সরকার ক্ষমতা হারানোর ভয়ে উন্মাদ হয়ে গেছে: রিজভী
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৫ জুলাই, ২০২২, 12:24 AM
সরকার ক্ষমতা হারানোর ভয়ে উন্মাদ হয়ে গেছে: রিজভী
শেখ হাসিনা সরকারের পায়ের নিচের মাটি সরে যাওয়ায় এখন মৃত্যুদূতের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে দাবি করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘ক্ষমতাসীনদের সীমাহীন দুর্নীতি ও স্বজন পোষণ এবং বিলাসী জীবনযাপন এবং বিপুল সম্পত্তি অর্জন সংকটাপন্ন হবে ভেবেই ক্ষমতার শেষ সময়ে এসে তারা এখন মরণ কামড় দিচ্ছে। ’
বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) দুপুরে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
যশোর জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ সভাপতি বদিউজ্জামান ধোনিকে ঈদের দ্বিতীয় দিন প্রকাশ্যে তার বাড়ির সামনে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে দাবি করে তিনি বলেন, এ ঘটনার সময় বদিউজ্জামান নিজের বাড়ির সামনে একটি দোকানে বসে চা পান করছিলেন। এ সময় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে চলে যায়। এছাড়াও বুধবার কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলাধীন কালীগঞ্জ ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলামকে মধ্যযুগীয় কায়দায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা নৃশংসভাবে হত্যা করেছে।
বাংলাদেশে প্রকৃত আইনের হাতের চেয়েও অবৈধ ক্ষমতার হাত অনেক লম্বা উল্লেখ করে রিজভী আহমেদ বলেন, ছাত্রলীগ, যুবলীগ এক সর্বনাশা-সময় সৃষ্টি করেছে। বর্তমান এই ঘোর দুর্দিনে জনগণের জান-মাল এখন ভয়ানক বিপন্ন। তাদের অব্যাহত গুম, খুন, নারী শিশু নির্যাতনে সারা দেশে এক বিষাদের ছায়া নেমে এসেছে।
শ্রীলঙ্কার মতো ভয়াবহ পরিস্থিতি বর্তমানে বাংলাদেশেও বিদ্যমান দাবি করে তিনি বলেন, এই যখন দেশের অবস্থা তখন বাংলাদেশের জনগণ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করে কিনা সেই আতঙ্ক থেকে বিরোধী দল নিধনে কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সরকার। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবেই যুবদল নেতা বদিউজ্জামানকে পৈশাচিকভাবে হত্যা করা হয়েছে। হত্যা করা হয়েছে কুড়িগ্রামের শফিকুল ইসলামকে। এসব হত্যাকাণ্ড পরিকল্পিত, এক বৃহত্তর মাস্টার প্ল্যানেরই অংশ। মানুষ যাতে সরকারের বিরুদ্ধাচ্চারণ করার সাহস না পায় এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে জনগণকে সেই মরণবার্তা দেওয়া হলো।
রিজভী বলেন, এই সরকারের আমলে ৪৫ জন সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। সাগর-রুনির হত্যার বিচার আজও হয়নি। স্বাধীন মতপ্রকাশের কারণেই বেছে বেছে সাংবাদিকদেরকে হত্যা করা হয়েছে এবং বন্দি করা হচ্ছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে গণতন্ত্রের কষ্টিপাথর মনে করা হয়। অথচ মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে শত্রুবলে মনে করে সরকার। এই কারণেই আজ স্বাধীন বিবেকের ওপর অবৈধ সরকারের ক্রমাগত সন্ত্রাসী হামলা অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামের মীরের সরাইয়ে উপজেলা বিএনপি নেতা শহীদুল ইসলাম চৌধুরীর বাড়িতে আওয়ামী সন্ত্রাসী কর্তৃক অগুন লাগানো ও ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁওয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক আক্তারুজ্জামান বাচ্চুর বাড়িতে হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৫ জুলাই, ২০২২, 12:24 AM
শেখ হাসিনা সরকারের পায়ের নিচের মাটি সরে যাওয়ায় এখন মৃত্যুদূতের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে দাবি করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘ক্ষমতাসীনদের সীমাহীন দুর্নীতি ও স্বজন পোষণ এবং বিলাসী জীবনযাপন এবং বিপুল সম্পত্তি অর্জন সংকটাপন্ন হবে ভেবেই ক্ষমতার শেষ সময়ে এসে তারা এখন মরণ কামড় দিচ্ছে। ’
বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) দুপুরে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
যশোর জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ সভাপতি বদিউজ্জামান ধোনিকে ঈদের দ্বিতীয় দিন প্রকাশ্যে তার বাড়ির সামনে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে দাবি করে তিনি বলেন, এ ঘটনার সময় বদিউজ্জামান নিজের বাড়ির সামনে একটি দোকানে বসে চা পান করছিলেন। এ সময় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে চলে যায়। এছাড়াও বুধবার কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলাধীন কালীগঞ্জ ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলামকে মধ্যযুগীয় কায়দায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা নৃশংসভাবে হত্যা করেছে।
বাংলাদেশে প্রকৃত আইনের হাতের চেয়েও অবৈধ ক্ষমতার হাত অনেক লম্বা উল্লেখ করে রিজভী আহমেদ বলেন, ছাত্রলীগ, যুবলীগ এক সর্বনাশা-সময় সৃষ্টি করেছে। বর্তমান এই ঘোর দুর্দিনে জনগণের জান-মাল এখন ভয়ানক বিপন্ন। তাদের অব্যাহত গুম, খুন, নারী শিশু নির্যাতনে সারা দেশে এক বিষাদের ছায়া নেমে এসেছে।
শ্রীলঙ্কার মতো ভয়াবহ পরিস্থিতি বর্তমানে বাংলাদেশেও বিদ্যমান দাবি করে তিনি বলেন, এই যখন দেশের অবস্থা তখন বাংলাদেশের জনগণ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করে কিনা সেই আতঙ্ক থেকে বিরোধী দল নিধনে কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সরকার। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবেই যুবদল নেতা বদিউজ্জামানকে পৈশাচিকভাবে হত্যা করা হয়েছে। হত্যা করা হয়েছে কুড়িগ্রামের শফিকুল ইসলামকে। এসব হত্যাকাণ্ড পরিকল্পিত, এক বৃহত্তর মাস্টার প্ল্যানেরই অংশ। মানুষ যাতে সরকারের বিরুদ্ধাচ্চারণ করার সাহস না পায় এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে জনগণকে সেই মরণবার্তা দেওয়া হলো।
রিজভী বলেন, এই সরকারের আমলে ৪৫ জন সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। সাগর-রুনির হত্যার বিচার আজও হয়নি। স্বাধীন মতপ্রকাশের কারণেই বেছে বেছে সাংবাদিকদেরকে হত্যা করা হয়েছে এবং বন্দি করা হচ্ছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে গণতন্ত্রের কষ্টিপাথর মনে করা হয়। অথচ মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে শত্রুবলে মনে করে সরকার। এই কারণেই আজ স্বাধীন বিবেকের ওপর অবৈধ সরকারের ক্রমাগত সন্ত্রাসী হামলা অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামের মীরের সরাইয়ে উপজেলা বিএনপি নেতা শহীদুল ইসলাম চৌধুরীর বাড়িতে আওয়ামী সন্ত্রাসী কর্তৃক অগুন লাগানো ও ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁওয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক আক্তারুজ্জামান বাচ্চুর বাড়িতে হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।