বাংলাদেশকে ৬ উইকেটে হারালো শ্রীলঙ্কা
নাগরিক সংবাদ স্পোর্টস
১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, 12:34 AM
বাংলাদেশকে ৬ উইকেটে হারালো শ্রীলঙ্কা
এশিয়া কাপে প্রথম ম্যাচ জিতলেও দ্বিতীয় ম্যাচে তাদের হারের তিক্ত স্বাদ দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। লঙ্কানরা নিজেদের গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে ১৪০ রানের লক্ষ্য ৩২ বল হাতে রেখে ৪ উইকেট হারিয়ে তাড়া করেছে। তাতে শুরুর ম্যাচেই ভালো রান রেটে নিজেদের এগিয়ে রাখতে পেরেছে শ্রীলঙ্কা।
টস হেরে ব্যাট করা বাংলাদেশ শুরুতে ৫ উইকেটে করে ১৩৯ রান। তার পর জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নামা বাংলাদেশ মোস্তাফিজের বলে দ্বিতীয় ওভারে ওপেনার কুশল মেন্ডিসকে তুলে নিলেও আর বল হাতে কোনও প্রতিরোধই গড়তে পারেনি। তার পর ম্যাচটা ছিনিয়ে নেয় কামিল মিশারা ও পাথুম নিসাঙ্কা জুটি। ৫২ বলে দ্বিতীয় উইকেটে ৯৫ রান যোগ করে জয়ের ভিত গড়েন তারা। অবশ্য এই জুটি এতদূর আসার জন্য বাংলাদেশের বাজে ফিল্ডিংও দায়ী। তিন রানে মিশারাকে জীবন দেন মেহেদী হাসান। সেই মিশারাই পাওয়ার প্লেতে ঝড়ো ব্যাটিং করেছেন।
দ্বিতীয় উইকেট হিসেবে ফিফটি পাওয়া নিসাঙ্কা যখন ফেরেন, তখনই দলের স্কোর ১০৮ রান। নিসাঙ্কাকে ৫০ রানে থামান মেহেদী।
মেহেদী তার পর কুশল পেরেরাকেও (৯) ফিরিয়েছেন। শেষ দিকে তানজিম সাকিব শানাকাকে (১) দ্রুত ফেরালেও তখন জয়ের কাছে লঙ্কান দল। তার পর কামিল মিশারা ও চারিথ আসালাঙ্কা মিলে ১৪.৪ ওভারে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়েছেন।
জীবন পাওয়া মিশারা ৩২ বলে ৪টি চার ও ২ ছক্কায় ৪৬ রানে অপরাজিত থাকেন। আসালাঙ্কা ৪ বলে ১ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ১০ রানে।
বাংলাদেশের হয়ে ২৯ রানে দুটি উইকেট নেন মেহেদী হাসান। একটি করে নেন মোস্তাফিজুর রহমান ও তানজিম হাসান সাকিব।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: শ্রীলঙ্কা ১৪.৪ ওভারে ১৪০/৪ (আসালাঙ্কা ১০*, মিশারা ৪৬* ; কুশল ৩, নিসাঙ্কা ৫০, পেরেরা ৯, শানাকা ১)
শ্রীলঙ্কা: ৬ উইকেটে জয়ী।
বাংলাদেশ ২০ ওভারে ১৩৯/৫ (জাকের ৪১*, শামীম ৪২*; তানজিদ ০, পারভেজ ০, হৃদয় ৪, মেহেদী ৭, লিটন ২৮)
একাদশে কারা:
বাংলাদেশ একাদশে একটি পরিবর্তন এনেছে। তাসকিন আহমেদের জায়গায় এসেছেন শরিফুল ইসলাম। তাছাড়া ফাস্ট বোলার হিসেবে রয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান ও তানজিম হাসান। দুই স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে রয়েছেন মেহেদী হাসান ও রিশাদ হোসেন।
লঙ্কান দলে রয়েছেন তিন অলরাউন্ডার- দাশুন শানাকার সঙ্গে কামিন্দু মেন্ডিস ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। স্পেশালিস্ট ফাস্ট বোলার রয়েছেন তিনজন- চামিরা, পাথিরানা ও থুশারা।
বাংলাদেশ একাদশ: তানজিদ হাসান, পারভেজ হোসেন, লিটন দাস (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), তাওহীদ হৃদয়, শামীম হোসেন, জাকের আলী, মেহেদী হাসান, তানজিম হাসান, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান।
শ্রীলঙ্কা একাদশ: পাথুম নিসাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস (উইকেটরক্ষক), কামিল মিশারা, কুশল পেরেরা, চারিথ আসালাঙ্কা (অধিনায়ক), কামিন্দু মেন্ডিস, দাশুন শানাকা, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, দুশমন্থ চামিরা, মাথিশা পাথিরানা, নুয়ান থুশারা।
