রাজপথে শক্তির জানান দিলো আওয়ামী লীগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৮ আগস্ট, ২০২২, 12:07 AM
রাজপথে শক্তির জানান দিলো আওয়ামী লীগ
আগামী নির্বাচন উপলক্ষে রাজপথে নিজেদের শক্তির জানান দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলা দিবস উপলক্ষে রাজধানীসহ সারাদেশে সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীর জমায়েত করেছে দলটি। পাশাপাশি দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যেও সে ইঙ্গিত মিলেছে।
রাজধানীতে ক্ষমতাসীনদের এই কর্মসূচি সফল করতে দুপুরে রাজধানীর বিভিন্ন ইউনিট ও আশপাশের এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে রমনায় আসতে শুরু করে নেতাকর্মীরা। সহযোগী সংগঠনগুলোর অংশগ্রহণও ছিল চোখে পড়ার মতো। যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, শ্রমিক লীগ, তাঁতী লীগ, মৎসজীবী লীগ ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা ছাড়াও ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের নেতাকর্মীরা কর্মসূচিতে মিছিল নিয়ে যোগ দেন।
বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনের এলাকা কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। বিকেল ৩টার পর সমাবেশ শুরু হয়ে চলে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত।
বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী।
সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ বজলুর রহমান। বিক্ষোভ সমাবেশ সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির ও মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল মৎস্য ভবন, কদম ফোয়ারা, জিরো পয়েন্ট হয়ে গুলিস্তানের দলীয় কার্যালয়ে শেষ হয়।
এদিকে কর্মদিবসে ব্যস্ততম সড়কে দীর্ঘ ৫ ঘণ্টার এই কর্মসূচি রাজধানীজুড়ে চরম যানজটের কারণ হয়েছে। মৎস্য ভবন ও শাহবাগ হয়ে গন্তব্যে যাওয়া পরিবহনকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হতে হয়েছে। ২ ঘণ্টা থেকে শুরু করে ৪-৫ ঘণ্টাও জ্যামে বসে থাকতে হয়েছে কোনো কোনো গাড়িকে। এর প্রভাব রাজধানীর অন্য সড়কগুলোতেও পড়েছে।
এর ফলে বিকেলেও অফিস থেকে ফেরা লোকজন পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। এমনকি সচিবালয়ে সংবাদ কাভার করে সময়মতো মিডিয়া হাউজেও যেতে পারেননি সংবাদকর্মীরা।
রাজধানীর ওই বিক্ষোভ সমাবেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি গতবার জগাখিচুড়ির ঐক্য করে ধরা খেয়েছে, এবারও ধরা খাবে। আগুন-সন্ত্রাস ও বোমাবাজি করে ক্ষমতায় যাওয়ার দিন শেষ।
ওবায়দুল কাদের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বন্দুকের নল থেকে আওয়ামী লীগের জন্ম হয়নি। রাজপথ থেকেই আওয়ামী লীগের জন্ম। খেলা হবে, খেলা। রাজপথে মোকাবিলা হবে। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দেখিয়ে দেবে, আগামীর বাংলাদেশ; বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ।
সমাবেশে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, পেট্রলবোমা হামলাকারীদের রাজপথ থেকে বিতাড়িত করতে আজ থেকে নামলো আওয়ামী লীগ। এখন বিএনপি লাফাচ্ছে। তাদের লাফানো পুকুরে ব্যাঙের মতো।
এদিকে রাজধানীর মতো সারাদেশের সব জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ এই কর্মসূচি পালন করেছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৮ আগস্ট, ২০২২, 12:07 AM
আগামী নির্বাচন উপলক্ষে রাজপথে নিজেদের শক্তির জানান দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলা দিবস উপলক্ষে রাজধানীসহ সারাদেশে সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীর জমায়েত করেছে দলটি। পাশাপাশি দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যেও সে ইঙ্গিত মিলেছে।
রাজধানীতে ক্ষমতাসীনদের এই কর্মসূচি সফল করতে দুপুরে রাজধানীর বিভিন্ন ইউনিট ও আশপাশের এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে রমনায় আসতে শুরু করে নেতাকর্মীরা। সহযোগী সংগঠনগুলোর অংশগ্রহণও ছিল চোখে পড়ার মতো। যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, শ্রমিক লীগ, তাঁতী লীগ, মৎসজীবী লীগ ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা ছাড়াও ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের নেতাকর্মীরা কর্মসূচিতে মিছিল নিয়ে যোগ দেন।
বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনের এলাকা কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। বিকেল ৩টার পর সমাবেশ শুরু হয়ে চলে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত।
বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী।
সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ বজলুর রহমান। বিক্ষোভ সমাবেশ সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির ও মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল মৎস্য ভবন, কদম ফোয়ারা, জিরো পয়েন্ট হয়ে গুলিস্তানের দলীয় কার্যালয়ে শেষ হয়।
এদিকে কর্মদিবসে ব্যস্ততম সড়কে দীর্ঘ ৫ ঘণ্টার এই কর্মসূচি রাজধানীজুড়ে চরম যানজটের কারণ হয়েছে। মৎস্য ভবন ও শাহবাগ হয়ে গন্তব্যে যাওয়া পরিবহনকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হতে হয়েছে। ২ ঘণ্টা থেকে শুরু করে ৪-৫ ঘণ্টাও জ্যামে বসে থাকতে হয়েছে কোনো কোনো গাড়িকে। এর প্রভাব রাজধানীর অন্য সড়কগুলোতেও পড়েছে।
এর ফলে বিকেলেও অফিস থেকে ফেরা লোকজন পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। এমনকি সচিবালয়ে সংবাদ কাভার করে সময়মতো মিডিয়া হাউজেও যেতে পারেননি সংবাদকর্মীরা।
রাজধানীর ওই বিক্ষোভ সমাবেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি গতবার জগাখিচুড়ির ঐক্য করে ধরা খেয়েছে, এবারও ধরা খাবে। আগুন-সন্ত্রাস ও বোমাবাজি করে ক্ষমতায় যাওয়ার দিন শেষ।
ওবায়দুল কাদের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বন্দুকের নল থেকে আওয়ামী লীগের জন্ম হয়নি। রাজপথ থেকেই আওয়ামী লীগের জন্ম। খেলা হবে, খেলা। রাজপথে মোকাবিলা হবে। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দেখিয়ে দেবে, আগামীর বাংলাদেশ; বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ।
সমাবেশে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, পেট্রলবোমা হামলাকারীদের রাজপথ থেকে বিতাড়িত করতে আজ থেকে নামলো আওয়ামী লীগ। এখন বিএনপি লাফাচ্ছে। তাদের লাফানো পুকুরে ব্যাঙের মতো।
এদিকে রাজধানীর মতো সারাদেশের সব জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ এই কর্মসূচি পালন করেছে।