সাকিবের ভাবনা'র সঙ্গে শতভাগ একমত মাশরাফি

#
news image

উইন্ডিজের কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়ে শুরু হলো তৃতীয় মেয়াদে সাকিব আল হাসানের ক্যাপ্টেন্সি। দুই টেস্টেই পরাজয়ের চেয়েও বেশি আলোচনায় এসেছে বাংলাদেশের পারফর্মেন্স। বিশেষ করে ব্যাটারদের। সেন্ট লুসিয়া টেস্ট  শেষে অধিনায়ক সাকিব দেশের বাইরের চেয়ে ঘরের মাঠে টেস্ট জয়ের ওপর জোর দিতে বলেছেন।
তার এই বক্তব্যের সঙ্গে শতভাগ সহমত প্রকাশ করেছেন সাবেক সফলতম অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।
সাকিবের ওই বক্তব্য নিয়ে মাশরাফি বলেন, 'আমি শতভাগ একমত। ওয়ানডে ক্রিকেটও কিন্তু আমরা এভাবেই পরিবর্তন করেছিল। আমাদের প্রথম পরিকল্পনা ছিল ঘরের মাঠে আমরা বেশিরভাগ ম্যাচ জিতব, ৮০ ভাগ ম্যাচ কীভাবে জিততে পারি। টেস্ট ক্রিকেটেও আমাদের শুরু হয়েছিল, ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিলাম; ওই জায়গা থেকে একটু পিছিয়ে আসাতেই সমস্যা হয়ে গেছে। তবে ঘরের মাঠে আমাদের বেশিরভাগ ম্যাচ এখন জিততে হবে।'
ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট সিরিজ শেষ হওয়ার পর মিরপুরে মঙ্গলবার নিজের বাসায় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে এ নিয়ে আলাপ করতে গিয়ে সে কথাটাই মনে করিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। সাদা বলে দেশের অন্যতম সেরা অধিনায়কের কথা, ‘সাকিব যে অধিনায়ক হয়েছে, এটা আমি মনে করি আমাদের জন্য আশীর্বাদ। কারণ, টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ও পারফরমারের হাতে অধিনায়কত্ব থাকা উচিত এবং সেটাই আছে। কিন্তু রাতারাতি কোনো কিছু চিন্তা করলে হবে না।’ সাকিব অধিনায়ক মানেই বাংলাদেশ জিতে যাবে, ব্যাপারটা যে এমন নয়, সেটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন মাশরাফি।
টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলের যে বাস্তবতা, তা নিয়ে মাশরাফির কথা, ‘প্রথমত টেস্টে আমরা কখনোই ভালো দল ছিলাম না। আমরা মাঝে ঘরের মাঠে কিছু ম্যাচ জিতেছিলাম, একটা প্রক্রিয়ার দিকে যাচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে আবার নিচের দিকে। টেস্টে আমরা কখনোই ধারাবাহিক ছিলাম না।’
সেন্ট লুসিয়ায় হারের পর গতকাল সাকিবও একই কথাই মনে করিয়ে দিয়েছেন। বাংলাদেশে যে টেস্ট সংস্কৃতিই নেই, এর পেছনে খেলোয়াড়, দর্শক, ক্রিকেট–সংশ্লিষ্টদের পরিকল্পনার অভাব — অনেকগুলো বিষয়ে উঠে এসেছে সাকিবের সেই কথার মধ্যে। তারপর সাকিব আশা দেখিয়েছেন এই বলে, ‘সবাই মিলে বসে যদি আমরা একটা পরিকল্পনা ধরে এগোই, তাহলে অন্তত এক-দেড় বছর পর ধারাবাহিক পারফর্ম করা সম্ভব হবে।’
মাশরাফিও এ জায়গায় সাকিবের সঙ্গে একমত, ‘সাকিব জানে কীভাবে দল পরিবর্তন করতে হবে। এর আগেও দুইবার সে অধিনায়কত্ব করেছে। আমি মনে করি, সাকিব সব জানে, কীভাবে সব সামলাতে হয়। কীভাবে পরিবর্তন করতে হবে দলটাকে। আর দ্বিতীয় কথা হচ্ছে, পরিকল্পনার বিকল্প কিছু নেই। পরিকল্পনা না করলে অন্তত এই ফরম্যাটে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।’
সে জন্য আগে ঘরের মাঠে টেস্ট জয়ের অভ্যাস গড়ে তোলার দিকে মনোযোগ দিতে বলছেন মাশরাফি, ‘ঘরের মাঠে বেশির ভাগ ম্যাচ এখন আমাদের জিততে হবে। ঘরের মাঠে খেললে কিন্তু ড্র করার সুযোগ কমে যাবে। কারণ, স্পিনিং উইকেট বানালে ড্র হওয়ার সম্ভাবনা কমে। আমাদের ম্যাচ জিততে হবে ওই পরিকল্পনা করে। আমি মনে করি সাকিব আক্রমণাত্মক চিন্তাভাবনা করছে, যা ইতিবাচক।’

