সাগর-রুনি হত্যা তদন্তে ১২ বছরেও অগ্রগতি নেই, আদালতের অসন্তোষ

#
news image

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের তদন্তে বারবার বিলম্বে আদালত গভীর অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমানের আদালতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আজিজুল হক উপস্থিত হয়ে তদন্তের অগ্রগতি তুলে ধরলে আদালত এ অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

তদন্ত কর্মকর্তা জানান, দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে তিনি এখন পর্যন্ত প্রায় ৭০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। এর মধ্যে সাংবাদিক, প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজন, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং মামলার আসামিরা রয়েছেন। তিনি দাবি করেন, মিশ্র ডিএনএ-সংক্রান্ত কিছু তথ্য পাওয়া গেছে, তবে তা থেকে এখনো নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তাঁর বক্তব্য শোনার পর বিচারক বলেন, “আগের তদন্ত কর্মকর্তারাও একই কথা বলেছেন। আদালত আপনার তদন্তে অসন্তোষ প্রকাশ করছে। আপনি আপ্রাণ চেষ্টা করবেন।”

শুনানি শেষে আদালত আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। এ নিয়ে এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ১২১ বার পেছানো হলো।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে নিজ বাসায় খুন হন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি। ঘটনার পর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। শুরুতে থানা-পুলিশ ও পরে ডিবি তদন্ত চালালেও কোনো অগ্রগতি হয়নি। একই বছরের ১৮ এপ্রিল হাইকোর্টের নির্দেশে র‌্যাবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়, কিন্তু তারাও ব্যর্থ হয়। দীর্ঘদিন পরে ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তদন্তভার পিবিআইকে দেওয়া হয়।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, তদন্তের নামে বছরের পর বছর সময় নিলেও কোনো সংস্থা হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটন করতে পারেনি। আলামত যুক্তরাষ্ট্রে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হলেও কোনো ফল মেলেনি। বর্তমানে আট আসামির মধ্যে তানভীর রহমান ও পলাশ রুদ্র পাল জামিনে আছেন, বাকিরা কারাগারে।

এ মামলার রহস্য উদ্‌ঘাটনে ব্যর্থতায় হতাশ সাংবাদিক সমাজ ও নিহত পরিবারের সদস্যরা বহুবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এখন আদালতের নির্দেশে তদন্তে নতুন গতি আসবে কি না, সেটিই দেখার বিষয়।

নাগরিক সংবাদ অনলাইন

১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫,  12:33 AM

news image

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের তদন্তে বারবার বিলম্বে আদালত গভীর অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমানের আদালতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আজিজুল হক উপস্থিত হয়ে তদন্তের অগ্রগতি তুলে ধরলে আদালত এ অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

তদন্ত কর্মকর্তা জানান, দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে তিনি এখন পর্যন্ত প্রায় ৭০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। এর মধ্যে সাংবাদিক, প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজন, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং মামলার আসামিরা রয়েছেন। তিনি দাবি করেন, মিশ্র ডিএনএ-সংক্রান্ত কিছু তথ্য পাওয়া গেছে, তবে তা থেকে এখনো নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তাঁর বক্তব্য শোনার পর বিচারক বলেন, “আগের তদন্ত কর্মকর্তারাও একই কথা বলেছেন। আদালত আপনার তদন্তে অসন্তোষ প্রকাশ করছে। আপনি আপ্রাণ চেষ্টা করবেন।”

শুনানি শেষে আদালত আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। এ নিয়ে এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ১২১ বার পেছানো হলো।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে নিজ বাসায় খুন হন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি। ঘটনার পর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। শুরুতে থানা-পুলিশ ও পরে ডিবি তদন্ত চালালেও কোনো অগ্রগতি হয়নি। একই বছরের ১৮ এপ্রিল হাইকোর্টের নির্দেশে র‌্যাবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়, কিন্তু তারাও ব্যর্থ হয়। দীর্ঘদিন পরে ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তদন্তভার পিবিআইকে দেওয়া হয়।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, তদন্তের নামে বছরের পর বছর সময় নিলেও কোনো সংস্থা হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটন করতে পারেনি। আলামত যুক্তরাষ্ট্রে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হলেও কোনো ফল মেলেনি। বর্তমানে আট আসামির মধ্যে তানভীর রহমান ও পলাশ রুদ্র পাল জামিনে আছেন, বাকিরা কারাগারে।

এ মামলার রহস্য উদ্‌ঘাটনে ব্যর্থতায় হতাশ সাংবাদিক সমাজ ও নিহত পরিবারের সদস্যরা বহুবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এখন আদালতের নির্দেশে তদন্তে নতুন গতি আসবে কি না, সেটিই দেখার বিষয়।