তিন থেকে চার কার্যদিবসের মধ্যে গণভোট আইন পাশ হবে: আইন উপদেষ্টা
নাগরিক সংবাদ অনলাইন
২১ নভেম্বর, ২০২৫, 12:01 AM
তিন থেকে চার কার্যদিবসের মধ্যে গণভোট আইন পাশ হবে: আইন উপদেষ্টা
গণভোট আয়োজনের প্রস্তুতি দ্রুত এগোচ্ছে। আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, আগামী তিন থেকে চার কার্যদিবসের মধ্যেই গণভোটের আইন বা অধ্যাদেশ তৈরি করা হবে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান তিনি। সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই গণভোট অনুষ্ঠিত হবে।
ঘোষণাটি আসে এমন সময়ে, যখন ১৩ নভেম্বরের জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে নির্বাচন এবং গণভোট একই দিনে আয়োজনের লক্ষ্য স্পষ্ট করা হয়। তিনি জানান, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে সেই দিনই নাগরিকেরা একটিমাত্র প্রশ্নে চারটি সংস্কার বিষয়ের ওপর নিজেদের মতামত জানাবেন। নির্বাচনকে আরও উৎসবমুখর এবং ব্যয় সাশ্রয়ী করতে এই সমন্বিত আয়োজন করা হবে বলেও তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ ছিল।
গণভোটের প্রশ্নটি আগেই পাঠ করে শোনান প্রধান উপদেষ্টা। সেখানে বলা হয়, ভোটাররা জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ এবং সনদে লিপিবদ্ধ চারটি সংস্কার প্রস্তাবের প্রতি সম্মতি জানাবেন কি না সেই বিষয়ে ভোট দেবেন। প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক কাঠামো, দুই কক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠন, নারীর প্রতিনিধিত্ব এবং বিচার বিভাগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যে গৃহীত সংস্কার বাস্তবায়নের বাধ্যবাধকতা।
আইন উপদেষ্টা জানান, সরকার গণভোট আইনটি খুব দ্রুতই সম্পন্ন করতে চায় যাতে নির্বাচন কমিশন প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে পারে। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার বৈঠকে বিষয়টি অনুমোদন দেওয়ার পর এখন আর বিলম্বের সুযোগ নেই। তাঁর ভাষায়, গণভোট আইন এখন সরকারের অগ্রাধিকার তালিকার শীর্ষে।
গণভোট আইন না হওয়ায় নির্বাচন কমিশনও আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি নিতে পারছে না বলে আগের দিন মন্তব্য করেছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন। তিনি জানান, আইন জারি হলেই কমিশনের দায়িত্ব কার্যকর হবে এবং ভোট পরিচালনার প্রযুক্তিগত ও সাংগঠনিক কাজ শুরু করা যাবে।
গণভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট যদি সমর্থনের পক্ষে যায়, তবে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের অংশগ্রহণে একটি সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠিত হবে। পরিষদ প্রথম অধিবেশন শুরুর দিন থেকে ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যে সংস্কার প্রস্তাব চূড়ান্ত করবে। এরপর ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে উচ্চকক্ষ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
সুপ্রিম কোর্টের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠা এবং নিম্ন আদালতের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ সেই সচিবালয়ের অধীনে যাওয়ার বিষয়েও বৃহস্পতিবারের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়। আইন উপদেষ্টা জানান, বিচারকদের বদলি, শৃঙ্খলা এবং পদায়নসহ প্রশাসনিক বিষয়গুলো এখন থেকে ধীরে ধীরে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের অধীনে যাবে।
এই সব উদ্যোগের মাধ্যমে নির্বাচন এবং সংবিধান সংস্কারের প্রক্রিয়া একইসঙ্গে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্য পুনর্ব্যক্ত হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।
নাগরিক সংবাদ অনলাইন
২১ নভেম্বর, ২০২৫, 12:01 AM
গণভোট আয়োজনের প্রস্তুতি দ্রুত এগোচ্ছে। আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, আগামী তিন থেকে চার কার্যদিবসের মধ্যেই গণভোটের আইন বা অধ্যাদেশ তৈরি করা হবে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান তিনি। সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই গণভোট অনুষ্ঠিত হবে।
ঘোষণাটি আসে এমন সময়ে, যখন ১৩ নভেম্বরের জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে নির্বাচন এবং গণভোট একই দিনে আয়োজনের লক্ষ্য স্পষ্ট করা হয়। তিনি জানান, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে সেই দিনই নাগরিকেরা একটিমাত্র প্রশ্নে চারটি সংস্কার বিষয়ের ওপর নিজেদের মতামত জানাবেন। নির্বাচনকে আরও উৎসবমুখর এবং ব্যয় সাশ্রয়ী করতে এই সমন্বিত আয়োজন করা হবে বলেও তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ ছিল।
গণভোটের প্রশ্নটি আগেই পাঠ করে শোনান প্রধান উপদেষ্টা। সেখানে বলা হয়, ভোটাররা জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ এবং সনদে লিপিবদ্ধ চারটি সংস্কার প্রস্তাবের প্রতি সম্মতি জানাবেন কি না সেই বিষয়ে ভোট দেবেন। প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক কাঠামো, দুই কক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠন, নারীর প্রতিনিধিত্ব এবং বিচার বিভাগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যে গৃহীত সংস্কার বাস্তবায়নের বাধ্যবাধকতা।
আইন উপদেষ্টা জানান, সরকার গণভোট আইনটি খুব দ্রুতই সম্পন্ন করতে চায় যাতে নির্বাচন কমিশন প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে পারে। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার বৈঠকে বিষয়টি অনুমোদন দেওয়ার পর এখন আর বিলম্বের সুযোগ নেই। তাঁর ভাষায়, গণভোট আইন এখন সরকারের অগ্রাধিকার তালিকার শীর্ষে।
গণভোট আইন না হওয়ায় নির্বাচন কমিশনও আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি নিতে পারছে না বলে আগের দিন মন্তব্য করেছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন। তিনি জানান, আইন জারি হলেই কমিশনের দায়িত্ব কার্যকর হবে এবং ভোট পরিচালনার প্রযুক্তিগত ও সাংগঠনিক কাজ শুরু করা যাবে।
গণভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট যদি সমর্থনের পক্ষে যায়, তবে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের অংশগ্রহণে একটি সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠিত হবে। পরিষদ প্রথম অধিবেশন শুরুর দিন থেকে ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যে সংস্কার প্রস্তাব চূড়ান্ত করবে। এরপর ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে উচ্চকক্ষ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
সুপ্রিম কোর্টের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠা এবং নিম্ন আদালতের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ সেই সচিবালয়ের অধীনে যাওয়ার বিষয়েও বৃহস্পতিবারের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়। আইন উপদেষ্টা জানান, বিচারকদের বদলি, শৃঙ্খলা এবং পদায়নসহ প্রশাসনিক বিষয়গুলো এখন থেকে ধীরে ধীরে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের অধীনে যাবে।
এই সব উদ্যোগের মাধ্যমে নির্বাচন এবং সংবিধান সংস্কারের প্রক্রিয়া একইসঙ্গে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্য পুনর্ব্যক্ত হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।