প্রভাতী খবর ডেস্ক

২৮ জুন, ২০২২,  10:56 PM

news image

উইন্ডিজের কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়ে শুরু হলো তৃতীয় মেয়াদে সাকিব আল হাসানের ক্যাপ্টেন্সি। দুই টেস্টেই পরাজয়ের চেয়েও বেশি আলোচনায় এসেছে বাংলাদেশের পারফর্মেন্স। বিশেষ করে ব্যাটারদের। সেন্ট লুসিয়া টেস্ট  শেষে অধিনায়ক সাকিব দেশের বাইরের চেয়ে ঘরের মাঠে টেস্ট জয়ের ওপর জোর দিতে বলেছেন।
তার এই বক্তব্যের সঙ্গে শতভাগ সহমত প্রকাশ করেছেন সাবেক সফলতম অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।
সাকিবের ওই বক্তব্য নিয়ে মাশরাফি বলেন, 'আমি শতভাগ একমত। ওয়ানডে ক্রিকেটও কিন্তু আমরা এভাবেই পরিবর্তন করেছিল। আমাদের প্রথম পরিকল্পনা ছিল ঘরের মাঠে আমরা বেশিরভাগ ম্যাচ জিতব, ৮০ ভাগ ম্যাচ কীভাবে জিততে পারি। টেস্ট ক্রিকেটেও আমাদের শুরু হয়েছিল, ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিলাম; ওই জায়গা থেকে একটু পিছিয়ে আসাতেই সমস্যা হয়ে গেছে। তবে ঘরের মাঠে আমাদের বেশিরভাগ ম্যাচ এখন জিততে হবে।'
ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট সিরিজ শেষ হওয়ার পর মিরপুরে মঙ্গলবার নিজের বাসায় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে এ নিয়ে আলাপ করতে গিয়ে সে কথাটাই মনে করিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। সাদা বলে দেশের অন্যতম সেরা অধিনায়কের কথা, ‘সাকিব যে অধিনায়ক হয়েছে, এটা আমি মনে করি আমাদের জন্য আশীর্বাদ। কারণ, টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ও পারফরমারের হাতে অধিনায়কত্ব থাকা উচিত এবং সেটাই আছে। কিন্তু রাতারাতি কোনো কিছু চিন্তা করলে হবে না।’ সাকিব অধিনায়ক মানেই বাংলাদেশ জিতে যাবে, ব্যাপারটা যে এমন নয়, সেটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন মাশরাফি।
টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলের যে বাস্তবতা, তা নিয়ে মাশরাফির কথা, ‘প্রথমত টেস্টে আমরা কখনোই ভালো দল ছিলাম না। আমরা মাঝে ঘরের মাঠে কিছু ম্যাচ জিতেছিলাম, একটা প্রক্রিয়ার দিকে যাচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে আবার নিচের দিকে। টেস্টে আমরা কখনোই ধারাবাহিক ছিলাম না।’
সেন্ট লুসিয়ায় হারের পর গতকাল সাকিবও একই কথাই মনে করিয়ে দিয়েছেন। বাংলাদেশে যে টেস্ট সংস্কৃতিই নেই, এর পেছনে খেলোয়াড়, দর্শক, ক্রিকেট–সংশ্লিষ্টদের পরিকল্পনার অভাব — অনেকগুলো বিষয়ে উঠে এসেছে সাকিবের সেই কথার মধ্যে। তারপর সাকিব আশা দেখিয়েছেন এই বলে, ‘সবাই মিলে বসে যদি আমরা একটা পরিকল্পনা ধরে এগোই, তাহলে অন্তত এক-দেড় বছর পর ধারাবাহিক পারফর্ম করা সম্ভব হবে।’
মাশরাফিও এ জায়গায় সাকিবের সঙ্গে একমত, ‘সাকিব জানে কীভাবে দল পরিবর্তন করতে হবে। এর আগেও দুইবার সে অধিনায়কত্ব করেছে। আমি মনে করি, সাকিব সব জানে, কীভাবে সব সামলাতে হয়। কীভাবে পরিবর্তন করতে হবে দলটাকে। আর দ্বিতীয় কথা হচ্ছে, পরিকল্পনার বিকল্প কিছু নেই। পরিকল্পনা না করলে অন্তত এই ফরম্যাটে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।’
সে জন্য আগে ঘরের মাঠে টেস্ট জয়ের অভ্যাস গড়ে তোলার দিকে মনোযোগ দিতে বলছেন মাশরাফি, ‘ঘরের মাঠে বেশির ভাগ ম্যাচ এখন আমাদের জিততে হবে। ঘরের মাঠে খেললে কিন্তু ড্র করার সুযোগ কমে যাবে। কারণ, স্পিনিং উইকেট বানালে ড্র হওয়ার সম্ভাবনা কমে। আমাদের ম্যাচ জিততে হবে ওই পরিকল্পনা করে। আমি মনে করি সাকিব আক্রমণাত্মক চিন্তাভাবনা করছে, যা ইতিবাচক।’