শ্রীলঙ্কার ‘জনবিদ্রোহ’ থেকে শিক্ষা নিতে হবে: রব

#
news image

শ্রীলঙ্কায় গণবিরোধী সরকার ও পরিবারতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা উৎখাত ও গণঅভ্যুত্থানে সম্পৃক্ত সংগ্রামী জনতাকে অভিনন্দন জানিয়ে স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক ও জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, ‘জন আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে উন্নয়নের নামে লুটপাটের মাধ্যমে রাষ্ট্রকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করার অপকৌশলের বিরুদ্ধে জনগণের আন্দোলন-সংগ্রাম যেকোনো সময় সুনামিতে রূপ নিতে পারে, তা শ্রীলঙ্কার ঘটনায় প্রমাণ হয়েছে। জনগণের ইচ্ছা বা আকাঙ্ক্ষায় পরিচালিত স্বতঃস্ফূর্ত গণসংগ্রামের মাধ্যমে পরিবারতান্ত্রিক শাসকগোষ্ঠী বা ‘রেজিম’ যে উৎখাত হতে পারে তাও প্রমাণিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১২ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আ স ম রব বলেন, ‘বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকট, বিদ্যুতের ঘাটতি, অপরিকল্পিত উন্নয়ন ও বিলাসী প্রকল্পে ঋণগ্রহণ, দুর্নীতি, মুদ্রাস্ফীতি এবং সর্বোপরি জনগণের ইচ্ছা ও অভিপ্রায়কে উপেক্ষা করে রাষ্ট্র পরিচালনায় পরিবারতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করাই শ্রীলঙ্কার নজিরবিহীন সংকটের মূল কারণ। শ্রীলংকার কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিরুদ্ধে জনরোষ আস্তে আস্তে জলোচ্ছ্বাসে পরিণত হয়, যার পরিণতিতে সরকার পতন অনিবার্য হয়ে ওঠে। জনরোষের মুখে রাষ্ট্রযন্ত্রের বলপ্রয়োগ কোনো সমাধান নয়, সেই ঐতিহাসিক ন্যায্যতাও প্রমাণিত হলো।গণমুখী রাষ্ট্র বিনির্মাণের প্রশ্নে শ্রীলংকা ও বাংলাদেশের জনগণের অবস্থান এক এবং অভিন্ন। দেশে গুম খুন বন্ধ না হলে, গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা না হলে, রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয়, দুর্নীতি এবং বিদেশে অর্থ পাচার বন্ধ না হলে বাংলাদেশেও গণজাগরণ অনিবার্য। শ্রীলংকার রাজনৈতিক পরিণতি থেকে কর্তৃত্ববাদী শাসকদের অবশ্যই শিক্ষা নিতে হবে। ’

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৩ জুলাই, ২০২২,  9:26 PM

news image

শ্রীলঙ্কায় গণবিরোধী সরকার ও পরিবারতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা উৎখাত ও গণঅভ্যুত্থানে সম্পৃক্ত সংগ্রামী জনতাকে অভিনন্দন জানিয়ে স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক ও জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, ‘জন আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে উন্নয়নের নামে লুটপাটের মাধ্যমে রাষ্ট্রকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করার অপকৌশলের বিরুদ্ধে জনগণের আন্দোলন-সংগ্রাম যেকোনো সময় সুনামিতে রূপ নিতে পারে, তা শ্রীলঙ্কার ঘটনায় প্রমাণ হয়েছে। জনগণের ইচ্ছা বা আকাঙ্ক্ষায় পরিচালিত স্বতঃস্ফূর্ত গণসংগ্রামের মাধ্যমে পরিবারতান্ত্রিক শাসকগোষ্ঠী বা ‘রেজিম’ যে উৎখাত হতে পারে তাও প্রমাণিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১২ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আ স ম রব বলেন, ‘বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকট, বিদ্যুতের ঘাটতি, অপরিকল্পিত উন্নয়ন ও বিলাসী প্রকল্পে ঋণগ্রহণ, দুর্নীতি, মুদ্রাস্ফীতি এবং সর্বোপরি জনগণের ইচ্ছা ও অভিপ্রায়কে উপেক্ষা করে রাষ্ট্র পরিচালনায় পরিবারতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করাই শ্রীলঙ্কার নজিরবিহীন সংকটের মূল কারণ। শ্রীলংকার কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিরুদ্ধে জনরোষ আস্তে আস্তে জলোচ্ছ্বাসে পরিণত হয়, যার পরিণতিতে সরকার পতন অনিবার্য হয়ে ওঠে। জনরোষের মুখে রাষ্ট্রযন্ত্রের বলপ্রয়োগ কোনো সমাধান নয়, সেই ঐতিহাসিক ন্যায্যতাও প্রমাণিত হলো।গণমুখী রাষ্ট্র বিনির্মাণের প্রশ্নে শ্রীলংকা ও বাংলাদেশের জনগণের অবস্থান এক এবং অভিন্ন। দেশে গুম খুন বন্ধ না হলে, গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা না হলে, রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয়, দুর্নীতি এবং বিদেশে অর্থ পাচার বন্ধ না হলে বাংলাদেশেও গণজাগরণ অনিবার্য। শ্রীলংকার রাজনৈতিক পরিণতি থেকে কর্তৃত্ববাদী শাসকদের অবশ্যই শিক্ষা নিতে হবে। ’