‌ভিন্ন নামে এলেও নিবন্ধন পাবে না জামায়াত: ইসি আলমগীর

#
news image

ভিন্ন নামে এলেও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী সংগঠন জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন পাওয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। তিনি বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন আদালতের আদেশে বাতিল হয়েছে। তাই ওই দলের ব্যক্তিরা ভিন্ন নামে আবেদন করলেও নিবন্ধন পাওয়ার সুযোগ নেই। অবশ্য আদালত কোনও আদেশ দিলে ভিন্ন কথা। সে আদেশ মানতে হবে।’

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সোমবার (২৯ আগস্ট) নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন। ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামীকে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছিল। দলটির নিবন্ধন নম্বর ছিল ১৪। উচ্চ আদালতে এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করা হয়। পরে ২৯ অক্টোবর ২০১৮ সালে গেজেট হয়। জামায়াতের নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার কোনও সুযোগ আছে কিনা— এমন প্রশ্নের উত্তরে মো. আলমগীর বলেন, ‘এ ধরনের প্রশ্নের কোনও উত্তর হয় না। তবে যেহেতু আদালত বলেছেন, তাহলে দেওয়ার কোনও সুযোগ নেই।’

যদি নতুন করে আবেদন করে একই মানুষ, কিন্তু ভিন্ন দল, তাহলে সুযোগ আছে কিনা— এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘একই মানুষ আসবে কিনা, তা তো আর বলতে পারবো না। যারা আবেদন করছেন, যদি দেখি যে ক্রাইটেরিয়া মেলে না, তাহলে তো দিতে পারবো না।’ অন্য নামে নিবন্ধন পাওয়ার সুযোগ আছে কিনা জানতে চাইলে এই কমিশনার বলেন, ‘অন্য নামে হলেও তো জিনিস একই। দলের গঠনতন্ত্র যদি আমাদের সংবিধানের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ হয়, তাহলে তো কোনও সুযোগ নেই। কোর্ট যদি কোনও আদেশ দেয়, সেটা ভিন্ন কথা। কোর্টের আদেশ তো মানতে হবে।’ নতুন দল সম্পর্কে তদন্ত রিপোর্ট গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে নেওয়া হয় কি—এমন প্রশ্নের উত্তরে ইসি আলমগীর বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থা নয়; আইনে আছে আমাদের কর্মকর্তারাই তদন্ত করবেন।’

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৯ আগস্ট, ২০২২,  10:02 PM

news image

ভিন্ন নামে এলেও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী সংগঠন জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন পাওয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। তিনি বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন আদালতের আদেশে বাতিল হয়েছে। তাই ওই দলের ব্যক্তিরা ভিন্ন নামে আবেদন করলেও নিবন্ধন পাওয়ার সুযোগ নেই। অবশ্য আদালত কোনও আদেশ দিলে ভিন্ন কথা। সে আদেশ মানতে হবে।’

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সোমবার (২৯ আগস্ট) নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন। ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামীকে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছিল। দলটির নিবন্ধন নম্বর ছিল ১৪। উচ্চ আদালতে এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করা হয়। পরে ২৯ অক্টোবর ২০১৮ সালে গেজেট হয়। জামায়াতের নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার কোনও সুযোগ আছে কিনা— এমন প্রশ্নের উত্তরে মো. আলমগীর বলেন, ‘এ ধরনের প্রশ্নের কোনও উত্তর হয় না। তবে যেহেতু আদালত বলেছেন, তাহলে দেওয়ার কোনও সুযোগ নেই।’

যদি নতুন করে আবেদন করে একই মানুষ, কিন্তু ভিন্ন দল, তাহলে সুযোগ আছে কিনা— এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘একই মানুষ আসবে কিনা, তা তো আর বলতে পারবো না। যারা আবেদন করছেন, যদি দেখি যে ক্রাইটেরিয়া মেলে না, তাহলে তো দিতে পারবো না।’ অন্য নামে নিবন্ধন পাওয়ার সুযোগ আছে কিনা জানতে চাইলে এই কমিশনার বলেন, ‘অন্য নামে হলেও তো জিনিস একই। দলের গঠনতন্ত্র যদি আমাদের সংবিধানের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ হয়, তাহলে তো কোনও সুযোগ নেই। কোর্ট যদি কোনও আদেশ দেয়, সেটা ভিন্ন কথা। কোর্টের আদেশ তো মানতে হবে।’ নতুন দল সম্পর্কে তদন্ত রিপোর্ট গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে নেওয়া হয় কি—এমন প্রশ্নের উত্তরে ইসি আলমগীর বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থা নয়; আইনে আছে আমাদের কর্মকর্তারাই তদন্ত করবেন।’