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৭ এপ্রিল, ২০২২,  5:34 AM

news image

আসন্ন ঈদুল ফিতরে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি কমাতে বিভিন্ন সড়কে চলমান সংস্কার ও নির্মাণ কাজ ঈদের আগে-পরে মোট ১৪ দিন বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।

রোববার (১৭ এপ্রিল) পরিবহন ও যোগাযোগ (রেল, সড়ক ও মহাসড়ক) বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম বৈঠকে এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু এ আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, বিভিন্ন সড়কে সংস্কার ও নির্মাণ কাজ চলায় যানবাহনের গতি ধীর হয়ে যায়। যা দীর্ঘ যানজট তৈরি করে। ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি কমাতে তাই ২৭ এপ্রিল থেকে ১০ মে পর্যন্ত সব ধরনের সংস্কার ও নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার অনুরোধ জানান এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ওই কয়েক দিন যেসব পয়েন্টে বেশি যানজট হয় সেসব স্থানে সার্বক্ষণিক হাইওয়ে পুলিশ মোতায়েনেরও আহ্বান জানান। এছাড়াও সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধে সরকারি সংস্থাগুলোর কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

এসময় সড়ক-মহাসড়কে চাঁদাবাজি বন্ধের অনুরোধ জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে শিগগিরই চিঠি পাঠাবে এফবিসিসিআই। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষদের ঈদযাত্রায় ভোগান্তি কমাতে মাওয়া ও আরিচায় বাড়তি ফেরি ও ফেরির ট্রিপের সংখ্যা বাড়ানোরও আহ্বান জানান সিনিয়র সহ-সভাপতি।

তিনি পদ্মাসেতুর টোল নির্ধারণে এফবিসিসিআই, সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ও বাস ট্রাক মালিক সমিতিকে সম্পৃক্ত করার দাবি জানান।

এর আগে এফবিসিসিআইর সহ-সভাপতি ও কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ মো. আমিনুল হক শামীম যানজটে আর্থিক ক্ষতির প্রসঙ্গ তুলে জানান, শুধুমাত্র টঙ্গীর যানজটে যানবাহনের জ্বালানি খরচসহ দৈনিক ১০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। করোনায় ১৮ মাস গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও সরকারের কাছ থেকে কোনো সহায়তা পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, খেলাপি হওয়া এড়াতে, আয় না থাকলেও ব্যাংক ঋণের কিস্তি নিয়মিত পরিশোধ করতে হচ্ছে তাদের। এমন পরিস্থিতিতে আগামী বাজেটে টায়ার, টিউব ও অন্যান্য যন্ত্রাংশের ওপর বাড়তি শুল্ক-কর আরোপ না করার আহ্বান জানান।

কমিটির চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ বাস ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান রমেশ চন্দ্র ঘোষ জানান, রাজধানীর জয়কালী মন্দির ও ইত্তেফাক মোড়ে প্রতি রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বেআইনিভাবে চাঁদা তোলেন। চাঁদাবাজি বন্ধে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সহায়তা চান তিনি।

করোনাকালে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত খাত হিসেবে গণপরিবহন খাত চিহ্নিত করে রমেশ চন্দ্র ঘোষ আগামী তিন বছর এখাতে নীতি সুরক্ষা দেওয়ার আবেদন জানান। আগামী বাজেটে বাড়তি কোনো করভার আরোপ না করার আহ্বান জানান তিনি।

কমিটির অন্যান্য সদস্যরা তাদের বক্তব্যে বলেন, ভাঙাচোরা সড়কের কারণে যানবাহনের স্থায়ীত্ব কমে যাচ্ছে। যানজট কমাতে ও সড়কে শৃঙ্খলা আনতে সমন্বিত পরিবহন ব্যবস্থাপনা, সেবার বিকেন্দ্রীকরণ, বিআরটিএকে কার্যকর করা, ফিটনেস সনদের নামে ঘুষ ও চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি জানান তারা।

অন্যান্যদের মধ্যে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর পরিচালক বিজয় কুমার কেজরিওয়াল, সাবেক পরিচালক আব্দুল হক, মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক, স্ট্যান্ডিং কমিটির কো-চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম, এম হুমায়ুন কবীর, ফারুক তালুকদার সোহেল, প্রকৌশলী গোলাম কবীর, জি রহমান শহীদ, বজলুর রহমান রতনসহ অন্যান্য সদস্যরা।

প্রখ/ সাদ্দাম