সরকারের দুর্নীতির কারণে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে : ফখরুল

#
news image

সরকারের দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার কারণেই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

তিনি বলেন, ভোটারবিহীন অবৈধ সরকারের কিছু সুবিধাভোগী দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ী চক্রের হাতে দৈনন্দিন ভোগ্যপণ্যের বাজার ব্যবস্থাপনা জিম্মি হয়ে আছে। মূল্য বৃদ্ধির এই দুর্নীতিবাজ চক্রের শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে সরকারের চালিকা শক্তিরাই। রক্ষক যখন ভক্ষক হয় তখন যা হওয়ার তাই হচ্ছে বাংলাদেশে।

বুধবার দুপুরে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যের পরিস্থিতি তুলে ধরতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিএনপি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এখানকার যে মূল্যস্ফীতি, অর্থনৈতিক দুরবস্থা এর সবকিছুর মূলে হচ্ছে সরকারের দুর্নীতি। দুর্নীতির কারণেই দ্রব্যমূল্য বাড়ছে, তাদের দুর্নীতির কারণেই আজকে সারাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যমূল্যের পাগলা ঘোড়ার দাপটে মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও হত দরিদ্ররা পিষ্ট হচ্ছে।  
 
এ অবস্থার পরিবর্তনে রাজপথে আন্দোলন সংগঠিত হওয়ার কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এ দুর্নীতিবাজ সরকারের জনগণের কাছে কোনো দায়বদ্ধতা নেই। তারা জনগণের কল্যাণের তোয়াক্কা না করে নিষ্ঠুর ও নির্দয় হয়ে পড়েছে।  
 
দেশের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ‍ও মূল্যস্ফীতির তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকারি হিসেবেই গত জুন মাসের মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৫৬% যা গত ৯ বছরে সর্বোচ্চ। বর্তমানে মানুষের ক্রয় ক্ষমতাও অনেক কমে গেছে। নিত্য পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় সীমিত আয়ের মানুষ নানাভাবে ব্যয় কমিয়ে টিকে থাকার চেষ্টা করছে। নিজের আয় দিয়ে আর চলতে না পারায় স্ত্রীকে গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে অনেকেই ফ্যামিলি বাসা ছেড়ে উঠেছেন মেসে। মানুষ অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে। 

প্রধানমন্ত্রীর কথায় বিশ্বাস নেই 

‌‌‘বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন করা হবে না, আন্দোলন দমন করা হবে না’, প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা কখনই তার কথায় বিশ্বাস করি না। কারণ তারা যা বলে তা করে না।  

মির্জা ফখরুল বলেন, আয়না ঘরে বন্দি বলেন আর নেত্র নিউজের প্রতিবেদন বলেন, এসব কথা আমরা বহু আগে থেকেই বলছি। এই যে গুম করে নিয়ে যায়, তারপরে অনেককে গুম করে রাখে, অনেককে মেরে ফেলে, তারপরে অনেককে ছেড়ে দেয়, তারপরে তারা ভয়ে কোনো কথা বলে না, এই বিষয়গুলো আমরা বহুবার বলেছি আপনাদের।

তিনি আরও বলেন, আজ নেত্র নিউজে প্রতিবেদনটা সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে এখন আমরা সবাই জানতে পারছি যে ধরনের ঘটনা একটা ঘটেছে। সেখানে নিঃসন্দেহে ভয়ভীতি দেখিয়ে, ত্রাস সৃষ্টি করে মানুষকে হত্যা করে, গুম করেই তো একটা ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করে। সেই চেষ্টাটাই তারা করছে।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান ও নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৭ আগস্ট, ২০২২,  11:05 PM

news image

সরকারের দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার কারণেই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

তিনি বলেন, ভোটারবিহীন অবৈধ সরকারের কিছু সুবিধাভোগী দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ী চক্রের হাতে দৈনন্দিন ভোগ্যপণ্যের বাজার ব্যবস্থাপনা জিম্মি হয়ে আছে। মূল্য বৃদ্ধির এই দুর্নীতিবাজ চক্রের শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে সরকারের চালিকা শক্তিরাই। রক্ষক যখন ভক্ষক হয় তখন যা হওয়ার তাই হচ্ছে বাংলাদেশে।

বুধবার দুপুরে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যের পরিস্থিতি তুলে ধরতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিএনপি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এখানকার যে মূল্যস্ফীতি, অর্থনৈতিক দুরবস্থা এর সবকিছুর মূলে হচ্ছে সরকারের দুর্নীতি। দুর্নীতির কারণেই দ্রব্যমূল্য বাড়ছে, তাদের দুর্নীতির কারণেই আজকে সারাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যমূল্যের পাগলা ঘোড়ার দাপটে মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও হত দরিদ্ররা পিষ্ট হচ্ছে।  
 
এ অবস্থার পরিবর্তনে রাজপথে আন্দোলন সংগঠিত হওয়ার কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এ দুর্নীতিবাজ সরকারের জনগণের কাছে কোনো দায়বদ্ধতা নেই। তারা জনগণের কল্যাণের তোয়াক্কা না করে নিষ্ঠুর ও নির্দয় হয়ে পড়েছে।  
 
দেশের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ‍ও মূল্যস্ফীতির তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকারি হিসেবেই গত জুন মাসের মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৫৬% যা গত ৯ বছরে সর্বোচ্চ। বর্তমানে মানুষের ক্রয় ক্ষমতাও অনেক কমে গেছে। নিত্য পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় সীমিত আয়ের মানুষ নানাভাবে ব্যয় কমিয়ে টিকে থাকার চেষ্টা করছে। নিজের আয় দিয়ে আর চলতে না পারায় স্ত্রীকে গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে অনেকেই ফ্যামিলি বাসা ছেড়ে উঠেছেন মেসে। মানুষ অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে। 

প্রধানমন্ত্রীর কথায় বিশ্বাস নেই 

‌‌‘বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন করা হবে না, আন্দোলন দমন করা হবে না’, প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা কখনই তার কথায় বিশ্বাস করি না। কারণ তারা যা বলে তা করে না।  

মির্জা ফখরুল বলেন, আয়না ঘরে বন্দি বলেন আর নেত্র নিউজের প্রতিবেদন বলেন, এসব কথা আমরা বহু আগে থেকেই বলছি। এই যে গুম করে নিয়ে যায়, তারপরে অনেককে গুম করে রাখে, অনেককে মেরে ফেলে, তারপরে অনেককে ছেড়ে দেয়, তারপরে তারা ভয়ে কোনো কথা বলে না, এই বিষয়গুলো আমরা বহুবার বলেছি আপনাদের।

তিনি আরও বলেন, আজ নেত্র নিউজে প্রতিবেদনটা সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে এখন আমরা সবাই জানতে পারছি যে ধরনের ঘটনা একটা ঘটেছে। সেখানে নিঃসন্দেহে ভয়ভীতি দেখিয়ে, ত্রাস সৃষ্টি করে মানুষকে হত্যা করে, গুম করেই তো একটা ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করে। সেই চেষ্টাটাই তারা করছে।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান ও নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।