শিরোনামঃ
সারাদেশে উৎসবমুখর পরিবেশে মহান বিজয় দিবস উদযাপন লাল বেনারসিতে দ্যুতি ছড়ালেন সাদিয়া আয়মান ফেলানীর নামে গুলশানে সড়ক, সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদে ‘ফেলানী এভিনিউ’ গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে সরকার সব ব্যবস্থা নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা জুড়ীতে অবৈধ বালু উত্তোলন: দুটি নৌকা জব্দ  আসিফ ও মাহফুজ কোন দলে যোগ দিচ্ছেন? প্লাস্টিক সার্জারি নিয়ে কঠোর সমালোচনা করলেন কেট উইন্সলেট ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের পরই পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের আপিল শুনানি ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন ১২ ফেব্রুয়ারি, তফসিল ঘোষণা করলেন সিইসি শীতে কোনটা ব্যবহার করবেন, গ্লিসারিন নাকি জেলি?

মতপার্থক্য নয়, ঐক্যই এখন সবচেয়ে জরুরি, বললেন মির্জা ফখরুল

#
news image

চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে নতুন রাজনৈতিক সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, তা কাজে লাগাতে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, মতপার্থক্য থাকতেই পারে, কিন্তু সেই ভিন্নতা যেন গণঅভ্যুত্থানের ত্যাগকে প্রশ্নবিদ্ধ না করে।

মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর, রোববার নয় বরং মঙ্গলবার, দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ ও তার প্রয়াত স্ত্রীর গ্রন্থসমূহের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে মির্জা ফখরুল গণঅভ্যুত্থানের পটভূমি স্মরণ করেন। তিনি বলেন, চব্বিশের জুলাই দেশের মানুষের ত্যাগ ও অংশগ্রহণে যে পরিবর্তনের সূত্রপাত হয়েছিল, তা এখন সামনে এগিয়ে নেওয়ার সময়। তার ভাষায়, “গণঅভ্যুত্থানের বিজয়কে সুসংহত করতে হবে। মতপার্থক্য থাকবে, কিন্তু শহিদদের আত্মাহুতি যেন কখনো বৃথা না যায়।”

তিনি অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহর ভূমিকার কথাও উল্লেখ করেন। বিএনপি মহাসচিব বলেন, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা, বৈষম্যহীন অর্থনীতি এবং আধিপত্যবাদ বিরোধী রাষ্ট্র বিনির্মাণের যে বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াই, সেখানে মাহবুব উল্লাহ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন। বিশেষ করে বিএনপির রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা প্রণয়নে এই শিক্ষকের মতামত ও পরামর্শ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছিল বলে জানান তিনি।

আলোচনা সভায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা জিল্লুর রহমান, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানসহ অংশগ্রহণকারীরা অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহর গবেষণা, চিন্তাশক্তি এবং সমাজ পরিবর্তনে তার ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। তাদের মতে, সংকটময় সময়ে এই ধরনের বুদ্ধিবৃত্তিক নির্দেশনা দেশ গঠনের পথে নতুন অনুপ্রেরণা যোগায়।

মির্জা ফখরুল বক্তব্যের শেষ দিকে সবাইকে সতর্ক করে বলেন, “চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের ত্যাগ ভুলে গেলে চলবে না। মতবিরোধ থাকতেই পারে, কিন্তু দেশ গঠনের যে সুযোগ সামনে এসেছে তা হারানো যাবে না।” তার আহ্বান, গণঅভ্যুত্থানের অর্জন ধরে রেখে রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক পুনর্গঠনের পথে এগিয়ে যাওয়া।

নাগরিক সংবাদ অনলাইন

০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫,  10:00 PM

news image

চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে নতুন রাজনৈতিক সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, তা কাজে লাগাতে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, মতপার্থক্য থাকতেই পারে, কিন্তু সেই ভিন্নতা যেন গণঅভ্যুত্থানের ত্যাগকে প্রশ্নবিদ্ধ না করে।

মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর, রোববার নয় বরং মঙ্গলবার, দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ ও তার প্রয়াত স্ত্রীর গ্রন্থসমূহের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে মির্জা ফখরুল গণঅভ্যুত্থানের পটভূমি স্মরণ করেন। তিনি বলেন, চব্বিশের জুলাই দেশের মানুষের ত্যাগ ও অংশগ্রহণে যে পরিবর্তনের সূত্রপাত হয়েছিল, তা এখন সামনে এগিয়ে নেওয়ার সময়। তার ভাষায়, “গণঅভ্যুত্থানের বিজয়কে সুসংহত করতে হবে। মতপার্থক্য থাকবে, কিন্তু শহিদদের আত্মাহুতি যেন কখনো বৃথা না যায়।”

তিনি অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহর ভূমিকার কথাও উল্লেখ করেন। বিএনপি মহাসচিব বলেন, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা, বৈষম্যহীন অর্থনীতি এবং আধিপত্যবাদ বিরোধী রাষ্ট্র বিনির্মাণের যে বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াই, সেখানে মাহবুব উল্লাহ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন। বিশেষ করে বিএনপির রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা প্রণয়নে এই শিক্ষকের মতামত ও পরামর্শ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছিল বলে জানান তিনি।

আলোচনা সভায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা জিল্লুর রহমান, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানসহ অংশগ্রহণকারীরা অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহর গবেষণা, চিন্তাশক্তি এবং সমাজ পরিবর্তনে তার ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। তাদের মতে, সংকটময় সময়ে এই ধরনের বুদ্ধিবৃত্তিক নির্দেশনা দেশ গঠনের পথে নতুন অনুপ্রেরণা যোগায়।

মির্জা ফখরুল বক্তব্যের শেষ দিকে সবাইকে সতর্ক করে বলেন, “চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের ত্যাগ ভুলে গেলে চলবে না। মতবিরোধ থাকতেই পারে, কিন্তু দেশ গঠনের যে সুযোগ সামনে এসেছে তা হারানো যাবে না।” তার আহ্বান, গণঅভ্যুত্থানের অর্জন ধরে রেখে রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক পুনর্গঠনের পথে এগিয়ে যাওয়া।