নাগরিক সংবাদ স্পোর্টস
১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, 12:34 AM
এশিয়া কাপে প্রথম ম্যাচ জিতলেও দ্বিতীয় ম্যাচে তাদের হারের তিক্ত স্বাদ দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। লঙ্কানরা নিজেদের গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে ১৪০ রানের লক্ষ্য ৩২ বল হাতে রেখে ৪ উইকেট হারিয়ে তাড়া করেছে। তাতে শুরুর ম্যাচেই ভালো রান রেটে নিজেদের এগিয়ে রাখতে পেরেছে শ্রীলঙ্কা।
টস হেরে ব্যাট করা বাংলাদেশ শুরুতে ৫ উইকেটে করে ১৩৯ রান। তার পর জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নামা বাংলাদেশ মোস্তাফিজের বলে দ্বিতীয় ওভারে ওপেনার কুশল মেন্ডিসকে তুলে নিলেও আর বল হাতে কোনও প্রতিরোধই গড়তে পারেনি। তার পর ম্যাচটা ছিনিয়ে নেয় কামিল মিশারা ও পাথুম নিসাঙ্কা জুটি। ৫২ বলে দ্বিতীয় উইকেটে ৯৫ রান যোগ করে জয়ের ভিত গড়েন তারা। অবশ্য এই জুটি এতদূর আসার জন্য বাংলাদেশের বাজে ফিল্ডিংও দায়ী। তিন রানে মিশারাকে জীবন দেন মেহেদী হাসান। সেই মিশারাই পাওয়ার প্লেতে ঝড়ো ব্যাটিং করেছেন।
দ্বিতীয় উইকেট হিসেবে ফিফটি পাওয়া নিসাঙ্কা যখন ফেরেন, তখনই দলের স্কোর ১০৮ রান। নিসাঙ্কাকে ৫০ রানে থামান মেহেদী।
মেহেদী তার পর কুশল পেরেরাকেও (৯) ফিরিয়েছেন। শেষ দিকে তানজিম সাকিব শানাকাকে (১) দ্রুত ফেরালেও তখন জয়ের কাছে লঙ্কান দল। তার পর কামিল মিশারা ও চারিথ আসালাঙ্কা মিলে ১৪.৪ ওভারে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়েছেন।
জীবন পাওয়া মিশারা ৩২ বলে ৪টি চার ও ২ ছক্কায় ৪৬ রানে অপরাজিত থাকেন। আসালাঙ্কা ৪ বলে ১ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ১০ রানে।
বাংলাদেশের হয়ে ২৯ রানে দুটি উইকেট নেন মেহেদী হাসান। একটি করে নেন মোস্তাফিজুর রহমান ও তানজিম হাসান সাকিব।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: শ্রীলঙ্কা ১৪.৪ ওভারে ১৪০/৪ (আসালাঙ্কা ১০*, মিশারা ৪৬* ; কুশল ৩, নিসাঙ্কা ৫০, পেরেরা ৯, শানাকা ১)
শ্রীলঙ্কা: ৬ উইকেটে জয়ী।
বাংলাদেশ ২০ ওভারে ১৩৯/৫ (জাকের ৪১*, শামীম ৪২*; তানজিদ ০, পারভেজ ০, হৃদয় ৪, মেহেদী ৭, লিটন ২৮)
একাদশে কারা:
বাংলাদেশ একাদশে একটি পরিবর্তন এনেছে। তাসকিন আহমেদের জায়গায় এসেছেন শরিফুল ইসলাম। তাছাড়া ফাস্ট বোলার হিসেবে রয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান ও তানজিম হাসান। দুই স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে রয়েছেন মেহেদী হাসান ও রিশাদ হোসেন।
লঙ্কান দলে রয়েছেন তিন অলরাউন্ডার- দাশুন শানাকার সঙ্গে কামিন্দু মেন্ডিস ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। স্পেশালিস্ট ফাস্ট বোলার রয়েছেন তিনজন- চামিরা, পাথিরানা ও থুশারা।
বাংলাদেশ একাদশ: তানজিদ হাসান, পারভেজ হোসেন, লিটন দাস (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), তাওহীদ হৃদয়, শামীম হোসেন, জাকের আলী, মেহেদী হাসান, তানজিম হাসান, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান।
শ্রীলঙ্কা একাদশ: পাথুম নিসাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস (উইকেটরক্ষক), কামিল মিশারা, কুশল পেরেরা, চারিথ আসালাঙ্কা (অধিনায়ক), কামিন্দু মেন্ডিস, দাশুন শানাকা, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, দুশমন্থ চামিরা, মাথিশা পাথিরানা, নুয়ান থুশারা।