গাজা শহর দখলের লক্ষ্যে ইসরায়েলের স্থল অভিযান শুরু, নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চলছে

নাগরিক সংবাদ অনলাইন
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, 9:34 PM

গাজা শহর দখলের লক্ষ্যে ইসরায়েলের স্থল অভিযান শুরু, নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চলছে
গাজা শহরের দখল নিতে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী একটি বড় ধরনের স্থল অভিযান শুরু করেছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে শহরটির উপর ব্যাপক বিমান হামলা চালানোর পর এবার গাজার বিভিন্ন স্থানে মাটি থেকে শুরু হয়েছে এই অভিযান। শহরের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের নিরাপদ স্থানে সরানোর পরিকল্পনা ছিল, তবে চলমান পরিস্থিতির কারণে এই পরিকল্পনা আর বাস্তবায়িত হয়নি। এখন পর্যন্ত শহরের মাত্র ৩ লাখ ২০ হাজার মানুষ পালিয়ে গেছে, তবে জাতিসংঘ জানিয়েছে, প্রায় ১ লাখ মানুষ আরও বাস্তুচ্যুত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজা শহরের দখলকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে অভিহিত করেছেন। তার দাবি, গাজা শহরে হামাসের শক্তিশালী ঘাঁটি রয়েছে, এবং এই ঘাঁটিগুলো ধ্বংস করতে হলে শহরটি দখল করা জরুরি। গত মাসে গাজা শহর দখলের জন্য ইসরায়েলি মন্ত্রিসভায় একটি পরিকল্পনা অনুমোদন পায়, এবং তার পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী ব্যাপক বিমান হামলা চালাতে থাকে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাতজ এক বার্তায় জানিয়েছেন, “গাজা আগুনে পুড়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী সন্ত্রাসী অবকাঠামোর ওপর হামলা চালাচ্ছে এবং বন্দিদের মুক্তি ও হামাসের পরাজয় নিশ্চিত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।”
গত সপ্তাহে, গাজা শহরের সুউচ্চ ভবনগুলোই ইসরায়েলি বাহিনীর প্রধান লক্ষ্যবস্তু হয়ে উঠেছে। তবে ইসরায়েলি বাহিনীর এই অভিযান ব্যাপক মানবিক সংকট তৈরি করেছে। সোমবার দিবাগত রাতে ইসরায়েলের বিমান হামলায় গাজায় অন্তত ৩৮ জন নিহত হয়েছেন।
এদিকে, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের দাবি, হামাসের হাতে ইসরায়েলের প্রায় ২৫১ জন নাগরিক বন্দী রয়েছে, যাদের মধ্যে ২০ জন এখনও জীবিত। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় ৬৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, এবং পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।
ইসরায়েলি বাহিনী গাজা শহরের উপকণ্ঠে অবস্থান নিয়েছে, এবং সেখানে প্রচণ্ড আক্রমণ চালাচ্ছে। যদিও কিছু এলাকায় ফিলিস্তিনিরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও, পুরো শহর থেকে তাদের নিরাপদে সরানো কঠিন হয়ে পড়েছে। জাতিসংঘের সতর্কবার্তা অনুযায়ী, ইসরায়েলের এই অভিযান আরও মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করতে পারে, যা পৃথিবীর কাছে এক গভীর উদ্বেগের বিষয়।
নাগরিক সংবাদ অনলাইন
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, 9:34 PM

গাজা শহরের দখল নিতে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী একটি বড় ধরনের স্থল অভিযান শুরু করেছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে শহরটির উপর ব্যাপক বিমান হামলা চালানোর পর এবার গাজার বিভিন্ন স্থানে মাটি থেকে শুরু হয়েছে এই অভিযান। শহরের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের নিরাপদ স্থানে সরানোর পরিকল্পনা ছিল, তবে চলমান পরিস্থিতির কারণে এই পরিকল্পনা আর বাস্তবায়িত হয়নি। এখন পর্যন্ত শহরের মাত্র ৩ লাখ ২০ হাজার মানুষ পালিয়ে গেছে, তবে জাতিসংঘ জানিয়েছে, প্রায় ১ লাখ মানুষ আরও বাস্তুচ্যুত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজা শহরের দখলকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে অভিহিত করেছেন। তার দাবি, গাজা শহরে হামাসের শক্তিশালী ঘাঁটি রয়েছে, এবং এই ঘাঁটিগুলো ধ্বংস করতে হলে শহরটি দখল করা জরুরি। গত মাসে গাজা শহর দখলের জন্য ইসরায়েলি মন্ত্রিসভায় একটি পরিকল্পনা অনুমোদন পায়, এবং তার পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী ব্যাপক বিমান হামলা চালাতে থাকে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাতজ এক বার্তায় জানিয়েছেন, “গাজা আগুনে পুড়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী সন্ত্রাসী অবকাঠামোর ওপর হামলা চালাচ্ছে এবং বন্দিদের মুক্তি ও হামাসের পরাজয় নিশ্চিত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।”
গত সপ্তাহে, গাজা শহরের সুউচ্চ ভবনগুলোই ইসরায়েলি বাহিনীর প্রধান লক্ষ্যবস্তু হয়ে উঠেছে। তবে ইসরায়েলি বাহিনীর এই অভিযান ব্যাপক মানবিক সংকট তৈরি করেছে। সোমবার দিবাগত রাতে ইসরায়েলের বিমান হামলায় গাজায় অন্তত ৩৮ জন নিহত হয়েছেন।
এদিকে, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের দাবি, হামাসের হাতে ইসরায়েলের প্রায় ২৫১ জন নাগরিক বন্দী রয়েছে, যাদের মধ্যে ২০ জন এখনও জীবিত। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় ৬৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, এবং পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।
ইসরায়েলি বাহিনী গাজা শহরের উপকণ্ঠে অবস্থান নিয়েছে, এবং সেখানে প্রচণ্ড আক্রমণ চালাচ্ছে। যদিও কিছু এলাকায় ফিলিস্তিনিরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও, পুরো শহর থেকে তাদের নিরাপদে সরানো কঠিন হয়ে পড়েছে। জাতিসংঘের সতর্কবার্তা অনুযায়ী, ইসরায়েলের এই অভিযান আরও মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করতে পারে, যা পৃথিবীর কাছে এক গভীর উদ্বেগের বিষয়।